ব্যাংক
ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর বাজারে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের এজেন্ট ব্যাংকে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাতের কোনো একসময় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) মুজিবনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এজেন্ট ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল গাফফার বলেন, আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাংকের পিয়ন হাসিবুল ইসলাম ব্যাংক খুলে সিন্দুক ভাঙার বিষয়টি দেখতে পান। আমাকে ফোন দিলে আমি দ্রুত ব্যাংকে আসি এবং দেখি ব্যাংকের পেছনের জানালার গ্রিল কাটা, ভোল্ট রুমের তালা কাটা এবং ভোল্টের ভেতরে রাখা সিন্দুক ভাঙা। বুধবার হিসাব শেষে রেখে যাওয়া ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। আমি বিষয়টি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশকে অবহিত করি।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, চুরির বিষয়ে খবর পেয়ে আমরা এজেন্ট ব্যাংকে গিয়েছিলাম। প্রাথমিক তদন্তে আমরা দেখতে পেয়েছি ব্যাংকের পেছনের জানালার গ্রিল কাটা, ব্যাংকের ভোল্টের দরজা কাটা এবং ভোল্টের ভেতরে রাখা সিন্দুকটি ভাঙা।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের ম্যানেজারের দাবি ভল্টে ৬ লাখ ৩৩ হাজারের কিছু বেশি টাকা ছিল। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে মেহেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিনুর ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিম এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি গোপাল চন্দ্র ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ব্যাংকে চুরির ঘটনা উদঘাটনের জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে শাখার ম্যানেজার একটি মামলা দায়ের করার প্রস্ততি নিচ্ছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিএফআইইউ প্রধান হলেন এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন প্রতিরোধের তদারকি সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম। আগামী দুই বছরের জন্য এ পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপনে জারি করেছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধিত ২০১৫) এর ধারা ২৪(১) (ঘ) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা, ২০১৯ এর বিধি ২২ অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক এ এফ এম শাহীনুল ইসলামকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর পদমর্যাদায় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তাঁর যোগদানের তারিখ থেকে ০২ (দুই) বছর মেয়াদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
এ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের শর্তাবলি অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নতুন প্রধান নিয়োগের সাক্ষাৎকার নিতে ১০ জনকে ডাকেন বাংলাদেশ ব্যাংক। ১১ ও ১২ ডিসেম্বর সাক্ষাৎকার হয়।এর আগে, ৩১ অক্টোবর এ পদের জন্য আবেদনপত্র জমা দেন এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম।
এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে বিএসসি (অনার্স) ও এমএসসি করেছেন। ১৯৯৩ সালে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এর পর থেকে বিভিন্ন পদে কর্মরত অবস্থায় পর্যায়ক্রমে ব্যাংকিং সুপারভিশন, বৈদেশিক মুদ্রা ট্রেজারি ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনা, কৃষিঋণ ব্যবস্থাপনা, আইন বিভাগ, সচিব বিভাগ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজশাহী অফিসে দায়িত্ব পালন করেন।
২০২২ সালের ২ মার্চ তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিস প্রধান হিসেবে বগুড়া অঞ্চলের ব্যাংকসমূহের সার্বিক কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্বাহী পরিচালক ও উপ-প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যান তিনি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
১ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা চেয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। এটি তাদের জন্য দ্বিতীয় দফার সহায়তা। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক তাদেরকে ৪ হাজার কোটি টাকা প্রদান করেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্যাংকটি ১০ শতাংশ সুদে এই তারল্য সহায়তা চেয়েছে। তবে এখনো এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু সহায়তার বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধের উদ্দেশ্যে তাদের এই সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি আরও জানান, যে ৪ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, তার কীভাবে ব্যবহার হয়েছে, তা কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানতে চেয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তারা একটি প্রেজেন্টেশন প্রস্তুত করেছে এবং আগামী সপ্তাহের কোন এক সভায় এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।
ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বারস অভ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মিন্টু বলেন, ব্যাংকটির পূর্ববর্তী পরিচালনা পর্ষদের দুর্নীতির কারণে বর্তমানে ব্যাংকটি সংকটে রয়েছে। তিনি আশাবাদী যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তার মাধ্যমে ব্যাংকটি আবার উত্তরোত্তর উন্নতির পথে ফিরে আসবে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর দায়িত্ব গ্রহণের পর ছয়টি ব্যাংককে জরুরি তারল্য সহায়তা প্রদান করেছে, এতে ন্যাশনাল ব্যাংকও রয়েছে। যদিও গভর্নর বলেছিলেন, কোনো ব্যাংকে টাকা ছাপিয়ে সহায়তা দেওয়া হবে না। তবে পরিস্থিতির শিকার হয়ে তাকে সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে হয়েছে।
