জাতীয়
নিজে গাড়ি চালিয়ে অবসরপ্রাপ্ত চালককে বাড়ি পৌঁছে দিলেন ডিসি
পেশায় গাড়িচালক হাবিবুর রহমান। চার দশক ধরে চালিয়েছেন যশোর জেলা প্রশাসকের গাড়ি। অবসরে যাওয়ার আগে তাকেই গাড়ি চড়িয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন যশোর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাহারুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম ছিলেন চালকের আসনে আর যাত্রীর আসনে (প্রশাসক সাধারণত যে আসনে বসেন) ছিলেন হাবিবুর রহমান। এদিন দুপুরে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা শেষে তাকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় চত্বর থেকে গাড়ি চড়িয়ে শহরের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
একজন গাড়িচালকের বিদায় বেলায় এমন বিরল দৃষ্টান্তে প্রশংসায় ভাসছেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। অন্যদিকে গাড়ি চালক হাবিবুরের সততার এমন সম্মাননা নিয়ে হইচই পড়েছে বিভিন্ন মহলে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান ১৯৮৫ সাল থেকে যশোর জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। প্রায় ৪০ বছর যশোরের জেলা প্রশাসকের গাড়ি চালিয়ে তিনি গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছেন। জেলার রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনার নীরব সাক্ষী হিসেবে তিনি পরিচিত। হাবিবুর রহমানের বাড়ি যশোর শহরের মিশনপাড়া এলাকায়। ২০২২ সালে জেলা পর্যায়ে শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত হন হাবিবুর রহমান।
বিদায় বেলায় হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনা জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। আনন্দে আমি কেঁদে ফেলেছি। সবসময় পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করেছি। ৪০ বছর ধরে আমি জেলা প্রশাসক স্যারদের গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছি। চাকরিজীবনের শেষ দিনে স্যার চালকের আসনে বসে নিজে গাড়ি চালিয়ে আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। পরিবার ও প্রতিবেশীদের কাছে আমার সম্মান অনেক গুণ বেড়ে গেছে। কর্মীদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হয়, সেটা ডিসি স্যারকে দেখে সবার শেখা উচিত।
এদিকে হাবিবুর রহমানের বিদায় সংবর্ধনায় দেওয়া বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, সততা ও নৈতিকতা প্রশ্নে আপসহীনতার যে দৃষ্টান্ত হাবিবুর স্থাপন করেছেন, তা সত্যিই বিরল। তিনি দীর্ঘ চাকরিজীবনে নিজেকে সততা ও কর্মনিষ্ঠার মূর্ত প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তি ও চাকরি জীবনে হাবিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।
যশোরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, আমার চাকুরি জীবনে হাবিবুর রহমানের মতো সৎ মানুষ দেখিনি। ব্যতিক্রম ছিলেন হাবিবুর রহমান। সরকারি গাড়িতে মাসে ১৮০ লিটার তেল বরাদ্দ থাকে। উনি যশোরের মতো একটি বড় জেলার জেলা প্রশাসকের গাড়িচালক। ব্যস্ততম জেলা যশোরের ডিসি স্যারকে পুরা জেলায় চলাচল করতে হয়। অথচ তার গাড়িতে যা তেল লাগে এটা অকল্পনীয়। অবিশ্বাস্য। তিনি যতটুকু তেল লাগে ততটুকুই তেল নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পলিথিন ব্যাগ বন্ধে অভিযান, ৪৩৮ প্রতিষ্ঠানকে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস বলেছেন, গত ৩ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী ২১৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ৪৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ২৮ লাখ ৭৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ৫৯ হাজার ৯৫৯ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর হাতিরপুল ও পলাশী কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যবহার রোধে পরিচালিত মনিটরিং কার্যক্রম শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
অবৈধ পলিথিন শপিংব্যাগ উৎপাদন বন্ধে অভিযান জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।
তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, এজন্য মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। অবৈধ পলিথিন পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পলিথিনের কারণে পরিবেশ দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এটি নদী-খালের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জনসচেতনতা বাড়ানো ও বিকল্প ব্যাগ ব্যবহারে অভ্যস্ততা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, বাজারে গেলে নিজের ব্যাগ নিয়ে যেতে হবে। পাটের, কাপড়ের ব্যাগের পাশাপাশি মোমপালিশ করা কাগজের ব্যাগে মাছ-মাংস নেওয়া যায়।
গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমরা পলিথিন বন্ধে সফল হতে সবার সহযোগিতা চাই।
মনিটরিং কার্যক্রমে পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মনিটরিং টিম বাজারের দোকানগুলোতে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে। দোকানিদের পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহারে উৎসাহিত করতে প্রচারণাও চালানো হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১২০ দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে কমিশন
২৫ নয়, ২১ বছরেই করা যাবে নির্বাচন, সংসদ হবে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, এককেন্দ্রিক ক্ষমতা ঠেকাতে নানা প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে তা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে কমিশন। স্বৈরাচারের অনুকূলে থাকা ৭০ অনুচ্ছেদসহ বিতর্কিত ধারা বাতিলও থাকছে তাদের প্রস্তাবে। তবে কাগজ-কলমের এসব সংস্কার বাস্তবে রূপ দিতে রাজনৈতিক ঐক্যের উপর জোর দিচ্ছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।
