অর্থনীতি
আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর আহ্বান যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের
বাংলাদেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানোর ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল। তারা বলেছে, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। সেই বিনিয়োগ আকর্ষণে এ দেশের আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো জরুরি।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ব্যবসায়ী–শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) নেতাদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় এমন আহ্বান জানান ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইউকেবিসিসিআই) চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ।
এফবিসিসিআই ও ইউকেবিসিসিআইয়ের মধ্যকার এই মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান। এফবিসিসিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের জ্বালানি, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, ব্লু ইকোনমি, পর্যটনসহ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এফবিসিসিআইয়ের নেতারা।
বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সম্ভাবনাময় খাতগুলোর খোঁজ-খবর নিতে ইউকেবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসে। প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন ইউকেবিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী হলে উভয় পক্ষই সুফল পাবে বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থার সুফল কাজে লাগাতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ), অগ্রাধিকারভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) ইত্যাদি বিষয়ে দুই দেশকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য রূপা হক।
মত বিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক মো. আবদুল হক, প্রবীর কুমার সাহা, সাফকাত হায়দার, ওবায়দুর রহমান, গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, নাসরিন ফাতেমা আউয়াল প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মোটরসাইকেল-ফ্রিজ-এসি উৎপাদনকারীদের কর দ্বিগুণ করল সরকার
খুচরা যন্ত্রাংশসহ পূর্ণাঙ্গ ফ্রিজার, রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল, এয়ারকন্ডিশনার ও কম্প্রেসর তৈরি করা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়কর ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে এ ধরনের শিল্প তাদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দিচ্ছে এবং শিল্পের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও উপকরণ আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) দিচ্ছে-যা ২০৩২ সাল পর্যন্ত বলবত থাকার কথা ছিল।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাজারে চালের ঘাটতি নেই, দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। নিজস্ব মজুদেও ঘাটতি নেই। স্থানীয় উৎপাদনেও ঘাটতি নেই। আমরা আমনের ভরা মৌসুম পার করছি। ঠিক এই মুহূর্তে বাজারে এই দামের কোনো যৌক্তিক কারণ আমরা দেখছি না। এটার কারণ আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি, বোঝার চেষ্টা করছি। আমাদের কাছে এটা অযৌক্তিক মনে হচ্ছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যে দাম নেমে আসবে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বেগুনবাড়ি দীপিকার মোড়ে দেশব্যাপী স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বশিরউদ্দীন বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে বিশেষ করে নাজিরসাইল ও মিনিকেট, এই দুইটা চালের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা লেভেলে যে ধরনের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তার থেকে পাইকারি লেভেলে দামের বৃদ্ধিটা অনেক বেশি।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে যে আমদানিকে উদারীকরণ করতে পারি। আলুর ক্ষেত্রেও আমরা উদারীকরণ করেছি। আলুর দাম ব্যাপকভাবে নেমে এসেছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, সাময়িক মজুদদারীর ঘটনা ঘটছে। বাণিজ্য উদারীকরণের জন্য গতকাল আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ টিসিবির চেয়ারম্যানাকে নিয়ে বসেছি। বাজারের সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য আপাতত আমদানিকেন্দ্রীক ব্যবস্থা নিচ্ছি। ব্যাপক আমদানি প্রস্তুতি চলছে। আমদানি ব্যাপকতার ফলে স্থানীয় বাজারে দামের হ্রাস ঘটবে। যারা মজুদ করছেন তারা ভোক্তাদের কষ্টের সাময়িক মুনাফা করছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টিসিবির চেয়রাম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবালসহ টিসিবির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ৩৫ শতাংশ ঋণ এখন খেলাপি
ব্যাংক–বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুরবস্থা কাটছে না। উপরন্তু দিন দিন খেলাপি ঋণ বাড়ছে। আর্থিক খাতের বহুল আলোচিত ব্যক্তি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যে অনিয়ম করে গেছেন, তার জের টানতে হচ্ছে এখন পুরো খাতকে। পি কে হালদারের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় ছিল, এমন কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানেই এখন খেলাপি ঋণের হার সবচেয়ে বেশি। এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এ কারণে সার্বিকভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে।
গত সেপ্টেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ২৬ হাজার ১৬৩ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৩৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। গত জুন শেষে এই খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ২৪ হাজার ৭১১ কোটি টাকা, যা ছিল মোট ঋণের ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। ফলে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ডিসেম্বরের শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা, যা ছিল ওই সময়ের মোট ঋণের ২৯ দশমিক ২৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি হারে খেলাপি ঋণ বাড়ছে ব্যাংকে। কারণ, ব্যাংকগুলোর লুকানো খেলাপি ঋণ এখন সামনে আসছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কয়েক বছর ধরেই কঠোর তদারকির কারণে প্রকৃত খেলাপি ঋণ দেখিয়ে আসছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে তদারকি শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে। এ জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেশি বাড়ছে।
খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো অস্থিরতা কাটেনি। কয়েকটি ব্যাংকের তারল্যসংকট প্রকট হওয়ায় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থাও খারাপ হয়েছে। কিছু ব্যাংক যখন গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়, তখন কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে আমানত সরিয়ে নেন অনেক গ্রাহক। এ কারণে ওই সব আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ বিতরণ কমিয়ে দেয়। ফলে তাদের আমানত ও ঋণ দুই-ই কমে গেছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৭ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চে তা কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৪৭ হাজার ৩০ কোটি টাকা। জুনে আমানত আবার বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ হাজার ৯০৬ কোটি টাকায়। এরপর গত সেপ্টেম্বরে আবার আমানত কমেছে। গত সেপ্টেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, তহবিল-সংকটের কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন সেভাবে ঋণ বাড়ছে না। গত বছরের জুন শেষে এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ঋণের স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর শেষে আরও কমে হয়েছে ৭৩ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, পি কে হালদার-সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এফএএস ফিন্যান্সে খেলাপি ঋণ ৯৯ দশমিক ৯২ শতাংশ, টাকার অঙ্কে যা ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা। ফারইস্ট ফিন্যান্সের খেলাপি ঋণ ৯৮ শতাংশ, টাকার অঙ্কে যা ৮৭২ কোটি টাকা। ৯৭ শতাংশ ঋণ খেলাপি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) ও পিপলস লিজিংয়ের। এ ছাড়া ৯০ শতাংশের কম-বেশি খেলাপি ঋণ ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ফিনিক্স ফাইন্যান্স, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফার্স্ট ফিন্যান্স, আভিভা ফিন্যান্সসহ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের।
দেশের প্রথম আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো আইপিডিসি ফিন্যান্স, যেটির যাত্রা শুরু হয় ১৯৮১ সালে। বর্তমানে দেশে ৩৫টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের নিচে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নাফিজ সরাফাত পরিবারের বাড়ি, জমি ও ১৮ ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ
পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত, তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহিদ, ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের নামে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা ১৮টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া নাফিজ সারাফত ও আঞ্জুমান আরা শহিদের নামে থাকা জমিসহ বাড়ি, প্লটও ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের কোর্ট পরিদর্শক আমির হোসেন এ তথ্য জানান।
ক্রোক করা সম্পদের মধ্যে নাফিজ সারাফাতের নামে গুলশানের ২০তলা একটি বাড়ি, গুলশানের একটি, ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট বাজারের চারটি, নিকুঞ্জ উত্তর আবাসিক এলাকায় একটি এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ, নিকুঞ্জের দুটি প্লট, বাড্ডার কাঠালদিয়ার আড়াই কাটা, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের ১০ কাঠা করে ২০ কাঠা, গাজীপুর সদরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ জমি, নিকুঞ্জরের জোয়ার সাহারায় ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ জমি, নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের রাজউক পূর্বাচল প্লটে সাড়ে ৭ কাঠা জমি রয়েছে।
আঞ্জুমান আরা শহিদের নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সাড়ে সাত কাঠা জমির ওপর চারতলা বাড়িসহ জমি, পান্থপথে একটি, গুলশান লিংক রোডে একটি, মিরপুর ডিওএইচএসতে একটি, শাহজাদপুরে একটি ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের ৫০ শতাংশ, নিকুঞ্জে তিন কাঠা জমি, বাড্ডার কাঠালদিয়া আড়াই কাঠা নাল জমি ও গাজীপুর সদরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ চালা জমি রয়েছে।
রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের নামে বনানীতে থাকা তিনটি ও বারিধারায় থাকা চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রধান কমিশনের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান এসব স্থাবর সম্পদ ক্রোকের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, নাফিজ সারাফাত ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে ঘুস, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা ও নিজেদের মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান চলমান। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চৌধুরী নাফিজ সারাফত, আঞ্জুমান আরা শহিদ ও চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফতের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে এবং তারা পলাতক রয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত স্থাবর সম্পত্তি দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে অর্জন করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা স্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাতের জন্য চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এসব স্থাবর সম্পত্তি অবিলম্বে ক্রোক করা আবশ্যক।
দুদেকর পক্ষে মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। পরে তাদের এসব সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুলাই-সেপ্টেম্বরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১.৮১ শতাংশ
গত চার বছরের মধ্যে এ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মোট দেশজ উপাদানের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এ হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের তিন মাসে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এছাড়া শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮ দশমিক ২২ শতাংশ। সেবা খাতে গত তিন মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।