অর্থনীতি
দাম বাড়ছে সব ধরনের পোশাকের
টেইলারিং শপ ও টেইলার্সে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাড়িয়েছে সরকার। যার ফলে সব ধরণের পোশাকের দাম বাড়ছে। পোশাক বানাতে দরজিকে দিতে হবে বাড়তি টাকা। সেই সঙ্গে ব্র্যান্ড ও নন–ব্র্যান্ড সব ধরনের তৈরি পোশাকের দোকানেও ভ্যাট বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এসব পণ্যের মধ্যে পোশাকও রয়েছে।
এদিন এ-সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। অধ্যাদেশ দুটি হলো, ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এবং ‘দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’। এই দুটি অধ্যাদেশ জারির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট বিভাগ ওই দিনেই এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। ফলে এই অধ্যাদেশের পরিবর্তনগুলো সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয়ে গেছে।
জানা গেছে, এতদিন টেইলারিং শপ ও টেইলার্সে থাকা ১০ শতাংশ ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে টেইলারিং শপ ও টেইলার্সে ২ হাজার টাকার একটি পোশাক বানাতে ৩০০ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। এতদিন সেটি ছিল ২০০ টাকা। খরচ বেড়েছে ১০০ টাকা।
অন্যদিকে, ব্র্যান্ড ও নন–ব্র্যান্ড সব ধরনের তৈরি পোশাকের দোকানেও ভ্যাট বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগে এসব দোকানে ভ্যাট ছিল সাড়ে ৭ শতাংশ। এখন সেটি ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। তার মানে পোশাক কেনা কিংবা বানানো উভয় ক্ষেত্রেই ভোক্তার খরচ বাড়ল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সমন্বিত তদন্তের পরামর্শ গভর্নরের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার এবং ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অর্থপাচারে সমন্বিত তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ‘মানিলন্ডারিং অপরাধ অনুসন্ধানে গঠিত যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দলের কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনা’ বিষয়ক বৈঠকে এ পরামর্শ দেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার এবং ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘুস, দুর্নীতি, মুদ্রা পাচার, কর ও শুল্ক ফাঁকির অভিযোগ অনুসন্ধানে ১১টি তদন্ত দল গঠন করেছে সরকার।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সমন্বয়ে গঠিত দলগুলোর সঙ্গে এদিন বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএফআইইউ’র নতুন প্রধান শাহিনুল ইসলাম, উপ-প্রধান এ কে এম এহসান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী এবং ড. কবির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, মানিলন্ডারিং অপরাধ অনুসন্ধানের জন্য ১১টি যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। দলগুলো আলাদা আলাদা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তদন্ত করবে। আগামী সপ্তাহ থেকে তদন্ত কমিটি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অফিস শুরু করবে। যাদের জন্য আলাদা স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ও ট্রাস্টের বাইরে যে ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে, সেগুলো হলো- সাইফুজ্জামান চৌধুরী (আরামিট গ্রুপ), এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, নাসা, সিকদার, বসুন্ধরা, সামিট, ওরিয়ন, জেমকন ও নাবিল গ্ৰুপ। এসব গ্রুপের মালিক, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানও তদন্তের আওতায় থাকবে।
এদিন আনুষ্ঠানিক ১১টি তদন্ত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন গভর্নর। সেখানে নিজ নিজ তদন্তের অগ্রগতি অবহিত করেছে দলগুলো। পরে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে জটিলতা দূর এবং তদন্ত প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য সমন্বিতভাবে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছেন গভর্নর।
তদন্ত কমিটি সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব হারানো ব্রিটিশ নাগরিক টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে। শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতির সঙ্গেই তার দুর্নীতি, অর্থপাচার, ঘুস বাণিজ্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবে তদন্ত দলটি।
দলগুলোকে বেশকিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ আইন ও বিধিমালা মেনে অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে হবে। তদন্ত দলকে অনুসন্ধান ও কার্যক্রমের তথ্যাদির গোপনীয়তা ও সংবেদনশীলতা কঠোরভাবে রক্ষা করতে হবে। প্রতিটি দলের প্রধানকে নিজ নিজ সংস্থার অনুমোদন নিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে। যৌথ অনুসন্ধান দলের তদন্ত কার্যক্রম সমন্বয় করে তার অগ্রগতি ও পরবর্তী কার্যক্রম অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানাবে।