স্বাধীনতার পর থেকে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে বার বার সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করেছে বিভিন্ন সরকার। সংসদীয় ব্যবস্থা পাল্টে একদলীয় ব্যবস্থা কিংবা সমরিক শাসনকে বৈধতা দিতে ব্যবহার করা হয়েছে সংবিধানকে। সবশেষ ১৬ বছরে শেখ হাসিনা সরকার স্বৈরতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে পঞ্চদশ সংশোধনীসহ বেশ কয়েকবার সংবিধানে আনে পরিবর্তন। সবমিলিয়ে ‘৭২-এর সংবিধানে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ১৭ বার পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালানোর পর দাবি ওঠে সংবিধান পরিবর্তনের। সেই ক্ষেত্রে পুনর্লিখন নাকি সংস্কার, তা নিয়ে মতভেদ দেখা যায় বিভিন্ন শিবিরে। ৬ অক্টোবর গঠন করা হয় সংবিধান সংস্কার কমিশন। ৩ মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিকদের মতামত নিয়েছেন সদস্যরা।
কমিশন প্রধান ড. আলী রীয়াজ বলছেন, বিভিন্ন পক্ষের প্রস্তাবনা এবং ১২০টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে প্রস্তুত করা হয়েছে সংস্কার প্রস্তাবনা। পুনর্লিখন না হলেও কার্যকর সংস্কারের মাধ্যমে জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের আশা তার।
এক সাক্ষাৎকারে ড. আলী রীয়াজ বলেন, গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অংশীজনদের একটা বড় অংশ কথা বলেছেন। তাদের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তাগুলোকে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।
একনায়কতন্ত্র ঠেকাতে ক্ষমতার ভারসম্য আনার লক্ষ্য কমিশনের। সেই আলোকেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার প্রবর্তন, দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়াসহ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসম্য আনার প্রস্তাবনা দেয়ার কথা বলছেন ড. আলী রীয়াজ।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, অনেক ধরনের মতের প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের একটা ভূমিকা থাকে। তাই এটাকে একটা ইতিবাচক হিসেবে আমরা বিবেচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় একটা জবাবদিহি তৈরি করতে হবে।
তরুণদের দেশ গঠনের সুযোগ দিতে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার বয়স ৪ বছর কমিয়ে করা হচ্ছে ২১। এ ছাড়াও সংবিধানের বিভিন্ন বিতর্কিত ধারা পরিবর্তনে রাখা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা।
আলী রীয়াজ বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান বয়স ২৫ আছে। সেটি কমিয়ে ২১ বিবেচনা করেছি। সংবিধান ১৯৭২ সাল থেকে যে ১৭টি সংশোধন হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেছি যে এগুলোর শেষ পর্যন্ত কী লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।
এদিকে এসব সংস্কার প্রস্তাবনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও তা কার্যকর হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ আহসানুল করিম। রাজনৈতিক ঐকের ওপর জোর তার।
আহসানুল করিম বলেন, কী সংস্কার হবে, সেটা প্রতিটি দল একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনগণের কথা চিন্তা করে প্রতিটি দলকে এমনভাবে একমত হতে হবে, যাতে সংস্কারের বিষয়ে পরবর্তী বাংলাদেশে যে সরকারই থাকুক না কেন, তাদের যেন একটা দায়বদ্ধতা থাকে।
প্রস্তাবনা শেষে সব অংশীজনের মতামত নিয়েই চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রবাসীদের এনআইডির সেবায় চার্জ পর্যালোচনা করবে ইসি
প্রবাসে বসে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সেবা নিতে হলে বর্তমানে চার দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রবাসীদের এনআইডি সেবা দেওয়ার সংস্থান না থাকায় সার্ভিস চার্জ নেওয়া হচ্ছে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল বিগত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সার্ভিস চার্জ নেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকায় কমিশন সভায় বিষয়টি পর্যালোচনা করবে ইসি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির’ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অব.)।
সভায় জানানো হয়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধনের জন্য সার্ভিস চার্জ বিষয়ে বিগত কমিশনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। আইনানুযায়ী, বিনামূল্যে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে। তবে প্রবাসে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যথাসময়ে সেই পরিমাণ অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা না থাকায় সেবা কার্যক্রমে যাতে বিঘ্নের সৃষ্টি না ঘটে সে লক্ষ্যে প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম চলমান আছে সে সব দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা অন্যান্য কনস্যুলার সেবার জন্য যে হারে সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করে থাকেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও ধারাবাহিকতায় সার্বিক বিষয়াদি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ পূর্বক সেবা গ্রহীতাদের নিকট হতে গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এবং এ সার্ভিস চার্জ গ্রহণ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে পৃথক ব্যাংক হিসাব খুলে সব আয়-ব্যয় সম্পন্ন করবেন।
