পুঁজিবাজার
বোরাক রিয়েল এস্টেটের আইপিও বাতিল করল বিএসইসি

আর্থিক প্রতিবেদনে বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদন বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পুঁজিবাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য আবেদন করেছিলো কোম্পানিটি।
আবেদনের সঙ্গে দেওয়া কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে নানা অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হওয়ায় বিএসইসি (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ এর রুল ১৫(৫) এর ক্ষমতা বলে কমিশন কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিল করেছে।
সম্প্রতি বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি কোম্পানির আইপিওর দায়িত্বে নিয়োজিত ইস্যু ম্যানেজার বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও স্বদেশ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে দেওয়া কোম্পানির আইপিও আবেদন, খসড়া প্রসপেক্টাস, তথ্য, সংবেদনশীল তথ্য, ডিএসইর পর্যবেক্ষণ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি ও ব্যাখ্যা যাচাই করে বেশকিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেছে বলে চিঠিতে জানিয়েছে বিএসইসি।
জানা গেছে, কোম্পানিটি আবাসনে তার বিনিয়োগের সম্পদের মূল্য জানিয়েছে ৭০০ কোটি ২০ লাখ টাকা। সেই সাথে ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৬৫২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড (আইএএস) অনুযায়ী, আবাসনে বিনিয়োগ করলে কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে সেই বিনিয়োগের লাভ বা লোকসান হিসাব করতে হবে। তবে ৭০০ কোটি ২০ লাখ টাকায় যে মুনাফা দেখানো হয়েছে তা অবাস্তব প্রমাণ করে।
নিট সম্পদ মূল্যের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোম্পানির সম্পদ মূল্য ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৮১ দশমিক ৩৭ টাকা। যা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮,৫৪ টাকা। অথচ ন্যায্যমূল্য ও আসল মূল্যের লাভ বাদ দিলে সম্পদ মূল্য হতো ৮৫ দশমিক ২০ টাকা। তাই এ অতিমূল্যায়িত নিট সম্পদ মূল্যের বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেই সাথে এই মূল্যে কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং কোম্পানি তাদের আর্থিক অবস্থান ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে।
লভ্যাংশের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেষে আনরিয়ালাইজড মুনাফা কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে দেখিয়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রকৃত নগদ অর্থ প্রবাহ না থাকায় লভ্যাংশ দিতে পারবে না। তাই লভ্যাংশ দিতে গেলে কোম্পানির এই অবাস্তব মুনাফা দেখানো ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
আয়ের বা ইপিএস অসঙ্গতির বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল ২ দশমিক ৯৯ টাকা। যা ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেষে দেখানো হয়েছে ৬৫.২৫ টাকা। ৭০০ কোটি ২০ লাখ টাকা বাদ দিলে তা হবে মাত্র ৪ দশমিক ৬৪ টাকা। যা কোম্পানি অসত্য তথ্য প্রদান করেছে এবং তালিকাভুক্তির পর বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করবে। এছাড়া কোম্পানি ২০২৩ সালের ৩০ জুন যে আর্থিক তথ্য প্রদান করেছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে এবং কোম্পানি অসত উদ্দেশ্যও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মো. নূর আলী বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়েও ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস এবং অন্যান্য অতালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফলে তিনি তালিকাভুক্ত কোম্পানির আইন লঙ্ঘন করেছে।
সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অফ বাংলাদেশের অনুমোদন না পাওয়ায় বনানী ডিএনসিসি ইউনিক কমপ্লেক্স বা শেরাটন হোটেলের ২১ থেকে ২৪তম তলার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যা কোম্পানির আয়ের ওপর একটি উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে এই ঘাটতি শেষ পর্যন্ত বিশেষ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।
সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটি কারওয়ান বাজারে অবস্থিত একটি ১৩ তলা বিশিষ্ট বোরাক জহির টাওয়ার নির্মাণের জন্য রাজউক থেকে অনুমোদন পেয়েছে। অথচ প্রতিবেদনে বিল্ডিংটিকে ২০ তলা হিসেবে দেখানো হয়েছে। যা অনুমোদন এখনো বাকি আছে। সেই সাথে ইস্যুকারীকে দুটি হোটেল প্রকল্পের বিনিয়োগের সম্ভাব্য মূল্যায়ন প্রদান করতে হবে। এর মধ্যে ঢাকায় সাউথ পার্ক সেভেন স্টার হোটেল নির্মাণ, যার জন্য কোম্পানি ৪০০ কোটি টাকা থেকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে চায়। ইউনিক অ্যাক্রোপলিস নির্মাণে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান দ্বারা ব্যাপক ব্যয়-সুবিধা বিশ্লেষণ পরিচালনা করার কথা বলা হয়েছে। যেখানে তহবিলের টাকা ব্যবহার করে এই ধরনের বিনিয়োগের সমালোচনা করা হয়েছে।
আর কোম্পানি হোটেল প্রকল্পগুলোর সম্ভাব্য মূল্যায়ন জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইপিওর বিষয়ে সাথে অসম্মতি জানিয়েছে। কোম্পানির আইপিওর ১৫ শতাংশ শেয়ার কর্মচারীদের বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানালেও তাদের বিও নম্বারসহ প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেয়নি, যা আইনের অসঙ্গতি।
সেই সাথে কোম্পানি গুলশানের প্রকল্প সাউথ পার্কের ৩৯ দশমিক ৪৫ শতক ভূমি পুনঃমূল্যায়ন করে এর মূল্য ৬১ দশমিক ৩১ কোটি থাকে ২২৪.৭০ কোটি বাড়িয়ে ২৮৬.০১ কোটি টাকা দেখিয়েছে। যেখানে কোম্পানি এটাকে বিনিয়োগ সম্পত্তি হিসেবে দেখালেও ভবিষ্যতে অন্যপক্ষের কাছে এই জমি বিক্রি বা ভাড়া দেওয়ার সুযোগ নেই। সুতরাং পুনঃমূল্যায়নের আয় বিবরণীতে দেখানো উচিত হয়নি। আর এর প্রভাব কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অন্যদিকে, বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের সম্পত্তি, প্ল্যান্ট এবং সরঞ্জামগুলো বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক রাখা হয়েছে। যার মাধ্যমে ব্যাংক এবং এনবিএফআইগুলোর কাছ থেকে ঋণ এবং ধার নেওয়া হয়েছে। একইভাবে, কোম্পানির বিনিয়োগ সম্পত্তিও একই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বন্ধক রাখা হয়েছে। এদিকে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের কাছে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের যে শেয়ারগুলো আছে তা ব্যাংক এবং এনবিএফআই থেকে ঋণ এবং ধার নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জামানত হিসাবে বন্ধক রয়েছে। একইভাবে, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউসিবি লিমিটেডের কাছে ঋণের জামানত হিসেবে বন্ধক রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কোম্পানির সম্পত্তি, শেয়ার এবং ইনভেন্টরি বন্ধক, বা জামানত রয়েছে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে খেলাপির ঝুঁকি বাড়ায়। আর ঋণ খেলাপি হলে, ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য এই সম্পদগুলো জব্দ করার অধিকার রাখে, যা কোম্পানির কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে। ফলে কোম্পানির আর্থিক অবস্থার একটি বিভ্রান্তিকর চিত্র উপস্থাপন হতে পারে।
এ কারণে কোম্পানির সার্বিক অসঙ্গতিগুলোর কথা বিবেচনা করে বিএসইসি (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ এর রুল ১৫(৫) এর ক্ষমতা বলে কমিশন কোম্পানির ৪০০ কোটি টাকার আইপিও আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ইস্যু ম্যানেজার বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রিয়াদ মতিন জানান, বিএসইসি কিছু বিষয়ে কোয়েরি দিয়েছে। সেগুলো ঠিক করে পুনরায় আবেদন করতে বলছে বিএসইসি। কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে আমরা বিষয়গুলো ঠিক করার কাজ করছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে পতন, কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন

বিদায়ী সপ্তাহে (১৩ এপ্রিল তেকে ১৭ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের বড় পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেনের সঙ্গে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
চলতি সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৭ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৫২ দশমিক ৫১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ২৯ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৮৪০ কোটি ২১ লাখ টাকা।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৯৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৭টি কোম্পানির, কমেছে ২৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৭ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ। বাকী ৭ শতাংশ বোনাস।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৬১ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ৫ টাকা ০১ পয়সা (রিস্টেটেড)।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৫৭ টাকা ৫৮ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ১৯ জুন বেলা ১২টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ মে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না বিডি ফাইন্যান্স

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্স লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ হিসাববছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ৪১ টাকা ৬১ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর সমন্বিতভাবে ৫ টাকা ৬০ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট দায় ছিল ৩০ টাকা ৫ পয়সা।
আগামী ২৯ মে সকাল ১১ টায় ডিজিটাল হাইব্রিড পদ্ধতিতে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ মে ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সেনা ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ১০৭ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসি ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ১০৭ শতাংশ বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইপিএস হয়েছিল ৯২ পয়সা।
আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি অর্থের প্রবাহ ছিলো ৯ টাকা ৫০ পয়সা। যা গত বছর ছিলো ১ টাকা ৪০ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৬ টাকা ৯৮ পয়সা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আইডিএলসির ২০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, বাকী ৫ শতাংশ বোনাস।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত বছরে সমন্বিতভাবে আইডিএলসি ফাইন্যান্স ২০০ কোটি ২৮ লাখ টাকা নীট মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩২ শতাংশ বেশি। এককভাবে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে ১৬৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা, যা আগের বছরের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বেশি।
সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮২ পয়সা, যা আগের বছর ৩ টাকা ৬৪ পয়সা ছিল।
আলোচিত বছরে কোম্পানিটির আমানতসহ অন্যান্য সূচকও ছিল উর্ধমুখী। সর্বশেষ বছরে গ্রাহকের আমানত বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, পাশাপাশি গ্রুপটি সাফল্যের সাথে ১১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকার লোন পোর্টফোলিও ধরে রেখেছে।
আইডিএলসি ফাইন্যান্সের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইডিএলসি’র রিটার্ন অন ইক্যুইটি (আরওআই) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৩৩% এ; অন্যদিকে রিটার্ন অন অ্যাসেটস (আরওএ) বেড়ে ১.৩৫% হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মূল সম্পদের কার্যকরী ও লাভজনক ব্যবহারের প্রমাণ।
উল্লেখিত বছরে ১০৬.১১% মন্দ ঋণের কভারেজ অনুপাত সহ আইডিএলসি’র মন্দ ঋণের (এনপিএল) অনুপাত ছিল ৪.৪৫%, যা প্রতিষ্ঠানটির আগের বছরের অনুপাতের তুলনায় কম এবং আর্থিক খাতের গড়ের তুলনায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এটি আইডিএলসি’র দক্ষ ঋণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার পরিচয় দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক প্রস্তুতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আইডিএলসি’র দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
আইডিএলসির পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান–আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, এবং আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ২০২৪ সালেও নিজেদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে, যা আইডিএলসি গ্রুপের সাফল্যে অবদান রেখেছে।
কাফি