অর্থনীতি
স্বাভাবিক হয়েছে সঞ্চয়পত্র বিক্রির কার্যক্রম
সঞ্চয় অধিদপ্তরের সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ চলমান থাকার জের ধরে গত ছয় দিন ধরে বন্ধ ছিল সব ধরনের সঞ্চয়পত্র বিক্রি। গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) আপগ্রেডেশনের কাজ শেষ হওয়ায় স্বাভাবিক হয় সঞ্চয়পত্র বিক্রির কার্যক্রম।
সঞ্চয় অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, গত বুধবার থেকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সার্ভার আপগ্রেডেশনের কাজ শুরু হওয়ায়সঞ্চয়পত্র বিক্রির কাজ ব্যহত হয়। তবে গতকাল থেকে সার্ভার চালু হয়েছে। এখন সঞ্চয়পত্র বিক্রি বা ভাঙানোর কাজ করতে পারছেন গ্রাহকরা।
তবে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর সার্ভার চালু হলেও কমেছে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের ভিড়। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে হাতেগোনা কয়েকজন গ্রাহকের দেখা মিলেছে। সেবা বন্ধ থাকাকালীন যারা সঞ্চয়পত্র কিনেছেন তারা এখন ফর্মসহ কাগজ জমা দিতে আসছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, সার্ভার ডাউন হবার পর অনেক গ্রাহক এসেও ফিরে গেছেন। এখন অনেকেই হয়তো জানেন না সার্ভার সচল রয়েছে। এ কারণে গ্রাহকের ভিড় কিছুটা কম থাকতে পারে।
সঞ্চয় অধিদপ্তরের জনসংযোগ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, গতকাল থেকেই পুরোপুরি সচল রয়েছে সার্ভার। সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় অনেকেই আসেনি, কেউ হয়তো দুপুরে আসবেন। তবে কাজ চলমান আছে। রোববার থেকে ভিড় বাড়তে পারে গ্রাহকদের।
এর আগে গত সপ্তাহের বুধবার থেকে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই অধিদপ্তরের সার্ভার ডাউন হয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রির কাজ বন্ধ হয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় গ্রাহকদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন বলেছেন, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখ ভুয়া।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও বিআইসিসিতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪-এর সিম্পোজিয়াম, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট নিয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘সমাজে বৈষম্য তৈরি হয়েছে বলেই আন্দোলন হয়েছে। যা দূর করা সম্ভব নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে।
প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় করই গুরুত্বপূর্ণ। এবং আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো এর প্রয়োগ করা।’ অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও গেল ডিসেম্বরে অনৈতিকভাবে লাভ করেছে ব্যাংকগুলো, যা খতিয়ে দেখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
একই আলোচনা সভায় ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো এবং শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখে অবাক হয়ে গেছি, কীভাবে অবিবেচকভাবে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। কর সংগ্রহ করতে হলে ক্রমান্বয়ে প্রত্যক্ষ কর প্রদানকারীর কাছে যেতে হয়। আমরা প্রত্যক্ষ কর আহরণে কোনো পরিকল্পনা দেখি নাই। যারা কর দেয় না তাদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেটা জানা গেল না।
আমাদের এটা চিন্তিত করেছে। আগামী গরমে জ্বালানি পরিস্থিতি আরো জটিল হবে, এই আশঙ্কা করছি।’
রেকর্ড পরিমাণ আমন উৎপাদন করেও সংগ্রহ অভিযানে সাফল্য নেই জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সংগ্রহ অভিযানে আগে যেমন দুর্নীতি ছিল, তা এখনও আছে। কৃষক তার ফসলের মূল্য পাচ্ছে না। সামাজিক সুরক্ষা বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে আছে।
এই সরকার কী ধরনের অর্থনৈতিক উত্তরাধিকার রেখে যাবে প্রশ্ন তুলেন এই অর্থনীতিবিদ। সুষম অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে যে ধরনের প্রশাসনিক কাঠামো বা সংস্কার দরকার সে রকমের কোনো রূপরেখা আমরা দেখলাম না, বলেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে অবিবেচকভাবে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
অবিবেচকভাবে পণ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিডির সম্মানী ফেলো ও শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও বিআইসিসিতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪-এর সিম্পোজিয়াম, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট নিয়ে এক আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক সেক্টর বেশি মনোযোগ পাচ্ছে। কিন্তু অর্থনৈতিক সংস্কারে কোনো মনোযোগ নেই।’ প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর বিষয়ে কোনো গুরুত্ব দেয়া হয়নি বলেও মন্তব্য করেন ড. দেবপ্রিয়।
