অর্থনীতি
সুশাসন প্রতিষ্ঠার কারণে অর্থ পাচার বন্ধ হয়েছে: গভর্নর

সুশাসন প্রতিষ্ঠার কারণে দেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
গভর্নর বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এ সময় ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় বছরে সরকারের ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলেও জানান ড. আহসান এইচ মুনসুর।
প্রবাসীদের সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষে উঠেছে দুবাই। এটা ভালো লক্ষণ নয়। কারণ, সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বর মাসে দেশে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি দেশে। এ ছাড়া সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪৯৭ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২২.৬৮ শতাংশ বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
কৃষিতে কমেছে ঋণ বিতরণ, আদায় বেড়েছে

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (প্রথম ৬ মাস) কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ কমেছে ১১ শতাংশের বেশি। তবে একই সময়ে ঋণ আদায় বেড়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, দেশের ব্যাংকগুলো চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কৃষি খাতে ১৬ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণের পরিমাণ ছিলো ১৮ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে এই খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
অর্থবছরের একই সময়ে (প্রথম ৬ মাস) কৃষি খাতের ঋণ আদায় বেড়েছে ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিতরণ করা ঋণ আদায় করেছে ১৯ হাজার ১১৭ কোটি টাকার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে আদায়ের পরিমাণ ছিলো ১৭ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকা।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষি ঋণ প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে বোরো মৌসুমে উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কারণ ২০২৪ সালের শেষার্ধে দুইটি বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষি খাতে ঋণের প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। বিপরীতে এসময়ে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ কমেছে।
প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতে বিতরণ করা কৃষি ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ১৮ কোটি টাকা। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এ ঋণের পরিমাণ ছিলো ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। সে হিসেবে আগের অর্থবছরের তুলনায় ঋণ বেড়েছে ৬২৩ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
রাস্তা-সেতু নির্মাণে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ড ইস্যু চূড়ান্ত

গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) অর্থের জন্য সুকুক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে সরকার তিন হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সুকুক বন্ড হবে মেয়াদ হবে ৭ বছর।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের শরিয়াহ্ অ্যাডভাইজরি কমিটি বৈঠক করে বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানা গেছে, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)’ এই সুকুক বন্ডের অর্থ দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। সুকুকটির নাম দেওয়া হয়েছে ইসটিনা ও ইজারা। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিআইডি) মাধ্যমে প্রকল্পটির আওতায় বাংলাদেশের আট বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় ৮২টি সেতু নির্মাণের কাজ চলমান। যার মোট দৈর্ঘ্য ১৭ হাজার ৬৯৭ মিটার, ৩৮ হাজার ৮০০ মিটার সংযোগ সড়ক এবং চার হাজার ২৩০ মিটার নদী শাসনের কাজ বাস্তবায়ন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষিপণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাস এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সুপারশপের ভ্যাট রেয়াত সহজ করলো এনবিআর

সুপারশপগুলো এখন থেকে আরও সহজে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট রেয়াত নিতে পারবে। শর্তসাপেক্ষে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) সংক্রান্ত ঘোষণা দাখিলেরও প্রয়োজন হবে না। সম্প্রতি এ বিষয়ে এক ব্যাখ্যাপত্র জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখার এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুসারে ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে সুপারশপগুলোর ক্ষেত্রেও এই হার প্রযোজ্য হবে। তবে সুপারশপগুলো যদি ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করে, তাহলে তারা অন্যান্য নিয়ম মেনে সহজেই ভ্যাট রেয়াত নিতে পারবে এবং মূসক-৪.৩ ফর্মে ঘোষণা দাখিলের প্রয়োজন হবে না।
অর্থ্যাৎ এনবিআরের নতুন নির্দেশনা অনুসারে, সুপারশপগুলো ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করলে তারা মূসক-৪.৩ ফর্ম জমা দেওয়া ছাড়াই রেয়াত সুবিধা পাবে।
জানতে চাইলে এনবিআরের সদস্য (মূসক নীতি) ড. মো. আবদুর রউফ বলেন, সুপারশপ অনেক পণ্য বিক্রি করে। প্রত্যেকটি পণ্যের জন্য ঘোষণা দেওয়া কঠিন। তাই তাদের জন্য এই ঘোষণা তুলে দেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়েছে, সুপারশপগুলো আমদানি করা বা স্থানীয়ভাবে কেনা বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু তারা উৎপাদন করে না। তাই উপকরণ-উৎপাদন সহগ (মূসক-৪.৩) ঘোষণার বাধ্যবাধকতা সুপারশপের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়।
এনবিআর জানায়, সুপারশপ বলতে এমন দোকান বোঝায়, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে খাদ্যপণ্য, ফলমূল, শাকসবজি, মাছ-মাংস, গৃহস্থালি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হয়। দোকানটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হোক বা না হোক, এর আয়তন যাই হোক, যদি এটি নির্দিষ্ট মানদণ্ডে পরিচালিত হয়, তাহলে এটি সুপারশপ হিসেবে গণ্য হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সাত মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ২১.৫২ শতাংশ

