আন্তর্জাতিক
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির তদন্তকারীরা। সামরিক শাসন জারির ব্যর্থ চেষ্টার অন্তত ছয় সপ্তাহ পরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলো।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার করে।
রাজধানী সিউলের মধ্যাঞ্চলে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মই বেয়ে ইউনের বাড়ির প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন।
ইউনকে গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের গতকালের প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে রুখে দেন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর (প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস-পিএসএস) সদস্যরা। গাড়ি দিয়ে বাড়ির প্রবেশপথে প্রতিবদ্ধকতা তৈরি করা হয়। সে সময় সেখানে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির আইনপ্রণেতা ও ইউনের আইনজীবীরা ছিলেন।
তাছাড়া ইউনকে গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা রুখে দিতে তীব্র শীতের মধ্যে তার বাড়ির সামনে হাজারো সমর্থক জড়ো হন। মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপেক্ষা করে তারা প্রতিবাদ জারি রাখেন। একই সঙ্গে সরকারবিরোধীরাও সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
তবে সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে তদন্তকারীরা ইউন সুক ইউলকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হন। এখন তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য প্রার্থনা করতে মন্দিরে ভিড় ভারতীয়দের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতাগ্রহণের পর অভিবাসন প্রক্রিয়া কঠোর করতে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ কঠোর অভিবাসী নীতির কারণে ভিসা প্রক্রিয়াও জটিল হয়ে গেছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য প্রার্থনা করতে ভারতে মন্দিরে ভিড় করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানায়, ভিসাপ্রাপ্তি-বিষয়ক প্রার্থনার জন্য ভারতের পশ্চিমাঞ্চল গুজরাটের আহমেদাবাদের চমৎকারী হনুমান মন্দির এখন জনপ্রিয় উপাসনা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। অনেকেই এ মন্দিরকে এখন ‘ভিসা হনুমান’ মন্দির বলে ডাকেন।
তিনি আরও বলেন, এটি সম্পূর্ণ বিশ্বাসের ব্যাপার। যদি আপনি বিশ্বাস করেন, এটি ঘটবে। তবে মনে সন্দেহ থাকলে আপনার আশা পূরণ হবে না।
পুরোহিত বিজয় ভাট দাবি করেন, তিনি এমন কিছু উদাহরণ দেখেছেন যেখানে একাধিক প্রত্যাখ্যানের পর ভক্তরা পূজা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভিসার অনুমোদন পেয়েছেন।
মন্দিরের পুরোহিত বিজয় ভাট সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ভিসার আবেদনকারীদের তাদের পাসপোর্ট শ্রী হনুমানের সামনে রেখে একটি ভক্তিমূলক কীর্তন গাইতে বলা হয়। হনুমান হলেন হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রিয় দেবতা, যিনি তার বানরের মতো চেহারা জন্য পরিচিত।
অনেক ভক্তই দূরবর্তী বিভিন্ন রাজ্য থেকে এ মন্দিরে এসেছেন এবং তাদের বেশিরভাগই ভিসা অনুমোদন পাওয়ার বিশ্বাস থেকে এসেছেন বলে জানান ভাট।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর সময় যাত্রাপথে ভারতীয় অবৈধ অভিবাসীদের হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছে মোদি সরকার।
গেল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক পণ্যবাহী বিমানে ১০৪ জন অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তাদের নামানো হয় অমৃতসর বিমানবন্দরে। তবে এই অভিবাসন প্রত্যাশীদের হাতকড়া আর পায়ে শিকল পরিয়ে বিমানে ওঠানোর ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় ভারতজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে ইসরাইল: ট্রাম্প

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি অঞ্চল গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মোহ যেন কাটছেই না। আবারও তিনি অঞ্চলটি নিয়ে তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, যুদ্ধ শেষে গাজাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে ইসরায়েল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও এমন এক দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে যাবে। তবে তাঁর প্রশাসনের কর্মকর্তারা এর আগে তাঁর মন্তব্যের বিপরীতে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকা যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিকল্পনার আওতায় ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসন করা হবে, তবে কোনো মার্কিন সেনা সেখানে প্রয়োজন হবে না।’
