রাজনীতি
দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ: ফখরুল
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। ক্রীড়াঙ্গন এর বড় উদাহরণ। এই অঙ্গনটিকেও দলীয়করণ করেছে তারা।।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্লবীর সিটি ক্লাব মাঠে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের আমলে ভালো ও ট্যালেন্টেড খেলোয়াড়দের সুযোগ দেয়া হয়নি অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন মেধার চর্চা হবে। সবাই যেন সুযোগ পায়। ভালো খেলোয়াড়দের বের করে আনতে হবে। ক্রিকেট এখন খুব নাম করছে, কিন্তু এক সময় ফুটবল ছিল খুব জনপ্রিয় খেলা।
খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, খেলোয়াড়দের মন হয় উদার, মাদক নির্মূলসহ সামাজিক কাজে তাদের ভূমিকা অনেক বড়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যও এটি, মাদক পরিহার করে খেলাধুলায় মনোযোগী হবে তরুণ সমাজ।
ক্রীড়াঙ্গনে জিয়া পরিবারের অবদান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, আরাফাত রহমান কোকোর ক্রিকেটে বড় ভূমিকা ছিল। দেশের ক্রিকেটে যে উৎকর্ষতা সাধিত হয়েছে তার ভিত্তি কোকোর হাত ধরেই হয়েছে।
ফখরুল বলেন, এই টুর্নামেন্ট সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। খেলাধুলা করে সমাজকে গড়ে তুলতে হবে। সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করতে পারে সেই কামনা করি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে, উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান সালাউদ্দিনের
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক ঐক্যে যাতে ফাটল না ধরে সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি জুলাই গণঅভুত্থ্যানের সাড়ে পাঁচ মাস পরে জুলাই ঘোষণাপত্রের কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল কিনা? যদি থেকে থাকে তাহলে রাজনৈতিক গুরুত্ব, ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও আইনি গুরুত্ব কী, সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে। কারণ, ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে জাতির মধ্যে যেন বিভেদ সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছি।
তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্র যদি রাজনৈতিক দলিল বা ঐতিহাসিক দলিল সৃষ্টি হয় তাহলে সেটিকে আমরা সম্মান করি। তবে সেটা প্রণয়নে যেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সবার সঙ্গে পরামর্শ ও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক হয়।
এই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শুরুর আগে অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্য দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আছেন—গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মাদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও সংগঠনটির মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে তিন সদস্য, ইসলামি আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমানের নেতৃত্বে দুই সদস্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
এ ছাড়া যোগ দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও জাতীয় গণফ্রন্টের কামরুজ্জামান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
প্রধান উপদেষ্টার সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে বিএনপি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের ওপর সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে বিএনপি ও জামায়াত। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সংলাপে অংশ নিতে বিএনপি এক প্রতিনিধি যাবেন। এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন।
এদিকে, সর্বদলীয় এই বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও অংশ নেবে। দলটির পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানানো হয়। জামায়াতের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এই বৈঠকে অংশ নেবে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।
প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেবেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। প্রতিনিধিদলে জামায়াতে ইসলামীর অন্য কোন দুই নেতা থাকছেন, তাঁদের নাম জানানো হয়নি।
এ ছাড়া, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে না লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গতকাল রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৈঠকের তথ্য জানানো হয়। প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের ওপর একটি সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
প্রধান উপদেষ্টার সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না বিএনপি
জুলাই ঘোষণাপত্রের ওপর সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সর্বদলীয় যে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে, তাতে বিএনপি অংশ নেবে না। বিএনপির একটি সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে। এদিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেবে না লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও (এলডিপি)।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বৈঠকে অংশ নেওয়া বা না নেওয়ার বিষয়ে কোথাও কোনো বক্তব্য রাখেননি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি, দুপুর ১টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বরাত দিয়ে শায়রুল কবির বলেন, মহাসচিব আসার পর কথা বলে তিনি জানাবেন।
এ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ যাবেন।
তবে বিএনপির একটি সূত্র জানায়, বিএনপি যে বৈঠকে অংশ নেবে না তা জানানোর জন্য দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ যাবেন।
বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৈঠকের তথ্য জানানো হয়। জানানো হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের ওপর একটি সর্বদলীয় বৈঠক আয়োজন করবে।
এছাড়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সর্বদলীয় বৈঠকের কথা জানান। তিনি বলেন, এই বৈঠকের ভেতর দিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি দলিল প্রণীত হবে। সেদিনই স্পষ্ট হবে, কবে ঘোষণাপত্রটি জারি করব এবং সরকার কীভাবে ঘোষণাপত্র জারির করার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের একটি প্রেক্ষাপট-প্রত্যাশা এই ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হবে। সব রাজনৈতিক দল এবং পক্ষের মতামত নিয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষিত হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
শারীরিক অবস্থার উন্নতি, হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়েও ভালো। তিনি একা একা হাঁটতেও পেরেছেন। দেশের খোঁজ-খবরও নিয়েছেন তিনি।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বিশেষায়িত এই হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এসময় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গী এনামুল হক চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। ওই দিনই লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তাকে লন্ডনের বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতাল ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিকে’ নেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার ‘রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ চলছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করানো হতে পারে বলেও জানান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি আরও জানান, রবিবার অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি খালেদা জিয়াকে দেখে গেছেন। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই লন্ডনে দ্য ক্লিনিকে তার চিকিৎসা চলছে। এছাড়া এদিন খালেদা জিয়াকে ফিজিওথেরাপিও দেওয়া হয়েছে। আগের দিনের চেয়ে তার অবস্থা স্ট্যাবল ছিল।
অন্যান্য দিনের মতো রোববারও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মীনি ডা. জোবাইদা রহমান খালেদা জিয়াকে দেখতে এসেছেন।
এদিকে, ব্রিফিংকালে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় যুক্তরাজ্য বিএনপির সব ইউনিটকে স্ব স্ব এলাকার মসজিদে দোয়া মাহফিল আয়োজনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হবে: মান্না
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাষ্ট্রে অগ্রগতিশীল ও উন্নত সংস্কার কার্যক্রম সময়ের দাবি। যারা এখন আমলাতন্ত্রকে প্রভাবিত করছে, নির্বাচনে তারাই আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করবে। চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হবে যাতে সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত গণশক্তি সভা কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণশক্তি সভার সভাপতি সাদেক রহমান। কবি মনির ইউসুফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দিন, লে. কর্নেল অব ফেরদৌস আজিজ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ডক্টর দেওয়ান সাজ্জাদ, মেজর অব রেজাউল হান্নান শাহীন, গণমুক্তি জোটের কো- চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হিজবুল্লাহ, বিশিষ্ট গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল প্রমূখ।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের আশা হত হলে চলবে না সুদিনের আশা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আরো সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। প্রত্যেককে নিজেকে নিজের জায়গায় ছাড় দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এখন লড়াই জ্ঞানের, লড়াই বুদ্ধির। রাজনীতিবিদদের অতীত দেখেছে বলেই মানুষ রাজনীতিবিদদের উপর আস্থা রাখতে আস্থা হারাচ্ছে।
কর্নেল অব হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক বলেন, প্রধান ইস্যু গুলোতে আমাদের ঐক্যমতে পৌঁছতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামোতে পরিবর্তন এনেই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরাই দেশকে পুনরায় গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষার্থীদের এ ত্যাগকে খাটো করে দেখলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হলে সংস্কার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন হওয়া দরকার। আজকের এই সেমিনারে আমরা বলতে চাই বাংলাদেশের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া দরকার। আসন সংখ্যা অন্ততপক্ষে ৫০০ হওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, একই দিনে নির্বাচন নয় অন্তত তিন থেকে চারদিনে দেশকে ভাগ করে নির্বাচন করলে একটি ভালো নির্বাচন আশা করা যায়। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে একটা ট্রায়াল জাতি দেখতে চায়। নির্বাচন কমিশনে সৎ এবং যোগ্য অফিসার নিয়োগ প্রদান করা এবং দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে কালো টাকা প্রভাব যে কোন মূল্যে বন্ধ করা দরকার না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ হচ্ছে না। আগামীতে রাজনীতিতে একটা গুণগত পরিবর্তন আসবে এটা আমরা আশা করতে চাই। মানুষের কথা বলার অধিকার পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।