গত কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে কতিপয় দেশে সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করা হচ্ছে। যেমন-মালয়েশিয়া ৭৫ রিঙ্গিত, কুয়েত ৩ কুয়েতি দিনার, কাতার ৫৫ রিয়াল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫০ দিরহাম। যেহেতু এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের সম্মতি/মতামত গ্রহণ করা হয়নি, সেহেতু সেটি পর্যালোচনপূর্বক পুনরায় কমিশনে বিষয়টি উপস্থাপন করতে প্রবাসী ও নিবন্ধন অধিশাখার পরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশনে নির্বাচন কমিশনের জনবল পদায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রবাসী ও নিবন্ধন শাখা পরিচালককে নির্দেশনাও দিয়েছেন ইসি সানাউল্লাহ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
২০২৪ সালে সড়কে ঝরেছে ৮ হাজার ৫৪৩ প্রাণ
গেলো ২০২৪ বছরে ৬ হাজার ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ জন আর আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ জন। ২০২৪ সালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘২০২৪ সালের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬ হাজার ৯৭৪টি দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ২৩৭ জন নিহত এবং ১৩ হাজার ১৯০ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ৪৯৭টি দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত, ৩১৫ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১১৮টি দুর্ঘটনায় ১৮২ জন নিহত, ২৬৭ জন আহত এবং ১৫৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ সময়ে ২ হাজার ৩২৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৫৭০ জন নিহত ও ৩ হাজার ১৫১ জন আহত হয়েছে।
বিগত ১০ বছরে মোটরসাইকেল ১৫ থেকে ৬০ লাখে উন্নীত হয়েছে, নতুন করে ৬০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা রাস্তায় নামার পাশাপাশি ছোট যানবাহন অবাধে বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে অবাধে চলাচলের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ভয়াবহভাবে বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সড়কে ১.৫৪ শতাংশ দুর্ঘটনা, নিহত ৭.৫০ শতাংশ এবং আহত ১৭.৭৩ শতাংশ বেড়েছে।
২০২৪ সালে সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ১৬৮ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১ হাজার ৯৫২ জন চালক, ১ হাজার ৮৭৯ জন পথচারী, ৬২২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৫৫ জন শিক্ষার্থী, ১২৬ জন শিক্ষক, ১ হাজার ২০৬ জন নারী, ৬৫৮ জন শিশু, ৪৮ জন সাংবাদিক, ১৭ জন চিকিৎসক, ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন চিত্রনায়ক, ছয়জন আইনজীবী, ১২ জন প্রকৌশলী এবং ২১৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এর মধ্যে ৩৯ জন পুলিশ সদস্য, ২১ জন সেনা সদস্য, পাঁচজন আনসার সদস্য, একজন র্যাব সদস্য, একজন ফায়ারসার্ভিস সদস্য, একজন বিমানবাহিনীর সদস্য, ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ২১ জন সাংবাদিক, ৭২৭ জন নারী, ৫৩৬ জন শিশু, ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী, ৯৯ জন শিক্ষক, ১ হাজার ৩৭২ জন চালক, ২৬৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮ জন প্রকৌশলী, ৪ জন আইনজীবী, ১১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ১৫ জন চিকিৎসক ও এক হাজার ৯ জন পথচারী নিহত হয়েছে।
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫০.৮৪ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা, ২৪.৩৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮.৯২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৪.৯৯ শতাংশ বিবিধ কারনে, ০.৩১ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেঁছিয়ে এবং ০.৭৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বেপরোয়া গতি, বিপদজনক ওভারটেকিং, সড়ক নির্মাণে ত্রুটিসহ ২২টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মনে করেন, সরকার বদল হলেও পরিবহনের কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন আসেনি। তাই সড়ক দুর্ঘটনায় রোধে দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নসহ ১৩দফা সুপারিশ দিয়েছে সংগঠনটি।
সড়ক পরিবহন সেক্টরে অনিয়ম-দুর্নীতির ও সড়কে চাদাবাজি বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকা ওয়াসায় প্রবেশে লাগবে পাস
নিরাপত্তা জোরদারে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এখন থেকে পাস ব্যতীত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না বহিরাগত কোনো ব্যক্তি।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। এর আগে ঢাকা ওয়াসার সচিব মশিউর রহমান খান অফিস আদেশ জারি করে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
আদেশে ঢাকা ওয়াসার সচিব মশিউর রহমান খান উল্লেখ করেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসায় নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার এবং অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, এ উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে– ঢাকা ওয়াসার কোনো প্রতিষ্ঠানে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি ওয়াসার পাস ব্যতীত প্রবেশ করতে পারবে না; সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইডি কার্ড ব্যতীত প্রবেশ করতে পারবে না; আগত ভিজিটরদের অস্থায়ী আইডি কার্ড নিতে হবে, যা দৃশ্যমান রাখতে হবে; ওয়াসা ভবনে আধুনিক অগ্নিনিরাপত্তা সিস্টেম চালু করতে হবে; ঢাকা ওয়াসার সব স্থাপনার নিরাপত্তা কার্যক্রম দিনরাত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জোরদার করতে হবে।