জাতীয়
দেশের ১৩ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ
দেশের ১৩টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সংস্থাটি বলছে, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
আজ শুক্রবার ভোরের দিকে হালকা বৃষ্টির মতো কুয়াশাও ঝরেছে। ফলে রাজধানীসহ দেশের এসব এলাকায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ এবং কুষ্টিয়া জেলা এবং রংপুর বিভাগের ৮টি জেলাসহ মোট ১৩টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা দেশের পশ্চিমাংশে ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিনের বেলা শীতের অনুভূতি বিরাজ করতে পারে।
শনিবার সকাল থেকে রোববার (৫ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিনের বেলা শীতের অনুভূতি বিরাজ করতে পারে।
রোববার সকাল সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিনের বেলা শীতের অনুভূতি বিরাজ করতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের শুরুর দিকে দেশের উত্তরাংশে হালকা বৃষ্টি/গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ শুক্রবার ভোররাতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়ান। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া রাজারহাটে ৯ দশমিক ৫, ঈশ্বরদী ও কুমারখালীতে ৯ দশমিক ৬, রংপুরে ৯ দশমিক ৭, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৮, বদলগাছী ও সৈয়দপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস আটক
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অভিযান চালিয়ে সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। রোববার (০৫ জানুয়ারি) দুপুরে বেলকুচি পৌর এলাকার কামারপাড়ার নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকারিয়া হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আবদুল লতিফ বিশ্বাসকে যৌথ বাহিনী আটক করেছে। বর্তমানে তাকে জেলা সদরে যৌথ বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে, বিস্তারিত এখনই বলতে পারছি না। তার বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে। আমার জানামতে তার বিরুদ্ধে এই থানায় কোনো মামলা নেই।
উল্লেখ্য, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ২০২৪ সালের জানয়ারিতে সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মমিন মণ্ডলের সঙ্গে লড়াইয়ে তিনি পরাজিত হন।
এর আগে ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালি) আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করলে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্যই হলো বিজয়ী হওয়া: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্যই হলো সব পরিস্থিতিতে বিজয়ী হওয়া, দেশকে রক্ষা করা। বলা যাবে না—এখন বর্ষার দিন, এখন আর পারব না কিংবা এখন বেশি গরম এটা পারা যাবে না, বলার উপায় নাই। যে কোনো মুহূর্তে, যে অবস্থায় আছে না কেন প্রয়োজনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় পূর্ণ সাহস ও প্রস্তুতি নিয়ে।
আজ রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ী মিলিটারি ট্রেনিং এরিয়ার (আরএমটিএ) চর খাপুড়া ও চর রামনগর এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় শীতকালীন ম্যানুভার অনুশীলন পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা সিনেমার পর্দায় যুদ্ধ দেখি সবসময়, সম্মুখ যুদ্ধ দেখি, ইতিহাসের বহু বড় বড় যুদ্ধ আমরা সিনেমার পর্দায় দেখি। প্রথম মহাযুদ্ধের, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের একাবারে প্রকৃত ছবিগুলো দেখি। নানা ব্যাটল তার শত্রুর সম্মুখে হয়েছে সেই দৃশ্য দেখি। করুণ দৃশ্য দেখি, সাহসের দৃশ্য দেখি। অনেকগুলো আমাদের স্মৃতিতে অমর হয়ে থাকে, সারা পৃথিবীর স্মৃতিতে অমর হয়ে থাকে। তাদের বীরত্বের জন্য এবং সাহসের জন্য। সম্পূর্ণ অসহায় অবস্থা থেকে কীভাবে পুরো জিনিসটাকে পাল্টে দিয়ে জয়কে ছিনিয়ে নিয়ে আসে, সেই দৃশ্য দেখেছি। বহু ব্যাটল পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়ে আছে। এক একটা ব্যাটেল কীভাবে লড়াই করেছে কীভাবে জিতেছে, কীভাবে শত্রুর কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে-সবকিছুর প্রস্তুতি এভাবেই হয়।
তিন বলেন, আজকের এই প্রস্তুতি দেখে খুব ভালো লাগলো। যাতে এটা ক্রমাগতভাবে আমরা প্রতি মুহূর্তের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারি সেটার জন্য। আজে যে সমস্ত ইউনিট অংশগ্রহণ করল, সেই সব সৈনিকদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা পরিচালনা করেছেন তাদেরকেও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ক্রমাগত এটা আরও সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে বলে আশা করছি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই মহরায় আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। একজন শান্তিকামী মানুষ হিসেবে আমি যুদ্ধের চেয়ে শান্তির মহরা দেখতে আমি বেশি আনন্দবোধ করি। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে প্রস্তুতির লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীর এই প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই মহড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রদর্শিত দক্ষতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই মহড়া দেখে আমি সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সক্ষমতা সম্পর্কে আরও আত্মবিশ্বাসি হয়েছি।
ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা আরও আধুনিকায়নের আশ্বাস দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রশিক্ষণই সর্বোত্তম কল্যাণ, এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আধুনিক ও যুগপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আভিজানিক দক্ষতা অর্জন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যগণ সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। সেই লক্ষ্যে সেনা সদস্যদের প্রশিক্ষণ হতে হবে বাস্তবসম্মত। আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এইরকম একটি মহড়া আয়োজন করতে হলে অনেক পরিশ্রম, পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের প্রয়োজন।
সেনা বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এই মহড়া দেখে আমি বুঝতে পারছি, এই আয়োজন ৫৫ ডিভিশনের সব সদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। তাই আমি কনিষ্ঠতম সৈনিক হতে জিওসি পর্যন্ত সব পদবীকে ধন্যবাদ দিতে চাই। এছাড়া আমাকে এখানে মহড়ায় আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সেনাবাহিনীর প্রধানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই। বরাবরের মতোই বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর দেশের সম্মান ও গৌরব অটুট রাখতে জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে এবং যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সর্বদা নিজেদেরকে প্রস্তুত রাখবে এই প্রত্যাশা রাখছি।
প্রশিক্ষণ মহড়া পর্যবেক্ষণ করে দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন শেষে দুপুর ২টা ৪৭ মিনিটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় যান।
এর আগে বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে রওনা হন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দুপুর সাড়ে ১২টা ৩৬ মিনিটের দিকে প্রধান উপদেষ্টাকে বহন করা হেলিকপ্টারটি কালুখালীর মিলিটারি ট্রেনিং এরিয়ার চর খাপুড়ায় হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
খুলে দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ে পুড়ে যাওয়া ৭ নম্বর ভবন
১১ দিন পর সচিবালয়ে আগুনে পোড়া ৭ নম্বর ভবন খুলে দেওয়া হয়েছে। ৯ তলা ভবনের ৫ তলা পর্যন্ত অফিস চালু হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ থেকে সেখানে অফিস করছেন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া চারটি তলা (৬ থেকে ৯ তলা) ছাড়া বাকি পাঁচ তলায় অফিস শুরু করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভবনটিতে সবাই প্রবেশ করতে পারছেন।
আগুন লাগার পর থেকে উপদেষ্টা এবং সচিব ছাড়া অন্য কারও গাড়ি সচিবালয় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। তবে আজ থেকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহন করা গাড়িও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
এদিন দুপুরে ৭ নম্বর ভবন পরিদর্শনে আসেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ফ্লোরের সংস্কার কাজ শেষ করতে ১০ থেকে ১২ দিন লাগবে। এ সময়ের মধ্যে আমরা করে দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার সাহেবরা বলেছেন তারা ১০-১২ দিনের মধ্যে করে দিতে পারবেন। আমরা চেষ্টা করবো যত তাড়াতাড়ি সংস্কার কাজ শেষ করা যায়।
গত ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে আগুন লেগে ষষ্ঠ থেকে নবম তলায় থাকা পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর পুড়ে যায়। এ আগুনে পুড়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ নথিও। আগুন নেভানোর কাজ করতে গিয়ে পানির সরবরাহ লাইন সংযোগ দেওয়ার সময় ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী ট্রাক চাপায় নিহত হন।
এ ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। প্রাথমিক প্রতিবেদনও দিয়েছে কমিটি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগুনের ঘটনায় কোনো ধরনের নাশকতার প্রমাণ মেলেনি। বৈদ্যুতিক লুজ কানেকশনের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
গত ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বলেন, সরকার যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল সেখানে বুয়েট, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, সেনাবাহিনীর বোমা ও ডগ স্কোয়াড এবং পুলিশ বাহিনী থেকে সিআইডির টিম কাজ করেছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে সকলে একমত হয়েছি বৈদ্যুতিক লুজ কানেকশনের কারণে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের উৎপত্তি হয়েছে। এর সঙ্গে নাশকতা কিংবা অন্য কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সিনিয়র সহকারী সচিব হলেন ১৫ কর্মকর্তা
সহকারী সচিব পদমর্যাদার ১৫ কর্মকর্তাকে সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। রোববার (৫ জানুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি অনুবিভাগের অভ্যন্তরীণ নিয়োগ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিনিয়র সহকারী সচিব নিলুফা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন-
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যমুনা রেলসেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে সেতু দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে দিকে আজকের প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন দুটি সফলভাবে সেতু অতিক্রম করে।
এ সময় ট্রেন দুটিতে সর্বোচ্চ গতি ২০ কিলোমিটার তোলা হলেও পর্যায়ক্রমে সবশেষ পরীক্ষায় ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত গতি ওঠে। আজই এ সেতু দিয়ে পূর্ণাঙ্গ গতিতে, অর্থাৎ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালিয়ে দেখা হবে।
যমুনা রেলওয়ে সেতুর চিফ সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলবে। এর অংশ হিসেবে প্রথমে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন সেতুর পূর্ব পাড় থেকে পশ্চিম পাড়ে ও পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে ছেড়ে যায়। এরপর ১০টা ২০ মিনিটের দিকে দ্বিতীয়বার ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে দুই পাশ থেকে ট্রেন দুটি সেতু অতিক্রম করে। এরপর ১১টা ১ মিনিটে একটি ট্রেন সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে ওঠে ও ১১টা ৫ মিনিটে পূর্ব পাড় থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি পশ্চিম পাড়ের সেতুর শেষ অংশ অতিক্রম করে। এভাবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে আজ।
মাইনুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা সবাই অধীর আগ্রহে সেই পূর্ণ গতির অপেক্ষায় আছি। সত্যি বলতে গেলে আমরা খুব আনন্দিত এবং উত্তেজিতও বলা যায়। কয়েকটা বছরজুড়ে আমাদের এত বড় টিমের বিশাল কর্মযজ্ঞের পর আজ এর পূর্ণতা পেল। দেশের সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেন চলবে এখানে। এটা আমাদের জন্য মাইলফলক।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, দুদিন ট্রায়াল ট্রেনের টেস্ট রান সম্পন্ন হলে রিপোর্ট পাঠানো হবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে, যেখান থেকে উদ্বোধন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
কাফি