এ সময় অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধি চলতি বছর চার শতাংশ হতে পারে। আর নতুন বাজেট ৮ লাখ কোটি টাকার বেশি করার সুযোগ নেই। কেন না আগামীতে অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ- নীতি, রাজনীতি ও প্রকৃতি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ক্রেডিট কার্ডে বিদেশে বাংলাদেশিদের লেনদেন কমেছে
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে দেশে ও বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশিদের লেনদেন কমেছে। নভেম্বরে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে ৪৩১ কোটি টাকা, যা অক্টোবরে ছিল ৪৯৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
আর দেশের অভ্যন্তরে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, অক্টোবরে যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে দেশের মধ্যে লেনদেন কমেছে ৭৩ কোটি এবং দেশের বাইরে ৬৮কোটি টাকা।
প্রতিবেশী ভারত থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই), অস্ট্রেলিয়া ও আয়ারল্যান্ডে খরচ কমে যাওয়ায় সার্বিকভাবে মে মাসে বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে।
নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমলেও ব্যয়ের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে দেশটি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বর মাসে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডধারীরা খরচ করেন ৬৮ কোটি টাকা। এর আগের মাস অক্টোবরে দেশটিতে খরচ হয়েছিল ৮৪ কোটি টাকা। এক মাসের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে ১৬ কোটি টাকা।
দেশের ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী ৪৪টি ব্যাংক ও ১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিসংখ্যান বিভাগ। মাস ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিবেদনটিতে দেশের ভেতর এবং বাইরের বাংলাদেশি নাগরিকদের এবং দেশের ভেতরে বিদেশি নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের তথ্য তুলে ধরে থাকে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, মে মাসে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে ভারতে ও আরব আমিরাতে। ভারতে অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বরে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে ৬ কোটি টাকা। অক্টোবরে ভারতে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছিলেন ৫৪ কোটি টাকা, যা নভেম্বর মাসে কমে ৪৭ কোটি টাকায় নেমে আসে।
একই সময়ে আরব আমিরাতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে ৪ কোটি টাকা। অক্টোবরে আমিরাতে যেখানে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে খরচ করেছিলেন ২০ কোটি টাকা, সেখানে নভেম্বর মাসে তা কমে হয় ১৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বর মাসে ২ কোটি টাকা এবং আয়ারল্যান্ডে এক কোটি টাকা কম খরচ করেন এ দেশের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ভারতের ভিসা অনেকে পাচ্ছেন না। আবার অনেকে এই অস্থিরতার মধ্যে যেতে চাচ্ছে না। এজন্য ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে ব্যবহার কমেছে। এছাড়া অন্যান্য কিছু দেশে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে বাংলাদেশিরা কম ভ্রমণ করেছেন। এ কারণে সেসব দেশে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে।
বিদেশের পাশাপাশি দেশেও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার কমেছে। অক্টোবরে দেশের অভ্যন্তরে ক্রেডিট কার্ডে এ দেশের নাগরিকরা খরচ করেন ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা, যা নভেম্বর মাসে কমে হয় ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসে দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডে খরচ কমেছে ৭৩ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরে মোটাদাগে ১১টি খাতে ক্রেডিট কার্ড বেশি ব্যবহৃত হয়। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খুচরা কেনাকাটা, বিভিন্ন পরিষেবার বিল প্রদান, নগদ উত্তোলন, ওষুধ ও ফার্মেসি, পোশাক কেনাকাটা, অর্থ স্থানান্তর, পরিবহণ খাতে ব্যয়, বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও পেশাদারি সেবা এবং সরকারি সেবার বিল প্রদানে। এসব খাতের মধ্যে শুধু নগদ উত্তোলনা ছাড়া নভেম্বর মাসে অন্য সব খাতে কম খরচ করেছেন ক্রেডিট কার্ডধারীরা।