ট্রাম্পের এই পুনর্বাসন পরিকল্পনাকে জাতিগত নির্মূলকরণের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে অনেকেই। জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং আরব নেতারা এর নিন্দা জানিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি বাস্তবে রূপ নেবে না।
প্রথমবার এ বিষয়ে মন্তব্য করার পর ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দেন যে, যদি পুনর্বাসন হয়ও, সেটি সাময়িক হবে।
ট্রাম্প তাঁর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে লেখেন, তাঁর পরিকল্পনা অনুসারে গাজার বাসিন্দারা ‘এরই মধ্যে আরও নিরাপদ এবং সুন্দর সম্প্রদায়ে পুনর্বাসিত হতেন, যেখানে নতুন ও আধুনিক বাড়িঘর থাকত।’ এরপর যুক্তরাষ্ট্র গাজার পুনর্গঠনে সহায়তা করত।
তবে তাঁর এই পোস্টে পরিষ্কার করা হয়নি যে, গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দাকে কি ফিরে আসার সুযোগ দেওয়া হবে কি না। আন্তর্জাতিক আইনে, দখলকৃত অঞ্চল থেকে জনগণকে জোরপূর্বক সরিয়ে নেওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট গত বুধবার বলেন, যদি (গাজার) জনগণকে সরাতেই হয়, তবে তা হবে সাময়িক। একই দিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজার জনগণকে সাময়িকভাবে সরিয়ে ফেলা হতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা না হয় এবং পুনর্গঠন না করা হয়।
কিন্তু এই বক্তব্য ট্রাম্পের আগের মন্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। গত মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেন, গাজাকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেবে এবং আমরা এটি নিয়ে কাজ করব।’ ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নেতানিয়াহু এই ধারণাকে ‘উল্লেখযোগ্য’ বলে অভিহিত করেন এবং এটি নিয়ে কাজ করা যায় বলে জানান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ট্রাম্পের এই ঘোষণা তাঁর ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টাদেরও বিস্মিত করেছে। কারণ, এ বিষয়ে কোনো সুসংগঠিত পরিকল্পনা ছিল না।
গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাম্প আরও বলেন যে, কোনো মার্কিন সেনা সেখানে (গাজায়) মোতায়েন করা হবে না। এটি হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র লেভিটের বক্তব্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। লেভিট বলেছিলেন, ‘মার্কিন সেনা সেখানে যাবে না।’
এরপর গতকাল এক প্রার্থনা সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প গাজার পরিস্থিতি নিয়ে সংক্ষেপে কথা বলেন, তবে গাজা দখলের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেননি। মধ্যপ্রাচ্য প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তিনি আশা করেন যে, তাঁর ‘সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন হবে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত হওয়া।’
গত ১৫ মাসের সংঘাতে মাত্র ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১০ কিলোমিটার চওড়া গাজা উপত্যকা বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পুরো এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। একসময় কৃষিজমি ও সবুজ ঘরবাড়িতে পরিপূর্ণ গাজা এখন বালি ও ধ্বংসাবশেষের ভাগাড় যেন।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) জানিয়েছে, এই বিপুল ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে ফেলতে ২১ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, গাজার পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা কার্যত অকার্যকর হয়ে গেছে। শরণার্থীশিবির ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর আশপাশে আবর্জনার স্তূপ জমছে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত সৌর প্যানেল ও ব্যবহৃত গোলাবারুদের রাসায়নিক পদার্থ মাটি ও পানির দূষণ ঘটাতে পারে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংসযজ্ঞের ফলে গাজায় ৫০ মিলিয়নেরও বেশি টন ধ্বংসাবশেষ জমেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক নজিরবিহীন সীমান্ত হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল সামরিক অভিযান শুরু করে। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়।
এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৭ হাজার ৫৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ১১ হাজার ৬০০ জন আহত হয়েছে বলে অঞ্চলটির হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে নিয়মিত প্রশিক্ষণ উড্ডয়নের সময় দেশটির বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। মাঝ-আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। যুদ্ধবিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ার আগেই দুজন পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিরেজ ২০০০ প্রশিক্ষণ বিমান মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলায় নিয়মিত প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনার সময় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
অবশ্য দুর্ঘটনার আগে উভয় পাইলটই নিরাপদে বের হয়ে আসতে পেরেছিলেন এবং এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঘটনার সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মিরেজ ২০০০ একটি বহুমুখী যুদ্ধবিমান এবং এটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সংবাদমাধ্যমের দাবি, অতীতে বিভিন্ন অপারেশনে এই যুদ্ধবিমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ভারতীয় বিমান বাহিনী তার বহরকে আধুনিকায়ন করে চললেও বহু দশকের পুরোনো ও বয়স্ক ফাইটার জেট এবং প্রশিক্ষণ বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েই গেছে।
কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনার স্থানটি ঘিরে রেখেছে এবং ঘটনার আরও তদন্ত চলছে। দুর্ঘটনার পর ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানের ধ্বংসাবশেষ একটি মাঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে এবং সেখানে শত শত লোক জড়ো হয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক আদালতের ওপর ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) গতবছর বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই আইসিসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেছেন। নির্দেশে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন তদন্ত করা হয়েছে।
নির্দেশে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। মঙ্গলবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প।
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস ইসরায়েলে ঢুকে আক্রমণ করে। তারপর ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ চালায়। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র জার্মানি, ইসরায়েল-সহ বেশ কিছু দেশ। এরপর আইসিসি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
ট্রাম্পের নির্দেশে বলা হয়েছে, আইসিসি যা করেছে, তা বিপজ্জনক নজির হিসাবে থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আইসিসি কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পারবেন না।
ট্রাম্পের নির্দেশে বলা হয়েছে, ইসরায়েল হচ্ছে ওয়াশিংটনের খুব ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহিন অভিযোগ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল কেউই আইসিসির সদস্য নয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ওমরায় মেনিনজাইটিস টিকার বাধ্যবাধকতা বাতিল করল সৌদি

পবিত্র ওমরাহ পালনে মেনিনজাইটিস টিকা নেয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল করেছে সৌদি আরব। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সিভিল এভিয়েশনের জেনারেল অথরিটি এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে দেশটি এক নির্দেশনায় বলেছিল, ১০ ফেব্রুয়ারির পর যারা ওমরাহ করতে আসবেন, তাদের অবশ্যই নেইসেরিয়া মেনিনজাইটিস টিকা নিতে হবে।
সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস জানিয়েছে, সিভিল এভিয়েশন এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব বিমান সংস্থাকে পাঠিয়েছে।
এরআগে সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক নির্দেশনায় বলেছিল, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে যারাই ওমরাহ করতে আসবেন তাদের অবশ্যই এই টিকা নেওয়া থাকতে হবে। এতে আরও বলা হয়, সব ধরনের ভিসাধারীর ক্ষেত্রেই এটি কার্যকর হবে। এছাড়া বলা হয়, সৌদিতে আসার অন্তত ১০দিন আগে টিকাটি নিতে হবে এবং তিন বছর আগে যারা টিকা নিয়েছিলেন তাদেরও নতুন করে নিতে হবে। তবে নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে আগের সব নির্দেশনাই বাতিল হয়ে গেছে।
এর আগে গত বছরের মার্চে সব হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য টিকাটি বাধ্যতামূলক করেছিল সৌদি সরকার।
এদিকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে এক মাসেরও কম সময় বাকি আছে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজানে সবচেয়ে বেশি মানুষ ওমরা করতে যান। মেনিনজাইটিস টিকার বাধ্যবাধকতার কারণে সাধারণ মানুষের সৌদিতে যাওয়া একটু কঠিন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণে এখন সবাই নির্বিঘ্নে সৌদিতে গিয়ে ওমরা করে আসতে পারবেন।