আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে কারাবন্দিদের নামানো হলো দাবানল নেভানোর কাজে
ভয়াবহ দাবাননে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস। আর এই আগুন নেভানোর কাজে নামানো হয়েছে কয়েকশ কারাবন্দিকে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজের জন্য দৈনিক ভাতা হিসেবে মাত্র ৫ দশমিক ৮০ ডলার থেকে ১০ দশমিক ২৪ ডলার করে পান তারা। জরুরি অবস্থা চলাকালে প্রতি এক ঘণ্টার জন্য আলাদা করে এক ডলার দেওয়া হয় তাদের।
লস অ্যাঞ্জেলসে বর্তমানে পাঁচটি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। দাবানলে পুড়ছে সেখানকার ১১৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার অবকাঠামো পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব কারেকশন জানিয়েছে, পেশাদার ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে অন্তত ৩৯৫ জন কারাবন্দি আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
যদিও এটি স্বেচ্ছাশ্রম। তবে অনেকে মনে করেন বিষয়টি পুরোনো দাস প্রথারই একটি অংশ। যেখানে কারাবন্দিদের দিয়ে খুবই অল্প অর্থের বিনিময়ে ঝুকিপূর্ণ কাজ করানো হচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানল নেভানোর কাজে যে বাহিনী আছে, তার প্রায় ৩০ শতাংশই কারাবন্দিদের নিয়ে গঠিত। কিন্তু বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাদের ফায়ার ফাইটার হিসেবে আর চাকরি দেওয়া হয় না।
সাধারণ ফায়ার ফাইটাররা আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করলেও; কারাবন্দি ফায়ার ফাইটাররা মূলত হাত দিয়ে কাজ করে। আগুন যেন না ছড়ায় সেজন্য গাজ ও লতাপাতাগুলো সরায় তারা। এতে করে সাধারণ ফায়ার ফাইটারদের তুলনায় তারা চার গুণ বেশি আহত হয়।
কারাবন্দি এসব ফায়ার ফাইটাররা থাকেন মূলত ফায়ার ক্যাম্পে। তাদের অনেকে বলছেন, কম বেতন এবং ঝুকি থাকা সত্ত্বেও ক্যালিফোর্নিয়ার মূল কারাগারে থাকার চেয়ে ফায়ার ক্যাম্পে বন্দি থাকতে চান। কারণ কারাগারে বিভিন্ন অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তবে এক বন্দি বলেছেন, “আমাদের আগুন নেভানোর কাজ করতে পাঠানো অন্যায়। আমরা কারাগারেই থাকতে চাই।”
সূত্র: আলজাজিরা
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হামাস-ইসরায়েল
সপ্তাহজুড়ে আলোচনার অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি টানতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল। রাতেই সংবাদ সম্মেলন করে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন কাতারের আমির মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৫ মাসের ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে স্বস্তি মিলতে যাচ্ছে গাজাবাসীর।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে আপাতত ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ। এ সময়ের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে তিনজন করে জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে রাজি হয়েছে হামাস।
রয়টার্স বলছে, জিম্মি মুক্তির ক্ষেত্রে নারী ও ১৯ বছরের কম বয়সীদের আগ্রাধিকার দিবে হামাস। এ ছাড়া, প্রতি একজন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি দিবে ইসরায়েল। আর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন নারী সদস্যের মুক্তির বিনিময়ে ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবেন। এ প্রক্রিয়ায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে মোট ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিবে হামাস।
হামাসের নেতা খলিল আল-হায়া সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা চুক্তিতে সমর্থন জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসরের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিও জানিয়েছে, হামাসের নেতারা চুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন।
ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানান, হামাস শেষ মুহূর্তে নতুন শর্ত দিয়েছে। তারা বলেছে গাজা মিসর সীমান্তবর্তী ফিলাডেলফি করিডর থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সরে যেতে হবে। যদিও খসড়া চুক্তিতে বলা হয়েছে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি সেনারা সেখানেই অবস্থান করবে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে দুই পক্ষ রাজি হলে এটি অনুমোদনের জন্য ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় যাবে। সেখানে ভোটাভুটি হবে। আর এই ভোটাভুটিতে অংশ নিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিয়ন সার ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করে ইসরায়েলে চলে আসছেন। সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, কাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় এ নিয়ে ভোটাভুটি হতে পারে। যা সহজেই অনুমোদন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে জানতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত গাজাবাসী। তবে, এরই মধ্যে সেখানকার মানুষকে সতর্কবার্তা দিয়েছে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স। তারা বলেছে, যুদ্ধবিরতির জোর সম্ভানা রয়েছে। কিন্তু গাজার যেসব জায়গায় ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করছে, আপাতত বাসিন্দারা যেন সেখানে না যান।
বিবৃতিতে সংস্থাটি গাজার সব বাসিন্দার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেছে, গাজায় আমাদের প্রিয় ফিলিস্তিনিদের প্রতি অনুরোধ, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আপনাদের আমরা সতর্ক করছি, যেখানে দখলদার সেনারা আছেন, সেখানে যাবেন না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
টিউলিপের জায়গায় নিয়োগ পেলেন এমা রেনল্ডস
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার মঙ্গলবার টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের পর তার জায়গায় নতুন অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে এমা রেনল্ডসকে নিয়োগ দিয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করার পর এমা রেনল্ডসকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতি বিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) ছিলেন। মন্ত্রী হিসেবে দেশটির আর্থিক খাতে দুর্নীতি দমনের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
গত বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন টিউলিপ সিদ্দিক। বিরোধী দলসহ বিভিন্ন মহল থেকে তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হতে থাকে।
দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে বাংলাদেশে তদন্ত শুরুর পর চাপের মুখে গতকাল মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন টিউলিপ সিদ্দিক। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন টিউলিপ। প্রধানমন্ত্রী স্টারমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন। নতুন অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে এমা রেনল্ডসের নিয়োগ যুক্তরাজ্য সরকারের জন্য একটি নতুন দিক উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৪৭ বছর বয়সী এমা রেনল্ডস ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে দক্ষিণ ইংল্যান্ডের ওয়াইকম্ব নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য।
এর আগে, ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি মধ্য ইংল্যান্ডের বিভিন্ন আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
লেবার পার্টি দীর্ঘ বিরোধী দলের পর ২০২৪ সালে ক্ষমতায় ফিরে আসে এবং এমা রেনল্ডস দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন।
এমা রেনল্ডসের নিয়োগ যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক নীতির উন্নয়ন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউলকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির তদন্তকারীরা। সামরিক শাসন জারির ব্যর্থ চেষ্টার অন্তত ছয় সপ্তাহ পরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলো।
জানা গেছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাকে গ্রেপ্তার করে।
রাজধানী সিউলের মধ্যাঞ্চলে স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা মই বেয়ে ইউনের বাড়ির প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েন।
ইউনকে গ্রেপ্তারে তদন্তকারীদের গতকালের প্রচেষ্টা প্রাথমিকভাবে রুখে দেন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর (প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস-পিএসএস) সদস্যরা। গাড়ি দিয়ে বাড়ির প্রবেশপথে প্রতিবদ্ধকতা তৈরি করা হয়। সে সময় সেখানে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির আইনপ্রণেতা ও ইউনের আইনজীবীরা ছিলেন।
তাছাড়া ইউনকে গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা রুখে দিতে তীব্র শীতের মধ্যে তার বাড়ির সামনে হাজারো সমর্থক জড়ো হন। মাইনাস ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা উপেক্ষা করে তারা প্রতিবাদ জারি রাখেন। একই সঙ্গে সরকারবিরোধীরাও সেখানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
তবে সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে তদন্তকারীরা ইউন সুক ইউলকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হন। এখন তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক
যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে ফ্ল্যাট উপহার নিয়ে ব্যাপক চাপের মুখে ছিলেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) তার পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এরপর নিজের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগকে তদন্তের আহ্বান জানান টিউলিপ। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস।
লন্ডনে হাসিনা ঘনিষ্ঠের কাছ থেকে উপহার নেওয়া ছাড়াও; সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি টিকিট নিয়েছিলেন টিউলিপ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আরও আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। এসবের মধ্যে দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছিল। তারা বলছিল, টিউলিপের ওপর ব্রিটেনের দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারই নাম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছে। এতে তিনি মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনের নৈতিকতা হারিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
প্রতিবেশীদের মধ্যে বিদ্বেষ কারো জন্যই ভালো না: ভারতীয় সেনাপ্রধান
ভারতের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, প্রতিবেশী সম্পর্কে বিদ্বেষ কোনো পক্ষের জন্যই ভালো ফল আনবে না। এ ছাড়া বাংলাদেশ ভারতের কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী। দেশটির খুব ছোট্ট একটি অংশ ছাড়া পুরো সীমান্তজুড়েই রয়েছে ভারত। আমাদের সবসময় একসঙ্গেই থাকতে হবে। একে অপরকে বুঝতেও হবে। এমন কোনো কিছু করা উচিত না, যাতে আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ হল আরেকটি দেশ, যাদের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত আছে। আপনারা যদি দেখেন, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ছোট একটা অংশ, সেটা আদতে পুরোটাই ভারত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের সময় বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে কথা হয়েছিল। সবশেষ বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ হয়েছে।
ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, দুই দেশের সেনাবাহিনী পর্যায়ে সম্পর্কে কোনো সমস্যা নেই। আর রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করা যাবে তখনই, যখন ‘নির্বাচিত সরকার’ থাকবে।
তিনি বলেন, বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে যদি বলতে হয়, সেটা আগের মতই চলছে। আমাদের অফিসাররা সেখানে এনডিসিতে যোগ দিয়েছেন। ওই পক্ষ থেকেও কোনো সমস্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, শুধু একটা বিষয়, যৌথ মহড়া যেটা হত, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সেটা সাময়িকভাবে স্থগিত আছে। যখনই পরিস্থিতির উন্নতি হবে, আমাদের মহড়াও হবে।
কাফি