জাতীয়
ঢামেকে এখনও ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৬ বেওয়ারিশ লাশ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে এখনও ছাত্র আন্দোলনে মারা যাওয়া ৬টি লাশ বেওয়ারিশ অবস্থায় রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেল। এখন পর্যন্ত লাশগুলো শনাক্তকরণ সম্ভব না হওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে লাশগুলো মর্গের হিমাগারে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত কারও স্বজন নিখোঁজ থাকলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে যোগাযোগের অনুরোধও জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক (দপ্তর সেল) জাহিদ আহসানের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেল, তাদের অনুসন্ধানে ঢাকা মেডিকেলে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ৬টি অশনাক্তকৃত লাশ আছে বলে জানতে পারে। আজ সকালে সেলের একটি টিম এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য শাহবাগ থানায় যায় এবং শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর ছয়টি লাশ এখনও হিমাগারে থাকার তথ্য নিশ্চিত করেন। লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মর্গে আছে বলে তিনি জানান। বিশেষ সেল টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মর্গে গিয়ে সরেজমিনে লাশগুলো পরিদর্শন করে।
লাশের প্রাপ্ত তথ্য নিম্নরূপ- অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২০), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২৫), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (২২), অজ্ঞাতনামা নারী (৩২), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩০), এনামুল (২৫)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লাশগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে ৫ জনের মৃত্যুর কারণ হিসাবে লেখা হয়েছে ‘আঘাত জনিত কারণে মৃত্যু’। একজনের (এনামুল) মৃত্যুর কারণ হিসেবে উপর থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু লেখা হয়েছে। মৃতদেহগুলোর ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে। একইসঙ্গে মৃতদেহের পরিহিত আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সবগুলো লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক হিমাগারে রক্ষিত আছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, শাহবাগ থানার পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছে লাশগুলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের। তবে কবে এবং কয় তারিখে তারা লাশগুলো এনেছে সেটা স্পষ্ট করেনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বেওয়ারিশ লাশগুলোকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে। এই অবস্থায় উল্লিখিত বয়সের কেউ যদি মিসিং থাকেন, তবে তার পরিবারের সদস্যদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেলে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। যোগাযোগ নাম্বার- 01621324187
কাফি

জাতীয়
‘আজকে ২ ঘণ্টা ব্লকেডে গিয়েছি, আগামীকালকে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবো’

আজকে ২ ঘণ্টা ব্লকেডে গিয়েছি, আগামীকালকে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবো বলে জানিয়েছে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের হত্যা মামলার পুনঃ তদন্ত, ন্যায়বিচার নিশ্চিতসহ তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা বের করেন তারা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে…
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুমকি সাবেক বিডিআর সদস্যদের

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. ফয়জুল আলম সবুজ। সোমবার (২৩ জুন) তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
জাতীয়
‘বিডিআর ছিল ভারতের জন্য আতঙ্ক’

বিডিআর ছিল ভারতের জন্য আতঙ্ক বলে মন্তব্য করেছেন এক যুবক। একই সঙ্গে তিনি বিডিআর হত্যার বিচার চেয়েছেন।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে….
জাতীয়
বিদেশি ঋণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: আনিসুজ্জামান চৌধুরী

প্রধান উপদেষ্টার অর্থবিষয়ক বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বিদেশি ঋণ নেওয়ার কারণে দেশের নীতি নির্ধারণে বিদেশিদের প্রভাব আছে। উন্নয়ন খাতে বিদেশি সহায়তা গ্রহণ করতে গিয়ে দেশকে শর্ত মেনে চলতে হয়; যে কারণে রাজস্ব আদায় ও বিদেশি বিনিয়োগ—উভয়ই বাধাগ্রস্ত হয়। বিদেশি ঋণ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর পুলিশ প্লাজায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত বাজেট পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের করনীতি কবে হবে, কত বছরে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে পরিকল্পনা নেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় দেখেছি, শুধু ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে হেরে গেছে।’
জাতীয় ঐক্যের অভাব, রাজনৈতিক কর্মসূচির বাস্তবায়ন নিয়ে উদাসীনতা আর স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে দলীয়করণের প্রবণতার কথা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য নেই। নিজেদের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ নিয়ে আমরা ভাবি। এখানে চিকিৎসক ও শিক্ষকদের মধ্যে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দলের আলাদা আলাদা সমিতি আছে। আমাদের ভিশন নেই। সামান্য সর্দি লাগলে আমরা সিঙ্গাপুরে চলে যাই, তাহলে দেশের স্বাস্থ্য খাত কীভাবে দাঁড়াবে?’
আনিসুজ্জামান আরও বলেন, এখানে ২১, ১১ আর ৬ দফার রাজনীতি চলে। কিন্তু এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের রূপরেখা নেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় শুধু ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে হেরে গেছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি কামরান টি রহমান, পিআরআই চেয়ারম্যান জাঈদি সাত্তার প্রমুখ।
কাফি
জাতীয়
পশু খাদ্যকে মৎস্য খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

পশু খাদ্যকে কোনোভাবেই মৎস্য খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না; তা আলাদা করে জাতীয় মৎস্য নীতিমালা ২০২৫ এ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে পশু খাদ্য ও মৎস্য খাদ্য প্রায় একাকার হয়ে যাচ্ছে।
সোমবার (২৩ জুন) তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য নীতিমালা ২০২৫ (খসড়া) বিষয়ক অংশীজন পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস করে চিংড়ি চাষ নয় বরং পরিবেশবান্ধব উপায়ে কীভাবে ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ করে চিংড়ি চাষ করা যায়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু অবৈধ জাল ধ্বংস করলেই হবে না জাল উৎপাদনের উপকরণ আমদানিতে নিষেধ করতে হবে।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, প্রাইভেট সেক্টরের উদ্যোগে অনেক সময় দেশে ক্ষতিকর বিদেশি প্রজাতির মাছ প্রবেশ করছে, যা পরিবেশ ও দেশীয় মাছের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, এসব মাছ একবার পরিবেশে প্রবেশ করলে রীতিমতো সবকিছু গিলে ফেলে। পরবর্তীতে এমন মাছ দেখা গেলে তা মেরে ফেলার নির্দেশনা আসে। অথচ শুরুতেই যদি এসব মাছ আমদানি নিরুৎসাহিত করা যেতো, তাহলে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৎস্যজীবীদের সামাজিক সুরক্ষা আরও সুস্পষ্টভাবে নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছের ধরণ অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে তাদের জন্য উপযুক্ত সহায়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় মৎস্যখাতকে কৃষির উপখাত মনে করা হয়। অথচ, কৃষিখাতের মতো বিদ্যুৎ ছাড়, ভর্তুকি বা সরকারি প্রণোদনার ক্ষেত্রে মৎস্যখাত অবহেলিত। তিনি জাতীয় মৎস্য নীতিমালায় এ ধরনের বৈষম্য দূর করে মৎস্যজীবীদের অধিকার ও প্রণোদনার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশে প্রতিনিধি জিয়াওচুন শি, মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, বাংলাদেশ ফিশ ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।
কাফি