পুঁজিবাজার
সম্পত্তি নিলামের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে এস আলম গ্রুপ
খেলাপি ঋণের পৌনে চার হাজার কোটি টাকা আদায়ে এস আলম গ্রুপের দুই কোম্পনির সম্পত্তি নিলামে তোলার যে উদ্যোগ জনতা ব্যাংক নিয়েছে, তা ঠেকাতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রামভিত্তিক এই শিল্পগ্রুপ।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কোম্পানিটি নিলামের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
সম্পত্তি নিলামে তোলা কোম্পানি দুটির মধ্যে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এর আগে ৫ জানুয়ারি সম্পত্তি নিলামের বিষয়ে জানতে চেয়ে ডিএসই কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটিকে চিঠি দেয়। ওই চিঠির জবাবে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস কর্তৃপক্ষ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি জানায়।
ডিএসইর চিঠির জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে কোম্পানিটি। এরই মধ্যে কোম্পানির ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। ব্যাংকে ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর ফলে কোম্পানির কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত কোম্পানির উৎপাদন ও বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
কোম্পানিটি আরও বলে, ২ হাজার ৩ কোটি টাকার অনাদায়ি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে বন্ধক রাখা সম্পত্তি সম্প্রতি নিলামে তোলার ঘোষণা দিয়েছে জনতা ব্যাংক। তবে এতে সরাসরি আমাদের ব্যবসার কোনো ক্ষতি হবে না। তারপরও এই নিলাম বন্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের পথে রয়েছি আমরা। পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ে ডিএসইকে বিস্তারিত জানানো হবে।
জনতা ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এস আলম সুগার রিফাইন্ড ইন্ডাস্ট্রির কাছে ব্যাংকটির পাওনা ১ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। আর এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলসের কাছে পাওনা ২ হাজার ৩ কোটি টাকা। এই দুই কোম্পানির কাছে ব্যাংকের মোট পাওনা ৩ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। বর্তমানে ব্যাংকের এই ঋণ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, খেলাপি ঋণ আদায়ে বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে তুলেছে ব্যাংকটি। এরই মধ্যে পত্রিকায় এই নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও করা হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে ডিএসইর সংবাদ সম্মেলন
পুঁজিবাজারে বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে ডিএসইর সংবাদ সম্মেলন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার জালিয়াতির তদন্ত করবে বিএসইসি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের একটি জালিয়াতির তদন্ত করবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে।
সূত্র মতে, বিএসইসির পরিচালক মো. মাহমুদুল হকের সই করা চিঠিতে কমিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, সহকারী পরিচালক মেহেদি হাসান রনি ও মো. হাসান।
এদিকে গঠিত এই কমিটি আগামী ১৩ জানুয়ারী সাত উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডারকে শুনানীতে ডেকেছে। ওই দিন বেলা ২.৩০ এ বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
সূত্র অনুসারে, মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধে বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা-শেয়াররহোল্ডার এমএ মান্নানের শেয়ার বাজেয়াপ্ত করেছিল। বিধি অনুসারে, বাজেয়াপ্ত শেয়ার কেনা-বেচার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আব্দুল মান্নানের সঙ্গে যোগসাজশ করে ব্যাংকটির পর্ষদের অনুমতি ছাড়াই ওই শেয়ার ‘ব্লক মার্কেটে’র মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর বেআইনীভাবে এসব শেয়ার কিনে নেয় ব্যাংকটির বর্তমান চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, নির্বাহী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান আদনান ইমাম ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল আহসানের মনোনীত ব্যক্তিরা। বিষয়টি তদন্তে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই তদন্তের প্রয়োজনে ব্যাংকটির ৭ উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডারকে শুনানীতে ডাকা হয়েছে।
যাদেরকে শুনানীতে ডাকা হয়েছে, তারা হলেন- এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী, ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, মোঃ এনায়েত হোসেন, সারওয়ার জামান চৌধুরী, ইজাহারুল ইসলাম হালদার, শাখাওয়াত আলী, তোহেল আহমেদ ও সেলিনা ইসলাম।
তদন্ত কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিএসইসির প্রজ্ঞাপন অনুসারে, মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক এনআরবিসি ব্যাংকের উদ্যোক্তা-শেয়ারহোল্ডার এমএ মান্নানের ৪ কোটি ৭০ লাখ ১ হাজার ৮৮৬টি শেয়ার বাজেয়াপ্ত করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এনআরবিসি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালে এমএ মান্নানের নামে যে শেয়ার বরাদ্দ করা হয়, তার মূল্য তিনি পরিশোধ করেননি। অন্য এক ব্যক্তি তার হয়ে টাকা জমা দেন। আবার পরবর্তীকালে ব্যাংকটি যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, ওই লভ্যাংশের অর্থও এমএ মান্নানের একাউন্টে জমা হয় নি। অন্য এক ব্যক্তি তার হয়ে ওই টাকা তুলে নিয়েছেন। পুরো বিষয়টি সন্দেহজনক এবং মানি লন্ডারিংয়ের ইঙ্গিতপূর্ণ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রহিম টেক্সটাইলের বোর্ড সভার সময়সূচী ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ১৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটির বোর্ড সভা ওই দিন দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এনসিসি ব্যাংকের ইজিএম স্থগিত
শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনসিসি ব্যাংকের “চেয়ারম্যান এবং ভাইস-চেয়ারম্যান” সম্পর্কিত আর্টিকেল-১০৮(১) এর সংশোধন সংক্রান্ত এজেন্ডা নং ৪ স্থগিত করা হয়েছে যতক্ষণ না সম্মানিত আদালত পরবর্তী নির্দেশ দেয়।
অন্যান্য সব এজেন্ডা আইটেম নং ০১-০৩, যেমন আর্টিকেল ৯১, ৯৪(১) এবং ৯৪(২) এর সংশোধন শেয়ারহোল্ডারদের দ্বারা ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে জারি করা নোটিশ অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত কোম্পানির ১১তম এক্সট্রা-অর্ডিনারি জেনারেল মিটিংয়ে (ইজিএম) আলোচিত হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
১ ঘণ্টায় ৮২ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের মিশ্রাবস্থায় লেনদেন চলছে। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম ঘন্টায় বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বেলা ১১ টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে .৬৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৮৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক .৫৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৫৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯১৯ পয়েন্টে।
এ সময় লেনদেন হওয়া ৩৬৯ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৮৬ টির, দর কমেছে ৮৪ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৯ টির। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৮২ কোটি ৯ লাখ টাকা।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই আগের দিনের চেয়ে ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে।
এ সময় লেনদেন হওয়া ৮১ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৭ টির, দর কমেছে ৪০ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪ টির। আলোচিত সময়ে টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩৩ লাখ টাকা।