সম্প্রতি এসব বিষয় নিয়ে দুদক, সিআইডি ও কাস্টমস গোয়েন্দাকে দেওয়া বিএফআইইউ’র চিঠিতে বলা হয়, এসব গ্রুপ ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি, প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে অর্থ আত্মসাৎ, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঘুস, দুর্নীতিসহ অবৈধ পন্থায় অর্থ উপার্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাছাড়া এসব ব্যবসায়ী গ্রুপের বিরুদ্ধে কর ও শুল্ক ফাঁকি, বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় বিদেশে অর্থপাচারের তথ্য রয়েছে। অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রমের হালনাগাদ প্রতিবেদন সময়-সময় সংস্থাগুলোকে বিদেশে পাচার করা সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স ও বিএফআইইউতে সরবরাহ করতে হবে বলে চিঠিতে বলা হয়।
তদন্তের আওতায় আসা গ্রুপগুলোর বেশির ভাগের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বিএফআইইউ। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ, ঋণের ব্যবহার, অর্থের গতিপথ, তাদের ব্যবসায়িক ও অন্যান্য লেনদেন, ঋণের সুবিধাভোগীসহ বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ (ইউএই) বিভিন্ন দেশে তাদের সম্পদের বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিদেশিরা বাংলাদেশে খরচ বাড়িয়েছেন ৫৬.৯৩ শতাংশ
ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নভেম্বরে বাংলাদেশে বিদেশিদের লেনদেন বা খরচ বেড়েছে। মাসটিতে বিদেশি নাগরিকরা ক্রেডিট কার্ডে বাংলাদেশে খরচ বাড়িয়েছেন ৫৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। নভেম্বরে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেছেন ২০২ কোটি টাকা। যা আগের মাস অক্টোবরে ছিল ১২৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে নভেম্বরে বিদেশিদের খরচ বেড়েছে ৭৩ কোটি টাকা।
তবে নভেম্বরে দেশে ও বিদেশে ক্রেডিট কার্ডে মোট লেনদেন কমেছে। ওই মাসটিতে দেশের বাইরে ক্রেডিট কার্ডে মোট খরচ হয়েছে ৪৩১ কোটি টাকা, যা অক্টোবরে ছিল ৪৯৯ কোটি টাকা। একই মাসে দেশের ভেতরে মোট খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা আগের মাসে ছিল ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা।
সে হিসাব এক মাসের ব্যবধানে দেশের ভেতরে লেনদেন কমেছে ৭৩ কোটি এবং দেশের বাইরে কমেছে ৬৮ কোটি টাকা। শতাংশের হিসাবে নভেম্বরে দেশের ভেতরে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমেছে ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ আর দেশের বাইরে কমেছে ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবরে দেশের ভেতর ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। আর পরের মাস নভেম্বরে হয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে নভেম্বরে কার্ডে লেনদেন কমেছে ৭৩ কোটি টাকা।
এসব লেনদেনের মধ্যে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি, খুচরা দোকানে ৪০৬ কোটি, ইউটিলিটি বাবদ ২৪৬ কোটি, নগদ উত্তোলন ১৯৬ কোটি, ফার্মেসিতে ১৬৪ কোটি, কাপড় কেনায় ১৪৮ কোটি, ফান্ড স্থানান্তর ৭৫ কোটি, পরিবহনে ৯৮ কোটি, বিজনেস সার্ভিসে ৫৭ কোটি, প্রফেশনাল সার্ভিসে ২১ কোটি ও সরকারি সেবায় খরচ হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।
দেশের ভেতরে নভেম্বরে ভিসা কার্ডের মাধ্যমে ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা, মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে ৫১৫ কোটি টাকা, অ্যামেক্সের মাধ্যমে ২৯৫ কোটি টাকা, ডিনার্সের মাধ্যমে ২ কোটি টাকা ও কিউক্যাশ প্রোপ্রাইটরের মধ্যে খরচ হয়েছে ১ কোটি টাকা।
বিশ্বজুড়েই দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ক্যাশলেস মাধ্যম। ২০২৭ সালের মধ্যে দেশে সামগ্রিক লেনদেনের তিন-চতুর্থাংশ ক্যাশলেস করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন ফাইন্যান্সিয়াল এবং নন-ফাইন্যান্সিয়াল ব্যাংক বিভিন্ন অ্যাপ এবং অন্য ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি ও ডিজিটাল করার জন্য কার্ড অনস্বীকার্য। ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিনে (সিআরএম) রেকর্ড টাকা লেনদেন এবং পয়েন্ট অব সেলসের (পিওএস) মাধ্যমেও আগের চেয়ে বেশি কেনাকাটা করছেন গ্রাহক।
তথ্য বলছে, গত নভেম্বরে বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেছেন ৪৩১ কোটি টাকা। যা তার আগের মাস অক্টোবরে ছিল ৪৯৮ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে নভেম্বরে বিদেশে খরচ কমেছে ৬৭ কোটি টাকা।
