অর্থনীতি
বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ও ছাড় কমেছে
রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার কারণে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমছে। এটা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ঋণের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি, একই সময়ে কমেছে অর্থ ছাড়ের পরিমাণও। বেড়েছে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইআরডির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সময়ে বিদেশি ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে ৫২ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে (২০২৩-২০২৪) একই সময়ে ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল ৫৮৫ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। শতকরা হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে পাঁচ মাসে ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ শতাংশ। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে পাঁচ মাসে অনুদানের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৭ কোটি ৩৮ লাখ মার্কিন ডলার এবং ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৪ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এই সময়ে অনুদানের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৮ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ৫৫৭ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার।
ইআরডি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সময়ে উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঋণ ছাড় করেছে চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে ১৫৪ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে একই সময়ে যা ছিল ২১১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ে অর্থ ছাড় কমেছে ২৭ শতাংশ।
ঋণ প্রতিশ্রুতি ও ছাড় কমে গেলেও এই সময়ে ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জুলাই-অক্টোবরে যেখানে ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছিল এক হাজার ৪৬৪ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার (এর মধ্যে মূল ঋণ পরিশোধে ব্যয় ৮৪৬ কোটি ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার এবং সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়েছিল ৬১৮ কোটি ১১ লাখ ডলার)। সেখানে চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৪২ কোটি ৬৪ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ২৫৯ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার এবং সুদ খাতে ব্যয় হয়েছে ৭৮২ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার।
ইআরডি সূত্র জানায়, জুলাই এবং আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে, ফলে বিতরণ কমেছে। অনেক বৈদেশিক ঋণ দ্বারা তহবিলপ্রাপ্ত প্রকল্প স্থগিত হয়ে গেছে, কারণ বিদেশি পরামর্শক এবং কর্মীরা অনুপস্থিত ছিলেন। সরকার বর্তমানে ঋণ প্রস্তাবগুলোর পর্যালোচনা করছে, যা নতুন ঋণ চুক্তির জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে। পর্যালোচনা শেষ হলে সরকার ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা করছে এবং তার লক্ষ্য পূরণের জন্য চেষ্টা করবে।তাছাড়া বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) উন্নয়ন অংশীদাররা বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এদিকে, বর্তমান সরকার বৈদেশিক অর্থায়নে প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো বন্ধ করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। ইআরডি সংস্থাগুলোকে বৈদেশিক ঋণ বরাদ্দের জন্য অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলির একটি তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুলাই-সেপ্টেম্বরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১.৮১ শতাংশ
গত চার বছরের মধ্যে এ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মোট দেশজ উপাদানের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এ হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের তিন মাসে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এছাড়া শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮ দশমিক ২২ শতাংশ। সেবা খাতে গত তিন মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মতিউরের আরো ১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, দুদকের ৩ মামলা
১২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী (লায়লা কানিজ) ও ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে পৃথক আরও তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা তিনটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমান সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদক থেকে নোটিশ করা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে দুদক থেকে অনুসন্ধান করে সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিল করার আদেশ করা হয়েছিল। ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যরা সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
প্রথম মামলার আসামি হয়েছেন লায়লা কনিজ ও মতিউর রহমান। মামলার এজাহারে বলা হয় আসামি লায়লা কানিজ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি লায়লা কানিজের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে তার মেয়ে ফারজানা রহমানের নামে ২ কোটি ৪৫ লাখ গোপন ও ৫৩ কোটি ৪১ লাখ টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে দ্বিতীয় মামলায়। ওই মামলায় মতিউর রহমানকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
আর তৃতীয় মামলায় প্রথম ঘরের ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন ও ৪২ কোটি ২২ লাখ টাকার
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায়ও মতিউরকে সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর মতিউর রহমান ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর (শাম্মী আখতার শিবলী) বিরুদ্ধে ১১ কোটি ১৮ লাখ ৮৬ হাজার ১২০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুই মামলা দায়ের করা হয়।
প্রথম মামলায় এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউরের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ২৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ও ১ কোটি ২৭ লাখ ৬৬ হাজার ২১৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আর দ্বিতীয় মামলায় মতিউরের সঙ্গে আসামি হয়েছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী। শিবলীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৮৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৯০ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ২ কোটি ৭৫ লাখ ২৮ হাজার ৪৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ও ২৬ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনায় আসেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক যুবক। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। বলা হয়, তার বাবা এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান।
এরপর আলোচনা চলে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের কোথায় কী পরিমাণ সম্পদ রয়েছে এসব নিয়ে। এসব আলোচনার মধ্যে একের পর এক বেরিয়ে আসতে থাকে মতিউর পরিবারের বিপুল বিত্তবৈভবের চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পরে গত বছরের ৪ জুন মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের নামে দুদক। অনুসন্ধানে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৬৫ বিঘা জমি, আটটি ফ্ল্যাট, দুটি রিসোর্ট ও পিকনিক স্পট এবং তিনটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তথ্য পায় দুদক। মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ব্যাংক হিসাব, মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবার হিসাব ও শেয়ারবাজারের বিও হিসাব জব্দ করা হয়।
পরে ২৪ জুন মতিউর ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
এরপর গত ২ জুলাই মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ বিবরণী চেয়ে পৃথক নোটিশ পাঠায় দুদক। এসব নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট মতিউর, তার দুই স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েসহ পাঁচজনের সম্পদ বিবরণী দুদকে জমা দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতি দিল এনবিআর
ঢাকার বাসিন্দাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা গণপরিবহন মেট্রোরেলে সব ধরনের যাত্রীসেবায় মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ সুবিধা ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (মূসক আইন ও বিধি) ব্যারিস্টার মো. বদরুজ্জামান মুন্সীর সই করা এ সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আদেশে বলা হয়, মেট্রোরেল বাংলাদেশের সর্বাধুনিক ও জনপ্রিয় গণপরিবহন। মেট্রোরেল যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। মেট্রোরেলকে অধিক জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এর যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয়ী করা প্রয়োজন।
সেখানে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দ্রুতগামী, নিরাপদ, সময় সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও দূরনিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর পরিবহন ব্যবস্থা মেট্রোরেল সেবার ওপর আরোপণীয় মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
এই ভ্যাট অব্যাহতি অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে আদেশ জানানো হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ডিসেম্বরে দেশের মূল্যস্ফীতি কমেছে
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে শূন্য দশমিক ৪৯ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ। আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিএসের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) ডিসেম্বরে কমে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা নভেম্বরে ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
গত বছরজুড়ে ভোক্তার নাভিশ্বাস ওঠা খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বছরের শেষ মাসে এসেছে কিছুটা কমেছে। ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। নভেম্বর মাসে যেটি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এদিকে নভেম্বর মাসে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ থাকলেও ডিসেম্বর মাসে সেটি কমে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া ডিসেম্বর মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ০৯ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে, যা এক মাস আগে ছিল ১০ দশমিক ০৫ শতাংশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অর্ধশত পণ্য-সেবায় ভ্যাট বাড়ানোর ব্যাখ্যা দিলো এনবিআর
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তানুযায়ী যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে সেসবের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ।
এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে তার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই। তাই সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়বে না এবং মূল্যস্ফীতিতেও এর প্রভাব পড়বে না। জনস্বার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শুল্ক করহারে ব্যাপক ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, এসডিজি বাস্তবায়ন এবং জাতি হিসেবে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি ও হার যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে এনবিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক বিষয়ক গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে।
গত চার মাসে বাজারে নিত্যপণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চাল, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ডিম, খেজুর, ভোজ্যতেল, ও কীটনাশকসহ আটটি পণ্যে আমদানি, স্থানীয় ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে জনস্বার্থে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর ছাড় দেওয়া হয়। এজন্য রাজস্ব আদায় ব্যাপকভাবে কমে যায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব বাড়ানো না গেলে বিপুল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি দেখা দেবে। তাই রাজস্ব বাড়াতে ভ্যাটের আওতা বাড়ানো হচ্ছে।২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যবর্তী সময়ে এনবিআরকে বিশেষ এ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।
আইএমএফের চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইনে কিছু সংশোধন আনতে যাচ্ছে সরকার। যাতে ওষুধ, গুঁড়া দুধ, সিগারেট, বিমানের টিকিটসহ প্রায় অর্ধশত পণ্য ও সেবার ওপর বাড়তি মূসক ও শুল্ক আরোপ হতে পারে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্য ও সেবার দাম একদফা বাড়তে পারে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে। এসব সংশোধনীসহ মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়া সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে গত বুধবার (১ জানুয়ারি) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।