স্বাস্থ্য
কাঁচা খেজুরের রস না খাওয়ার পরামর্শ
দেশে পাঁচজনের শরীরে ব্যাট রিওভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইইডিসিআর)।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাদুড়ের মাধ্যমে ছড়ানো এ ভাইরাসের উপস্থিতি মানবদেহে পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম, যা ছড়াতে পারে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে। সতর্কতা হিসেবে খেজুরের কাঁচা রস পান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিবছর খেজুরের কাঁচা রস পানে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হন অনেকে। তেমনই লক্ষণ দেখে সম্প্রতি ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর। এতে নিপাহ ভাইরাসের নমুনা না মিললেও পাঁচজনের শরীরে পাওয়া যায় ব্যাট রিওভাইরাস, যা প্রথমবারের মতো শনাক্ত হলো দেশে।
রিওভাইরাসের চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো আবিষ্কৃত হয়নি জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ভাইরাসের উপস্থিতি সাধারণত বাদুড়ে পাওয়া যায় এবং এটি করোনার মতো ছোঁয়াচে না হলেও আক্রান্ত ব্যাক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। এ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হন শিশু ও বয়স্করা। আক্রান্ত হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। মারাত্মক হলে নিউমোনিয়া, এমনকি মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে।
এ অবস্থায় রিওভাইরাসের সংক্রমণ হার নিয়ন্ত্রণে গবেষণার ওপর জোর দিলেন আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন। দেশে রিওভাইওরাসের আপাতত মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ার আশংকা নেই বলেও জানালেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে রিওভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য খেজুরের কাঁচা রস পান পরিহারের পরামর্শ তাদের।
গণমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকারে মুশতাক হোসেন বলেন, যার মধ্যে নিপাহ নেই, তার মধ্যে রিও পাচ্ছি। লক্ষণও একই রকম। খেজুরের কাঁচা রস খেতে অবশ্যই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এ ভাইরাসের কোনো টিকা বা চিকিৎসা বের হয়নি। নিপাহ ভাইরাসের টিকা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গবেষণায় হয়ত এখন রিওভাইরাসের বিষয়টি যুক্ত হবে। একজন রিওভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে অন্যজন আক্রান্ত হচ্ছে কিনা, সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। তাই আমাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে প্রথমবার ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত
দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাতে আক্রান্ত হয়েছে ৫ জন। ভাইরাসটি শনাক্ত করেছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)। তবে কারও ক্ষেত্রে তেমন কোনো জটিলতা দেখা যায়নি। চিকিৎসা শেষে সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন।
ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন জানান, খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে প্রতিবছর নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হন অনেকে। তেমন লক্ষণ দেখে সম্প্রতি ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করেছে আইইডিসিআর। এদের মধ্যে নিপা ভাইরাস না মিললেও পাঁচ জনের শরীরে পাওয়া গেছে রিওভাইরাস।
তিনি আরও বলেন, নতুন রোগজীবাণু অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সঙ্গে আইইডিসিআরের নিয়মিত গবেষণায় শনাক্ত হলো এই ভাইরাস।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিএসএমএমইউর চিকিৎসক-নার্সসহ ১৫ জন বরখাস্ত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লক এলাকায় সংগঠিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কর্মরত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন– বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু তোরাব আলী মিম, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ সিদ্দিকী প্রাণ, পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের পেইন্টার নিতীশ রায়, মো. সাইফুল ইসলাম, এমএলএসএস কাজী মেহেদী হাসান, সহকারী ড্রেসার শহিদুল ইসলাম (সাইদুল) ও সুইপার সন্দীপ।
এছাড়াও এ তালিকায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী উজ্জল মোল্লা, পরিবহন শাখার ড্রাইভার সুজন বিশ্ব শর্মা, বহির্বিভাগে (ওপিডি-১) এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টারের কাস্টমার কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রুবেল রানা।
সাময়িক বরখাস্তের তালিকায় আরও রয়েছেন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শবনম নূরানী, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস শাহাদাত, কার্ডিওলজি বিভাগের এমএলএসএস মুন্না আহমেদ এবং ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস আনোয়ার হোসেন।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সম্মুখে সংগঠিত হত্যার সঙ্গে জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীগণকে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ধারা ২ এর (ছ), (জ), (ঝ) ও (ঢ) অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হলো।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ১৪ ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত চিকিৎসক, সিনিয়র স্টাফ নার্স ও কর্মচারীগণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে বেতন ও ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তবে, বিধি মোতাবেক তাদের চাকরি নিয়ন্ত্রিত হবে।’
