পুঁজিবাজার
বোরাক রিয়েল এস্টেটের আইপিও বাতিল করল বিএসইসি
আর্থিক প্রতিবেদনে বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদন বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পুঁজিবাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য আবেদন করেছিলো কোম্পানিটি।
আবেদনের সঙ্গে দেওয়া কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে নানা অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হওয়ায় বিএসইসি (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ এর রুল ১৫(৫) এর ক্ষমতা বলে কমিশন কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিল করেছে।
সম্প্রতি বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে (সিইও) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি কোম্পানির আইপিওর দায়িত্বে নিয়োজিত ইস্যু ম্যানেজার বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও স্বদেশ ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে দেওয়া কোম্পানির আইপিও আবেদন, খসড়া প্রসপেক্টাস, তথ্য, সংবেদনশীল তথ্য, ডিএসইর পর্যবেক্ষণ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি ও ব্যাখ্যা যাচাই করে বেশকিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেছে বলে চিঠিতে জানিয়েছে বিএসইসি।
জানা গেছে, কোম্পানিটি আবাসনে তার বিনিয়োগের সম্পদের মূল্য জানিয়েছে ৭০০ কোটি ২০ লাখ টাকা। সেই সাথে ৩০ জুন ২০২৩ শেষে কর পরবর্তী মুনাফা হয়েছে ৬৫২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড (আইএএস) অনুযায়ী, আবাসনে বিনিয়োগ করলে কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে সেই বিনিয়োগের লাভ বা লোকসান হিসাব করতে হবে। তবে ৭০০ কোটি ২০ লাখ টাকায় যে মুনাফা দেখানো হয়েছে তা অবাস্তব প্রমাণ করে।
নিট সম্পদ মূল্যের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোম্পানির সম্পদ মূল্য ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৮১ দশমিক ৩৭ টাকা। যা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮,৫৪ টাকা। অথচ ন্যায্যমূল্য ও আসল মূল্যের লাভ বাদ দিলে সম্পদ মূল্য হতো ৮৫ দশমিক ২০ টাকা। তাই এ অতিমূল্যায়িত নিট সম্পদ মূল্যের বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেই সাথে এই মূল্যে কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং কোম্পানি তাদের আর্থিক অবস্থান ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে।
লভ্যাংশের বিষয়ে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেষে আনরিয়ালাইজড মুনাফা কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে দেখিয়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রকৃত নগদ অর্থ প্রবাহ না থাকায় লভ্যাংশ দিতে পারবে না। তাই লভ্যাংশ দিতে গেলে কোম্পানির এই অবাস্তব মুনাফা দেখানো ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
আয়ের বা ইপিএস অসঙ্গতির বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৩০ জুন কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল ২ দশমিক ৯৯ টাকা। যা ২০২৩ সালের ৩০ জুন শেষে দেখানো হয়েছে ৬৫.২৫ টাকা। ৭০০ কোটি ২০ লাখ টাকা বাদ দিলে তা হবে মাত্র ৪ দশমিক ৬৪ টাকা। যা কোম্পানি অসত্য তথ্য প্রদান করেছে এবং তালিকাভুক্তির পর বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি করবে। এছাড়া কোম্পানি ২০২৩ সালের ৩০ জুন যে আর্থিক তথ্য প্রদান করেছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে এবং কোম্পানি অসত উদ্দেশ্যও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মো. নূর আলী বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হয়েও ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস এবং অন্যান্য অতালিকাভুক্ত ৮ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ফলে তিনি তালিকাভুক্ত কোম্পানির আইন লঙ্ঘন করেছে।
সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অফ বাংলাদেশের অনুমোদন না পাওয়ায় বনানী ডিএনসিসি ইউনিক কমপ্লেক্স বা শেরাটন হোটেলের ২১ থেকে ২৪তম তলার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যা কোম্পানির আয়ের ওপর একটি উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে এই ঘাটতি শেষ পর্যন্ত বিশেষ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।
সূত্রে জানা যায়, কোম্পানিটি কারওয়ান বাজারে অবস্থিত একটি ১৩ তলা বিশিষ্ট বোরাক জহির টাওয়ার নির্মাণের জন্য রাজউক থেকে অনুমোদন পেয়েছে। অথচ প্রতিবেদনে বিল্ডিংটিকে ২০ তলা হিসেবে দেখানো হয়েছে। যা অনুমোদন এখনো বাকি আছে। সেই সাথে ইস্যুকারীকে দুটি হোটেল প্রকল্পের বিনিয়োগের সম্ভাব্য মূল্যায়ন প্রদান করতে হবে। এর মধ্যে ঢাকায় সাউথ পার্ক সেভেন স্টার হোটেল নির্মাণ, যার জন্য কোম্পানি ৪০০ কোটি টাকা থেকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে চায়। ইউনিক অ্যাক্রোপলিস নির্মাণে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান দ্বারা ব্যাপক ব্যয়-সুবিধা বিশ্লেষণ পরিচালনা করার কথা বলা হয়েছে। যেখানে তহবিলের টাকা ব্যবহার করে এই ধরনের বিনিয়োগের সমালোচনা করা হয়েছে।
আর কোম্পানি হোটেল প্রকল্পগুলোর সম্ভাব্য মূল্যায়ন জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইপিওর বিষয়ে সাথে অসম্মতি জানিয়েছে। কোম্পানির আইপিওর ১৫ শতাংশ শেয়ার কর্মচারীদের বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানালেও তাদের বিও নম্বারসহ প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেয়নি, যা আইনের অসঙ্গতি।
সেই সাথে কোম্পানি গুলশানের প্রকল্প সাউথ পার্কের ৩৯ দশমিক ৪৫ শতক ভূমি পুনঃমূল্যায়ন করে এর মূল্য ৬১ দশমিক ৩১ কোটি থাকে ২২৪.৭০ কোটি বাড়িয়ে ২৮৬.০১ কোটি টাকা দেখিয়েছে। যেখানে কোম্পানি এটাকে বিনিয়োগ সম্পত্তি হিসেবে দেখালেও ভবিষ্যতে অন্যপক্ষের কাছে এই জমি বিক্রি বা ভাড়া দেওয়ার সুযোগ নেই। সুতরাং পুনঃমূল্যায়নের আয় বিবরণীতে দেখানো উচিত হয়নি। আর এর প্রভাব কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অন্যদিকে, বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের সম্পত্তি, প্ল্যান্ট এবং সরঞ্জামগুলো বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে বন্ধক রাখা হয়েছে। যার মাধ্যমে ব্যাংক এবং এনবিএফআইগুলোর কাছ থেকে ঋণ এবং ধার নেওয়া হয়েছে। একইভাবে, কোম্পানির বিনিয়োগ সম্পত্তিও একই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বন্ধক রাখা হয়েছে। এদিকে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসের কাছে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের যে শেয়ারগুলো আছে তা ব্যাংক এবং এনবিএফআই থেকে ঋণ এবং ধার নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জামানত হিসাবে বন্ধক রয়েছে। একইভাবে, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউসিবি লিমিটেডের কাছে ঋণের জামানত হিসেবে বন্ধক রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে কোম্পানির সম্পত্তি, শেয়ার এবং ইনভেন্টরি বন্ধক, বা জামানত রয়েছে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে খেলাপির ঝুঁকি বাড়ায়। আর ঋণ খেলাপি হলে, ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য এই সম্পদগুলো জব্দ করার অধিকার রাখে, যা কোম্পানির কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করতে পারে। ফলে কোম্পানির আর্থিক অবস্থার একটি বিভ্রান্তিকর চিত্র উপস্থাপন হতে পারে।
এ কারণে কোম্পানির সার্বিক অসঙ্গতিগুলোর কথা বিবেচনা করে বিএসইসি (পাবলিক ইস্যু) রুলস, ২০১৫ এর রুল ১৫(৫) এর ক্ষমতা বলে কমিশন কোম্পানির ৪০০ কোটি টাকার আইপিও আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের ইস্যু ম্যানেজার বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রিয়াদ মতিন জানান, বিএসইসি কিছু বিষয়ে কোয়েরি দিয়েছে। সেগুলো ঠিক করে পুনরায় আবেদন করতে বলছে বিএসইসি। কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে আমরা বিষয়গুলো ঠিক করার কাজ করছি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশে বাড়তি সময় পেলো পাওয়ার গ্রিড
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাড়তি সময় পেয়েছে। কোম্পানিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটিকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এর আগে কোম্পানিটি জানিয়েছিল আগামী ১৬ জানুয়ারি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে গত ৩০ জুন,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ প্রতিবেদনটি অনুমোদন করলে কোম্পানি তা প্রকাশ করবে। একই বৈঠকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা।
আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় পর্ষদ বৈঠকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন নিয়েও আলোচনা হবে। পর্ষদ প্রতিবেদনটি অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সূচক ঊর্ধ্বমুখী, দেড় ঘণ্টায় ২৮৭ শেয়ারের দরবৃদ্ধি
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় ২৮৭ কোম্পানির শেয়ার দরবৃদ্ধি পেয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টা ৩০মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ২৬ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২২৫ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ ৮ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৪ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১৬৯ ও ১৯৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ১৫৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এসময় লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৮৭টির, কমেছে ৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০ কোম্পানির শেয়ারদর।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারের অংশীজনদের নিয়ে বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা
পুঁজিবাজারকে সংকটমুক্ত করার উপায় খুঁজতে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানীর নিকুঞ্জে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কার্যালয়ে বৈঠকটি শুরু হয়।
বৈঠকে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি এবং উন্নয়নের রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আলোচনায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) প্রতিনিধিরা উপস্থিত রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে এখন টালমাটাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অর্থনৈতিক সূচকগুলো ঘুরে দাঁড়ালেও পুঁজিবাজারে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। ফলে বিনিয়োগকারী, স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকারসহ সকল স্টেকহোল্ডারের মধ্যে আস্থার সংকট আরো প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে।
এর আগে গত অক্টোবরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন অর্থ উপদেষ্টা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
জেড ক্যাটাগরিতে জেনারেশন নেক্সট
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন লিমিটেডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। কোম্পানিটিকে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আইন অনুযায়ী বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ হওয়ায় কোম্পানিটিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়। আজ মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) থেকে কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।
এদিকে ক্যাটাগরি পরিবর্তনের কারণে কোম্পানিটিকে ঋণ সুবিধা দিতে ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে নিষেধ করেছে ডিএসই। যা আজ ০৭ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ মে বিএসইসির জেড শ্রেণি নিয়ে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়- পরপর দুই বছর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দিলে, আইন অনুযায়ী নিয়মিত এজিএম না করলে, সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ছয় মাসের বেশি উৎপাদন বা কার্যক্রম বন্ধ থাকলে, পুঞ্জীভূত লোকসান পরিশোধিত মূলধনের বেশি হলে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘোষিত লভ্যাংশের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ বিতরণ না করলে কোনো কোম্পানিকে ‘জেড’ শ্রেণিভুক্ত করা যাবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দুয়ার সার্ভিসেসের কিউআইও আবেদন শুরু ১৯ জানুয়ারি
পুঁজিবাজারের এসএমই প্লাটফর্ম থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসির কোয়ালিফায়েড ইনভেস্টর অফার (কিউআইও) আবেদনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আবেদন আগামী ১৯ জানুয়ারি সকাল ১০ টা থেকে শুরু হবে। চলবে ২৩ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, চলতি বছরের গত ৯ জুন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৯১১তম কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, এসএমই খাতে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসির কিউআইও প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কোম্পানিটি কিউআইওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের থেকে ৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।
উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট (দুয়ার স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার,ডি-কুরিয়ার, কল সেন্টা ও ট্র্যাকিং সিস্টেম, এআই সফটওয়্যার), ক্লাউড কম্পিউটিং ও ইস্যু ব্যবস্থাপনার খরচ খাতে ব্যয় করবে।
গত ৩০ জুন,২০২৩ তারিখে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৮৬ পয়সা। গত ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৭ টাকা ৮৫ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
এসএম