পুঁজিবাজার
পুঁজি হারানোর হাহাকারে বছর পার করলেন বিনিয়োগকারীরা
দেশের পুঁজিবাজার ২০২৪ সালে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে। বছরজুড়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ, প্রতিবাদ এবং বাজার স্থিতিশীলতায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরপরই বিদায় নিতে হয় শিবলী কমিশনেকে। সংস্কারের পথ ধরে গঠিত হয় নতুন কমিশন। এতেও আস্থা ফেরানো যায়নি বিনিয়োগকারীদের। এবছরেই বিক্ষুব্ধরা তালা ঝুলিয়েছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে। পুঁজিবাজারে সূচক ধস, অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দরপতনসহ মূলধন হ্রাস ছিল অব্যাহত। ফলে বছরজুড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছিল পুঁজি হারানোর হাহাকার।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল আনা হয়। এতে বিদায় নেন শিবলী রুবাইয়াত-উল–ইসলাম কমিশন। পরে খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে প্রধান করে গঠন হয় বিএসইসির নতুন কমিশন। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ডিএসই ও সিএসইর (চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ) পর্ষদ পুরোটাই রদবদল হয়। এরপরও পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা ফেরেনি। এতে বিনিয়োগকারীরাও খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। ফলে বিনিয়োগকারীরা লংমার্চসহ আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। একইসঙ্গে বিএসইসি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগও দাবি করেন তারা।
এমন একপর্যায়ে বিএসইসি নতুন কমিশন নড়েচড়ে বসে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে পুঁজিবাজারের স্বার্থে বেশকিছু পদক্ষেপ নেন নতুন কমিশন। এতে কারসাজির অভিযোগে অনেকে শাস্তি দেন। এ ছাড়া বাজারের স্বার্থে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এর কাজ এখনও চলমান।
এবিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন,অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল এবারের ২০২৪ সাল। এটা ছিল একটি ঘটনাবহুল বছর। অনেক আপ-ডাউন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন কমিশনের চেষ্টায় একটা অবস্থানে এসেছি। পুঁজিবাজারের স্বার্থে কমিশন নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৫ সালে তার ইতিবাচক ফল পাব।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল আমিন বলেন, ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাস শেখ হাসিনার সরকার ছিল, তখন পুঁজিবাজার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে। এসময় পুঁজিবাজার অনিয়মে ঢাকা ছিল, ছিল কারসাজিকারীদের দখলে। বাজার মনিটরিং ছিল দুর্বল। ফলে পুঁজিবাজার রুগ্ন হয়ে পড়েছিল। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরে বিএসইসিতে ব্যাপক রদবদল হয়। নতুন করে ঢেলে সাজানো হয় বিএসইসিকে। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন স্বার্থে গত চার মাস নতুন কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজারে কারসাজি রোধ করা হচ্ছে। অনিয়মকারীদের শাস্তি আওতায় আনা হচ্ছে। এরইমধ্যে বিএসইসি সংস্কার করা হচ্ছে। পুঁজিবাজারের স্বার্থে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যার কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি, আগামী বছরের জুনের মধ্যে পুঁজিবাজার ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফল বিনিয়োগকারীরা পাবে।
সদ্য সমাপ্ত ২০২৪ সালের শুরুতে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি লেনদেন শুরুর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্ট। বছরটির শেষে ৩০ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ২১৬ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে প্রধান সূচক কমেছে ১ হাজার ৩০ পয়েন্ট বা ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বছরটিতে ডিএসইএক্স সবোর্চ্চ ওঠেছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট। সর্বনিম্নে নেমেছিল ৪ হাজার ৮৯৮ পয়েন্ট।
গত বছরের ১ জানুয়ারির শুরুতে ডিএসইর সূচক ডিএস৩০ ছিল ২ হাজার ৯৩ পয়েন্ট। বছরটির শেষে ৩০ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় এক হাজার ৯৩৯ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএস৩০ কমেছে ১৫৪ পয়েন্ট বা সাত দশমিক ৩৬ শতাংশ। বছরটিতে ডিএস৩০ সবোর্চ্চ ওঠেছিল ২ হাজার ১৯৭ পয়েন্ট। সর্বনিম্নে নেমেছিল এক হাজার ৮০৩ পয়েন্ট।
এছাড়া ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির শুরুতে ডিএসইর সূচক ডিএসইএস ছিল এক হাজার ৩৬৪ পয়েন্ট। বছরটির শেষে ৩০ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় এক হাজার ১৬৮ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইএস কমেছে ১৯৬ পয়েন্ট বা ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। বছরটিতে ডিএসইএস সবোর্চ্চ ওঠেছিল দুই হাজার ১৯৭ পয়েন্ট। সর্বনিম্ন নেমেছিল এক হাজার ৮০৩ পয়েন্ট।
বিদায়ী বছরের ১ জানুয়ারির শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। এখন তা কমে ৩০ ডিসেম্বর দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসই বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ ২২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
আলোচ্য বছরের বাজার মূলধন কমলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমান। ২০২৪ সালে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল এক লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা। আগের বছর ২০২৩ সালে লেনদেন ছিল এক লাখ ৪১ হাজার ৫৯ কোটি টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
২০২৪ সালে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল আনা হয়। গঠন করা হয় নতুন কমিশন। তবুও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে ব্যর্থ হয় গঠিত রাশেদ কমিশন। এক পর্যায়ে পুঁজিবাজার উন্নয়নে পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। ব্যাংক ঋণের বদলে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে সরকারের নীতি প্রণয়ন এবং এ সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিএসইসির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের সুপারিশ করাসহ টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭টি। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে টাস্কফোর্স তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন কমিশনে হস্তান্তর করবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে ০.৭৪ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়েছে।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩.২৭ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৪.৮৯ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬.৫২ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১০.৩১ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১০.৬৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.২১ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১১.৬৪ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.০১ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৩ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৩.০৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৩.৭৮ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১৩.৮১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৭.০৭ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৭.৬৮ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৩.৬৪ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ৩৫.৪৭ পয়েন্টে, পাট খাতে ৩৬.৯৯ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৫৭.৬৪ পয়েন্ট এবং সিরামিক খাতে ৮৩.০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ ডিসেম্বর থেকে ০২ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহজুড়ে সর্বোচ্চ দর পতন হয়েছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটির দর কমেছে ১১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ফান্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৬ টাকা ৮০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্সের শেয়ার দর কমেছে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১৩০ টাকা ১০ পয়সা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর কমেছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩৮৭ টাকা ২০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- জুট স্পিনার্সের ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, বিকন ফার্মার ৮ দশমিক ০১ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ, ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, নর্দান জুটের ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ড্রাগন সোয়েটারের ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহের ব্যবধানে ওয়েস্টার্ন মেরিনের শেয়ারদর বেড়েছে ৪৪ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ ডিসেম্বর থেকে ০২ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ার দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানির শেয়ার দর ২ টাকা ৮০ পয়সা বা ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৯ টাকা ২০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ার দর বেড়েছে ২৯ দশমিক ১১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১০ টাকা ২০ পয়সা। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ইয়াকিন পলিমারের শেয়ার দর বেড়েছে ১৯ দশমিক ০৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ১০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে– লিগ্যাসি ফুটওয়্যারের ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১২ দশমিক ২২ শতাংশ, এস.আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলসের ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং ওয়ান ব্যাংক পিএলসির ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ ডিসেম্বর থেকে ০২ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে লেনদেনর তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২১ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবি আজিয়াটার ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩ দশমিক ১০ শতাংশ।
লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- সিটি ব্যাংকের ৯ কোটি ৪৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, পূবালী ব্যাংকের ৮ কোটি ৯২ লাখ টাকা, ফাইন ফুডসের ৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোর ৬ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং লাভেলো আইসক্রিমের ৬ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইর লেনদেনের সঙ্গে বাজার মূলধন বাড়ল ২৭৯১ কোটি টাকা
বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ ডিসেম্বর থেকে ০২ জানুয়ারি) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে। নতুন বছরে প্রথম সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেন বেড়েছে ২১৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। একই সঙ্গে আলোচ্য সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে তথ্যটি জানা যায়।
সূচকের উত্থান-পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৯২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৭৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ২১৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে দশমিক ৪২ শতাংশ বা ২ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬০ হাজার ১৬০ কোটি টাকা।
তবে চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর দুইটি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৫ দশমিক ১৭ পয়েন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১৯ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ০ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এদিকে, প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৫৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বা ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৪৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ২৯৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৪টি কোম্পানির, কমেছে ১৮২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
কাফি