কর্পোরেট সংবাদ
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মুনাফায় শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক

বিদায় নিয়েছে ঘটনাবহুল ২০২৪ সাল। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের ছোয়া লাগে অর্থনৈতিক খাতেও। কয়েকটি ব্যাংক দূর্বৃত্তায়নের ছোবলে বেকায়দায় পড়লেও অধিকাংশ ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসে অগ্রগতির ধারায় রয়েছে। যার ফলে ২০২৪ সালের বার্ষিক হিসেবে অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফাও আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এই প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২৪ সালের প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করেছে ব্যাংকগুলো। তবে বিস্তারিত ব্যালান্সশিট প্রস্তুত করতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। প্রাথমিক হিসাব-নিকাশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীন ও বহি:নিরীক্ষক দ্বারা যাচাই-বাছাই এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন শেষে চূড়ান্ত হবে। তাই প্রাথমিকভাবে পরিচালন মুনাফার যে তথ্য পাওয়া গেছে তা চূড়ান্ত নয়। আবার এই পরিচালন মুনাফা ব্যাংকের প্রকৃত বা নিট মুনাফা নয়। এই পরিচালন মুনাফা থেকে প্রভিশন সংরক্ষন এবং কর পরিশোধের পর নিট মুনাফা জানা যাবে। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ব্যাংকই তাদের পরিচালন মুনাফার তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হয়নি।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চতুর্থ প্রজন্মের ৯টি ব্যাংকের মধ্যে ৬টি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১৯ পরিচালন মুনাফা করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। ২০২৩ সালে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ৩৭৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে এনআরবিসি ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। এদিকে আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ ও অতিরিক্ত তারলেও সমসাময়িক ব্যাংকগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৮ কোটি টাকা করেছে মধুমতি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল। এছাড়া সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ২২৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০৪ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ১৭৪ কোটি টাকা মুনাফা করা মিডল্যান্ড ব্যাংক বিদায় বছরে পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে ২১০ কোটি টাকা। এছাড়া মেঘনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৬৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০৫ কোটি টাকা এবং এনআরবি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ১৪৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৪ সাল শেষে হয়েছে ২০২ কোটি টাকা।
চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক কয়েক বছর ধরেই লোকসানের ধারায় রয়েছে। অন্যদিকে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সংঘবদ্ধ দুর্নীতির কারণে ডুবতে বসেছে। ব্যাংক দুটির ক্ষতের পরিমান জানতে আন্তর্জাতিক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা বিশদ ফরেনসিক পরিদর্শন শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের মুনাফা কত হয়েছে এটি এখনো বলার সময় আসেনি। তবে এনআরবিসি ব্যাংক চেষ্টা করেছে সর্বোত্তম সেবা দিয়ে গ্রাহকদের আস্থা অর্জনের। এজন্য আমাদের আমানত সংগ্রহ বেড়েছে। অন্যদিকে ঋণের আদায়ও বেড়েছে। নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য প্রান্তিক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করা। অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে আমরা সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নিম্ন আয়ের মানুষদেরকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবা দিয়ে যাবো।
এদিকে দেশের বড় ব্যাংকগুলোর মুনাফায় বড় ধরনের উলম্ফন হয়েছে। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এছাড়া পূবালী ব্যাংকের ২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, সিটি ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংকের ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংকের ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংকের ৯৭৫ কোটি টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮৫০ কোটি টাকা, ওয়ান ব্যাংকের ৮৩০ কোটি টাকা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬৪৪ কোটি টাকা।
ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন গণমাধ্যমে বলেন, ঋণের সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা উঠে যাওয়ার পর তাদের নিট সুদ আয় বেড়েছে। আপনি বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, ভালো ব্যাংকগুলোর মোট সুদ আয়ের ৬০-৭০ শতাংশ আসছে ঋণ খাত থেকে। আর ২০ শতাংশের মতো সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে এবং বাকিটা অন্য ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট ইত্যাদি রেখে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ভালো ব্যাংকগুলো এখন তাদের আয়ের এক-চতুর্থাংশই সুদের বাইরে থেকে আয় করা শুরু করেছে। অর্থাৎ জনগণকে নানা সেবা দিয়ে তার বিনিময়ে সামান্য ফি-কমিশন চার্জ করে তারা আয় বাড়াতে পারছে। সুদনির্ভর ব্যালান্স শিট থেকে সেবা বাবদ অর্জিত ফি নির্ভর ব্যালান্স শিটে যেতে পারাটা সত্যিকারের আধুনিক ব্যাংকিং। আবার এটিও সত্যি যে এ বছর অনেক ব্যাংক পারফরম্যান্স খারাপ করার কারণে তুলনামূলক সুনামসম্পন্ন ব্যাংকগুলো আরো বেশি ভালো করেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও, সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগে গ্রাহক সমাবেশ

