জাতীয়
আ. লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানালো পরিবেশ উপদেষ্টা
দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বুধবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে এক প্রশ্নে রিজওয়ানা হাসান বলেন, নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করবে আর কোন দল অংশগ্রহণ করবে না, এটাতো আমরা বলে দেব না। যে দল অংশগ্রহণ করতে চায় সে দল করবে। কোন দল কেমন করে অংশগ্রহণ করবে সেটা তো সেই দলকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা নেই বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে বক্তব্যে দিয়েছেন সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, এ সমস্ত কথা আসলে নির্বাচন কমিশন থেকেই আসতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যদি আপনারা কোনো অবস্থান দেখতেন সরকার এই দল নিষিদ্ধ করছে, তখন আপনারা এই প্রশ্নটা সরকারকে করতে পারতেন। তাছাড়া কোন দল নির্বাচন করবে না করবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আসলে নির্বাচন কমিশন দেবে।
তাহলে কি আওয়ামী লীগের নির্বাচনে আসা, না আসা সরকারের ওপর নির্ভর করছে না? জানতে চাইলে পানি সম্পদ উপদেষ্টার রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখনো পর্যন্ত সরকার এই বিষয়ে কোনো মতামত জানায়নি, কোনো অবস্থান নেয়নি যে আওয়ামী লীগকে আমরা নিষিদ্ধ করব। এ রকমতো কোনো অবস্থান নেয়নি। আমরা যেটি দেখেছি যে হাইকোর্টে এ রকম একটি বা দুটি পিটিশন হয়েছিল, সেগুলোর একটি প্রত্যাহার করা হয়েছে, আরেকটি হাইকোর্ট রিজেক্ট করে দিয়েছে।
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে এক প্রশ্নে রিজওয়ানা হাসান বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাকে ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি আছে সেটিও আমরা বলেছি, সেখানে একটি ব্যতিক্রম আছে সেটিও আমরা বলেছি।
তিনি বলেন, ভারত কি অবস্থান নেবে, একটি অবস্থান প্রাথমিকভাবে নেওয়া যায়, আবার চূড়ান্ত একটি অবস্থানের দিকেও দেশগুলো যেতে পারে।সেগুলো ভবিষ্যতের জন্যই আমাদের ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু আমাদের অবস্থান হচ্ছে আমরা চাইবো শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বিচার করতে। যদি উপস্থিতিতে বিচার না হয় তাহলে যেভাবে বিচার প্রক্রিয়া করতে হয় সেভাবেই করবো।
নতুন বছরে সরকারের অগ্রাধিকার কাজ
নতুন বছরে সরকার কোন কাজগুলোতে অগ্রাধিকার দেবে? জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, নতুন বছরে অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার হবে তিনটি। প্রথমত জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ড ও বর্বরতার বিচার নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত, যে সমস্ত সংস্কার প্রস্তাবগুলো আসবে সেগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে সেগুলো সংস্কার করা, আরেকটি হচ্ছে নির্বাচনের একটা পরিষ্কার রোডম্যাপ ডেভেলপ করা।
তিনি বলেন, এর পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় জীবনে সব সময় যে চ্যালেঞ্জগুলো থাকে, সেগুলো থাকবে। এর মধ্যে দুটো যেটি অন্তর্বর্তী সরকার মনে করে প্রাধান্য দিচ্ছে- একটি হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা, আরেকটি হচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা।
অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র: খসড়া করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে
অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র করার বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ান আহসান বলেন, শিক্ষার্থীরা যে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারির কথা বলছে, এর সঙ্গে সরকারের দ্বিমত নেই। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে চেয়েছি এটা বাংলাদেশের জনগণের একটা ঘোষণাপত্র হোক। সেটা করার একটা উপায় হচ্ছে, যারা এই আন্দোলন করেছেন তাদের সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে একটা ঘোষণাপত্র করা। সে প্রক্রিয়াটা শুরু (শিক্ষার্থীরা) করার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে একটা ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সবার সঙ্গে কথা বলার প্রক্রিয়াটা শুরু হয়েছে। এখন আমরা খসড়া তৈরির প্রক্রিয়ায় যাবো।
শিক্ষার্থীরা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র জারির আহ্বান জানিয়েছেন- এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই ১৪ দিনের মধ্যে আমরা বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচকভাবে দেখব। এটা অসম্ভব কোনো কিছু না।
উপদেষ্টা আরও বলেন, বিএনপি আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বলেছেন সংস্কারের প্রয়োজন আছে। তারা বলেননি যে সংস্কারের প্রয়োজন নেই। রাজনীতিবিদরাও চাচ্ছেন সংস্কারটা হোক। আমাদের তালিকায় নির্বাচনও প্রাধান্য, সংস্কারও প্রাধান্য।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১২০ দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে যেসব প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে কমিশন
২৫ নয়, ২১ বছরেই করা যাবে নির্বাচন, সংসদ হবে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়, এককেন্দ্রিক ক্ষমতা ঠেকাতে নানা প্রস্তাবনা দিতে যাচ্ছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে তা প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেবে কমিশন। স্বৈরাচারের অনুকূলে থাকা ৭০ অনুচ্ছেদসহ বিতর্কিত ধারা বাতিলও থাকছে তাদের প্রস্তাবে। তবে কাগজ-কলমের এসব সংস্কার বাস্তবে রূপ দিতে রাজনৈতিক ঐক্যের উপর জোর দিচ্ছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।
স্বাধীনতার পর থেকে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে বার বার সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করেছে বিভিন্ন সরকার। সংসদীয় ব্যবস্থা পাল্টে একদলীয় ব্যবস্থা কিংবা সমরিক শাসনকে বৈধতা দিতে ব্যবহার করা হয়েছে সংবিধানকে। সবশেষ ১৬ বছরে শেখ হাসিনা সরকার স্বৈরতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে পঞ্চদশ সংশোধনীসহ বেশ কয়েকবার সংবিধানে আনে পরিবর্তন। সবমিলিয়ে ‘৭২-এর সংবিধানে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ১৭ বার পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালানোর পর দাবি ওঠে সংবিধান পরিবর্তনের। সেই ক্ষেত্রে পুনর্লিখন নাকি সংস্কার, তা নিয়ে মতভেদ দেখা যায় বিভিন্ন শিবিরে। ৬ অক্টোবর গঠন করা হয় সংবিধান সংস্কার কমিশন। ৩ মাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিকদের মতামত নিয়েছেন সদস্যরা।
কমিশন প্রধান ড. আলী রীয়াজ বলছেন, বিভিন্ন পক্ষের প্রস্তাবনা এবং ১২০টি দেশের সংবিধান পর্যালোচনা করে প্রস্তুত করা হয়েছে সংস্কার প্রস্তাবনা। পুনর্লিখন না হলেও কার্যকর সংস্কারের মাধ্যমে জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের আশা তার।
এক সাক্ষাৎকারে ড. আলী রীয়াজ বলেন, গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অংশীজনদের একটা বড় অংশ কথা বলেছেন। তাদের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তাগুলোকে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।
একনায়কতন্ত্র ঠেকাতে ক্ষমতার ভারসম্য আনার লক্ষ্য কমিশনের। সেই আলোকেই দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থার প্রবর্তন, দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়াসহ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসম্য আনার প্রস্তাবনা দেয়ার কথা বলছেন ড. আলী রীয়াজ।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, অনেক ধরনের মতের প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের একটা ভূমিকা থাকে। তাই এটাকে একটা ইতিবাচক হিসেবে আমরা বিবেচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় একটা জবাবদিহি তৈরি করতে হবে।
তরুণদের দেশ গঠনের সুযোগ দিতে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার বয়স ৪ বছর কমিয়ে করা হচ্ছে ২১। এ ছাড়াও সংবিধানের বিভিন্ন বিতর্কিত ধারা পরিবর্তনে রাখা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা।
আলী রীয়াজ বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে বর্তমান বয়স ২৫ আছে। সেটি কমিয়ে ২১ বিবেচনা করেছি। সংবিধান ১৯৭২ সাল থেকে যে ১৭টি সংশোধন হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেছি যে এগুলোর শেষ পর্যন্ত কী লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।
এদিকে এসব সংস্কার প্রস্তাবনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও তা কার্যকর হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ আহসানুল করিম। রাজনৈতিক ঐকের ওপর জোর তার।
আহসানুল করিম বলেন, কী সংস্কার হবে, সেটা প্রতিটি দল একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনগণের কথা চিন্তা করে প্রতিটি দলকে এমনভাবে একমত হতে হবে, যাতে সংস্কারের বিষয়ে পরবর্তী বাংলাদেশে যে সরকারই থাকুক না কেন, তাদের যেন একটা দায়বদ্ধতা থাকে।
প্রস্তাবনা শেষে সব অংশীজনের মতামত নিয়েই চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রবাসীদের এনআইডির সেবায় চার্জ পর্যালোচনা করবে ইসি
প্রবাসে বসে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সেবা নিতে হলে বর্তমানে চার দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রবাসীদের এনআইডি সেবা দেওয়ার সংস্থান না থাকায় সার্ভিস চার্জ নেওয়া হচ্ছে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল বিগত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই সার্ভিস চার্জ নেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না থাকায় কমিশন সভায় বিষয়টি পর্যালোচনা করবে ইসি।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির’ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ (অব.)।
সভায় জানানো হয়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধনের জন্য সার্ভিস চার্জ বিষয়ে বিগত কমিশনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। আইনানুযায়ী, বিনামূল্যে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে। তবে প্রবাসে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যথাসময়ে সেই পরিমাণ অর্থ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা না থাকায় সেবা কার্যক্রমে যাতে বিঘ্নের সৃষ্টি না ঘটে সে লক্ষ্যে প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা কার্যক্রম চলমান আছে সে সব দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা অন্যান্য কনস্যুলার সেবার জন্য যে হারে সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করে থাকেন। জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও ধারাবাহিকতায় সার্বিক বিষয়াদি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পরিমাণ সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ পূর্বক সেবা গ্রহীতাদের নিকট হতে গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এবং এ সার্ভিস চার্জ গ্রহণ ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে পৃথক ব্যাংক হিসাব খুলে সব আয়-ব্যয় সম্পন্ন করবেন।
গত কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে কতিপয় দেশে সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করা হচ্ছে। যেমন-মালয়েশিয়া ৭৫ রিঙ্গিত, কুয়েত ৩ কুয়েতি দিনার, কাতার ৫৫ রিয়াল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫০ দিরহাম। যেহেতু এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের সম্মতি/মতামত গ্রহণ করা হয়নি, সেহেতু সেটি পর্যালোচনপূর্বক পুনরায় কমিশনে বিষয়টি উপস্থাপন করতে প্রবাসী ও নিবন্ধন অধিশাখার পরিচালককে নির্দেশনা দিয়েছে কমিটি।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশনে নির্বাচন কমিশনের জনবল পদায়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্রবাসী ও নিবন্ধন শাখা পরিচালককে নির্দেশনাও দিয়েছেন ইসি সানাউল্লাহ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
২০২৪ সালে সড়কে ঝরেছে ৮ হাজার ৫৪৩ প্রাণ
গেলো ২০২৪ বছরে ৬ হাজার ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ জন আর আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ জন। ২০২৪ সালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘২০২৪ সালের সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬ হাজার ৯৭৪টি দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ২৩৭ জন নিহত এবং ১৩ হাজার ১৯০ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ৪৯৭টি দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত, ৩১৫ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১১৮টি দুর্ঘটনায় ১৮২ জন নিহত, ২৬৭ জন আহত এবং ১৫৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ সময়ে ২ হাজার ৩২৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৫৭০ জন নিহত ও ৩ হাজার ১৫১ জন আহত হয়েছে।
বিগত ১০ বছরে মোটরসাইকেল ১৫ থেকে ৬০ লাখে উন্নীত হয়েছে, নতুন করে ৬০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা রাস্তায় নামার পাশাপাশি ছোট যানবাহন অবাধে বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে অবাধে চলাচলের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ভয়াবহভাবে বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সড়কে ১.৫৪ শতাংশ দুর্ঘটনা, নিহত ৭.৫০ শতাংশ এবং আহত ১৭.৭৩ শতাংশ বেড়েছে।
২০২৪ সালে সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ১৬৮ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১ হাজার ৯৫২ জন চালক, ১ হাজার ৮৭৯ জন পথচারী, ৬২২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৫৫ জন শিক্ষার্থী, ১২৬ জন শিক্ষক, ১ হাজার ২০৬ জন নারী, ৬৫৮ জন শিশু, ৪৮ জন সাংবাদিক, ১৭ জন চিকিৎসক, ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন চিত্রনায়ক, ছয়জন আইনজীবী, ১২ জন প্রকৌশলী এবং ২১৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এর মধ্যে ৩৯ জন পুলিশ সদস্য, ২১ জন সেনা সদস্য, পাঁচজন আনসার সদস্য, একজন র্যাব সদস্য, একজন ফায়ারসার্ভিস সদস্য, একজন বিমানবাহিনীর সদস্য, ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ২১ জন সাংবাদিক, ৭২৭ জন নারী, ৫৩৬ জন শিশু, ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী, ৯৯ জন শিক্ষক, ১ হাজার ৩৭২ জন চালক, ২৬৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮ জন প্রকৌশলী, ৪ জন আইনজীবী, ১১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ১৫ জন চিকিৎসক ও এক হাজার ৯ জন পথচারী নিহত হয়েছে।
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫০.৮৪ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা, ২৪.৩৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮.৯২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৪.৯৯ শতাংশ বিবিধ কারনে, ০.৩১ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেঁছিয়ে এবং ০.৭৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বেপরোয়া গতি, বিপদজনক ওভারটেকিং, সড়ক নির্মাণে ত্রুটিসহ ২২টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মনে করেন, সরকার বদল হলেও পরিবহনের কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন আসেনি। তাই সড়ক দুর্ঘটনায় রোধে দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়নসহ ১৩দফা সুপারিশ দিয়েছে সংগঠনটি।
সড়ক পরিবহন সেক্টরে অনিয়ম-দুর্নীতির ও সড়কে চাদাবাজি বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকা ওয়াসায় প্রবেশে লাগবে পাস
নিরাপত্তা জোরদারে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এখন থেকে পাস ব্যতীত প্রতিষ্ঠানটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না বহিরাগত কোনো ব্যক্তি।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। এর আগে ঢাকা ওয়াসার সচিব মশিউর রহমান খান অফিস আদেশ জারি করে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন।
আদেশে ঢাকা ওয়াসার সচিব মশিউর রহমান খান উল্লেখ করেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা ওয়াসায় নিরাপত্তা কার্যক্রম জোরদার এবং অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, এ উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে– ঢাকা ওয়াসার কোনো প্রতিষ্ঠানে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি ওয়াসার পাস ব্যতীত প্রবেশ করতে পারবে না; সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আইডি কার্ড ব্যতীত প্রবেশ করতে পারবে না; আগত ভিজিটরদের অস্থায়ী আইডি কার্ড নিতে হবে, যা দৃশ্যমান রাখতে হবে; ওয়াসা ভবনে আধুনিক অগ্নিনিরাপত্তা সিস্টেম চালু করতে হবে; ঢাকা ওয়াসার সব স্থাপনার নিরাপত্তা কার্যক্রম দিনরাত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জোরদার করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকা ওয়াসার ৬ কর্মকর্তাকে বদলি
প্রশাসনিক কাজের স্বার্থের কথা উল্লেখ করে ছয় কর্মকর্তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অন্য বিভাগে বদলি করেছে ঢাকা ওয়াসা। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা ওয়াসা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ঢাকা ওয়াসার সচিব মশিউর রহমান খান একটি অফিস আদেশ জারি করে এই ছয় কর্মকর্তাকে বদলির নির্দেশ প্রদান করেন।
ঢাকা ওয়াসার সচিব মশিউর রহমান খান জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী অফিসিয়াল কাজের স্বার্থে এই ছয় কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণ সিভিল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোজাহিদুর রহমানসহ এই ৬ কর্মকর্তাকে পানি সরবরাহ রেজিলেন্স প্রকল্পে বদলি করা হয়েছে। বাকি পাঁচ কর্মকর্তা হলেন- নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক, সহকারী প্রকৌশলী সামিন ইয়াসির ফাহিম, হিসাবরক্ষক শামছুজ্জামান মিয়াজি, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান এবং কম্পিউটর অপারেটর মাহাবুবুর রহমান।