গণমাধ্যম
ফারাবি হাফিজের সুসংবাদ দিয়ে শুরু নতুন বছর

বছরের শুরুতেই সুসংবাদ দিলেন জনপ্রিয় সংবাদ উপস্থাপক ফারাবি হাফিজ। নতুন একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তিনি। এর আগে দেশের স্বনামধন্য স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল২৪-এ দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় সংবাদ উপস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ফারাবি হাফিজ প্রায় ১৬ বছর যাবত সাংবাদিকতায় চ্যালেঞ্জ নিয়ে ক্যারিয়ার গড়েছেন। প্রথমে তিনি সরকারি চাকরিতে নন-ক্যাডারে যুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু সরকারি চাকরির ধরাবাঁধা নিয়মে তিনি স্বস্তি পাননি। তাই দেশ ও দশের মঙ্গলের জন্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে অবদান রাখার প্রত্যয় নিয়ে তিনি সরকারি চাকরিকে বিদায় জানিয়ে গণমাধ্যমে পা রাখেন। এই যাত্রায় প্রথমে সংবাদভিত্তিক টিভি চ্যানেল দেশ টিভিতে ২০০৯ সালে ফুলটাইম রিপোর্টিংয়ে যোগ দেন। এরপর ২০০৯ সালে ক্যারিয়ারে ভিন্নতা আনেন। এটিএন নিউজে যোগ দেন সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে।
এরপর ২০১০ সালের শেষ দিকে সময় টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনায় যুক্ত হন। দুই বছরেরও বেশি সময় সেখানে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেন। তারপর বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪-এ টানা এক যুগেরও বেশি সময় কাটিয়ে দেন। এবার দেখছেন নতুন স্বপ্ন। ২০২৫ সালে নিজের ক্যারিয়ারের ভিন্নমাত্রার পালক যুক্ত করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন কোনো স্যাটেলাইট টিভির হাতেখড়ি হচ্ছে তার মাধ্যমে।
ফারাবি হাফিজ ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতি। তার কণ্ঠের জাদুতে মোহাবিষ্ট করেছেন দেশ-বিদেশের কোটি কোটি দর্শক-শ্রোতাকে। বলা যায়, দেশীয় সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ উপস্থাপনায় জনপ্রিয়তার শীর্ষদের একজন তিনি।
সংবাদ উপস্থাপনায় কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিসেফের রিপোর্টিং পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রজেক্টেও সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। ফারাবি জানান, পুরস্কার হিসেবে মানুষের ভালোবাসা অর্জনই তার কাছে সবচেয়ে বেশি মূল্যবান।
এই সফল ব্যক্তিত্ব বলেন, পরিশ্রম করলে ক্যারিয়ারে সফল হওয়া যায়, কিন্তু মানুষের ভালোবাসা ক’জন অর্জন করতে পারে! তাই আমি সবসময় মানুষকে সেবার মধ্যদিয়ে তাদের ভালোবাসা খুঁজি। নিজেকে সবসময় অপরিহার্য করে তৈরি করতে হয়, তাহলে আর ক্যারিয়ারের চিন্তা করতে হয় না।
ফারাবি হাফিজ স্কুল-কলেজ জীবন পার করেছেন তার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। এখানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ সাংবাদিকতায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন। পছন্দের ক্যারিয়ারে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তৈরি করতে সম্পন্ন করেছেন অসংখ্য ছোট-বড় কোর্স। ক্যারিয়ার জীবনে যেসব তাকে এনে দিয়েছে একঝুড়ি সাফল্য। শিক্ষাজীবনে অসংখ্য গুণীজনের সান্নিধ্য পেয়েছেন তিনি। যারা তাকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন এক স্বর্ণখোচিত ব্যক্তিত্বের।
প্রসঙ্গত, ফারাবি হাফিজ ১৯৮৯ সালের ২ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরে জন্মগ্রহণ করেছেন। বাবা শেখ মুজিবুর রহমান এবং মা শেখ সালেহা বেগম। পাঁচ ভাই-বোনের মাঝে তিনি চতুর্থ। তার চার বোন। একমাত্র ভাই হওয়ায় আদর পেয়েছেন পরিবারের সবার।