নভেম্বরে দেশের মধ্যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা। এর আগের মাস অক্টোবরে এখাতে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ হয়েছিল ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে নভেম্বরে খুচরা কেনাকাটায় ৪০৬ কোটি টাকা, বিভিন্ন পরিষেবার বিল প্রদানে ২৪৬ কোটি টাকা, নগদ উত্তোলন ১৯৬ কোটি টাকা, ওষুধ ও ফার্মেসিতে ১৬৪ কোটি টাকা, পোশাক কেনাকাটায় ১৪৮ কোটি টাকা, অর্থ স্থানান্তরে ৭৬ কোটি টাকা, পরিবহণ খাতে ব্যয় ৯৯ কোটি টাকা, বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও পেশাদারি সেবা ৭৯ কোটি টাকা এবং সরকারি সেবার বিল প্রদানে ৪৩ কোটি টাকা ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে।
স্থানীয় কার্ডধারীদের পাশাপাশি বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরাও নভেম্বর মাসে ক্রেডিট কার্ডে কম খরচ করেছেন। এ দেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা অক্টোবরে খরচ করেন ১২৯ কোটি টাকা। নভেম্বর মাসে তারা খরচ করেছেন ২০২ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে বিদেশি নাগরিকেরা এ দেশে ক্রেডিট কার্ডে ৭৩ কোটি টাকা বা ৩৬ দশমিক ১৩ শতাংশ খরচ বেশি খরচ করেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে ৪.১ শতাংশে নামবে: বিশ্বব্যাংক
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে ৪ দশমিক ১ শতাংশে নামবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এই অর্থবছরে উল্লেখযোগ্য সংকটের মুখোমুখি হবে দেশের অর্থনীতি।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়।
এতে বলা হয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক বাণিজ্যে মন্দা, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি এবং ঋণসেবা ব্যয়ের চাপসহ অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা কারণ এই সংকটের জন্য দায়ী। কোভিড-১৯ মহামারি-পরবর্তী ধাক্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাকশিল্প। কিন্তু ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের অর্ডার কমে যাওয়ায় রপ্তানি আয় হ্রাস পাচ্ছে। দেশের মূল্যস্ফীতি ক্রয়ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছে এবং টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে।
এদিকে রাজস্ব ঘাটতির কারণে বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও সামাজিক সুরক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ কমে গেছে। গ্রামীণ অর্থনীতি দুর্বল হওয়ায় দরিদ্র জনগোষ্ঠী আরো বেশি সংকটে পড়ছে।
সংকট কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশ সরকারের জন্য কয়েকটি সুপারিশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এর মধ্যে আছে রাজস্ব ব্যবস্থায় সংস্কার, রপ্তানি পণ্যে বৈচিত্র্য আনা, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কার্যকর করা, অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ইন্দরমিত গিল বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। নীতিনির্ধারকদের উচিত দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যাতে অর্থনীতির গতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা যায়। বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং রাজস্ব বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে স্বল্পমেয়াদে সংকট মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ প্রয়োজন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাবেক পরিচালক লতিফ খানের মৃত্যুতে ডিসিসিআইয়ের শোক
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক পরিচালক নূহের লতিফ খান (৪১) গত ১৪ জানুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার মৃত্যুতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
নূহের লতিফ খান ২০১৮-২০ মেয়াদে ঢাকা চেম্বারের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশিষ্ট উদ্যোক্তা নূহের লতিফ খান জুলস পাওয়ার লিমিটেড এবং টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন এবং তার প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে তিনি একজন অন্যতম অগ্রদূত।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। টেকসই জ্বালানি এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন, সংস্কারের পাশাপাশি এ খাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।