কর্পোরেট সংবাদ
চাকরিচ্যুতরা এস আলমের অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত ছিল: সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। অবস্থান নিয়েছেন ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে। আন্দোলনকারীদের দাবি, বিনা কারণে বিনা নোটিশে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক বলছে, ব্যাংকের সার্ভিস রুলস মোতাবেক এবং নিয়োগ পত্রের ধারা ১০ অনুযায়ী অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)।
ব্যাংকটি বলছে, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এস আলম গ্রুপের অবৈধ নিয়োগ দেওয়া ৫৭৯ জন কর্মকর্তাকে গত ২৯ অক্টোবর চাকরিচ্যুত করে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকের সার্ভিস রুলস মোতাবেক এবং নিয়োগ পত্রের ধারা দশ অনুযায়ী শিক্ষানবিশ সময়কালে ব্যাংক যে কোনো সময় বিনা নোটিশে যেকোনো কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার অধিকার রাখে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এসব অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
পরবর্তী সময়ে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে ব্যাংকের নিকট আবেদন করে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে শুনানির আয়োজন করা হয়। শুনানি পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে চাকরি পুনর্বহাল সম্ভব নয় উল্লেখ করে পত্র প্রদান করে। এই চিঠি পাওয়ার পর গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে এবং লাগাতার ব্যাংকের সামনে অবস্থান করছে। যার ফলে ব্যাংকের গ্রাহকগণ হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং সাধারণ জনগণের স্বাভাবিক চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এমনকি মতিঝিলের সর্বোচ্চ স্থাপনা সিটি সেন্টারের সামনে এ ধরনের কার্যক্রম এই বিল্ডিং এ অবস্থিত অন্যান্য অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও স্বাভাবিক চলাফেরা বাধাগ্রস্ত করছে।
এসআইবিএল আরও জানায়, পটিয়া এলাকার প্রায় ২০০০ কর্মকর্তা নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ পেয়ে এখনো এসআইবিএল এ কর্মরত রয়েছে। এসব কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এবং এস আলম গ্রুপের মদদে এই চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। তাদের এই পদক্ষেপ ব্যাংকিং খাত তথা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পত্রের মাধ্যমে অবহিত করা হয় এবং তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় দ্রুত তারা এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিয়োগপত্রের ধারা মেনেই অবৈধভাবে এস আলম গ্রুপের নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর এস আলমের পৃষ্ঠপোষকতায় তারা এ ধরনের বিশৃঙ্খলা করে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করছে যা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং সাধারণ জনগণ তথা ব্যাংকের গ্রাহকগণ এর ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যা মোটেই কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় মদদে এস আলম গ্রুপ দেশের ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে চরম অরাজকতার সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক যখন ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তখন এস আলমের মদদপুষ্ট এক গোষ্ঠী আবারও অরাজকতা তৈরিতে সক্রিয় রয়েছে।

কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিমিয়াম ব্যাংকিং গ্রাহকরা পাবেন আলফা ক্যাটারিংয়ের বিশেষ সুবিধা

প্রিমিয়াম ব্যাংকিং গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দিতে দেশের স্বনামধন্য ক্যাটারিং সার্ভিস প্রোভাইডার আলফা ক্যাটারিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠান এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
এই চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রিমিয়াম ব্যাংকিং গ্রাহকরা আলফা ক্যাটারিংয়ে মোট বিলের ওপর ১০% ছাড় উপভোগ করবেন। এই উদ্যোগ গ্রাহকদের বিশেষ সেবা ও সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির হেড অব তারা, আগামী অ্যান্ড প্রিমিয়াম ব্যাংকিং সেগমেন্টস মেহরুবা রেজা, হেড অব প্রিমিয়াম ব্যাংকিং প্রপোজিশন আরমীন আহমেদ এবং প্রিমিয়াম ব্যাংকিংয়ের সিনিয়র ম্যানেজার এহসান সামাদ।
আলফা ক্যাটারিংয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়জাল হাফিজ উল্লাশ এবং বিক্রয় ও পরিচালনা ব্যবস্থাপক মাহমুদুল ইসলাম রিয়ন।
কর্পোরেট সংবাদ
আইএফআইসি ব্যাংকের ৪৮তম এজিএম

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাবে হাইব্রিড পদ্ধতিতে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. এবতাদুল ইসলাম; অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক কাজী মো. মাহবুব কাশেম, এফসিএ; নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা; ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; কোম্পানি সচিব মোকাম্মেল হক এবং ব্যাংকের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণ। এছাড়াও, পরিচালক মুহাম্মদ মনজুরুল হক সভায় ভার্চুয়ালী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন বলেন, দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক হিসেবে আইএফআইসি তার নেতৃত্বের অবস্থান পুনরুদ্ধারে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কৌশলগত সংস্কারের মাধ্যমে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন বলেন, শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং অনিয়ম বা দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এই প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ ব্যাংকের সামগ্রিক পারফরম্যান্স ও প্রধান আর্থিক সূচকসমূহ আগামী বছরে উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদর্শন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা জানান, ব্যাংক ইতোমধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অংশীজনদের আস্থা পুনরুদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ব্যাংকের সব উদ্যোগই শেয়ারহোল্ডার, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য এবং তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আইএফআইসি ব্যাংক অচিরেই একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীলতা পর্যায়ে পৌঁছাবে।
সভায় নির্ধারিত এজেন্ডা গুলোর মধ্যে ২০২৪ অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুমোদন এবং নিরীক্ষক নিয়োগসহ অন্যান্য প্রস্তাবসমূহ গৃহীত হয়। সভা এই অংশটি সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের কোম্পানি সেক্রেটারি মোকাম্মেল হক।
কর্পোরেট সংবাদ
সব এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটকে বিমা সুরক্ষার আওতায় আনলো ব্র্যাক ব্যাংক

ব্যাংকের সকল এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটকে বিমা সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে সম্প্রতি প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই চুক্তির আওতায় এখন থেকে ব্র্যাক ব্যাংকের সকল এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট ‘ক্যাশ-ইন-সেফ’ এবং ‘ক্যাশ-ইন-ট্রানজিট’ বিমার মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশের প্রথম ব্যাংক হিসেবে বিস্তৃত বিমা সুরক্ষাব্যবস্থা চালু করলো ব্র্যাক ব্যাংক।
এই পূর্ণাঙ্গ বিমা সুরক্ষা দেশের আর্থিক নিরাপত্তাকে আরও সুদৃঢ় করার মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস বাড়াবে। এই উদ্যোগ দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। গ্রাহকদের আমানতের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এটি ব্র্যাক ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ব্যাংকটির ওপর গ্রাহক আস্থা আরও বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে।
গত ২৮ আগস্ট ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈয়দ সেহাব উল্লাহ আল-মানজুর। এ সময় অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব অল্টারনেট ব্যাংকিং চ্যানেলস নাজমুর রহিম, হেড অব এজেন্ট ব্যাংকিং মো. নাজমুল হাসান, হেড অব অ্যাকাউন্ট সার্ভিসেস মো. আবু তাহের মৃধা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্টের সকল রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর। প্রগতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির এএমডি অ্যান্ড চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার অমর কৃষ্ণ শীল (এফসিএ) এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শরীফ মুস্তাবা।
অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের পথিকৃৎ ব্র্যাক্ ব্যাংক বর্তমানে সারাদেশে ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট পরিচালনা করছে। এভাবে দেশের আর্থিক সেবার বাইরে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ব্যাংকটি।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির সম্প্রসারণ দুই জেলায়

শিক্ষার্থীদের বই পড়ার অভ্যস্ততা তৈরি ও সৃজনশীল চিন্তাভাবনায় আগ্রহী করতে বিকাশ ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে বইপড়া কর্মসূচির সম্প্রসারণ করা হয়েছে এবার লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে। এই কর্মসূচির আওতায় এ বছর দেশজুড়ে ৩৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার বই বিতরণ করা হবে।
এরই অংশ হিসেবে সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর জেলার কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়, লক্ষ্মীপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পৌর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়, জিয়াউল হক হাই স্কুল এন্ড কলেজ ও রামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এবং ফেনী জেলার ফেনী পৌর বালিকা উচ্চ বিদ্যানিকেতন, ফেনী শিশু নিকেতন কালেক্টরেট স্কুল, ফেনী গিরিশ-অক্ষয় একাডেমী, হলি ক্রিসেন্ট স্কুল, এবং ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বই দেয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর টাউনহল ও ফেনীর জেলা শিল্পকলা একডেমিতে পৃথক দু’টি অনুষ্ঠানে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ ও আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি নেয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার এবং ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম স্ব স্ব জেলায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকাশ এর ইভিপি ও রেগুলেটরি এন্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এর প্রধান হুমায়ুন কবির এবং অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক ট্রাস্টি খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান।
বইপড়া কার্যক্রম কে আরও জনপ্রিয় করতে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সমসাময়িক বিষয়ের উপর কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে, ৮০জন কুইজ বিজয়ী শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
পাঠ্য-পুস্তকের বাইরেও বই পড়ার অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে পরিপূর্ণ ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ পায়, সে উদ্দেশ্যেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশজুড়ে বই পড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই উদ্দেশ্যকে আরও প্রসারিত ও কার্যকরী করতে ২০১৪ সাল থেকে বই পড়া কর্মসূচির সাথে যুক্ত আছে বিকাশ। এই কর্মসূচির আওতায় দেশজুড়ে এপর্যন্ত প্রায় ৪ লক্ষ বই বিতরণ করেছে যার মাধ্যমে প্রায় ৩০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৩ লাখের বেশি পাঠক উপকৃত হয়েছে।
কর্পোরেট সংবাদ
স্টার্ট-আপ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংকের চুক্তি

নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং দেশের উদীয়মান নতুন উদ্ভাবনী ব্যবসায় উদ্যোগগুলোকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫০০ কোটি টাকার স্টার্ট-আপ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ তহবিল বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজীম এ. চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায়, প্রাইম ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার মাধ্যমে স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করবে। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও সম্প্রসারণে প্রশিক্ষণ, কারিগরি সহায়তা এবং পরামর্শমূলক সেবা প্রদান করবে।
প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজীম এ. চৌধুরী বলেন, নতুন নতুন উদ্ভাবনী উদ্যোক্তা তৈরি এবং দেশের সিএমএসএমই খাতকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এই সহযোগিতা আমাদের যৌথ অঙ্গীকারের প্রতিফলন। আর্থিক ও ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তার মাধ্যমে আমরা নতুন উদ্যোগগুলোকে একটি সফল ব্যবসায় রূপান্তর করতে চাই, যা দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, সিএমএসএমই খাতকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন এবং টেকসই ও উদ্ভাবন-নির্ভর অর্থনীতি গড়তে এই উদ্যোগ প্রাইম ব্যাংকের জন্য এক অনন্য মাইলফলক।