জাতীয়
শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পরিচালিত হত্যাকাণ্ড এবং গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ মোট ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে সরকার। এদের মধ্যে গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ জনের এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘গুমের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাইয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭৫ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে।’
আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, আইনগতভাবে একাধিক পাসপোর্ট থাকার বিধান নেই। পাসপোর্ট বাতিল হলে কূটনৈতিক পাসপোর্টই বাতিল হয়েছে।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি দেশটিতে অবস্থান করছেন। ছাত্র–জনতার আন্দোলনে সহিংসতায় শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করছে সরকার। প্রথম ধাপের তালিকায় শহীদ ৮২৬ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। ওই মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিগত ১৫ বছরে দেশে বহু মানুষ গুম হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত গুমের ঘটনাগুলো তদন্ত করতে একটি কমিশন গঠন করে। ওই কমিশন ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে একটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। তাতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর নৃশংস নির্যাতনের চিত্র উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক বিভিন্ন ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে ৪৮ ঘণ্টা থেকে কয়েক সপ্তাহ, কয়েক মাস, এমনকি ৮ বছর পর্যন্ত গোপন বন্দিশালায় আটকে রাখা হতো। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিকে মাথায় গুলি করে হত্যার পর লাশের সঙ্গে সিমেন্টভর্তি ব্যাগ বেঁধে ফেলে দেওয়া হতো নদীতে। আবার কারও লাশ ছিন্নবিচ্ছিন্ন করতে ফেলে রাখা হতো রেললাইনে।
এই কমিশন ১ হাজার ৬৭৬টি জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ৭৫৮টি অভিযোগ পর্যালোচনা করেছে তারা। কমিশন এখন পর্যন্ত যে ৭৫৮ জনের অভিযোগ যাচাই-বাছাই করেছে, তার মধ্যে ৭৩ শতাংশ ভুক্তভোগী ফিরে এসেছেন। বাকি ২৭ শতাংশ (অন্তত ২০৪ জন) এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
কাফি

জাতীয়
চেয়ারম্যান থাকলে আলোচনা নয়, এনবিআর ঐক্য পরিষদের হুঁশিয়ারি

চেয়ারম্যান থাকলে আলোচনা নয় বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে এনবিআর ঐক্য পরিষদ। রোববার (২৯ জুন) সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে এ কর্মসূচি চলাকালে এমন হুঁশিয়ারি দেন তারা।
জাতীয়
১৬ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ ঘোষণা, ৫ আগস্ট ‘গণ-অভ্যুত্থান দিবস’

১৬ জুলাইকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। একইসঙ্গে ৫ আগস্ট ‘গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ’ দিবস, ৫ আগস্ট ‘গণঅভ্যুত্থান’ দিবস পালিত হবে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, ৮ আগস্ট কোনও দিবস পালিত হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
এর আগে, গত বুধবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের তারিখ, অর্থাৎ ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।
পরিপত্রে দিবসটিকে প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছিল।
কাফি
জাতীয়
আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি: আলী রীয়াজ

