জাতীয়
সড়কে প্রাণহানি বেড়েছে ১২ শতাংশ

২০২৪ সালে দেশে ৬ হাজার ৯২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২৯৪ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১২ হাজার ১৯ জন। ২০২৩ সালের তুলনায় গত বছর দুর্ঘটনা বেড়েছে ০.২৩ শতাংশ। আর প্রাণহানি বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। আহত বেড়েছে ৫.৩৬ শতাংশ। এছাড়াও ২০২৪ সালে এসব দুর্ঘটনায় মোট ক্ষতির আর্থিক মূল্য ২১ হাজার ৮৮৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) তাদের প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
রোড সেফটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ৮৯৩ জন ও শিশু ১ হাজার ১৫২ জন। ২ হাজার ৭৬১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ৬০৯ জন। এটি মোট নিহতের প্রায় ৩৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার মোট দুর্ঘটনার প্রায় ৪০ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৫৩৫ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২১ শতাংশেরও বেশি। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৯৮৪ জন।
২০২৪ সালে ১১৮টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৫২ জন নিহত ও ১৬১ জন আহত হয়েছেন এবং ৩৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩৪৭টি রেল দুর্ঘটনায় ৩২৪ জন নিহত এবং ২৭৭ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলো সবচেয়ে বেশি হয়েছে আঞ্চলিক সড়কে। এর সংখ্যা ২ হাজার ৭৩৬টি। এটি মোট দুর্ঘটনার ৩৯ শতাংশের বেশি। আর ২ হাজার ৩৫৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে, ৯৭২টি গ্রামীণ সড়কে, ৭৮৪টি শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৭৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার মধ্যে সবেচয়ে বেশি হয়েছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, সংখ্যা ২ হাজার ৯০৮টি। এছাড়া ১ হাজার ৫২৭টি মুখোমুখি সংঘর্ষ এবং ১ হাজার ৫৬২টি পথচারীকে চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ৭৮২টি যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৪৮টি অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
রোড সেফটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো পণ্যবাহী যানবাহন। এর পরেই আছে মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান ইত্যাদি), যাত্রীবাহী বাস, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্রা-টমটম) ইত্যাদি। ২০২৪ সালে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহনের সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৭৯৬টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল পণ্যবাহী যানবাহন, সংখ্যা ৩ হাজার ১৪৫টি। মোটরসাইকেলের সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৮টি। সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে সকালে, ১ হাজার ৮৭৪টি। আর রাতে হয়েছে ১ হাজার ৫৪৮টি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে ২০২৪ সালে ৩৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৬ জন নিহত এবং ৪৮২ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৭৬ শতাংশ। বাকিদের মধ্যে নারী ১৩ এবং শিশু প্রায় ১০ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পথচারী ৫১ শতাংশের বেশি। এ ছাড়া আছে মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী ৩৯ শতাংশ এবং বাস, রিকশা, সিএনজি ইত্যাদি যানবাহনের চালক ও আরোহী ৯ শতাংশের বেশি। রাজধানীতে ঘটা দুর্ঘটনার মধ্যে ৪০ শতাংশের বেশি হয় রাতে।
এ প্রতিবেদনের বিষয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, কর্তৃপক্ষের নানা প্রকার অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় অগণিত মানুষ হতাহত হচ্ছেন। কিন্তু এসব দুর্ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহির অভাবে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হচ্ছে না। সংজ্ঞা অনুযায়ী, বাংলাদেশের অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনাই কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড।
রোড সেফটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের সড়ক ও সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কাজে বিআরটিএ, ডিটিসিএ, বাংলাদেশ পুলিশ, বিআরটিসি, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ইত্যাদি নানা প্রতিষ্ঠান জড়িত। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব প্রকট। প্রাতিষ্ঠানিক অব্যবস্থাপনা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। জবাবদিহি নেই বললেই চলে। এসব কারণেই সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না, দুর্ঘটনাও কমছে না।

জাতীয়
এভাবে অগ্রসর হলে এ মাসেই জুলাই সনদ ঘোষণা সম্ভব: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা ইতিবাচকভাবে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, এভাবে অগ্রগতি বজায় থাকলে জুলাই মাসের মধ্যেই ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভার শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা এই পর্যন্ত এসেছি, সেটি যেন আমাদের প্রেরণা হয়ে কাজ করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। আমরা যদি একমত হতে পারি, সেটা হবে একটি ইতিবাচক অর্জন।
অনেক বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হলেও পরে সেগুলো আর আলোচনায় আসছে না জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, আমরা দলীয়ভাবে সেসব আলোচনার সুযোগ দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সাফল্য নিয়ে দিনটি শেষ করা।
এখনো প্রায় ২০টির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন। আজকের আলোচনায় রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদর্শন, বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ এবং জরুরি অবস্থা জারির বিষয়গুলো কমিশনের প্রস্তাবনার আলোকে আলোচনা হবে এবং সিদ্ধান্ত আসতে পারে পারে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া এখন পর্যন্ত যেসব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি, সেগুলো আবার আলোচনার সুযোগ রাখবে কমিশন। এর আগে বুধবারের বৈঠকের পর কমিশনের সহ-সভাপতি জানিয়েছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ও নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
মৌলভীবাজার সীমান্তে ৪৮ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার পাল্লাথল সীমান্ত দিয়ে আরও ৪৮ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে তাদের আটক করা হয়। এ নিয়ে মৌলভীবাজার জেলায় পুশইনের ঘটনায় ৪৫২ জন বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন।
এর মধ্যে বড়লেখা উপজেলা দিয়ে ৩৪১ জন, জুড়ী উপজেলা দিয়ে ১০ জন, কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে ২১ জন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা দিয়ে ১৯ জন ও কমলগঞ্জ উপজেলা দিয়ে ৬১ জন। এছাড়া আরও কয়েক শতাধিক লোক সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করলেও বিজিবি বা স্থানীয় প্রশাসন তাদের আটক করতে পারেনি।
৫২ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, বড়লেখা উপজেলার পাল্লাথল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকার পাল্লাথল পুঞ্জি নামকস্থান হতে ৪৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক ভারত হতে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে পাহাড়ী এলাকায় ঘুরাঘুরি করাকালীন বিজিবির টহলদল কর্তৃক তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৫ জন, নারী ১৫ জন এবং শিশু ১৮ জন রয়েছেন।
বিজিবি জানায়, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে তারা চিকিৎসা এবং কাজের উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রাম ও যশোর জেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গমন করে। পরবর্তীতে তাদেরকে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশে পুশইন করানো হয়।
বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্ণেল মোহাম্মদ আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা যশোর, বাগেরহাট, চাপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, বরিশাল এবং কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়। আটককৃত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
কাফি
জাতীয়
নারী ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ২০২৬ সালের এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে প্রথমবারের মতো জায়গা করে নেয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২ জুলাই) নারী ফুটবল দলের উদ্দেশে এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, এই অর্জন শুধু নারী ফুটবলের নয়, বরং গোটা জাতির জন্য গর্বের। এটি আমাদের সম্ভাবনা, প্রতিভা ও অদম্য চেতনার একটি অনন্য উদাহরণ।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সাফল্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও বাড়াবে।
বাছাই পর্বে ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ২-১ গোলে হারিয়েছে শক্তিশালী মিয়ানমারকে। বাংলাদেশের হয়ে দু’টি গোলই করেন ঋতুপর্ণা।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল টাইগ্রেসরা। তাই ২ ম্যাচে ২ জয়ে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে বাংলাদেশ।
জাতীয়
বান্দরবানে সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সদস্য নিহত

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে কমান্ডারসহ ২ কুকি-চীন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সদস্য নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (জুলাই ০৩) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায়।
আইএসপিআর জানায়, অভিযানে এখন পর্যন্ত ৩টি এসএমজি, ১টি রাইফেলসহ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল সাড়ে আটটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় অভিযান চলছে।
জাতীয়
আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের কিছু এলাকায় বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ১১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বুধবার (২ জুলাই) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার ডিএনডি খাল খনন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা অংশের ৯টি খালে বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মোট ১১ ঘণ্টা টেংরা, বাহির টেংরা, হাজীনগর, আমতলা, বড়ভাঙ্গা, কোদালদোয়া, সানাড়পাড়, নিমাইকাশারি, নামা শ্যামপুর, জিয়া সরণি, জাপানি বাজার, তিতাস গ্যাস সড়ক, ছাপড়া মসজিদ, রূপসি বাংলা হাসপাতাল, শনির আখড়া, আরএস টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল, মৃধাবাড়ী, কাজলা, ভাঙ্গা ব্রিজ, ডেমরা, স্টাফ কোয়ার্টার, আমুলিয়া, পাইটি, জহির স্টিল, শাহরিয়ার স্টিল, ধার্মিক পাড়া ও কাউন্সিল এলাকায় বিদ্যমান সকল শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস।