অন্যান্য
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করা হবে: উপদেষ্টা

কিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, দুই দেশের জনসংখ্যার ভলিউম বিবেচনায় বাণিজ্যের পরিমাণ খুব কম। উভয় দেশেরই সুযোগ রয়েছে বাণিজ্যকে বাড়িয়ে নেওয়ার।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদললের বৈঠকে তিনি এসেব কথা বলেন।
বৈঠকে তারা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, ভিসা সহজিকরণ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা এবং ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের আরও বেশি ডায়ালগ হওয়া দরকার। নিজেদের মধ্য সম্ভাব্য সহযোগিতা উন্মোচন দুই দেশকেই লাভবান হতে সাহায্য করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
পাকিস্তানের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফপিসিসিআই) সভাপতি বলেন, পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াতে চায়। ভিসা জটিলতা ও সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় সে দেশের ব্যবসায়ীরা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় তাদের ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে বিরাজমান জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণন, শিক্ষা,পর্যটন ও সিরামিক খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। পাকিস্তান সরকার এক্সপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন স্কিম চালু করেছে। এ স্কিমের আওতায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানে বিনিয়োগ করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তারা। এসময় তারা বাংলাদেশে ট্রেড এক্সপো আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) আমন্ত্রণে ঢাকা সফরে এসেছেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফিরলেন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটিতে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় অভিবাসী বাংলাদেশিদের বহন করা প্রথম ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করে।
ঢাকার একাধিক কূটনৈতিক সূত্র কালবেলাকে নিশ্চিত করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অবৈধ নাগরিকদেরও ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রথম ধাপে ৫ জন অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রিফন এয়ারের (জিআরপি-২৬) একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে ঢাকায় পাঠায়। গ্রিফন এয়ার মূলত মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য চার্টার পরিসেবা প্রদানকারী একটি আমেরিকান বিমান সংস্থা।
সম্প্রতি তারা অবৈধ নেপালি অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর কাজে যুক্ত ছিল। একই সূত্র কালবেলাকে জানায়, ফ্লাইটটি গত শুক্রবার ফেরার কথা থাকলেও তা শনিবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছায়। বিশেষ ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে কুমিল্লা জেলার ১ জন, নোয়াখালীর ২ জন, চট্রগ্রামের ১ জন এবং সিলেট জেলার ১ জন বাসিন্দা রয়েছে। ফেরত আসা দলে একজন অবৈধ বাংলাদেশি নারী প্রবাসীও রয়েছেন।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র থেকে এভাবে বাংলাদেশিদের ফেরানো হলো। একই সূত্র কালবেলাকে আরও জানায়, দেশটিতে বসবাসরত আরও অবৈধ অভিবাসীকে পর্যায়ক্রমে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
মগবাজার ও শান্তিনগরে জামাতের গণসংযোগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষের ৮ম দিনে রমনা ও পল্টন থানার উদ্যোগে মগবাজার ও শান্তিনগর এলাকায় গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১৮ই এপ্রিল) সকাল থেকে দিন ব্যাপী পরিচালিত গণসংযোগ শেষে দাওয়াতী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর জননেতা এডভোকেট ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন।
এ সময় ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গত ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যন্ত দাওয়াতী গণসংযোগ পক্ষের ঘোষণা দিয়েছে। এই কর্মসূচী উপলক্ষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মগবাজার রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ ব্যবসায়িক ও আবাসিক এলাকা। এখানে এর একদিকে যেমন রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান একই সাথে রয়েছে আবাসিক এলাকা। একই সাথে এখানে রয়েছে বাংলাদেশ জামাত ইসলামের কেন্দ্রীয় অফিস।প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক ব্যবসায়ীর পদচারণায় মুখরিত থাকে এই মগবাজার অঞ্চল। এই এলাকার মানুষ চায় নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করতে। একই সাথে শান্তিতে বসবাস করতে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনো পূর্বের ফ্যাসিবাদ আমলের মতো চাঁদাবাজি অব্যাহত আছে। নেতৃবৃন্দ ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়ের একপর্যায়ে বিষয়গুলো ফুটে ওঠে। নেতৃবৃন্দ তাদেরকে আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের পাশে দাঁড়াবে, তাদেরকে নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। একই সাথে এলাকার সকল ধরণের চাঁদাবাজকে দূর করতে বলিষ্ঠ পদক্ষে গ্রহণ করবেন। এবং আগামী দিনে একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ পরিচালনা করতে ভূমিকা রাখবে। নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন মার্কেটে জামায়াতের প্রচারপত্র বিলি, ইসলামী সাহিত্য এবং সহযোগী ফরম বিতরণ করেন এ সময় শতাধিক বাবোসায়ী ফরম ফিলাপ করেন সবশেষে শান্তিনগর ইস্টার্ন প্লাস মার্কেটের সামনে শতাধিক লোকের উপস্থিতিতে একটি দাওয়াতী সভায় মিলিত হন।
উক্ত সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আল্লাহর আইন এবং সৎ লোকের শাসন ছাড়া দেশ থেকে চাঁদাবাজ দূর হবে না। ৫ই আগস্টে যে ছাত্র জনতার বিপ্লব অনুষ্ঠিত হলো সেখানে ছাত্রদের তিনটি স্লোগান ছিল, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস, নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার এবং দিল্লি নয়, ঢাকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।” ড. হেলাল বলেন, “ছাত্র জনতার রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হলে গঠনমূলক সংস্কার, ফ্যাসিবাদের দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও স্বচ্ছ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।” তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মহানগরীর সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও পল্টন থানা আমি জননেতা শাহিন আহমেদ খান রমনা থানার সাবেক আমির আব্দুস সাত্তার সুমন রমনা থানার বর্তমান আমি জননেতা আতিকুর রহমান এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

সারাদেশে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সবখানে উৎসবমুখর পরিবেশ। সকাল ৯টায় শুরু হয় বর্ষবরণ ও আনন্দ শোভাযাত্রা। বর্ষবরণ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ক্রীড়া উপদেষ্টা শুভ নববর্ষ লিখে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি অবশ্য নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার দিয়েছে ফিফার জানানো শুভেচ্ছা বার্তাটি। বর্ষবরণে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানানো ফিফাকে ধন্যবাদ দেন আসিফ।
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে বাংলাদশের ফুটবল ভক্তদের আনন্দের মাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছে ফিফা। নববর্ষের মূল আকর্ষণ শোভাযাত্রা। ব্যানার, ফেস্টুনে বাঙালি সাজে আনন্দ সাজ। ফিফাও সেভাবেই বরণ করেছে বাংলা ১৪৩২ সালকে।
ফিফার ছবিতে দেখা যায়, শুভ নববর্ষ ১৪৩২, এসো হে বৈশাখ, এসো এসো লেখা ব্যানার। মিছিলের পেছনে ফেস্টুন। আর ব্যানারের সামনে দাঁড়ানো দেশের ফুটবলের তারকারা। হামজা চৌধুরী, জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজীদের সঙ্গে আছেন আরও দুই ফুটবলার। সঙ্গে লাল-সবুজের পতাকা। ক্যাপশনে লিখেছে, ‘আইলো আইলো আইলো রে, রঙ্গে ভরা বৈশাখ আবার আইলো রে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
তাজিকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্প

মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে দেশটিতে এই ভূমিকম্প হয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাত্র ১৬ কিলোমিটার।
এছাড়া রবিবার সকালে মিয়ানমারের মেইকটিলা শহরের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। তবে তাৎক্ষণিকভাবে এই ভূমিকম্পে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) মিয়ানমারের রাজধানী ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে মাঝারি মানের একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভৌগলিকভাবে ভারতীয় ও ইউরাশীয় টেকটোনিক প্লেটের একটি সংযোগস্থলে পাকিস্তানের অবস্থান। তাই এ দুই টেকটোনিক প্লেটের কোনোটি অবস্থান পরিবর্তন করলেই ভূমিকম্প হয় দেশটিতে।
এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৪০০ মানুষের প্রাণহানি হয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
পাঁচ বাংলাদেশিসহ ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে মিছিল করার অপরাধে পাঁচ বাংলাদেশিসহ চার শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ‘স্টুডেন্ট ভিসা’ বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব শিক্ষার্থী গত ২ বছর ফিলিস্তিনে ইসরাইলিদের বর্বর হামলা ও হত্যাযজ্ঞবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট (পররাষ্ট্র মন্ত্রী) মার্ক রুবিও এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।
মার্ক রুবি বলেন, ভিসা বাতিলকৃত বিদেশি শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিল। প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের চিহ্নিত করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। এমন কি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হবার পরও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ করার অপরাধে চাকরি পাবার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। গত ৭ দিনে চার শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হওয়াদের মধ্যে মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশি পাঁচ জন শিক্ষার্থী। তাদের ২ জনের বাড়ি সিলেট জেলায়, ২ জন ঢাকা ও ১ জন বগুড়া জেলার। এ তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত মিছিলে শতশত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে লেখাপড়া করছেন।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বখ্যাত হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন ছাত্র ও ২ জন সদ্য গ্রাজুয়েটের ভিসা বাতিল করেছে। তাদের গ্রেপ্তার করে ডিপোর্টেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ৪ জনের ভিসা শনিবার (৫ এপ্রিল) বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেবার আগে সরকার বিষয়টি আমাদের নজরেই আনেনি। একইভাবে ইউনিভার্সিটি অব অ্যাক্রন এর ২ জন ছাত্রের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। গেল সপ্তাহে ডিপার্টমেন্ট হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মিনেসোটার স্টেট ইউনিভার্সিটির ৫ জন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে। তাদের আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সেল্ফ ডিপোর্ট হবার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ জন শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে। অনেককে গ্রেপ্তার করে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলো গণহারে বিদেশি ছাত্রদের ভিসা বাতিল করে তাদের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছেন, ফিলিস্তিনের পক্ষে মিছিল করার অপরাধে এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের পরিপন্থি।