কর্পোরেট সংবাদ
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মুনাফায় শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক

বিদায় নিয়েছে ঘটনাবহুল ২০২৪ সাল। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের ছোয়া লাগে অর্থনৈতিক খাতেও। কয়েকটি ব্যাংক দূর্বৃত্তায়নের ছোবলে বেকায়দায় পড়লেও অধিকাংশ ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসে অগ্রগতির ধারায় রয়েছে। যার ফলে ২০২৪ সালের বার্ষিক হিসেবে অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফাও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এই প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৪ সালের প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করেছে ব্যাংকগুলো। তবে বিস্তারিত ব্যালান্সশিট প্রস্তুত করতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীন ও বহি:নিরীক্ষক দ্বারা যাচাই-বাছাই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন শেষে চূড়ান্ত হবে। তাই প্রাথমিকভাবে পরিচালন মুনাফার যে তথ্য পাওয়া গেছে তা চূড়ান্ত নয়। আবার এই পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা নয়। এই পরিচালন মুনাফা থেকে প্রভিশন সংরক্ষন এবং কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা জানা যাবে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ব্যাংকই তাদের পরিচালন মুনাফার তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চতুর্থ প্রজন্মের ৯টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১৯ পরিচালন মুনাফা করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ৩৭৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এনআরবিসি ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। এদিকে আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ ও অতিরিক্ত তারলেও সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৮ কোটি টাকা করেছে মধুমতি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল। এছাড়া সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ২২৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ১৭৪ কোটি টাকা মুনাফা করা মিডল্যান্ড ব্যাংক বিদায় বছরে পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে ২১০ কোটি টাকা। এছাড়া মেঘনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৬৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০৫ কোটি টাকা এবং এনআরবি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৪৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ সাল শেষে হয়েছে ২০২ কোটি টাকা।
চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক কয়েক বছর ধরেই লোকসানের ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সংঘবদ্ধ দুর্নীতির কারণে ডুবতে বসেছে। ব্যাংক দুটির ক্ষতের পরিমান জানতে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা বিশদ ফরেনসিক পরিদর্শন শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের মুনাফা কত হয়েছে এটি এখনো বলার সময় আসেনি। তবে এনআরবিসি ব্যাংক চেষ্টা করেছে সর্বোত্তম সেবা দিয়ে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের। এজন্য আমাদের আমানত সংগ্রহ বেড়েছে। অন্যদিকে ঋণের আদায়ও বেড়েছে। নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করা। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে আমরা সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নিম্ন আয়ের মানুষদেরকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দিয়ে যাবো।
এদিকে দেশের বড় ব্যাংকগুলোর মুনাফায় বড় ধরনের উলম্ফন হয়েছে। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এছাড়া পূবালী ব্যাংকের ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, সিটি ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংকের ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংকের ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংকের ৯৭৫ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮৫০ কোটি টাকা, ওয়ান ব্যাংকের ৮৩০ কোটি টাকা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬৪৪ কোটি টাকা।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন গণমাধ্যমে বলেন, ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা উঠে যাওয়ার পর তাদের নিট সুদ আয় বেড়েছে। আপনি বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, ভালো ব্যাংকগুলোর মোট সুদ আয়ের ৬০-৭০ শতাংশ আসছে ঋণ খাত থেকে। আর ২০ শতাংশের মতো সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে এবং বাকিটা অন্য ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট ইত্যাদি রেখে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ভালো ব্যাংকগুলো এখন তাদের আয়ের এক-চতুর্থাংশই সুদের বাইরে থেকে আয় করা শুরু করেছে। অর্থাৎ জনগণকে নানা সেবা দিয়ে তার বিনিময়ে সামান্য ফি-কমিশন চার্জ করে তারা আয় বাড়াতে পারছে। সুদনির্ভর ব্যালান্স শিট থেকে সেবা বাবদ অর্জিত ফি নির্ভর ব্যালান্স শিটে যেতে পারাটা সত্যিকারের আধুনিক ব্যাংকিং। আবার এটিও সত্যি যে এ বছর অনেক ব্যাংক পারফরম্যান্স খারাপ করার কারণে তুলনামূলক সুনামসম্পন্ন ব্যাংকগুলো আরো বেশি ভালো করেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
ফাইনান্সএশিয়া অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেলো ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট

দেশের বিনিয়োগ ব্যাংকিং খাতে এক অনন্য মাইলফলক গড়লো ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (ইউসিবিআইএল)। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফাইনান্সএশিয়া অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫-এ ইউসিবিআইএল টানা তৃতীয়বারের মতো ‘বেস্ট ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক’ পুরস্কার অর্জন করেছে।
এবারের আসরে ইউসিবিআইএল আরও দুটি মর্যাদাপূর্ণ বিভাগ—‘বেস্ট ডেট ক্যাপিটাল মার্কেটস হাউস (ডিসিএম)’ এবং ‘বেস্ট ইকুইটি ক্যাপিটাল মার্কেটস হাউস (ইসিএম)’-এ বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব আবারও প্রমাণ করেছে।
এই কৃতিত্ব কেবল একটি পুরস্কার নয়—এটি ইউসিবিআইএল-এর সুদৃঢ় নেতৃত্ব, উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি, নিখুঁত বাস্তবায়ন দক্ষতা এবং ক্লায়েন্ট-প্রধান মানসিকতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
ইউসিবিআইএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিম আলমগীর বলেন, টানা তিনবার এই স্বীকৃতি পাওয়া আমাদের জন্য গর্বের, একই সঙ্গে এটি আমাদের আরও বড় দায়িত্ববোধের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের ক্লায়েন্ট, বিনিয়োগকারী এবং অংশীদারদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা—তাদের আস্থা ও সহযোগিতাই আমাদের চালিকাশক্তি।
এর আগেও ইউসিবিআইএল ফাইনান্সএশিয়া, ইউরোমানি, দ্য অ্যাসেট ট্রিপল এ, এশিয়ামানি-সহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে সম্মাননা লাভ করেছে। সম্প্রতি দ্য অ্যাসেট ট্রিপল এ অ্যাওয়ার্ডস ফর সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ২০২৫-এ পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার জয়ের মধ্য দিয়ে টেকসই অর্থায়নের প্রতিও ইউসিবিআইএল’র দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন ঘটেছে।
পেশাদারত্ব, স্বচ্ছতা এবং সৃজনশীলতাকে মূল মন্ত্র করে ইউসিবিআইএল সামনে এগিয়ে যাচ্ছে—বাংলাদেশের মূলধন বাজারে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক পরিবর্তন আনার প্রত্যয় নিয়ে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
শিক্ষামূলক অনলাইন কোর্সে বিকাশ পেমেন্টে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট

স্কুল-কলেজের পড়াশুনা থেকে শুরু করে চাকরির প্রস্তুতি, ক্যারিয়ার, ব্যবসায় দক্ষতা অর্জনে জনপ্রিয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম ‘টেন মিনিট স্কুল’, ‘শিখো’,
‘এরিয়া ৭১ একাডেমী’ এবং ‘লার্নিং বাংলাদেশ’ থেকে যেকোনো কোর্স নিয়ে পেমেন্ট বিকাশ করলে গ্রাহকরা পাচ্ছেন বিভিন্ন অংকের ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট।
বিকাশ অ্যাপ থেকে টেন মিনিট স্কুল-এর কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫ শতাংশ ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের ‘অফারস’ সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে। অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/cashback-at-10minuteschool লিংকটিতে।
শিখো-তে ৪৯৯ টাকা থেকে ১,৫০১.৯৯ টাকার মাঝে যেকোনো কোর্স নিতে বিকাশ পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫ শতাংশ ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক। ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে একজন গ্রাহক একবারই ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন। অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/shikho-yearlong-cashback লিংকটিতে।
‘এরিয়া ৭১ একাডেমী’-তে নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট বিকাশ করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে একজন গ্রাহক যত খুশি ততবার ক্যাশব্যাক উপভোগ করতে পারবেন। অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/area71-apr25 লিংকটিতে।
অন্যদিকে, লার্নিং বাংলাদেশ-এ বিকাশ পেমেন্টে কুপন কোড ‘BKASH20’ ব্যবহারে যেকোনো অনলাইন কোর্সে গ্রাহকরা পাচ্ছেন ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট। সেইসাথে জনপ্রিয় তিনটি ই-বুক – ‘চ্যাটজিপিটি প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারিং’, ‘চাকরির পাশাপাশি বিজনেজ’ এবং ‘ক্যারিয়ার গ্রোথে ৯৯টি টিপস’– কিনতেও গ্রাহকরা এই ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারছেন। ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এই অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/learningbd- apr25 লিংকটিতে।
জনপ্রিয় এই শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স আরও সাশ্রয়ী মূল্যে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বিকাশ গ্রাহকরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক চালু করলো ‘ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট’

দেশের তরুণ ও সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্সারদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ চালু করেছে ‘ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট’। এই উদ্যোগের মাধ্যমেই ডিজিটাল অর্থনীতিতে আরও শক্তভাবে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ।
এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা এখন আরও সহজ ও নিরাপদে বিদেশ থেকে পারিশ্রমিক গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়াও- একাধিক মুদ্রায় লেনদেনের, বৈদেশিক মুদ্রার রূপান্তর এবং নির্বিঘ্নে আন্তর্জাতিক লেনদেনের মতো সুবিধাও পাওয়া যাবে অ্যাকাউন্টটিতে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের ইন্টারনেট ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকরা সহজেই ফর্ম সি জমা দিয়ে রেমিট্যান্স জমা করতে পারবে। ডিজিটাল অনবোর্ডিং সিস্টেম থাকার কারনে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সাররা এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য নতুন এ জিরো-ফি অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রেডিট কার্ড এবং পার্সোনাল লোন প্রসেসিং ফিতে বিশেষ ছাড়, বিনামূল্যে রেমিটেন্স সার্টিফিকেট এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে ফান্ড ট্রান্সফারের সুবিধাও পাওয়া যাবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের হেড অব ওয়েলথ অ্যান্ড রিটেইল ব্যাংকিং লুৎফুল হাবিব বলেন, আমরা গর্বিত যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট চালু করেছে। এটা বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে আমাদের দেশের সাহসী ও উদ্যমী ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। এটা কেবল একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নয়, এটা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য তৈরি ব্যাংকিং এর একটি পূর্ণাঙ্গ অভিজ্ঞতা। এর মাধ্যমে আপওয়ার্ক এবং ফাইভার এর মতো আরও অনেক বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম থেকে সহজেই পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবে ফ্রিল্যান্সাররা।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার্স ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান, ড. তানজিবা রহমান, বলেন, ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সম্ভাবনাময় পথ, যা বেকার মানুষকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করে ডিজিটাল অর্থনীতিতে যুক্ত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। আমরা আনন্দিত যে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এমন সহজ ও সুবিধাজনক অ্যাকাউন্ট চালু করেছে, যা ফ্রিল্যান্সারদের আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করবে এবং দেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো আন্তর্জাতিক ব্যাংক, যা ১৯০৫ সাল থেকে দেশে সেবা দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি বাণিজ্যকে আরোও সহজতর, উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, এবং আর্থিক অংশগ্রণ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট তাদের উদ্ভাবনী সমাধানসমূহের মধ্যে এক নতুন সংযোজন, যা ক্রমবর্ধমান ও পরিবর্তনশীল শ্রমশক্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের এজিএম

ইসলামী ব্যাংক ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের (আইবিসিএমএল) ১৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আইবিসিএমএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব।
সভায় কোম্পানির পরিচালক প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, মো. আলতাফ হুসাইন, জি. এম. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের, শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে মো. ওমর ফারুক খান, মো. আশরাফুল হক, এফসিএ, মো. সালেহ ইকবাল, কোম্পানির শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও (চলতি দায়িত্ব) আবু সাঈদ মো. নাহিদ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শেয়ারহোল্ডারগণ কর্তৃক ২০২৪ সালের আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন এবং প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক সফলতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
গ্রাহকের কাছে ‘সিলায়ন ৬’ হস্তান্তর করলো বিওয়াইডি বাংলাদেশ

সিলায়ন ৬ গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিওয়াইডি বাংলাদেশ। রবিবার (২০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে যেখানে ৬ জন গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া হয় নতুন বিওয়াইডি সিলায়ন সিক্স। রবিবার (২০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত এ হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি বিওয়াইডি বাংলাদেশ সার্ভিস সেন্টারে একটি উষ্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজিত হয়।
গ্রাহক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাগত জানানো হয় বিওয়াইডি বাংলাদেশ শোরুমে। যেখানে বিওয়াইডি সিলায়ন সিক্স এর একটি সংক্ষিপ্ত প্রেজেন্টেশন হয়, এসময় গাড়ির ফিচার ও পারফরম্যান্স তুলে ধরা হয়। এরপর সার্ভিস সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ির চাবি প্রদান করা হয় নতুন মালিকদের হাতে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিজি রানার বিডি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান এবং বিওয়াইডির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ঝ্যাং জি। তাঁরা নতুন গ্রাহকদের অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের বৈদ্যুতিক যানবাহন খাতে বিওয়াইডি এর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিওয়াইডি সিলায়ন সিক্স ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাজারে আসে। ১০০০++ কিমি রেঞ্জের মাধ্যমে প্লাগ-ইন হাইব্রিড গাড়ির ধারণাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে। বাজারে আসার পর থেকে এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং বাংলাদেশের পিএইচইভি ক্রেতাদের প্রথম পছন্দে পরিণত হয়েছে।