অর্থনীতি
বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি ও ছাড় কমেছে

রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার কারণে বিদেশি ঋণের প্রতিশ্রুতি কমছে। এটা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ঋণের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি, একই সময়ে কমেছে অর্থ ছাড়ের পরিমাণও। বেড়েছে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইআরডির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সময়ে বিদেশি ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে ৫২ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে (২০২৩-২০২৪) একই সময়ে ঋণের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল ৫৮৫ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। শতকরা হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে পাঁচ মাসে ঋণ প্রতিশ্রুতি কমেছে ৯১ শতাংশ। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে পাঁচ মাসে অনুদানের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৭ কোটি ৩৮ লাখ মার্কিন ডলার এবং ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৪ কোটি ৮৮ লাখ মার্কিন ডলার।
অন্যদিকে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এই সময়ে অনুদানের প্রতিশ্রুতি ছিল ২৮ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। ঋণের প্রতিশ্রুতি ছিল ৫৫৭ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার।
ইআরডি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সময়ে উন্নয়ন সহযোগী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঋণ ছাড় করেছে চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে ১৫৪ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার। গত অর্থবছরে একই সময়ে যা ছিল ২১১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আলোচ্য সময়ে অর্থ ছাড় কমেছে ২৭ শতাংশ।
ঋণ প্রতিশ্রুতি ও ছাড় কমে গেলেও এই সময়ে ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে জুলাই-অক্টোবরে যেখানে ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছিল এক হাজার ৪৬৪ কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার (এর মধ্যে মূল ঋণ পরিশোধে ব্যয় ৮৪৬ কোটি ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার এবং সুদ পরিশোধে ব্যয় হয়েছিল ৬১৮ কোটি ১১ লাখ ডলার)। সেখানে চলতি অর্থবছরের ৫ মাসে ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার ৪২ কোটি ৬৪ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ২৫৯ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার এবং সুদ খাতে ব্যয় হয়েছে ৭৮২ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার।
ইআরডি সূত্র জানায়, জুলাই এবং আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে, ফলে বিতরণ কমেছে। অনেক বৈদেশিক ঋণ দ্বারা তহবিলপ্রাপ্ত প্রকল্প স্থগিত হয়ে গেছে, কারণ বিদেশি পরামর্শক এবং কর্মীরা অনুপস্থিত ছিলেন। সরকার বর্তমানে ঋণ প্রস্তাবগুলোর পর্যালোচনা করছে, যা নতুন ঋণ চুক্তির জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে। পর্যালোচনা শেষ হলে সরকার ঋণ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা করছে এবং তার লক্ষ্য পূরণের জন্য চেষ্টা করবে।তাছাড়া বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ (এডিবি) উন্নয়ন অংশীদাররা বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য অর্থায়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এদিকে, বর্তমান সরকার বৈদেশিক অর্থায়নে প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো বন্ধ করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। ইআরডি সংস্থাগুলোকে বৈদেশিক ঋণ বরাদ্দের জন্য অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলির একটি তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

অর্থনীতি
আদানির বকেয়া পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ

ভারতের আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বকেয়া টাকার ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করেছে বাংলাদেশ। ফলে বহন খরচ এবং বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সম্পর্কিত সমস্যাসহ সব বকেয়া পরিশোধ হয়ে গেল।
পিটিআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত জুনে ভারতের এ কোম্পানিকে ৪৩৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ, যা এককালীন সর্বোচ্চ পরিশোধ।
নয়াদিল্লির সূত্রের বরাত দিয়ে পিটিআই লিখেছে, এর মধ্য দিয়ে আগের বকেয়া, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যয় এবং বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়ের মীমাংসা হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের আর কোনো বকেয়া নেই, বরং দুই মাসের বিলের সমপরিমাণ এলসি (ঋণপত্র) এবং সব বকেয়ার জন্য সার্বভৌম গ্যারান্টিও বাংলাদেশ দিয়ে রেখেছে।
পাওনা সংক্রান্ত ঝামেলা না থাকায় আদানি পাওয়ারকে তাদের ঝাড়খণ্ড কেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকেই নির্ধারিত হারে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, গত তিন-চার মাস ধরে ৯০ থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার করে পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ।
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর চুক্তি করে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। ২৫ বছর মেয়াদি ওই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দিতে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গড্ডায় ২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে আদানি পাওয়ার।
কাফি
অর্থনীতি
এলপি গ্যাসের দাম কমবে নাকি বাড়বে, জানা যাবে আজ

জুলাই মাসে এলপিজির দাম বাড়বে নাকি কমবে, তা জানা যাবে আজ বুধবার (২ জুলাই)। আজ এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, জুলাই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা বুধবার বিকাল ৩টায় ঘোষণা করা হবে। এ নির্দেশনা জারি করা হবে সৌদি আরামকো ঘোষিত জুলাই (২০২৫) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী।
এর আগে, গত ২ জুন সবশেষ সমন্বয় করা হয় এলপি গ্যাসের দাম। সে সময় ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৮ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৪০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
বুধবার এলপিজির পাশাপাশি ঘোষণা করা হবে অটোগ্যাসের দামও। সবশেষ (২ জুন) সমন্বয় করা হয় অটোগ্যাসের দাম। সে সময় ভোক্তা পর্যায়ে ১ টাকা ২৭ পয়সা কমিয়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম সাতবার বেড়েছে এবং চারবার কমেছে, আর এক দফায় ছিল স্থির। বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে দাম বাড়ানো হয়। অন্যদিকে, এপ্রিল, মে, জুন ও নভেম্বর মাসে দাম কমানো হয়। ডিসেম্বরে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
অর্থনীতি
ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দিন দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৮৯০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী— সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা। আজ প্রতি ভরি স্বর্ণ এক লাখ ৭০ হাজার ২৩৬ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আগামীকাল ২ জুলাই থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৭২ হাজার ১২৬ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি এক লাখ ৬৪ হাজার ২৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ৪০ হাজার ৮৩১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৬ হাজার ৪৮৮ টাকা।
সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা ১৭ লাখের বেশি

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া করদাতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৭ লাখের বেশি করদাতা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া ক্রমেই সহজ ও অধিকতর করদাতাবান্ধব করার ফলে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৪৯২ জন করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। একইসঙ্গে ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৩২১ জন করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
এনবিআর বলছে, সকল প্রকার আয়কর সেবা করদাতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অটোমেশনের আওতায় অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে করদাতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, যা স্বতঃস্ফূর্ত রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
করদাতাদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা বছর অনলাইনে রিটার্ন দাখিল এবং অনলাইনে তাৎক্ষণিক আয়কর সনদ প্রদান অব্যাহত ছিল, যা চলমান থাকবে। সেই সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের পর এতে কোনো ত্রুটি দেখা গেলে আয়কর আইন ২০২৩ এর ১৮০(১) ধারা মোতাবেক মূল রিটার্ন দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে ঘরে বসেই সহজে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের সুযোগ অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ও আয়কর সনদ প্রাপ্তিতে বছরব্যাপী অনলাইন সেবা গ্রহণে উৎসাহিত করছে।
অর্থনীতি
২৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হবে বিদ্যুতের ১০ সাবস্টেশন

বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে ভূমি উন্নয়নসহ ১০টি ৩৩/১১ কেভি জিআইএস সাবস্টেশন নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ২৩৯ কোটি ৭০ লাখ ৫৭৩ টাকা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগের এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টার্নকি ভিত্তিতে পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতি যা যা প্রয়োজন এবং ভূমি উন্নয়নসহ কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর ডব্লিউ-১, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্রের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে সাতটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।
তার মধ্যে পাঁচটি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেকট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৬ টাকা।
বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টার্নকি ভিত্তিতে পাঁচটি ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রের ডিজাইন, সাপ্লাই, ইনস্টলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং প্রভৃতি যা যা প্রয়োজন এবং ভূমি উন্নয়নসহ কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ‘বাপবিবো’র বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন, (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ (বিশেষ সংশোধিত) প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউ-১, লট-১ এর আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে উপকেন্দ্রের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব বাণিজ্যিক ও কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়।
দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ইলেক্ট্রিকাল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটি বাস্তায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৬৭ লাখ ২২ হাজার ৫৪৭ টাকা।