গণমাধ্যম
ঢাকাস্থ চাঁদপুর সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শাহরিয়ার, সম্পাদক সফিক শাহীন

ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের নতুন কমিটি ২০২৫-২০২৭ গঠন করা হয়েছে। ফোরামের নবগঠিত কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক স্বদেশ বাংলার সম্পাদক এ কে এম রাশেদ শাহরিয়ার। এছাড়াও, ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এনটিভির চিফ অব করেসপন্ডেন্ট সফিক শাহীন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি মাজহারুল হক মান্না নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (২০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ফোরামের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় ফোরামের সভাপতি মিজান মালিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এ কে এম রাশেদ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম।
সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, চাঁদপুরের মানুষ সবসময় ক্রিয়েটিভ, চিন্তায়-কর্মে ও মননে। তাদের সে ক্রিয়েটিভিটি শুধু চাঁদপুর নয়, সারা দেশের কাছে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করাতে হবে।’
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ফেমাস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউনূছ উল্ল্যাহ, এলডিপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. মঞ্জুর খানসহ ফোরামের সদস্যরা।
দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দৈনিক আমার দেশের বিশেষ প্রতিনিধি নোমান সেলিম।
এসময় প্রস্তাব, সমর্থনের ভিত্তিতে এ কে এম রাশেদ শাহরিয়ারকে সভাপতি, সফিক শাহীনকে সাধারণ সম্পাদক এবং মাজহারুল হক মান্নাকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার ও সালেহ বিপ্লব।
কমিটির বাকি সদস্যদের নাম শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। এ সময় ফোরামের সদস্যরা তাদের মতামত ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন।
কমিটির নাম ঘোষণার পর সদ্য সাবেক সভাপতি মিজান মালিকসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা নবনির্বাচিত কমিটিকে অভিনন্দন জানান।
গণমাধ্যম
সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও সংবাদমাধ্যমের অধিকার নিশ্চিতের আহ্বান এমসিএফের

গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার জোরালো আহ্বান জানিয়েছে মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন (এমসিএফ)।
আজ, শনিবার (৩ মে), বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে সংস্থাটি এই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিয়েছে।
এই বিশেষ দিনে, মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশনের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলো তাদের সমর্থন জানিয়েছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলো গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের অধিকার এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহের মৌলিক নীতির প্রতি তাদের অবিচল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। তারা বলেছে, মানবাধিকারের সুরক্ষা, একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সমাজ গঠন এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বহুমাত্রিক গণমাধ্যম অত্যাবশ্যক। সাংবাদিক এবং গণমাধ্যম পেশাদারদের অবশ্যই কোনো প্রকার সেন্সরশিপ, ভয়ভীতি বা সহিংসতার হুমকি ছাড়াই নিরাপদে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুযোগ থাকতে হবে।
এমসিএফ বিবৃতিতে বাংলাদেশ এবং বিশ্বজুড়ে কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতি তাদের গভীর সংহতি জানিয়েছে। যারা একটি জ্ঞানভিত্তিক, স্থিতিশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। জোটটি এমন একটি পরিবেশের জন্য তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে, যেখানে প্রতিটি কণ্ঠস্বর শোনা যাবে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার মতো মৌলিক অধিকারকে সম্মান করা হবে।
তবে, এই গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাক্ষর না থাকা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। একটি নির্ভরযোগ্য কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বিবৃতি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে এইবার রাজি করাতে সক্ষম হয়নি, যদিও পূর্বে দেশটির সমর্থন ছিল।
উল্লেখ্য, মিডিয়া ফ্রিডম কোয়ালিশন একটি আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বমূলক প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ছয়টি মহাদেশের ৫০টিরও বেশি দেশ এই জোটে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গণমাধ্যম
বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ১৬ ধাপ উন্নতি

বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার (২ মে) বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) তাদের ২০২৫ সালের সূচক প্রকাশ করেছে।
সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯তম, স্কোর ৩৩ দশমিক সাত এক। ২০২৪ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম, এর আগের বছর ১৬৩তম। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম সূচকে ১৫০-এর ভেতর অবস্থান করলো বাংলাদেশ।
আরএসএফের এ বছরের সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৫১তম, পাকিস্তানের ১৫৮তম ও ভুটানের ১৫২তম। সূচকে বাংলাদেশের চেয়ে এই তিনটি দেশ পিছিয়ে আছে। তবে নেপাল (৯০তম), শ্রীলঙ্কা (১৩৯তম) ও মালদ্বীপ (১০৪তম) অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে।
২৩ বছর ধরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে সূচক প্রকাশ করে আসা প্রতিষ্ঠানটির মতে, এবার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সূচকের ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বের অর্ধেক দেশের জন্য সাংবাদিকতার অনুকূল পরিবেশ ‘খারাপ’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এক-চতুর্থাংশেরও কম দেশে পরিস্থিতি ‘সন্তোষজনক’।
সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ৫৭তম স্থানে অবস্থান করছে। এই সূচকে দেশটির অবস্থান এখন পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনেরও নিচে। আরএসএফের মতে, দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় ‘আশঙ্কাজনক অবনতি’ ঘটিয়েছেন, যা দেশটিতে ‘স্বৈরাচারী মোড়ের’ ইঙ্গিত দেয়।
গণমাধ্যম
সংবাদপত্রে ঈদুল ফিতরের ছুটি ৩ দিন

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সংবাদপত্র ৩ দিন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল ছুটি থাকবে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলে সে ক্ষেত্রে পরদিন ২ এপ্রিল সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে।
বুধবার (৩ মার্চ) নোয়াব সভাপতি একে আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটি পালন করা হবে। তাই ৩১ মার্চ থেকে ১ ও ২ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো পত্রিকা প্রকাশ করা হবে না। তবে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলে এই ছুটি ২ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হবে। সে ক্ষেত্রে ৩ এপ্রিল কোনো পত্রিকা প্রকাশিত হবে না।
গণমাধ্যম
জনগণের কাছে নতুন দলের জন্য নাম-প্রতীক চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছেন তারা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের মানুষের কাছে দলের নাম, প্রতীক চেয়েছে শিক্ষার্থীদের এই দুটি প্ল্যাটফর্ম।
পাশাপাশি দেশের মানুষের চিন্তা, প্রত্যাশা, পরামর্শ চেয়ে একটি গুগল ফরম ছেড়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি গুগল ফরমটি যুক্ত করেছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তারা লিখেছেন, ‘ছাত্র-তরুণদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দল আসছে! আপনি কেমন দল চান আমরা তা জানতে চাই এবং সে আদলেই দলটা গড়তে চাই। কমেন্টে দেয়া ফর্মে আপনার মতামত জানান। ফরমটি পূরণ করতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগবে।’
এদিকে গুগলে দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গুগল ফরমে তারা জানিয়েছে, ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ! আপনার মতামতই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বদলের চাবিকাঠি! একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা চলছে, যা জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বহন করবে এবং গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও সমতার ভিত্তিতে গড়ে উঠবে। তরুণদের শক্তি, জনগণের মতামত এবং পরিবর্তনের অঙ্গীকারই হবে এই পথচলার মূল ভিত্তি। এই ফরমটি শুধু তথ্য সংগ্রহের জন্য নয়—এটি একটি সুযোগ, একটি দায়িত্ব এবং একটি আন্দোলনের অংশ হওয়ার আহ্বান! আপনার চিন্তা, প্রত্যাশা ও পরামর্শ জানিয়ে যুক্ত হোন। একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে, আপনার মতামত দিন!’
ফরমে তারা ১০টি অপশন রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে-
১) পূর্ণ নাম
২) লিঙ্গ
৩) পেশা
৪) জেলা
৫) ফোন নম্বর
৬) আপনার মতে কোন তিনটি কাজ করলে দেশ বদলে যাবে?
৭) নতুন রাজনৈতিক দলের কাছে আপনার জীবনের কোন সমস্যার সমাধান চান?
৮) নতুন দলের কাছে আপনি কী প্রত্যাশা করেন?
৯) দলের নাম কী হতে পারে?
১০) দলের মার্কা কী হতে পারে?