আন্তর্জাতিক
পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার দেশটির রাজধানী অটোয়ায় নিজ বাসভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি।
লিবারেল পার্টির নেতা ট্রুডো ৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেছেন, নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি পদত্যাগের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর সফলতার পেছনে পরিবারের ভূমিকা রয়েছে। গত রাতে নৈশভোজের সময় সন্তানদের কাছে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান।
ট্রুডো ২০১৫ সালে লিবারেল পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন করে কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করার মতো প্রগতিশীল অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
আদানির কাছ থেকে পুরো বিদ্যুৎ সরবরাহ চেয়েছে বাংলাদেশ

ভারতে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ চাইছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। গত তিন মাসের বেশি সময় ধরে সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে সেখান থেকে। এর কারণ হলো বকেয়া পরিশোধ ইস্যু ও শীতে চাহিদা কম থাকা।
বকেয়া পরিশোধে দেরি হওয়ার কারণে ভারতীয় কোম্পানিটি ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে সরবরাহ অর্ধেক করে। এরপর নভেম্বর থেকে একটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ থাকে। সে সময় বাংলাদেশও আদানিকে অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহের কথা বলেছিল।
বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধের জন্য আদানিকে মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে এবং এখন কোম্পানিকে দ্বিতীয় ইউনিট থেকেও সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে বলা হয়েছে।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের বর্তমান চাহিদা অনুসারে দ্বিতীয় ইউনিটটি চালুর পরিকল্পনা করেছিল আদানির প্রতিষ্ঠান। তবে উচ্চ কম্পন ও কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন পেমেন্ট করছি। আমরা আরও অর্থ পরিশোধের চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্দেশ্য ওভারডিউ কমানো। এখন আদানি নিয়ে বড় কোনো সমস্যা নেই।
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি গোষ্ঠীর কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। ৮০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার দুটি ইউনিট আছে এ কেন্দ্রে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে ক্রয় চুক্তি করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলারে নির্মিত ওই কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ বছর কিনবে বাংলাদেশ। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয় ২০২৩ সালের এপ্রিলে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় একই বছরের জুনে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
গুয়াতেমালায় বাস খাদে পড়ে অন্তত ৫১ যাত্রী নিহত

মধ্য-আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, গুয়াতেমালা সিটির বাইরে একটি হাইওয়ে ব্রিজ থেকে সোমবার যাত্রীবাহী বাসটি দূষিত খাদে পড়ে ডুবে যাওয়ায় এই হাতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী এবং তাদের মরদেহ প্রাদেশিক একটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে আটকে পড়াদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।
ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বার্নার্ডো আরেভালো। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাকে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেসিডেন্ট আরেভালো জানান, ভুক্তভোগীদের পরিবারের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাই। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় তাদের কষ্টে আমি সমব্যথী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে সংখ্যালঘুবিরোধী ঘৃণামূলক বক্তব্য বেড়েছে

ভারতে ২০২৪ সালে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য বেড়েছে ৭৪ শতাংশ। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনভিত্তিক রিসার্চ গ্রুপ এ তথ্য জানিয়েছে।
গত বছরের জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এ ধরনের ঘৃণামূলক বক্তব্য বাড়ে উল্লেখযোগ্য হারে।
২০২৪ সালে ইন্ডিয়া হেট ল্যাব এক হাজার ১৬৫টি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এগুলোকে তারা ঘৃণামূলক বক্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করছে। এর আগের বছর দেশটিতে এ ধরনের ৬৬৮টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছিল।
রাজনৈতিক সমাবেশ, ধর্মীয় শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ও সাংস্কৃতিক সমাবেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এসব ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়া হয়।
ওয়াশিংটনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি।
প্রতিবেদনটি এমন এক সময় সামনে এল যখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে কয়েক দিনের মধ্যে বৈঠক হতে চলেছে।
ভারতে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে মোদী সরকারের সমালোচনা করেছে আসছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন।
তবে সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের বিষয়টি অস্বীকার করেছে মোদী সরকার ও বিজেপি।
ইন্ডিয়া হেট ল্যাব জানিয়েছে, গত বছরের এক তৃতীয়াংশ ঘৃণামূলক বক্তব্যের ঘটনা ঘটেছে ১৬ মার্চ থেকে ১ জুন নির্বাচনী প্রচারণার সময়। সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটেছে মে মাসে।
গ্রুপটি এপ্রিলে মোদীর মন্তব্যের উদ্ধৃতি দেয় যেখানে তিনি মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন যাদের বেশি সন্তান রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা বন্ধ করলো সৌদি