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল ও ঝালকাঠি শাখার উদ্যোগে গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) এ গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুস সায়াদাত। এসময় বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী, ব্যাংকের শরী’আহ সুপারভাইজরী কমিটি সেক্রেটারিয়েটের প্রধান সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, ব্যাংকের ঝালকাঠি শাখার ব্যবস্থাপক সৈয়দ কামরুল আহসান, বরিশাল শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রুহুল আমীন শরীফ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাজমুস সায়াদাত বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের উপস্থিতিতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের প্রতি আস্থা রাখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সাময়িক সংকট কাটিয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে এখন পূর্বের মত স্বাভাবিক ব্যাংকিং সেবা দেয়া হচ্ছে। তিনি সকলকে এই ব্যাংকের সাথে থাকার অনুরোধ করেন।
বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এর চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী ব্যাংকের সেবার মান আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, সেবার মান ভালো হলে গ্রাহকগণের আস্থা দ্রুতই ফিরে আসবে।
বরিশাল শাখার গ্রাহক ড. হাবিবুর রহমান ব্যাংকের সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন যে, এই ব্যাংকে তার প্রায় সাত কোটি টাকার ক্যাশ ওয়াকফ হিসাব রয়েছে।
একই অভিমত ব্যক্ত করেন ব্যাংকের গ্রাহক প্রফেসর আব্দুর রব এবং তিনি শরীআহভিত্তিক ব্যাংকিং এর সুফল তুলে ধরেন। ঝালকাঠি শাখার গ্রাহক নিজামউদ্দীন, পরিচালক (অব:), ইসলামিক ফাউন্ডেশন উল্লেখ করেন, নেতিবাচক প্রচারণার কারণে গ্রাহকগণ সাময়িকভাবে কিছুটা আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছিল। তবে গ্রাহকদের মাঝে আস্থা আবার ফিরতে শুরু করেছে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার মাহফুজ খান শুরু থেকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাথে ব্যাংকিং করছেন উল্লেখ করেন। তিনি এই ব্যাংকের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং স্বাভাবিক লেনদেন যাতে ব্যাংকটি সবসময় করতে পারে সেজন্য তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশ্বাস্ত করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ও অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের সকল গ্রাহক, কমকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যগণ অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালের বিভিন্ন ধরণের সেবা গ্রহণে বিশেষ ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. সারওয়াত জাবিন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করেন।
এসময় ব্যাংকের ঢাকা দক্ষিণ জোন প্রধান মো. আবদুর রশিদ, মার্কেটিং ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের প্রধান মো. ফরিদুর রাহমান জালাল, পাবলিক এ্যাফেয়ার্স এন্ড ব্রান্ড কমিউনিকেশন ডিভিশনের প্রধান নাজিম আনওয়ার, কাকরাইল শাখার ব্যবস্থাপক রহিম খানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশের সহযোগিতায় ‘শাহ আব্দুল করিম লোক উৎসব’

‘বন্ধে মায়া লাগাইছে, দিওয়ানা বানাইছে’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘বসন্ত বাতাসে সইগো’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’, ‘তুমি বিনে আকুল পরান’- এরকম অসংখ্য কালজয়ী গান ও এর স্রষ্টাকে শ্রদ্ধায় স্মরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব-২০২৫’।
বাউল সম্রাটের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সুনামগঞ্জের দিরাই-এ শাহ আবদুল করিম পরিষদ আয়োজিত এই উৎসবের আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো সহযোগী ছিলো দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
বাংলা লোকগানের এই অমর স্রষ্টার স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে কালনী নদীর তীরে উজান ধল মাঠে আয়োজিত হয়ে আসছে এই উৎসব। শুক্রবার শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি ও বাউল সম্রাট পুত্র শাহ নুর জালাল এতে সভাপতিত্ব করেন।
এবারের উৎসবের উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) সহ অন্যান্যরা।
এরপর, সারাদেশ থেকে আসা লোক সঙ্গীতের শিল্পী ও ভক্ত-অনুরাগীরা বাউল সম্রাটের সৃষ্টিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতে গান-শ্রদ্ধা-স্মরণে মাতিয়ে রাখেন দুটি রাত। স্থানীয় তরুণ-বৃদ্ধ-মহিলাদের পাশপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশের বাইরে থেকেও আসা ভক্ত-সুধীজনেরা অংশ হয়ে উঠেন এই প্রাণের উৎসবের।
উৎসবকে কেন্দ্র করে উজানধল মাঠে নানা পণ্যের পসরা নিয়ে এবারো জমে ওঠে বর্ণিল মেলা। আবহমান গ্রামীণ মেলার অন্যতম অংশ- মুড়ি মুড়কি ও মিষ্টির দোকান, খেলনা, গৃহস্থালি নানান পণ্যের ছোট ছোট স্টলে সেজে উঠে পুরো উজানধলের মাঠ।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে এই উৎসব আয়োজনের সহযোগী বিকাশ-এর চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) বলেন, বিকাশ সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে সহজে, নিরাপদে আর্থিক সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে। এই সেবাগুলো দেয়ার পাশাপাশি দেশের আবহমান সংস্কৃতির চর্চায়ও যেনো আমরা ভূমিকা রাখতে পারি, সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এমন এক মহান ব্যক্তিত্বের স্মরণে আয়োজিত এই লোক উৎসবের সহযোগী হতে পেরে আমরা নিজেদেরকে গর্বিতও মনে করছি।
বরাবরের মতো এবারো উৎসব আয়োজনে সহযোগিতার জন্য বিকাশ ও গ্রামবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানান শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি ও বাউল সম্রাট পুত্র শাহ নুর জালাল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের বার্ষিক প্রীতিমিলনী ও বনভোজন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে বার্ষিক প্রীতিমিলনী ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের ‘ঢালী’স আম্বার নিবাস রিসোর্টে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট একেএম মাহবুব মোরশেদ।
ইসলামী ব্যাংক অফিসার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আব্দুল জলিল।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। এসময় অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. মাহবুব আলম, মাহমুদুর রহমান, কে. এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমানসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রিসোর্টের মনোরম পরিবেশে খেলাধুলা, র্যাফেল ড্র, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ এ প্রীতিমিলনী ও বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।
এসএম