২০০৯ সালে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সিকদার গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং সিকদার পরিবারের অভ্যন্তরীণ বিবাদের কারণে ব্যাংকটির নেতৃত্বে পরিবর্তন আসে। যদিও ওই পরিবর্তন ব্যাংকের চলমান সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছিল।
ব্যাংকটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ বলছে, নতুন করে আর্থিক সহায়তা পেলে ব্যাংকটি আগামী দিনে গ্রাহকদের আস্থা ফিরে পেতে সহায়ক ভূমিকা পাালন করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
খেলাপি ঋণ ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেছেণ, আগে খেলাপি ঋণের তথ্য লুকানো হতো। এখন লুকিয়ে রাখা সব তথ্য প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, খেলাপি ঋণ ৪ লাখ কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি। তবে, পুরো তথ্য সামনে এলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ কোটিও ছাড়াতে পারে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য দিয়েছেন তিনি।
হুসনে আরা শিখা বলেন, এই মুহূর্তে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর মতো কোনো চিন্তা আমাদের নেই। তদন্ত শেষ হলে খেলাপি কমানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে জানা যাবে।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তর্জাতিক রুলস ফলো করার চেষ্টা করছে। খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির এটাও একটি কারণ হতে পারে। তবে তথ্য যাইহোক, এখন আমরা সবই প্রকাশ করে দিচ্ছি, আগে যেটা লুকানো হতো।
এদিকে আর্থিক স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে গত পাঁচ মাসের অর্জনেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র। হুসনে আরা শিখা বলেছেন, ভালো দিক হলো, এরইমধ্যে আর্থিক ভীতি কেটে গেছে। গত পাঁচ মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন, ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন, ডলার বাজার স্থিতিশীলতা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়ে বহু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে এসব উদ্যোগের মাধ্যমে কিছু সুফল পাওয়া গেছে, কিছু ফলাফল আসতে আরও সময় লাগবে। তবে, আর্থিক খাতে এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক খুব বেশি খুশি নয়।
এছাড়া বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তিনি বলেন, চলতি বছরের শেষ নাগাদ কোন ব্যাংকের মাধ্যমে কী পরিমাণ টাকা কোন দেশে পাচার হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট জানা যাবে। পাচারের টাকা ফেরত আনা একটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া হলেও নির্ধারিত সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা এ বিষয়গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
বাধ্যতামূলক ছুটিতে ৬ ব্যাংকের এমডি
বাংলাদেশ ব্যাংকের গঠিত টাস্কফোর্সের পরামর্শে আরও ৫ ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এসব ব্যাংকের এমডিদের ছুটিতে পাঠানোর বিষয়টি স্ব স্ব ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে অনুমোদন হয়। ব্যাংকগুলো হলো- এক্সিম ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গতকাল শনিবার দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। এস আলম গ্রুপকে অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ ছাড়ে তার দায়িত্বে অবহেলা পায় কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটিতে থাকবেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক নিরীক্ষার সুবিধার্থে আরও পাঁচ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে ৫ ব্যাংকের চেয়ারম্যানদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এ ব্যাংকগুলোর এমডিদের সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটি
দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়া হয়েছে। মূলত চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপকে অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ ছাড়ে তার দায়িত্বে অবহেলা পায় কর্তৃপক্ষ। রোববার থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটিতে থাকবেন তিনি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির ২৮৩তম পর্ষদ সভায় তার ছুটি অনুমোদন করে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। আর পরবর্তী এমডি না আসা পর্যন্ত নতুন করে এমডির চলতি দায়িত্ব (সিসি) পালন করবেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মো. কাওসার উল আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ব্যাংকটির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামভিত্তিক আলোচিত এস আলমের গ্রুপকে অর্থ লোপাটে সহায়তা করার অভিযোগে বিশেষ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করে ব্যাংক। সেখানে এমডিসহ আরও কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ আনা হয়। তার বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এমডি সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীকে তিন মাসে জন্য বাধ্যতামমূলক ছুটি দেওয়া হয়।