এ আদেশ ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলেও অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারতের বিকল্প হিসেবে থাইল্যান্ডের দিকে ঝুঁকছেন বাংলাদেশি রোগীরা
বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যু সীমিত করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। যার কারণে বাংলাদেশি রোগীরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প হিসেবে থাইল্যান্ডের দিকে ঝুঁকছেন। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের হাসপাতালের কর্মীদের আন্তরিকতা ও সহজ ই-ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে চিকিৎসা নিতে ইচ্ছুকদের সংখ্যা বাড়ছে।
‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান ও থাইল্যান্ডে বহির্মুখী চিকিৎসা ভ্রমণ’ বিষয়ক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশি রোগীদের থাইল্যান্ডের চিকিৎসা সেবা নিয়ে ইতিবাচক ধারণা রয়েছে। তাই তারা চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডকে বেছে নিচ্ছেন।
গবেষণাটি পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহবুব আলী এবং অস্ট্রেলিয়ার সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির সিনিয়র লেকচারার ড. অনিতা মেধেকার।
তারা বলেন, চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডকে পছন্দের প্রধান কারণ হলো রোগীরা বিশ্বাস করেন, দেশটি তুলনামূলক উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে।
যেসব প্রতিষ্ঠান ভিসা নিয়ে কাজ করে এবং বিদেশি হাসপাতালে অ্যাপয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দুই থেকে তিন মাসে থাইল্যান্ডে মেডিকেল ভিসা পেতে আগ্রহী বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন ৪২ বছর বয়সী সাবিনা আক্তার। তিনি ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করলেও পাননি। তাই কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত চিকিৎসার জন্য বিকল্প হিসেবে ব্যাংককে বেছে নেনে।
সাবিনা আক্তার জানান, তিনি থাই মেডিকিউরের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছেন। তিনি সামিটেজ সুখুমভিট হাসপাতালের কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিৎসা নিতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে যান।
‘যদিও চিকিৎসার খরচ বাংলাদেশের শীর্ষ বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় একটু বেশি ছিল। তবে সেখানকার মেডিকেল কর্মীদের আন্তরিকতা ও চিকিৎসার মান অনেক ভালো ছিল,’ বলেন তিনি।
একই কথা বলেন লাবিবা, যার এক আত্মীয় সম্প্রতি ভারতের ভিসা না পেয়ে চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলেন।
তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে লাবিবা বলেন, ‘যদিও থাইল্যান্ডে চিকিৎসার খরচ বাংলাদেশের তুলনায় সামান্য বেশি, তবুও বাংলাদেশি রোগীদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প।’
ঢাকায় থাই মেডিকিউর অফিসের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ নাজনীন আক্তার সৃষ্টি বলেন, ‘সেপ্টেম্বর থেকে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে যেতে ইচ্ছুক রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০ শতাংশের বেশি।’
তিনি জানান, আগস্টের আগে তারা প্রতি মাসে গড়ে ২০ জন রোগীর মেডিকেল ভিসা প্রসেস করতে পারত। কিন্তু অক্টোবর থেকে এই সংখ্যা বেড়ে প্রতি মাসে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।
নাজনীন আক্তার সৃষ্টি উল্লেখ করেন, গুরুতর অসুস্থ রোগীরা ভারতীয় ভিসা না পেলে প্রাথমিকভাবে থাইল্যান্ডকে বেছে নিচ্ছেন।
তার ধারণা, হয়তো থাই সরকার হয়তো এটি বুঝতে পেরেছে। তাই ই-ভিসা চালু করে বাংলাদেশি পর্যটক ও রোগীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, থাইল্যান্ডের জন্য ভিসা পেতে ইচ্ছুকরা এখন আবেদনের ১০ দিনের মধ্যে ই-মেইলের মাধ্যমে ভিসা পেতে পারেন।
‘যদি আবেদনকারী বৈধ কাগজপত্র দেয় ও তাদের ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা থাকে, তাহলে সাধারণত থাইল্যান্ডের দূতাবাস ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে না,’ যোগ করেন তিনি।
থাইল্যান্ডের বুমরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের বাংলাদেশি অংশীদার থাই মেডি এক্সপ্রেসের নির্বাহী (প্যাশেন্ট রিলেশনস) ইশতিয়াক আহমেদ ইমন বলেন, গত তিন-চার মাসে রোগীর প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে।
তবে সম্ভাব্য সংখ্যা নিয়ে কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।
তিনি মনে করেন, বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত বিধিনিষেধ আরোপ করায় থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি রোগী যাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে।
বুমরুনগ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা বলেন, গত অক্টোবর থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৬০ জন বাংলাদেশি রোগী ভর্তি করা হয়েছে। যেখানে আগের মাসিক গড় ছিল প্রায় ৪০ জন।
‘সুতরাং, বাংলাদেশ থেকে রোগীর আগমন প্রায় ৬৭ শতাংশ বেড়েছে,’ বলেন তিনি।
ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশি রোগীরা সাধারণত বুমরুনগ্রাদ ও ব্যাংকক হাসপাতাল পছন্দ করেন। কারণ ডেডিকেটেড হেল্প ডেস্ক থাকার কারণে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে সেবা নিতে পারেন।
ব্যাংকক হাসপাতাল বাংলাদেশ অফিসের অপারেশন ম্যানেজার আব্দুল কাইউম বলেন, এটা সত্য যে—সম্প্রতি মেডিকেল ভিসা প্রত্যাশীদের সংখ্যা বাড়ায় ভিসা প্রসেসিংয়ের চাপ বেশ বেড়েছে।
তিনি জানান, তারা আগে প্রতি মাসে চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ২০টি ভিসা প্রসেস করত। কিন্তু এখন তা বেড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৩০টিতে পৌঁছেছে।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, তারা বুঝতে পেরেছেন যে—ডিসেম্বরের পর বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে ভ্রমণকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
‘এ কারণে আমরা প্রতি সপ্তাহে দুটি অতিরিক্ত ফ্লাইট যোগ করেছি। এখন আমরা প্রতি সপ্তাহে নয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করি,’ বলেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের খরচ কমেছে, তবে থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে বাড়ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
১৪৮ চিকিৎসককে বদলি
দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৪৮ চিকিৎসককে বদলি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। বুধবার (১ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পারসোনেল-১ শাখার উপসচিব মো. সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার সার্ভিসের এসব চিকিৎসককে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে পদায়ন করা হলো।
আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বদলিকৃত চিকিৎসকদের কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ও জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু ২৯ ডিসেম্বর
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিডিএস (ডেন্টাল) ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর। আবেদনের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এবার সেকেন্ড টাইম ভর্তিচ্ছুদের দুই পদ্ধতিতে ৩ ও ৬ নম্বর কর্তন করা হবে।
আজ শনিবার স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিডিএস (ডেন্টাল) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগ্রহী প্রার্থীদের ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালে এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। যেসব শিক্ষার্থী ২০২১ সালের পূর্বে এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা আবেদন করার যোগ্য নন।
এদিকে অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিডিএস (ডেন্টাল) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আগ্রহী প্রার্থীকে এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে অন্তত জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থাকতে হবে। এছাড়া, এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ থাকতে হবে।
উপজাতীয় ও পার্বত্য জেলার অ-উপজাতীয় প্রার্থীদের জন্য এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ থাকতে হবে। তবে, কোনো একক পরীক্ষায় যদি জিপিএ ৩.৫০ এর কম হয়, তবে তারা আবেদনের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না। সব প্রার্থীর জন্য, এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৪.০ থাকতে হবে, না হলে তারা আবেদনের যোগ্য হবেন না।
লিখিত ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় মোট ১০০টি প্রশ্ন থাকবে, যার প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ নম্বর করে, ফলে মোট নম্বর হবে ১০০। বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন হবে : জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ২০, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি) ১০। পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা। লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য ১ নম্বর দেওয়া হবে।
কোনো প্রশ্নের একাধিক উত্তর দিলে তা ভুল হিসেবে গণ্য হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীরা দেশে অথবা বিদেশে বিডিএস/সমতুল্য কোর্সে ভর্তির অনুমতির জন্য অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রমসহ ফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ কে মোট ১০০ নম্বর হিসেবে মূল্যায়ন করা হবে। এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ হবে ৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ), এবং এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এর ১০ গুণ হবে ৫০ নম্বর।
লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর এবং এসএসসি, ও-লেভেল বা সমমান ও এইচএসসি, এ-লেভেল বা সমমান পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রাপ্ত জিপিএ অনুযায়ী নম্বর যোগফল করে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।
আবেদন করার প্রক্রিয়া
আবেদনকারীদের টেলিটক প্রিপেইড সিমের মাধ্যমে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইন ফরম পূরণের প্রক্রিয়া ও ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য টেলিটকের ওয়েবসাইট (http://dgme.teletalk.com.bd), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইট (www.mefwd.gov.bd), স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dgme.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dghs.gov.bd) থেকে পাওয়া যাবে।
কাফি