পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের অনিয়ম অনুসন্ধানে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠনের দাবি

পুঁজিবাজারে বিগত ১৫ বছরে কি কি অনিয়ম হয়েছে, জাল-জালিয়াতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ (কারণ উদ্ঘাটন) কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন স্টেকহোল্ডাররা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর শাহবাগের ঢাকা ক্লাবে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান এ কে এম হাবিবুর রহমান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, ডিএসই পরিচালক মেজর জেনারেল কামরুল ইসলাম (অব.), মো. শাকিল রিজভী, মো. শাহজাহান, রিচার্ড ডি রোজারিও, মিনহাজ মান্নান ইমন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মাজেদা খাতুন এবং ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাত্ত্বিক আহমেদ শাহ উপস্থিত ছিলেন।
ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, দেশে এই মুহূর্তে অর্থনীতির যে মৌলিক সূচকগুলো আছে, সেখানে যে ধরনের একটা স্পেস দেখতে পারছি, যেখানে সুদহার হাই, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বিষয় রয়েছে। ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলো অর্থনীতিকে বিচ্যুত করছে, এ পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যাবে না শেয়ারবাজারের অবস্থান খুব খারাপ অবস্থায় আছে।
তিনি বলেন, আমরা ধারাবাহিক পতনকে ধরতে পেরেছি। যেখানে আমাদের সবারই পতন শঙ্কা ছিল, বাজারে সবাই যখন আতঙ্কিত হয়ে গেল। দ্বিতীয়ত আমাদের যারা মার্কেট প্লেয়ার ছিল, তাদের একটা বড় অংশ বা কিছু অংশ তারা বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের মধ্যে ঢুকে পড়েছে, যখন তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে এই মার্কেটে পতন ঘটানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা যেখানে আছি, আমাদের প্রত্যাশা এখান থেকে আরও ভালো হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে যেটা আছে, সেটাকে আপনি বলতে পারেন না অস্বাভাবিক কিছু।
তারপরও যদি আমি গুজবে কান দিয়ে দুর্বল শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকি, সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হয়েছে। আর যারা মৌলিক উপাদান দেখে বিনিয়োগ করেছেন, আমার ধারণা তাদের ক্ষতি হয়নি বরং লাভ হয়েছে, বলেন ডিএসইর চেয়ারম্যান।
সিএসই’র চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করছি। বিএসইসির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই।
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট ও ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেডের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে বিগত ১৫ বছরে কি কি অনিয়ম হয়েছে, জাল-জালিয়াতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং’ কমিটি করতে হবে। যারা ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ বাজারের অনিয়ম দুর্নীতি ও বিভিন্ন কেলেঙ্কারি অনুসন্ধান করবে। কারণ কি কি অনিয়ম হয়েছে, তা চিহ্নিত করা না গেলে সমস্যা সমাধানের উপায় বের করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
ব্লকে ১৬ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৪০টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৪৫ লাখ ১৩ হাজার ৯৫৩টি শেয়ার ৭২ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৬ কোটি ৯১ লাখ ২১ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (২৪ আগস্ট) ব্লকে সবচেয়ে বেশি সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার ২ কোটি ৮০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ২ কোটি ২৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা আল-হাজ্ব টেক্সটাইল মিলসের ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
নতুন মার্জিন ঋণ বিধিমালা চূড়ান্ত করতে জনমত আহ্বান

পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এবং প্রান্তিক বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারের সকল বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালের মার্জিন ঋণের বিধিমালা রহিত করে ‘মার্জিন বিধিমালা ২০২৫’ নামের নুতন বিধিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। খসড়া বিধিমালাদ্বয় জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। মতামত অনুযায়ী, পরবর্তীতে চূড়ান্ত বিধিমালা সরকারি গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে।
গত ১২ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৬৮তম কমিশন সভায় ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (মার্জিন) বিধিমালা, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদিত হয়।
বিষয়ে কমিশন থেকে জানানো হয়, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিয়ে এবং প্রান্তিক বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজারের সকল বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে খসড়া বিধিমালাটি অনুমোদন করা হয়েছে। খসড়া বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে মার্জিন অর্থায়নে বিদ্যমান ঝুঁকিসমূহ(প্রাতিষ্ঠানিক ঝুঁকি, ক্রেডিট ঝুঁকি, পদ্ধতিগত ঝুঁকি, ইত্যাদি) এবং উক্ত ঝুঁকিসমূহ হ্রাসকরণ তথা যথাযথ মার্জিন অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে খসড়া বিধিমালাটি জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে খসড়া বিধিমালাটির উপর সংশ্লিষ্ট অংশীজন, বিনিয়োগকারী ও জনসাধারণের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি আহ্বান করা হয়েছে। জনমত যাচাই তথা অংশীজন বা সংশ্লিষ্টদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি গ্রহণের পর সার্বিক বিচার বিবেচনা পূর্বক প্রয়োজনীয় সংযোজন-বিয়োজন-পরিমার্জন করে বিধিমালাটি চূড়ান্ত করবে কমিশন।
বর্তমানে খসড়া বিধিমালাটি কমিশনের একটি প্রস্তাবনা যা সংশ্লিষ্টদের মতামত, পরামর্শ বা আপত্তি বিবেচনায় নিয়েই চূড়ান্ত করা হবে এবং পরবর্তীতে চূড়ান্ত বিধিমালাটি সরকারি গেজেটে প্রকাশের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে।
পুঁজিবাজার
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নাম-লোগো ব্যবহার করে প্রতারণা, সতর্ক করলো ডিএসই

সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নাম, লোগো এবং ঠিকানা ব্যবহার করে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ভুয়া হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে ডিএসই।
রবিবার (২৪ আগস্ট) ডিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে পুঁজিবাজারের এক শ্রেণীর অসৎ গোষ্ঠী ডিএসই’র নাম, ঠিকানা, লোগো ব্যবহার করে হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপের মাধমে নিত্য নতুন পদ্ধতি ও অভিনব কায়দায় প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। যা ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে এসেছে।
এ ব্যাপারে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে বিনিয়োগকারী তথা পুঁজিবাজারের স্বার্থে রেগুলেটর, সকল ব্রোকাজের হাউজ, সিডিবিএল, ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানে চিঠির মাধ্যমে অবগত করা হয়েছে৷
এমনকি ডিএসই’র ওয়েব ব্যানারেও এই ধরনের প্রতারণা থেকে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া, খিলক্ষেত থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএসই।
বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দিয়ে ডিএসই বলেছে, শেয়ার বা সিকিউরিটিজ লেনদেনের একমাত্র মাধ্যম ডিএসই এবং সিএসই’র সনদপ্রাপ্ত ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান এবং ডিএসই মোবাইল অ্যাপ। যদি কেউ এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের অতিরিক্ত মুনাফার লোভ দেখায়, তা থেকে দুরে থাকার পরামর্শ ডিএসইর৷
‘পুঁজি আপনার, বিনিয়োগ আপনার৷ তাই অসাধু চক্রের পাল্লায় পরে আপনার কষ্টার্জিত অর্জন বিনিয়োগ করে প্রতারিত হবেন না। তাই সবসময় প্রতারণা থেকে দুরে থাকুন এবং জেনে ও বুঝে বিনিয়োগ করুন।’ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ডিএসই।
এসএম
পুঁজিবাজার
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার দর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত মতে, রবিবার (২৪ আগস্ট) কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ কমেছে। কোম্পানিটি ৮০২ বারে ৭ লাখ ৭১ হাজার ২১২টি শেয়ার লেনদেন করে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিয়ন ক্যাপিটালের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা অ্যাপোলো ইস্পাতের শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমেছে।
তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানি হচ্ছে- বে লিজিং, এমারেল্ড অয়েল, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, সাইফ পাওয়ারটেক, মিথুন নিটিং, জিএসপি ফাইন্যান্স এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কো. লিমিটেড।
এসএম
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪০০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮৪টির দর বেড়েছে। দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, রবিবার (২৪ আগস্ট) কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ৫ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়েছে। যার ফলে কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে।
দর বৃদ্ধির এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক। কোম্পানিটির শেয়ার দর এদিন ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এছাড়াও, ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু ফেব্রিক্স, মাগুরা মাল্টিপ্লেক্স, জিকিউ বলপেন, সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড।
এসএম