জুলাই-জানুয়ারি সময়ে এডিপির মাত্র ২১ দশমিক ৫২ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। এ সময়ে খরচ হয়েছে উন্নয়ন বাজেটের ৫৯ হাজার ৮৭৭ কোটি টাকা। গতবার একই সময়ে খরচের পরিমাণ ছিল ৭৪ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। চলতি বছরে বাকি আছে মাত্র ৫ মাস। এই সময়ে খরচের টার্গেট ২ লাখ ১৮ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। চলতি বছরে মোট উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এডিপি বাস্তবায়নের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে আইএমইডি। জুলাই-জানুয়ারি সাত মাসের হিসাবে দেখা গেছে, এডিপিতে গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকা খরচ হয়েছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে এডিপিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা কম খরচ হয়েছে। এর মানে আগেরবার প্রকল্পের মাধ্যমে যত টাকা খরচ করা হয়েছে, এবার তাও ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম টাকা খরচ হয়েছে এবার। জুলাই-আগস্টের আন্দোলন; ক্ষমতার পটপরিবর্তন এবং ঠিকাদার ও প্রকল্প পরিচালকদের খুঁজে না পাওয়া, এসব কিছুর প্রভাব পড়েছে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে।
আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, এর আগে জুলাই-জানুয়ারি হিসাবে কোভিডের বছরে (২০২০-২১ অর্থবছর) ৬১ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। পরের দুই বছরে প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা করে খরচ হয়েছিল। এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭১ হাজার ৫৩২ কোটি এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬১ হাজার ৪৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঢাকার বায়ু দূষণ মোকাবিলায় ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক

রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণ মোকাবিলায় নতুন ঋণ প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি গত বছরে সেপ্টেম্বরের বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার, জ্বালানি খাতে চাপ কমাতে এবং একটি আধুনিক ও সুনির্দিষ্ট সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করতেও সহায়তা করবে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি জানায়, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার আজ (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ সফর শেষ করেছেন। দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক, টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
রাইজার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং উন্নত জনসেবার ভিত্তি তৈরিতে অব্যাহত সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশে চলমান এবং পরিকল্পিত বিশ্বব্যাংকের সহায়তা সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন।
রাইজার বলেন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংক সরকারকে বিভিন্ন সংস্কারে সহায়তা করছে। ব্যাংক রেজোলিউশন এবং সম্পদ পুনরুদ্ধার, কর নীতি এবং রাজস্ব সংগ্রহ, ক্রয় এবং নিরীক্ষণ এবং জাতীয় পরিসংখ্যানের মান এবং স্বাধীনতা জোরদারে সহায়তা করা হচ্ছে। এই সংস্কারগুলো মধ্যমেয়াদে সমান সুযোগ তৈরি করতে এবং ব্যবসা ও জনগণের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
তিনি জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার, জ্বালানি খাতে চাপ কমাতে, একটি আধুনিক ও সুনির্দিষ্ট সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা তৈরি করতে এবং ঢাকায় ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য বিশ্বব্যাংকের নতুন ঋণ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
রাইজার এ সফরে অর্থ উপদেষ্টা, জ্বালানি উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান এবং সুশীল সমাজ ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ এবং উন্নয়ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন।