ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি সংগ্রহশালা স্থাপনে নতুন কমিটি
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিত্তিপ্রস্তর সংলগ্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি সংগ্রহশালা স্থাপনে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যটি জানানো হয়।
এ কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী এবং সদস্য সচিব হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল রয়েছেন। অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন ইইই বিভাগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান এবং এস্টেট প্রধান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল বলেন, আমি আজকে চিঠি পেয়েছি। কোথায় হবে, কিভাবে হবে তা জানি না। তবে আগামী সাপ্তাহে মিটিং করলে জানতে পারব।
এবিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, উপাচার্য কমিটি গঠন করেছেন তবে কেমন হবে, কোথায় হবে, বাজেট কেমন তা এখনও সিন্ধান্ত হয়নি। কমিটির বাকি সদস্যরা মিলে বসে আমরা আলাপ করে ঠিক করতে পারবো।
তবে বর্তমান শহীদ জিয়াউর রহমানের ভিত্তিপ্রস্তর সংলগ্ন হতে পারে বলে অনেকটাই ধারণা করেছেন তিনি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে শর্তসাপেক্ষে আটককৃত বাস মুক্ত, বৈঠক বিকালে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে ক্যাম্পাস সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে আটককৃত ৬ বাস শর্তসাপেক্ষে ছেড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে প্রধান ফটকের সামনে পরিসংখ্যান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে প্রক্টরিয়াল বডি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তে পৌছান। প্রায় ৬ ঘন্টা যাবৎ বাসসমূহ বিশ্ববিদ্যালয়ে আটক অবস্থায় থাকে।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রক্টরিয়াল বডির উপর সম্মান ও আস্থা রেখে আমরা আমাদের অবস্থান ছেড়ে দিচ্ছি। যদি আপনারা কথা না রাখেন তাহলে বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন আরও বড় হবে।
এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, বাস মালিক সমিতি তাদের মিটিং থাকা অবস্থায় জানিয়েছে বাসগুলো ছেড়ে দিতে হবে এবং তারা বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিকাল ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে উপস্থিত হবে।
উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ ঝিনাইদহ থেকে যশোরগামী বাসে মারধরের শিকার হন। এসময় তার স্ত্রী সাথে ছিলেন। অতিরিক্ত স্পীডে বাস চালানো বিষয় কথা বলার পর এক পর্যায় তর্কে জড়ায় তারা এবং গায়ে হাত তোলে। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে কালীগঞ্জ নামক স্টেশনে নামিয়ে একসাথে অনেকে এসে মারধর করে। এই মারধরের সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে ঐক্যমঞ্চের আহ্বায়ক নাহিদ, সদস্যসচিব পলাশ
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ’ (ঐক্যমঞ্চ)-এর নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে বুনন সংগঠনের বর্তমান সভাপতি মো নাহিদুর রহমান ও সদস্য সচিব হিসেবে সাহিত্য সংসদের সভাপতি পলাশ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আগামী ছয় মাস তারা এ দায়িত্ব পালন করবেন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুর আড়াই টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসি ঐক্যমঞ্চের কক্ষে আহ্বায়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভের সভাপতিত্বে ঐক্যমঞ্চের অধিভুক্ত ১২টি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঐক্যমঞ্চের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।
সদস্য সচিব পলাশ হোসেন বলেন, প্রতিটি সংগঠন তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম যেন সঠিকভাবে করতে পারে এবং যে সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়ছে তাদের কার্যক্রম কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় এই বিষয়ে ঐক্যমঞ্চ ও ঐক্যমঞ্চের অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলোকে আরো বেশি একে অপরের প্রতি আন্তরিক হতে হবে।
এসময় আহ্বায়ক মো. নাহিদুর রহমান বলেন, ঐক্যমঞ্চ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিত্ব করে আর এই সকল সংঠনগুলো অরাজনৈতিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক অধিকার নিয়ে কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক সংগঠনগুলো যাতে মুক্তভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে ঐক্যমঞ্চের আহ্ববায়ক হিসেবে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবো।
সর্বোপরি, বিদায়ী আহ্বায়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক অধিকার আদায়ে ঐক্যমঞ্চ কাজ করবে এবং উক্ত কাজের সাথে সকলেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সংগঠনের যেকোনো যৌক্তিক কাজে সবসময় পাশে থাকবো।
প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জোট ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ’ যা সংক্ষেপে ঐক্যমঞ্চ নামে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন ও সংগঠকদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও দাবি আদায়ে কাজ করে থাকে ঐক্যমঞ্চ।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বাংলাদেশ ব্যাংকে নিয়োগ, পদ ৯৯৭
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির অধিভুক্ত ৮টি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত ব্যাংকের নিয়োগ দেওয়া হবে ৯৯৭ জন অফিসার জেনারেল। ৯ জানুয়ারি এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: অফিসার (জেনারেল)।
পদসংখ্যা: ৯৯৭টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম একটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। গ্রেডিং পদ্ধতির ফলাফলের ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না।
বয়সসীমা: ২১–৩২ বছর।
প্রতিষ্ঠান এবং আসন সংখ্যা: সোনালী ব্যাংকে ৫৪৬টি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে ১২০টি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ৬টি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ২৭১টি, বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনে ২৫টি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ৫টি, কর্মসংস্থান ব্যাংকে ২৩টি এবং ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশে ১টি।
বেতন: ১৬০০০–৩৮৬৪০ টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা দেওয়া হবে।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এ লিংকের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন ফি: ২০০ টাকা। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (রকেট) মাধ্যমে প্রিপেইড পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রার্থীকে নিজের অথবা এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ফি দিতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাবিতে কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে গণ কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সেন্ট্রাল মসজিদে ও বিভিন্ন হলগুলোতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির লক্ষ্যে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি পালন করেছে রাবি শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার মুক্তমঞ্চে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দাওয়া কমিউনিটির উদ্যোগে এই কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি পালন হয়।
এই অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) প্রোফেসর ড. মাঈন উদ্দিন খান বলেন, পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে মুসলমানদের হৃদয়ে তারা আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশটা ভালোভাবে চলুক তারা চায় না। আগস্ট বিপ্লবের পরে তারা চাচ্ছে আমাদের ক্যাম্পাস অচল হয়ে যাক।
তিনি আরও বলেন, শুধু ক্যাম্পাস না দেশের মধ্যে তারা লুকিয়ে থেকে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এখনো। আমাদের শিক্ষার্থীরা তাদের এই চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়েছে। তারা যে কর্মকাণ্ড করেছে তাদের উচিৎ জবাব দিতে এই কর্মসূচি করা দেখে আমি অনেক খুশি হয়েছি এবং আমি চাই এরকম কর্মসূচি শুধু শহীদ মিনারে না প্রতি হলে হলে হোক।
আয়োজক কমিটির সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শুয়েবুল হাসান বলেন, রাবির আবাসিক হলগুলোতে পবিত্র কুরআনে আগুন দেওয়া এবং চট্টগ্রামের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে মুসলমানদেরকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে চক্রান্তকারীরা। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর যে চেষ্টা চালানো হচ্ছে আমরা তার শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আজকের এই গণ কুরআন তিলাওয়াত কর্মসূচি তারই অংশ। যারা এই ন্যক্কারজনক কাজ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কুরআন পোড়ানোর প্রতিবাদ করে বিশ্ববিদ্যালয় এক শিক্ষার্থী বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল গুলোতে পবিত্র আল কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। কে বা কারা এই কর্মকাণ্ড করেছে তার কোনো হদীস এখনো পাইনি। তবে তাদের এই কর্মকাণ্ডের বিপরীতে আমরা কোরআনের বাণীর সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরাগণ কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করেছি। আমরা আমাদের কোরআনের অবননার বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার থাকবো ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মতিহার হল, মাদার বখ্শ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলে শনিবার (১২জানুয়ারি) ও তার আগে (১০জানুয়ারি) রাবির সেন্ট্রাল মসজিদে কোনো এক সময়ে কে বা কারা পবিত্র কোরআন শরীফে অগ্নিসংযোগ করেছিল। তবে এখন পযর্ন্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
এছাড়াও এই আয়জনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেত্রিবৃন্দ সহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জবি শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
আগামী বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে মর্মে লিখিত চিঠি পাওয়ার পর অনশন প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত জবির শিক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত সামনে না আসা পর্যন্ত জবি পুরোপুরি শাটডাউন থাকবে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় অনশন প্রত্যাহারের কথা জানান অনশনরত শিক্ষার্থী একেএম রাকিব।
তিনি বলেন, আমাদের তিনটি দাবির মধ্যে দুটি পুরোপুরি মেনে নিয়ে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাকি একটি আলোচনা সাপেক্ষে মেনে নেওয়া হবে। লিখিত চিঠি পাওয়ায় আমরা অনশন প্রত্যাহার করছি।
তবে মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত সামনে না আসা পর্যন্ত আমাদের শাটডাউন কর্মসূচি চলবে।
এর আগে দুপুর ২টায় সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর নিয়ে সচিবালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। এ চিঠি আসার পর অনশনরত শিক্ষার্থীরা তিনটি দাবি জানান। সেগুলো হলো-
১. সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরের চুক্তি অনতিবিলম্বে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রয়োজনে স্পেশাল মিটিংয়ের মাধ্যমে তা সম্পূর্ণ করতে হবে এবং ভিজ্যুয়ালভাবে সবার সামনে তা উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা অনশনে থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকার নিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে। কয়েক মাস সময় নেওয়ার নাম করে কোনো প্রকার দীর্ঘসূত্রতার বন্দোবস্ত করা চলবে না।
২. পুরান ঢাকার বাণী ভবন ও ড. হাবিবুর রহমান হলের স্টিল বেইজড ভবনের কাজ দ্রুত শুরু এবং শেষ করতে হবে।
৩. যতদিন পর্যন্ত আবাসন ব্যবস্থা না হয়, ততদিন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড রেজাউল করিম বলেন, আগামী বুধবার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হবে।
এদিন বিকেল ৩টায় সচিবালয়ের মিটিং শেষে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ইউজিসি থেকে চিঠি মন্ত্রণালয়ে গেছে। আগামী বুধবার সভা নির্ধারিত হয়েছে। সভায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ হস্তান্তর হবে। সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার প্রসঙ্গে আমরা ইউজিসির সঙ্গে আগেই কমিটমেন্ট ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে আমাদের এই কার্যক্রম আরও সহজ ও ত্বরান্বিত হয়েছে। আমাদের কাজ অনেক এগিয়ে গেছে। আগামী মিটিংয়ে প্রকল্পের অবস্থাও বিশ্লেষণ করা হবে। তারপর একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
কাফি