বিদেশে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছেন ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ১২৫ কোটি, খুচরা দোকানে ৭৬ কোটি, নগদ উত্তোলন ২০ কোটি টাকা, ফার্মেসিতে ৪৫ কোটি টাকা, কাপড় কেনায় ৩৪ কোটি টাকা, পরিবহনে ৩৯ কোটি টাকা, ব্যবসায় সেবা বাবদ ৩১ কোটি টাকা, সরকারি সেবায় ২০ কোটি টাকা, প্রফেশনাল সার্ভিস ২৪ কোটি টাকা ও ইউটিলিটি বাবদ ১৩ কোটি টাকা।
নভেম্বরে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে ৬৮ কোটি টাকা, ভারতে ৪৭ কোটি টাকা ও থাইল্যান্ডে ৪৬ কোটি টাকা। এ তিন দেশের পর বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডের বেশি ব্যবহার করেছেন সিঙ্গাপুরে ৩৮ কোটি, যুক্তরাজ্যে ৩৪ কোটি ও ইইউএইতে ১৫ কোটি, কানাডায় ২০ কোটি, সৌদিতে ২০ কোটি, মালয়েশিয়ায় ২৫ কোটি, আয়ারল্যান্ডে ১২ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১২ কোটি ও অন্য দেশগুলোতে ৭১ কোটি টাকা।
অন্যদিকে, নভেম্বরে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা দেশের সবচেয়ে বেশি ৫৪ কোটি টাকা খরচ করেছেন। এর পরেই যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা খরচ করেছেন ১৯ কোটি, ভারতের নাগরিকরা ১৯ কোটি, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকরা ৭ কোটি, কানাডার নাগরিকরা ৪ কোটি, সিঙ্গাপুরের নাগরিকরা ৬ কোটি, জাপানি নাগরিকরা ৫ কোটি, ইইউএই নাগরিকরা ৬ কোটি, চীনা নাগরিকরা ৬ কোটি এবং অন্য দেশগুলোর নাগরিকরা খরচ করেছেন ৫৩ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাকিস্তান-ভারত থেকে ১ লাখ টন চাল কিনবে সরকার
পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই দুই দেশ থেকে দুই ধরনের চাল আনতে মোট খরচ হবে ৫৮১ কোটি ৪১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় পাকিস্তান থেকে সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে ৫০ হাজার টন আতপ চাল কেনার প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ পর্যালোচনা করে অনুমোদ দিয়েছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’র অনুমোদন রয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সরকারি খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার টন আতপ চাল জিটুজি পদ্ধতিতে পাকিস্তান থেকে আমদানির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়। বাংলাদেশের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে পাকিস্তান চাল সরবরাহের আগ্রহ ব্যক্ত করে চিঠি পাঠায়।
পরবর্তী সময়ে দুই দেশেরে মধ্যে নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে নির্ধারিত প্রতি টন ৪৯৯ মার্কিন ডলার হিসেবে মোট ২ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারে ৫০ হাজার টন আতপ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় এখন এই চাল পাকিস্তান থেকে নিয়ে আসা হবে।
এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ করা এই চাল আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের সরকারি খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার স্বার্থে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৬টি দরপত্র জমা পড়ে। ৬টি প্রস্তাবই আর্থিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশন প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ক্ষেত্রে প্রতি টন চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৫৪.১৪ মার্কিন ডলার। ফলে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি মোট ব্যয় হবে ২ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
তার আগে গত বছরের ৪ ও ১৮ ডিসেম্বর ভারত থেকে ৫০ হাজার টন করে নন-বসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৪ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেওয়া চালের মূল্য ধরা হয় ২৮০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আর ১৮ ডিসেম্বর আমদানির অনুমোদন দেওয়া চালের মূল্য ধরা হয় ২৭৪ কোটি ২০ হাজার টাকা।
এদিক সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকের পাশাপাশি অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠত হয়। এই বৈঠকে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণ করে ৩ লাখ টন চাল ক্রয়ের জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৮৩(১)(ক) প্রয়োগ করে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় প্রক্রিয়ার সময় হ্রাস করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সিঙ্গাপুর-আরব আমিরাত থেকে এলএনজি কিনবে সরকার
সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দুই কার্গো তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে এক হাজার ৩৫৫ কোটি ৮৩ লাখ ২৯ হাজার ৪৬ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (৬-৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সময়ে) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
পেট্রোবাংলা থেকে এই এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই করা চুক্তিবদ্ধ ১৬ প্রতিষ্ঠানের (এমএসপিএ সই করা ২৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টি প্রতিষ্ঠান মেয়াদ উত্তীর্ণ) কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করা হয়। তিনটি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। তিনটি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেড থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৪ দশমিক ৪৪৫০ মার্কিন ডলার ধরে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি সর্বমোট ৬৯২ কোটি ৭৯ লাখ ১৪ হাজার ৪৪৮ টাকায় আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদনের প্রস্তাব দেওয়া হয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে। বৈঠকে প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (১৩-১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সময়ে) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
পেট্রোবাংলা এই এক কার্গো এলএনজি সরবরাহের জন্য এমএসপিএ সই করা চুক্তিবদ্ধ ১৬ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপ্রস্তাব আহ্বান করে। ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। ৪টি প্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৩ দশমিক ৮২৪৭ মার্কিন ডলার ধরে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি সর্বমোট ৬৬৩ কোটি ৪ লাখ ১৪ হাজার ৫৯৮ টাকায় আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৈঠকে প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক হাজার ১৯৭ কোটি টাকার তেল-ডাল-চিনি কিনবে সরকার
ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল, ৫ কোটি ৫০ লাখ লিটার ভোজ্য তেল এবং ১৫ হাজার টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ১৯৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারী প্রায় এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারের কাছে এসব পণ্য বিক্রয় করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পৃথক তিন স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ৫ কোটি ৫০ লাখ লিটার ভোজ্য তেল কিনতে সরকারের ব্যয় হবে ৯২৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সোনারগাঁও সিডস ক্রাশিং মিলস লিমিটেড থেকে প্রতি লিটার ১৭১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৭৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
এছাড়া সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড থেকে প্রতি লিটার ১৭১ টাকা ৫০ পয়সা দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল এবং শবনম ভেজিটেবল অয়েল লিমিটেড থেকে প্রতি লিটার ১৬২ টাকা ৯৫ পয়সা করে ২ কোটি ২০ লাখ লিটার পাম অয়েল কেনা হবে। অর্থাৎ সুপার অয়েল রিফাইনারি লিমিটেড থেকে ১৮৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকার সয়াবিন তেল এবং শবনম ভেজিটেবল অয়েল থেকে ৩৫৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকার পাম অয়েল কেনা হবে।
বৈঠকে দুটি স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ১৫ হাজার টন চিনি কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর মধ্যে মেঘনা সুগার রিফাইনারি লিমিটেড থেকে প্রতি কেজি ১১৫ টাকা ২৫ পয়সা দরে ১০ হাজার টন চিনি কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বাকি ৫ হাজার টন চিনি কেনা হবে সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে। এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতি কেজি চিনি ১১৭ টাকা ৯০ পয়সা দরে সরবরাহ করবে। ফলে এই ৫ হাজার টন চিনির জন্য ব্যয় হবে ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
এছাড়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে টিসিবির বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনায় ২ লাখ ৮৮ হাজার টন মসুর ডাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৯২ হাজার ৯৫০ টন মসুর ডাল কেনার চুক্তি করা হয়েছে।
নতুন করে আরও ১০ হাজার টন মসুর ডাল স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে শবনাম ভেজিটেল অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ৫০ কেজির বস্তায় ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার সুপরিশ করেছে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। এখন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রতি কেজি ৯৭ টাকা ৯১ পয়সা করে মোট ৯৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা দিয়ে এ মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিলো।
কাফি