হজ ও ওমরাহ পালনে আসা ব্যক্তিদের অতিরিক্ত ভিড় ঠেকাতে ভিসা নীতিতে পরিবর্তন এনেছে সৌদি আরব। বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা স্থগিত করেছে সৌদি আরব। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন এ ভিসানীতি কার্যকর হয়েছে। একই দিন থেকে সৌদি আরব শুধুমাত্র ১৪টি দেশের নাগরিকদের জন্য একক-এন্ট্রি ভিসা প্রদান করছে।
১৪ দেশের মধ্যে রয়েছে: ১. আলজেরিয়া, ২. বাংলাদেশ, ৩. মিশর, ৪. ইথিওপিয়া, ৫. ভারত, ৬. ইন্দোনেশিয়া, ৭. ইরাক, ৮. জর্ডান, ৯. মরক্কো, ১০. নাইজেরিয়া, ১১. পাকিস্তান, ১২. সুদান, ১৩. তিউনিসিয়া এবং ১৪. ইয়েমেন।
নীতিগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে সৌদি সরকার পর্যটন (মাল্টিপল রি-এন্ট্রি ভিসা), ব্যবসা (মাল্টিপল রি-এন্ট্রি বিজনেস ভিসা) এবং শ্রমিকদের পারিবার (ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা) ভ্রমণের জন্য এক বছরের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করল।
ভিসা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পরিবর্তন
নতুন নিয়ম অনুসারে, ১৪টি দেশের পর্যটকরা এখন ৩০ দিনে একবার প্রবেশ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন, যার সর্বোচ্চ মেয়াদ ৩০ দিন। তবে কূটনৈতিক, শ্রমিক, হজ এবং ওমরাহ ভিসায় এর প্রভাব পড়বে না।
সৌদি আরবের কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, অনেক মাল্টিপল রি-এন্ট্রি ভিসাধারী ভিসানীতি ভঙ্গ করে অবৈধভাবে সৌদি আরবে বসবাস করে আসছেন এবং নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। এমনকি অবস্থানের সময়সীমা অতিক্রম হওয়ার পরও পর্যটক ভিসার অপব্যবহার করে হজে অংশগ্রহণ করেছে।
প্রতিটি দেশের জন্য সৌদি সরকারের হজ কোটা নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা, মাল্টিপল রি-এন্ট্রি ভিসায় সৌদি আরব প্রবেশ করে হজে অংশগ্রহণ করায় অতিরিক্ত ভিড়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল। যার ফলে ২০২৪ সালে অতিরিক্ত ভিড় এবং তীব্র গরমে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি হজযাত্রী মারা গিয়েছিলেন।
সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপ
কর্মকর্তারা মাল্টিপল রি-এন্ট্রি ভিসা স্থগিত করার একটি অস্থায়ী পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, তবে পুনর্বিবেচনার জন্য কোনো নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া হয়নি। অতিরিক্ত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে, সরকার নতুন নীতিটি কেমন চলছে তা পর্যবেক্ষণ করছে।
ভ্রমণকারীদের অবশ্যই যে তথ্য জানা উচিত
সৌদি আরবে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক পর্যটকদের পরিকল্পিত ভ্রমণের কমপক্ষে এক মাস আগে একক-প্রবেশ ভিসার জন্য আবেদন করা উচিত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ভ্রমণের সময় জরিমানা বা বিড়ম্বনা এড়াতে নতুন ভিসা নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঝামেলামুক্ত ভ্রমণের জন্য, উপরোল্লিখিত দেশগুলোর পর্যটকদের সৌদি আরবের কঠোর অভিবাসন নিয়ম মেনে চলতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
৮৭০০ অবৈধ প্রবাসীকে ফেরত পাঠালো সৌদি

সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়ে ২১ হাজারের বেশি অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তাদের মধ্যে সাড়ে ৮ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ইতোমধ্যে নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ওই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করেছে বলে সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
রবিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইংরেজি দৈনিক গালফ নিউজ। এতে বলা হয়েছে, আবাসন, শ্রম ও সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সৌদি আরবে ২১ হাজার ৪৭৭ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
গত ৩০ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই প্রবাসীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবাসন আইন লঙ্ঘনের ঘটনায় ১৩ হাজার ৬৩৮ জন, সীমান্ত নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনে ৪ হাজার ৬৬৩ জন এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৩ হাজার ১৭৬ জন রয়েছেন।
একই সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশের চেষ্টার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ হাজার ৩১৬ জন। তাদের মধ্যে ইথিওপিয়ান ও ইয়েমেনি নাগরিকদের সংখ্যা বেশি। গ্রেপ্তারকৃতদের ৫৮ শতাংশ ইথিওপিয়ান, ৪০ শতাংশ ইয়েমেনি এবং অন্যান্য দেশের দুই শতাংশ নাগরিক রয়েছেন। এছাড়া অবৈধ উপায়ে সৌদি আরব ত্যাগের চেষ্টা করায় আরও ৭৭ জন প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আবাসন ও কর্মবিধি লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন এবং আশ্রয় দেওয়ায় সৌদিতে বসবাসরত ১৩ ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত প্রবাসীদের মধ্যে ২৮ হাজার ৬৬১ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর আগে ভ্রমণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্য তাদের নিজ নিজ কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরও ২ হাজার ৯১৯ জনকে প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি চলছে।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটিতে বর্তমানে ৩৭ হাজার ১২০ জন প্রবাসীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৩ হাজার ৫৪৭ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৫৭৩ জন নারী। এই প্রবাসীদের প্রত্যাবাসনের পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন বলে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।
মরু অঞ্চলের দেশ সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের বসবাস। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ অভিবাসী শ্রমিক সৌদিতে কর্মরত রয়েছেন। সৌদি আরবের স্থানীয় গণমাধ্যম নিয়মিতভাবে দেশটিতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন ধরপাকড় অভিযান ও অবৈধ প্রবাসীদের আটকের খবর প্রকাশ করছে।