আইন-আদালত
খালেদা জিয়ার খালাসের আপিলের রায় বুধবার

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা বাড়িয়ে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য আজ ১৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষ, দুর্নীতি দমন কমিশন ও খালেদা জিয়ার পক্ষে একে একে তিনদিন শুনানির পর দেখা যায় এই মামলার এক আপিলকারী কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দেওয়া হয়নি। একপর্যায়ে কামালের পক্ষে সারসংক্ষেপ জমা দেওয়ার জন্য তার আইনজীবী সময় চাইলে আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য আজকে পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, জাকির হোসেন ভূইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনির আর হক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. আসিফ হাসান।
এর আগে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) গত ১১ নভেম্বর মঞ্জুর করে ১০ বছরের কারাদণ্ড স্থগিতের আদেশ দেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগ।
শুনানিতে দুদকের আইনজীবী মো. আসিফ হাসান আদালতকে বলেছিলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা কিন্তু আত্মসাৎ হয়নি। জাস্ট ফান্ডটা মুভ হয়েছে। তবে সুদে-আসলে অ্যাকাউন্টেই টাকাটা জমা আছে। কোনো টাকা ব্যয় হয়নি।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এই মামলায় খালেদা জিয়ার দেওয়া ৩৪২ ধারায় বক্তব্য তুলে ধরে সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই রাজবন্দির জবানবন্দির প্রতিফলন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে উঠে এসেছে। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এতিম তহবিল সংক্রান্ত কোনো অনুদান গ্রহণ বা বিতরণের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এরপর সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করে রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছেন রাষ্ট্রপতি। তবে রাষ্ট্রপতির এই ক্ষমার পরেও মামলা দুটি আইনগতভাবে লড়ার কথা জানিয়ে বিএনপির আইনজীবীরা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি তার সাজা মওকুফ করেছেন। তবে সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন। সে অনুযায়ী আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
স্ত্রী-ছেলেসহ নাফিজ সারাফতের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ, ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের ৭৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদক তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, চৌধুরী নাফিজ সারাফত ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি, ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা ও নিজেদের মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগের ওপর অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধান টিম কাজ করছে।
অভিযোগের অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, স্ত্রী আজুমান আরা শহীদ ও পুত্র রাহিব সাফওয়ান চৌধুরীর নিজ নামে এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে তাদের পেশা, অর্থের উৎস ও হিসাব খোলার উদ্দেশ্যের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল অঙ্কের টাকা জমা ও উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যায়। যা তাদের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ ও এই বিপুল পরিমাণ ব্যাংক লেনদেন মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে অনুসন্ধানকালে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বা বেহাত করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, তার পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবসমূহ অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
তারেক রহমানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার

আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. রফিকুল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশীদ মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার ছিল অবৈধ। আইনে এটা টেকে না। যে চার্জশিটের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বিচার করেছিলেন তা আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে ফাঁসি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
ওই বছরের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় এসে পৌঁছায়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ট্রাইব্যুনালে সাবেক মেয়র আতিকসহ ৬ জনের হাজিরা আজ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা রয়েছে আজ।
সোমবার( ১৭ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে তাদের হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেন আদালত।
আতিকুল ছাড়া আওয়ামী লীগের অন্য পাঁচ নেতা হলেন রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির উদ্দিন ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের বিভিন্ন মামলায় তারা বর্তমানে গ্রেফতার আছেন।
এর আগে, আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিজয়ী মেয়র আতিকুল ইসলাম ও অন্য পাঁচজনসহ এই ছয় নেতাকে হাজির করার আবেদন করেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ। আদালতের নির্দেশের পর তিনি ওই দিন সাংবাদিকদের বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকা উত্তরে প্রায় ২০০ লোক নিহত হয়েছেন। এসব হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে ভূমিকা ছিল সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামের। আর অন্য পাঁচ আসামি সরাসরি নির্দেশনা পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে তা বাস্তবায়ন করেছেন।
গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর উত্তরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ট্রাইব্যুনালে একটি মামলার কার্যক্রম চলছে বলেও জানান প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের এই মামলায় যদি তাদের (সাবেক মেয়র আতিকুল ও আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা) গ্রেফতার দেখানো না হয়, তাহলে তারা বিভিন্ন মামলায় জামিন পেলে মামলার তদন্ত ব্যাহত হবে। যথাযথ ও কার্যকর তদন্তের জন্য তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানানো হয়।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি গণঅভ্যুত্থানের সময় উত্তরায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন ‘খুবই প্রভাবশালী সদস্য’-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। তবে তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।
গাজী মোনাওয়ার হুসাইন জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেই সদস্য গণঅভ্যুত্থানের সময় উত্তরায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণে সহায়তা করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তার অধীনস্তরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন। ফলে যথাযথ ও কার্যকর তদন্তের জন্য তাকে গ্রেফতার করা জরুরি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ট্রাইব্যুনালে বিএনপির অভিযোগ

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে দেশজুড়ে ৮৪৮ নেতাকর্মী নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে জানান বিএনপির মামলা ও সমন্বয় প্রধান সালাউদ্দিন খান।
অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আছাদুজ্জামান খান কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্যমন্ত্রী আরাফাতসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। তালিকাসহ অডিও-ভিডিও ও ৮৪টি মামলার এজাহারের কপি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে বিএনপি।
গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন করে বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ গ্রহণ করে নেতাকর্মীরা। সেখানে ৮৪৮ জনের শহীদের তালিকা জমা দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে দেশব্যাপী হওয়া মামলার এজাহার, পত্রিকার ছবি, অডিও-ভিডিও জমা দেওয়া হয়েছে। এ সময় তারা হত্যার সঠিক বিচার, ন্যায়বিচার দাবি করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সিঙ্গাপুর থেকে ২৬৫ কোটি টাকায় চাল কিনবে সরকার

সিঙ্গাপুর থেকে ২৬৫ কোটি ২০ লাখ টাকায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-০৭ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সিঙ্গাপুরের মেসার্স এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে এই চাল কিনতে ব্যয় হবে ২৬৫ কোটি ২০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা (সিডি ভ্যাট ব্যতীত)। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৪৩৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই দুই দেশ থেকে দুই ধরনের চাল আনতে মোট খরচ হবে ৫৮১ কোটি ৪১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। এর মাধ্যমে খাদ্য মন্ত্রণালয় সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে পাকিস্তান থেকে ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দেয়। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪৯৯ মার্কিন ডলার।
এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪৫৪ দশমিক ১৪ মার্কিন ডলার।