গত সাতদিন ধরে আমরা আলোচনা করেছি। বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি হলেও সত্যি কথা হচ্ছে, আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমরা খানিকটা পিছিয়ে আছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
রোববার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় দফার সপ্তম দিনের বৈঠক শুরুর আগে তিনি এসব কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, এই অগ্রগতির জায়গাটা অর্জন করা দরকার এই কারণে, আমরা কেউই চাই না আগের জায়গাটায় ফিরে যেতে। এটা আগামীকাল, আগামী দিনের বিষয় না। এটা দীর্ঘদিনের বিষয়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হবো। যে ব্যবস্থা ফ্যাসিবাদী শাসনকে তৈরি করেছে, তার কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো আমাদের করতে হবে। এই সংকল্প থেকে সমস্ত কিছু পাশে রেখে আমরা সমবেত হয়েছিলাম। আপনাদের কর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন, নিপীড়ন সহ্য করেছেন। সেই রক্তের ওপর পা রেখে আমরা এখানে এসেছি।
কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, কমিশন আপনাদের প্রতিপক্ষ না। কমিশন আপনাদেরই অংশ, আমরা একটা দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। আপনাদের অবস্থানের কারণে কমিশনের নমনীয়তা প্রকাশিত হয়েছে। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে এই, আপনারাই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন। আপনাদের মধ্য দিয়েই এক সময় দেশ শাসিত হবে।
তিনি বলেন, ৭০ অনুচ্ছেদের ক্ষেত্রে কমিশনের যে প্রস্তাব ছিল সেখান থেকে কমিশন আলোচনার মধ্যদিয়ে সরে এসেছে। স্থায়ী কমিটিগুলোর বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাব ছিল এক রকম, কিন্তু আমরা আলোচনার মধ্য দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত এক জায়গায় এসেছি, সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। উচ্চকক্ষের বিষয়ে দুটি প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে একটি, ১০৫ জন সদস্যকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন দেবেন। আপনারা এই বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন। সঙ্গতভাবে কমিশন এই জায়গা থেকে সরে এসে ১০০ জন সদস্যের উচ্চকক্ষ তৈরির বিষয়ে একমত হতে পেরেছি। মূলনীতির ক্ষেত্রে কমিশনের কিছু প্রস্তাব ছিল সংবিধান সংস্কার কমিশনে। সেখানে আমরা আলোচনা করেছি, অনেকটা অগ্রসর হয়েছি। আরও আলোচনা করব।
আলী রীয়াজ বলেন, আর এক দিন পর জুলাই মাস। কমিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আমরা আন্তরিক থাকতে চাই। জুলাই মাসের মধ্যেই যেন আমরা একটি জাতীয় সনদে উপনীত হতে পারি। সেই প্রচেষ্টায় আমাদের একটা স্বপ্ন ছিল। আমরা আশা করেছিলাম আবু সাঈদের শাহাদাতবার্ষিকীতেই সবাই মিলে সনদে স্বাক্ষর করতে পারব। সেটা কতটা সম্ভব হবে তা আপনাদের ওপর নির্ভর করে। আমরা খানিকটা শঙ্কিত যে, সে জায়গায় যাব না। তবে এটা আমরা বলতে পারি জুলাই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়ার একটা পরিণতির দিকে যেতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে এগিয়ে যেন কোনো ধরনের সংবিধান সংশোধন না হয়, সেটা সাংবিধানিকভাবে নিশ্চিত করা দরকার। ব্যক্তির ক্ষমতা সীমিত করা প্রয়োজন হচ্ছে এই কারণে, শেষ পর্যন্ত শাসনের ক্ষেত্রে এক ধরনের ব্যক্তিতান্ত্রিকতা তৈরি হয়েছিল এবং তার আশঙ্কাকে আমরা উড়িয়ে দিতে পারছি না। সাংবিধানিকভাবে এ রক্ষাকবচগুলো আমাদের তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
আজকের সভায় আলোচনার বিষয়গুলো হচ্ছে- সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কমিটি; দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট; উচ্চকক্ষের নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা।
জাতীয়
কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, মূল আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি ফজর আলীকে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও বিবস্ত্র ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২৯ জুন) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফজর আলী (অভিযুক্ত ধর্ষক) এবং ভিডিও ধারণকারী অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু। সবাই মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে মুরাদনগরে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসা এক নারীকে পাঁচকিত্তা গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে ফজর আলী কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ধর্ষণ করেন। ঘটনার সময় আশপাশের কয়েকজন লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে ভিডিও ধারণ করে এবং পরে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
পরে স্থানীয়দের কাছে মারধরের শিকার হয়ে পালিয়ে যায় ফজর আলী। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী নারী নিজেই বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় আলাদা একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, মূল আসামি ফজর আলীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও ছড়ানোয় জড়িত চারজনকে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কাফি
জাতীয়
একদিনে ডেঙ্গুতে আরও এক শিশুর মৃত্যু, আক্রান্ত ২৬২

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২৬২ জন। শনিবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আটজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৪০ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ছয়জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) তিনজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের এ যাবত আট হাজার ৩৮০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ২৮ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন নয় হাজার ৪৮৪ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক নয় শতাংশ পুরুষ ও ৪১ দশমিক এক শতাংশ নারী রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে ৪১ জন মারা গেছেন। মৃত একজন বরিশাল বিভাগের বাসিন্দা।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মারা যান ৫৭৫ জন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।