পুঁজিবাজার
পুঁজি হারানোর হাহাকারে বছর পার করলেন বিনিয়োগকারীরা

দেশের পুঁজিবাজার ২০২৪ সালে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে। বছরজুড়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ, প্রতিবাদ এবং বাজার স্থিতিশীলতায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরপরই বিদায় নিতে হয় শিবলী কমিশনেকে। সংস্কারের পথ ধরে গঠিত হয় নতুন কমিশন। এতেও আস্থা ফেরানো যায়নি বিনিয়োগকারীদের। এবছরেই বিক্ষুব্ধরা তালা ঝুলিয়েছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিতে। পুঁজিবাজারে সূচক ধস, অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দরপতনসহ মূলধন হ্রাস ছিল অব্যাহত। ফলে বছরজুড়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছিল পুঁজি হারানোর হাহাকার।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল আনা হয়। এতে বিদায় নেন শিবলী রুবাইয়াত-উল–ইসলাম কমিশন। পরে খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে প্রধান করে গঠন হয় বিএসইসির নতুন কমিশন। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ডিএসই ও সিএসইর (চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ) পর্ষদ পুরোটাই রদবদল হয়। এরপরও পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা ফেরেনি। এতে বিনিয়োগকারীরাও খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। ফলে বিনিয়োগকারীরা লংমার্চসহ আগারগাঁওয়ে বিএসইসি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন। একইসঙ্গে বিএসইসি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ ছাড়া বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগও দাবি করেন তারা।
এমন একপর্যায়ে বিএসইসি নতুন কমিশন নড়েচড়ে বসে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে পুঁজিবাজারের স্বার্থে বেশকিছু পদক্ষেপ নেন নতুন কমিশন। এতে কারসাজির অভিযোগে অনেকে শাস্তি দেন। এ ছাড়া বাজারের স্বার্থে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এর কাজ এখনও চলমান।
এবিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন,অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল এবারের ২০২৪ সাল। এটা ছিল একটি ঘটনাবহুল বছর। অনেক আপ-ডাউন হয়েছে। এর মধ্যে নতুন কমিশনের চেষ্টায় একটা অবস্থানে এসেছি। পুঁজিবাজারের স্বার্থে কমিশন নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ২০২৫ সালে তার ইতিবাচক ফল পাব।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল আমিন বলেন, ২০২৪ সালের প্রথম সাত মাস শেখ হাসিনার সরকার ছিল, তখন পুঁজিবাজার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে। এসময় পুঁজিবাজার অনিয়মে ঢাকা ছিল, ছিল কারসাজিকারীদের দখলে। বাজার মনিটরিং ছিল দুর্বল। ফলে পুঁজিবাজার রুগ্ন হয়ে পড়েছিল। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরে বিএসইসিতে ব্যাপক রদবদল হয়। নতুন করে ঢেলে সাজানো হয় বিএসইসিকে। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন স্বার্থে গত চার মাস নতুন কমিশন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বাজারে কারসাজি রোধ করা হচ্ছে। অনিয়মকারীদের শাস্তি আওতায় আনা হচ্ছে। এরইমধ্যে বিএসইসি সংস্কার করা হচ্ছে। পুঁজিবাজারের স্বার্থে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, যার কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি, আগামী বছরের জুনের মধ্যে পুঁজিবাজার ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফল বিনিয়োগকারীরা পাবে।
সদ্য সমাপ্ত ২০২৪ সালের শুরুতে অর্থাৎ ১ জানুয়ারি লেনদেন শুরুর আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছিল ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্ট। বছরটির শেষে ৩০ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ২১৬ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে প্রধান সূচক কমেছে ১ হাজার ৩০ পয়েন্ট বা ১৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বছরটিতে ডিএসইএক্স সবোর্চ্চ ওঠেছিল ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্ট। সর্বনিম্নে নেমেছিল ৪ হাজার ৮৯৮ পয়েন্ট।
গত বছরের ১ জানুয়ারির শুরুতে ডিএসইর সূচক ডিএস৩০ ছিল ২ হাজার ৯৩ পয়েন্ট। বছরটির শেষে ৩০ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় এক হাজার ৯৩৯ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএস৩০ কমেছে ১৫৪ পয়েন্ট বা সাত দশমিক ৩৬ শতাংশ। বছরটিতে ডিএস৩০ সবোর্চ্চ ওঠেছিল ২ হাজার ১৯৭ পয়েন্ট। সর্বনিম্নে নেমেছিল এক হাজার ৮০৩ পয়েন্ট।
এছাড়া ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির শুরুতে ডিএসইর সূচক ডিএসইএস ছিল এক হাজার ৩৬৪ পয়েন্ট। বছরটির শেষে ৩০ ডিসেম্বর তা দাঁড়ায় এক হাজার ১৬৮ পয়েন্টে। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসইএস কমেছে ১৯৬ পয়েন্ট বা ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। বছরটিতে ডিএসইএস সবোর্চ্চ ওঠেছিল দুই হাজার ১৯৭ পয়েন্ট। সর্বনিম্ন নেমেছিল এক হাজার ৮০৩ পয়েন্ট।
বিদায়ী বছরের ১ জানুয়ারির শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। এখন তা কমে ৩০ ডিসেম্বর দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে ডিএসই বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ ২২ হাজার ২৩০ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
আলোচ্য বছরের বাজার মূলধন কমলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমান। ২০২৪ সালে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল এক লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা। আগের বছর ২০২৩ সালে লেনদেন ছিল এক লাখ ৪১ হাজার ৫৯ কোটি টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
২০২৪ সালে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল আনা হয়। গঠন করা হয় নতুন কমিশন। তবুও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে ব্যর্থ হয় গঠিত রাশেদ কমিশন। এক পর্যায়ে পুঁজিবাজার উন্নয়নে পাঁচ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। ব্যাংক ঋণের বদলে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে সরকারের নীতি প্রণয়ন এবং এ সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিএসইসির প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের সুপারিশ করাসহ টাস্কফোর্সের কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭টি। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে টাস্কফোর্স তাদের সুপারিশসহ প্রতিবেদন কমিশনে হস্তান্তর করবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির মধ্যে ৯৭টির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন দরবৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৭ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ১০ শতাংশ। তাতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা বসুন্ধরা পেপারের শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়েছে। আর দর ৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ বাড়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
এদিন দর বৃদ্ধির তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, ফু ওয়াং সিরামিক, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, সাউথইস্ট ব্যাংক, বেঙ্গল উইন্ডসোর এবং শাইনপুকুর সিরামিক লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে শাইনপুকুর সিরামিকস

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৭ মার্চ) শাইনপুকুর সিরামিকসের ২৪ কোটি ০৮ লাখ ৭২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা স্কয়ার ফার্মার আজ ২১ কোটি ৫০ লাখ ২৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ১৪ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।
এদিন লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- ওরিয়ন ইনফিউশন, ফু ওয়াং সিরামিক, ফু ওয়াং ফুড, বসুন্ধরা পেপার মিলস, বিচ হ্যাচারি, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম এবং এস.আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বাজেটে মূলধনী আয়ে করহার কমানোসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব ডিবিএ’র

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনি মুনাফার ওপর কর কমানোসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সংগঠন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
সোমবার (১৭ মার্চ) আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বরাবরে লিখিত চিঠিতে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে মূলধনী আয়ের উপর করহার ১৫ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ, কর রেয়াতের পরিমান অপরিবর্তিত রেখে বিনিয়োগ সীমা বৃদ্ধি, ভাল মৌলভিত্তিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান কমপক্ষে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়।
প্রাক বাজেট আলোচনায় বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ। সংগঠনগুলো পুঁজিবাজারে কর অব্যাহতির প্রস্তাব দেয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সূচকের পতন, দর হারিয়েছে ২২১ শেয়ার

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্যসূচকের নিম্নগতিতে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানির মধ্যে ২২১ শেয়ারের দরপতন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সোমবার (১৭ মার্চ) ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৬ দশমিক ৫০ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ‘ডিএসইএস’ ১ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে ১১৬১ পয়েন্ট এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৬ দশমিক ০১ পয়েন্ট কমে ১৮৮৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজ ডিএসইতে ৫০৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৪৪৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৯৭টি কোম্পানির, বিপরীতে ২২১ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এনআরবিসি ও এনআরবি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন

ব্যাংকিং কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনতে এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি ও এনআরবি ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন পরিচালকরা এসব ব্যাংকের তত্ত্বাবধান করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এনআরবিসি ব্যাংকের সতন্ত্র পরিচালক এবং চেয়ারম্যান করা হয়েছে কৃষি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হোসেন প্রধানিয়াকে। স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক আবুল বশর ও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল হক, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. শফিকুর রহমান, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ (৭৫ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত) এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মোহাম্মদ এমদাদুল্লাহকে।
এছাড়া, এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এনআরবি ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডার ইকবাল আহমেদকে। স্বতন্ত্র পরিচালক করা হয়েছে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ফেরদৌস আরা বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শেখ মো. সেলিম, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রাইম ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মতিউর রহমান, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শরীফ নুরুল আহকাম (তার বয়স ৭৫ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত) এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মিজানুর রহমানকে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষা ও ব্যাংকিং কার্যক্রমে শৃঙ্খলা আনতে তিনটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংকগুলো হলো- চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল, এনআরবি এবং মেঘনা ব্যাংক। ২০১৩ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় এসব ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
বুধবার ব্যাংকগুলোর এমডিকে চিঠি দিয়ে পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠনের তথ্য জানানো হয়। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পরিচালকদের অনেকেই পলাতক। এ নিয়ে ১৪টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এসএম