রাজনীতি
দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে নির্বাচন হবে একটি প্রথম সংস্কার: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী দল। আর দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে নির্বাচন হবে একটি প্রথম সংস্কার।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দীর্ঘ ১৬ বছর পর দেশে ফেরা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের সাত নেতাকর্মীকে নিয়ে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রাকে কেন্দ্র করে যারা মাইনাস টু ফর্মুলার আশা করছেন, ওই আশা জীবনেও পূরণ হবে না।
আমীর খসরু বলেন, আন্দোলন একদিনে হয়নি। আজ যারা দেশে ফিরেছেন তারাও আন্দোলনের অংশ। বিদেশে বসেও ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন তারা।
গণতন্ত্র ফেরাতে দেশে নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন আমীর খসরু মাহমুদ।
কাফি

রাজনীতি
সরকারি নয়, পরিত্যক্ত ঘর ব্যবহার হয়েছিল: জামায়াত

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় একটি পরিত্যক্ত ভবনে জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় চালু করার অভিযোগ নিয়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। কারণ ওই ভবনটিকে সরকারি বলে দাবি করা হচ্ছে। অবশেষে তার ব্যাখ্যা দিল দলটি। এই অভিযোগকে ‘অসত্য ও বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করেছে জামায়াত। ওই ভবনটি সরকারি নয় বলেও দাবি তাদের।
এবিষয়ে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক শাহজাহান আলী।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারি ভবনে জামায়াতের কার্যালয়, বসেন নেতারা’—এই শিরোনামে কিছু জাতীয় দৈনিক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত খবরটি সত্য নয়। উক্ত ভবনটি কোনোভাবেই সরকারি নয় এবং সেখানে জামায়াতের পক্ষ থেকে কোনো দখল বা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়নি।
অধ্যাপক শাহজাহান দাবি করেন, আমাদের অজ্ঞাতসারে উল্লাপাড়া পৌরসভার কিছু ব্যক্তি ভবনটি পরিষ্কার করে কয়েক দিন ব্যবহার করছিলেন। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সংশ্লিষ্ট ভবনটি সম্পর্কে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বোর্ডের বক্তব্য নেওয়া হলে তারা স্পষ্ট করে জানায়— উল্লাপাড়ায় তাদের কোনো ভবন বা সম্পত্তি নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কোনো সম্পত্তি নেই—এ তথ্য থাকা সত্ত্বেও যেভাবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তা জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং জামায়াতের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশে করা হয়েছে।
বিবৃতির মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
রাজনীতি
জুলাই শহীদদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে: গোলাম পরওয়ার

মহান ‘জুলাই শহীদ’ দিবসে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা সংগঠন ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আগামীকাল ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ’ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ’ দিবস জাতির ইতিহাসে এক গৌরবময় ও বেদনাবিধুর দিন। এই দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে স্মরণ করি সেই সকল শহীদ ভাই-বোনদের, যাঁরা বৈষম্য, জুলুম-নির্যাতন ও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমি শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি। আহতদের প্রতি এবং নিহত ও আহতদের পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের কৃতিছাত্র শহীদ আবু সাঈদ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পুলিশের সামনে বুক পেতে ঢাল হয়ে দাঁড়ান। এ সময় শেখ হাসিনার লেলিয়ে দেয়া পুলিশ গুলি করে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আবু সাঈদের শাহাদাত বরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে সারা দেশে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নেয়।
তিনি বলেন, এই গণআন্দোলন ছিল একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, যুবক-যুবতী, নাগরিক সমাজ ও সর্বস্তরের পেশাজীবীরা একই দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। এক পর্যায়ে ছাত্রদের এই আন্দোলন ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতনের এক দফার গণআন্দোলনে পরিণত হয়। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে উন্মাদ শেখ হাসিনা আন্দোলন দমনের জন্য ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ দেয়। পুলিশ, র্যাব, আর্মি ও বিজিবি নির্বিচারে গুলি চালিয়ে প্রায় ২ হাজার মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা এবং প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে গুরুতরভাবে আহত করে। কয়েক হাজার মানুষ হাত-পা-চোখ হারিয়ে চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ববরণ করেন। এক পর্যায়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর যাবৎ জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরে মত চেপে বসা একনায়ক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটে। শেখ হাসিনাসহ তার দলের উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মী, মন্ত্রী-এমপি ভারতে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করে। দেশের জনগণ খুনি শেখ হাসিনা ও তার বিদেশী প্রভু আধিপাত্যবাদীদের হাত থেকে মুক্তি লাভ করে। দেশের জনগণ মুক্ত-স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারছে। রাজনৈতিক দলগুলো নির্বিঘ্নে তৎপরতা চালাতে পারছে। এ সবই জুলাই গণআন্দোলনের ফসল।
তিনি বলেন, জুলাই শহীদরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে জাতিকে ঋণে আবদ্ধ করে গিয়েছেন। আমরা তাদের নিকট চির ঋণী। আমরা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হই, শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়। একটি বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, ন্যায়-ইনসাফপূর্ণ মানবিক বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে আমাদেরকে তাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আগামীকাল ১৬ জুলাই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজনের মাধ্যমে মহান ‘জুলাই শহীদ দিবস’ যাথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
রাজনীতি
সর্বজনের বাংলাদেশ গড়ে তোলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি: নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা সর্বজনের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। যে বাংলাদেশ হবে শ্রমিকের বাংলাদেশ, কৃষকের বাংলাদেশ, মধ্যবিত্তের বাংলাদেশ, আমজনতার বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশ গড়ায় আজ আবার শপথ নিলাম।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার’ ১৫তম দিনে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধা বনাম রাজাকার -এর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে বিভাজিত করে রেখেছিলেন। মুজিববাদী আদর্শ গত ৫০ বছর দেশকে বিভাজিত করে রেখেছিল। ২৪’র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই বিভাজনকে তোয়াক্কা না করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম। সাধারণ মানুষের গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়।
এর আগে ভোলার জেলা পরিষদের চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে বাংলা স্কুল মোড়, সদর রোড, কালিনাথ বাজার হয়ে ইলিশ চত্বর, জেলা পরিষদ অফিসের সামনে হয়ে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
এই সময় ধর্ষক ও চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম পথসভা শুরু করেন।
পথসভায় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সঞ্চালনায় পথসভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপি কেন্দ্রীয় সদস্য হাসিব আর রহমান, কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, বরিশাল অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক ও যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ভোলার শহীদ হাসানের পিতা মনির হোসেনসহ প্রমুখ।
পথসভায় ভোলার চিকিৎসা, শিক্ষা অবকাঠামোর অভাব ও জ্বালানী সংকটসহ নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে সামান্তা শারমিন বলেন, ভোলাকে আমরা চাঁদাবাজদের আস্তানা হতে দিবনা। এই ভোলাকে আমরা ধর্ষকদের আস্তানা হতে দেব না। এসময় ধর্ষক, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের মতো আবারও ঐক্যবদ্ধ হবার জন্য ভোলাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সামান্তা শারমিন আরো বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার মৌলিক সংস্কারের জন্য যে যে কাজগুলো করা দরকার ছিল সেই কাজগুলো ঠিকমত করছেনা। ভোলায় ৫৭ জন শহীদ পরিবার আছে, এই ৫৭ জন শহীদ পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব ছিল জুলাই ফাউন্ডেশনের। কিন্তু জুলাই ফাউন্ডেশন আহত ও শহীদদের জন্য ঠিকমত কাজ করেনি।” এসময় জনগণের সরকার গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টি – এনসিপি’র ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র ১৫শ দিনে আজ ভোলায় পদযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়ে মোট ৩১ টি জেলায় ‘জুলাই পদযাত্রা’ সম্পন্ন হলো। সন্ধ্যায় বরিশাল শহরে পদযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।
রাজনীতি
‘জাতীয় সমাবেশ’ দেশ ও জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ: ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, আগামী ১৯ জুলাই দেশ ও জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ। সেই ঐতিহাসিক সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় জীবনের গতিপথ ও করণীয় নির্ধারিত হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর কাঁটাবনের একটি অডিটোরিয়ামে আয়োজিতে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সাত দাবিতে আগামী ১৯ জুলাই রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জাতীয় সমাবেশ’ করবে জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশ সফলে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে দলটি। এর অংশ হিসেবে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ, ঢাকার বিভিন্ন ইনিস্টিটিউটের দায়িত্বশীলবৃন্দ ও ১৫০ জন চিকিৎসকদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করেছে দলটি।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) সেন্ট্রাল জয়েন সেক্রেটারি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ডা. মো: গোলাম ফারুক। সভা পরিচালনা করেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ডা. মারুফ শাহরিয়ার।
অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আগামী ১৯ তারিখে দেশ ও জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ। সেই ঐতিহাসিক সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় জীবনের গতিপথ ও করণীয় নির্ধারিত হবে। আমরা ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ জাতীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছি। দাবিগুলো আদায় হলে দেশে গণতন্ত্র,গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন ফিরে আসবে এবং দুর্নীতিমুক্ত ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনে সহায়ক হবে। আর জুলাই সনদ ঘোষণা ও তা বাস্তবায়ন করা গেলে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবিতে সোহরাওয়াদী উদ্যানে ঐতিহাসিক ‘জাতীয় সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
কাফি
রাজনীতি
মিটফোর্ডের ঘটনা নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টাও হতে পারে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক কি না, তা ভাবার যথেষ্ট কারণ আছে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আসন্ন নির্বাচনকে বিলম্বিত করার অপচেষ্টায় করা হয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মিটফোর্ডের মর্মান্তিক ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে। তীব্র নিন্দা জানাই এ ঘটনার।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির যারা জড়িত তাদের আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। ব্যক্তির অপকর্মের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। মামলায় যাদের নাম এসেছে ঘটনার সঙ্গে, তাদের সম্পৃক্ততা নেই বলে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনা একটি চিহ্নিত মহল দ্বারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে সন্দেহ হচ্ছে। এই ঘটনার বিচার করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানাই।
রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে আবার ফ্যাসিবাদের ধারায় ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিটফোর্ডের ঘটনাটি যে পরিকল্পিত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ইন্টারনেটে একটি সুনির্দিষ্ট সময় ভিডিও ছড়ানো হয়।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এটি কোনো চাঁদাবাজির ঘটনা না, ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা; দলের চেয়ারপারসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। যারা জাতীয় নির্বাচনকে প্রতিহত করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চান, তাদের প্রতিহত করার আহ্বান জানাই।
সুপরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানাই। একইসঙ্গে অপরাজনীতি প্রতিহত করতে সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে নিন্দা জানাই। এসব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে স্বাধীনতার পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো। সবাইকে সংঘাত সৃষ্টির উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল কম্পাউন্ডে চাঁদ মিয়া ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহের ওপর চলে বর্বরতা।
সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ও দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাফি