কর্পোরেট সংবাদ
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মুনাফায় শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক

বিদায় নিয়েছে ঘটনাবহুল ২০২৪ সাল। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের ছোয়া লাগে অর্থনৈতিক খাতেও। কয়েকটি ব্যাংক দূর্বৃত্তায়নের ছোবলে বেকায়দায় পড়লেও অধিকাংশ ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসে অগ্রগতির ধারায় রয়েছে। যার ফলে ২০২৪ সালের বার্ষিক হিসেবে অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফাও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এই প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৪ সালের প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করেছে ব্যাংকগুলো। তবে বিস্তারিত ব্যালান্সশিট প্রস্তুত করতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীন ও বহি:নিরীক্ষক দ্বারা যাচাই-বাছাই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন শেষে চূড়ান্ত হবে। তাই প্রাথমিকভাবে পরিচালন মুনাফার যে তথ্য পাওয়া গেছে তা চূড়ান্ত নয়। আবার এই পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা নয়। এই পরিচালন মুনাফা থেকে প্রভিশন সংরক্ষন এবং কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা জানা যাবে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ব্যাংকই তাদের পরিচালন মুনাফার তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চতুর্থ প্রজন্মের ৯টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১৯ পরিচালন মুনাফা করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ৩৭৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এনআরবিসি ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। এদিকে আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ ও অতিরিক্ত তারলেও সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৮ কোটি টাকা করেছে মধুমতি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল। এছাড়া সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ২২৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ১৭৪ কোটি টাকা মুনাফা করা মিডল্যান্ড ব্যাংক বিদায় বছরে পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে ২১০ কোটি টাকা। এছাড়া মেঘনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৬৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০৫ কোটি টাকা এবং এনআরবি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৪৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ সাল শেষে হয়েছে ২০২ কোটি টাকা।
চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক কয়েক বছর ধরেই লোকসানের ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সংঘবদ্ধ দুর্নীতির কারণে ডুবতে বসেছে। ব্যাংক দুটির ক্ষতের পরিমান জানতে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা বিশদ ফরেনসিক পরিদর্শন শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের মুনাফা কত হয়েছে এটি এখনো বলার সময় আসেনি। তবে এনআরবিসি ব্যাংক চেষ্টা করেছে সর্বোত্তম সেবা দিয়ে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের। এজন্য আমাদের আমানত সংগ্রহ বেড়েছে। অন্যদিকে ঋণের আদায়ও বেড়েছে। নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করা। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে আমরা সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নিম্ন আয়ের মানুষদেরকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দিয়ে যাবো।
এদিকে দেশের বড় ব্যাংকগুলোর মুনাফায় বড় ধরনের উলম্ফন হয়েছে। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এছাড়া পূবালী ব্যাংকের ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, সিটি ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংকের ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংকের ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংকের ৯৭৫ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮৫০ কোটি টাকা, ওয়ান ব্যাংকের ৮৩০ কোটি টাকা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬৪৪ কোটি টাকা।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন গণমাধ্যমে বলেন, ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা উঠে যাওয়ার পর তাদের নিট সুদ আয় বেড়েছে। আপনি বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, ভালো ব্যাংকগুলোর মোট সুদ আয়ের ৬০-৭০ শতাংশ আসছে ঋণ খাত থেকে। আর ২০ শতাংশের মতো সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে এবং বাকিটা অন্য ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট ইত্যাদি রেখে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ভালো ব্যাংকগুলো এখন তাদের আয়ের এক-চতুর্থাংশই সুদের বাইরে থেকে আয় করা শুরু করেছে। অর্থাৎ জনগণকে নানা সেবা দিয়ে তার বিনিময়ে সামান্য ফি-কমিশন চার্জ করে তারা আয় বাড়াতে পারছে। সুদনির্ভর ব্যালান্স শিট থেকে সেবা বাবদ অর্জিত ফি নির্ভর ব্যালান্স শিটে যেতে পারাটা সত্যিকারের আধুনিক ব্যাংকিং। আবার এটিও সত্যি যে এ বছর অনেক ব্যাংক পারফরম্যান্স খারাপ করার কারণে তুলনামূলক সুনামসম্পন্ন ব্যাংকগুলো আরো বেশি ভালো করেছে।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
বিডিবিএল সিকিউরিটিজের নতুন পরিচালক আনোয়ার হোসেনের যোগদান

বিডিবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের (বিএসএল) পরিচালনা পর্ষদের ১২২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন কোম্পানির নতুন পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। এসময় তাকে পর্ষদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। তিনি শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজের সাবেক সিইও।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে বিএসএলের বোর্ড রুমে ১২২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসএলের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং সিইও মো. জসীম উদ্দিন।
সভায় কোম্পানির পরিচালক মো. রোকোনুজ্জামান, অর্থমন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি আফরোজা আক্তার রিবা, বিডিবিপিএলসির জিএম মো. আব্দুল মান্নান শেখ, কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এ.কে.এম শরীফ হোসেন এবং কোম্পানি সেক্রেটারি এস.এম. গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
চলতি বছরের প্রথমার্ধে ব্র্যাক ব্যাংকের নিট মুনাফা বেড়েছে ৫৩ শতাংশ

ব্র্যাক ব্যাংক চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি–জুন) সমন্বিত কর-পরবর্তী নিট মুনাফায় (এনপিএটি) ৫৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের সমন্বিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসহ ব্যাংকটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯০৬ কোটি টাকায়, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে অর্জিত ৫৯১ কোটি টাকার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
সম্প্রতি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত আর্নিংস ডিসক্লোজার অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের এই আর্থিক তথ্যগুলো প্রকাশ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন ব্যাংকটির স্থানীয় ও বিদেশি স্টেকহোল্ডার, বিনিয়োগ-বিশ্লেষক, পোর্টফোলিও ম্যানেজার ও পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞবৃন্দ।
এ সময়ে এককভাবে (স্ট্যান্ডঅ্যালন) ব্র্যাক ব্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬২০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের ৫১৯ কোটি টাকার তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সত্ত্বেও ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটি মার্কেট অ্যাভারেজ প্রবৃদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি হারে ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বার্ষিক ভিত্তিতে গ্রাহক আমানত বেড়েছে ২৮ শতাংশ এবং গ্রাহক ঋণ বেড়েছে ৭ শতাংশ।
আয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যাংকটির আর্থিক ফলাফল, সাফল্য, সক্ষমতা উপস্থাপনের পাশাপাশি ব্যাংকের ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শেষে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসের উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ- সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩.৫৬ টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ২.৬২ টাকা। ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪২.৬০ টাকা, যা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৩৯.৩৮ টাকা।
২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের একক (স্ট্যান্ডঅ্যালন) আমানত ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ব্যাংকটির দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি কৌশল ও গ্রাহক আস্থার প্রতিফলন। সমন্বিত রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওই) এবং রিটার্ন অন অ্যাসেট (আরওএ) যথাক্রমে ১৭.৩৬ শতাংশ এবং ১.২৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
সমন্বিত মোট আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে সুদ আয়ের পাশাপাশি নন-ফান্ডেড আয়ের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের হার দাঁড়িয়েছে ৩.৩৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ছিল ২.৬৩ শতাংশ।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন আর্থিক সাফল্য সম্পর্কে ব্যাংকটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, “ব্র্যাক ব্যাংকের এ সাফল্য গ্রাহক, সমাজ ও দেশের প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির উদাহরণ। গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের আস্থা ও বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে আমরা উদ্ভাবন, ক্ষমতায়ন এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান অব্যাহত রাখতে বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও বলেন, “বছরের পর বছর ধরে ধারাবাহিক সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সকল স্টেকহোল্ডারদের কাছে ব্র্যাক ব্যাংক এখন এক আস্থার নাম। কর্পোরেট সুশাসন, কমপ্লায়েন্স এবং মূল্যবোধ-নির্ভর ব্যাংকিংয়ে ব্র্যাক ব্যাংক রোল-মডেল হিসেবে স্বীকৃত। এমন অর্জনের জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহকদের প্রতি— তাঁদের অবিচল আস্থার জন্য, আমাদের চেয়ারপারসন ও পরিচালনা পর্ষদের প্রতি— তাঁদের ধারাবাহিক দিকনির্দেশনার জন্য এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি তাঁদের দূরদর্শী রেগুলেটরি দিকনির্দেশনা ও নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার জন্য।”
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার পার হতে চলছে আরএফআইডি রেজিস্ট্রেশন

কোথাও না থেমেই আরএফআইডি স্ক্যানের মাধ্যমে বিকাশে টোল পরিশোধ করে সরাসরি যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার পারাপারের জন্য রেজিস্ট্রেশন চলছে। এ লক্ষ্যে দেশের দীর্ঘতম ফ্লাইওভারটির বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হয়েছে বুথ যেখানে চার চাকার যানবাহনের (গাড়ি, জিপ, মাইক্রোবাস, পিকআপ ইত্যাদি) আরএফআইডি রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে।
এদিকে, মোটরসাইকেলের নিরবচ্ছিন্ন পারাপারের জন্য কিউআর রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে বুথগুলোতে। টোল পয়েন্টে সেকেন্ডের মধ্যেই কিউআর স্ক্যান করে বিকাশে টোল পরিশোধিত হয়ে ফ্লাইওভার পারাপার করতে পারছেন মোটরসাইকেল আরোহীরা।
স্বয়ংক্রিয় এই পদ্ধতিতে, ফ্লাইওভারের আটটি বের হওয়ার পথে আর লাইনে অপেক্ষা করে ক্যাশ টাকায় টোল দিতে হবে না। তার পরিবর্তে, যানবাহনের গায়ে লাগানো আরএফআইডি স্টিকারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্যান হয়ে কোথাও না থেমেই সরাসরি ফ্লাইওভারটি পার হওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে। স্টিকারযুক্ত যানবাহনগুলো আরএফআইডি লেন ব্যবহার করে টোল প্লাজা পার হওয়ার সময় সেখানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার খুলে যায়। ফলে বাড়তি কোন সময়ই লাগে না।
যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার এর বিভিন্ন প্রান্তে বসানো বুথগুলোর পাশাপাশি, বিকাশ অ্যাপের টোল আইকন থেকে ‘যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার’ সিলেক্ট করেও আরএফআইডি রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে। এখানে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করলে গ্রাহকের মোবাইলে একটি ওটিপি চলে আসবে। ওটিপি বসিয়ে নিশ্চিত করলেই গ্রাহকের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবার পর নিকটস্থ রেজিস্ট্রেশন বুথ থেকে আরএফআইডি স্টিকার সংগ্রহ করতে হবে।
একই পদ্ধতিতে বিকাশ অ্যাপের টোল আইকন থেকে ‘যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভার’ সিলেক্ট করে অ্যাড ট্রিপ অপশন থেকে পে উইথ বিকাশ নির্বাচন করে ট্রিপ সংখ্যা, বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর, ভেরিফিকেশন কোড ও পিন দিয়ে ট্রিপ কিনতে হবে।
এছাড়া, যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান ফ্লাইওভারের ট্রিপ কিনতে পেমেন্ট বিকাশ করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১০% ক্যাশব্যাক, দিনে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে একজন গ্রাহক মাসে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন। ক্যাশব্যাক পাবার জন্য বিকাশ অ্যাপ থেকে রেজিস্ট্রেশন করে বিকাশ পেমেন্ট গেটওয়ে-এর মাধ্যমেই ট্রিপ কিনতে হবে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে ঢাকা কমার্স কলেজের মধ্যে চুক্তি

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ঢাকা কমার্স কলেজের মধ্যে একটি কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে এ কলেজের শিক্ষার্থীরা সকল একাডেমিক ফি সরাসরি ইসলামী ব্যাংকের যেকোনো শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট আউটলেট এবং অনলাইনে সেলফিন ও এম-ক্যাশের মাধ্যমে জমা দিতে পারবে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
ঢাকা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আবু মাসুদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মো. সাইফুল আলম, উপাধ্যক্ষ (একাডেমিক) প্রফেসর ড. কাজী ফয়েজ আহমেদ ও উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) প্রফেসর আবু নাঈম মো. মোজাম্মেল হোসেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ব্যাংকের ঢাকা সেন্ট্রাল জোনপ্রধান মো. মাহবুব এ আলম।
এসময় ব্যাংকের বিজনেস প্রমোশন অ্যান্ড মার্কেটিং ডিভিশন প্রধান মো. মজনুজ্জামান এবং মিরপুর শাখা প্রধান মো. আনিসুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
দুবাইয়ে মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পেলেন রিমঝিম গ্রুপের এমডি

আবাসন খাতে আস্থা এবং নির্ভরতার স্বীকৃতিস্বরূপ ২৫তম আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পেলেন রিমঝিম গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) ওয়ালিউর রহমান। বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট জগতে বিশেষ অবদানের জন্য এই সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি। ওয়ালিউর রহমান জাতীয় দৈনিক নয়া শতাব্দীর প্রকাশক।
মঙ্গলবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের মিলেনিয়াম প্লাজা ডাউন টাউন হোটেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ বিশিষ্টজনদের সম্মাননা দেয়ার আয়োজন করে মাদার তেরেসা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কমিটি।
সাংস্কৃতিক আয়োজন শেষে শুরু হয় সম্মাননা প্রদান। ওয়ালিউর রহমানের হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেন ভারতীয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা ইয়াকুব আল আলি।
এ বছর সংগীতে অবদানের জন্য কবিতা কৃষ্ণ মূর্তি, সামাজিক ক্ষেত্রে নাদিয়া আল সাইয়িদ, সাহিত্যে কবি ড. শিহাব ঘানেম, অভিনয়ে রাজপাল যাদব, বাণিজ্যে শ্রী হর্ষবর্ধন নিয়তিয়া, হলিউড স্টুডিও ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক তারিক আহমেদ নিজামি, চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তার সরোষ মন্ডলসহ অন্যদের সম্মানিত করা হয়।
কাফি