রাজনীতি
স্বাধীনতার ফসল ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল আ.লীগ: জামায়াত আমির
১৯৭১ সালে এই জাতি স্বাধীনতা এনেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার মর্মবাণী ঢুকরে-ঢুকরে কেঁদেছে। স্বাধীনতার ফসল বাংলাদেশের মানুষের পকেটে এবং ঘরে উঠেনি। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ফসলকে হাইজ্যাক করে ভারতের হাতে তুলে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ফসল ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে, ১৬ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবসের ভারতীয় সৈনিক ও সেনাপতিদের বিজয়ের শুভেচ্ছা দিয়েছেন, আর বলেছেন এটা ভারতীয় বিজয় দিবস।
ছাত্রলীগ সারা বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চর দখলের মতো দখল করে নিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কোমলমতি মেয়েদের বিদ্যাপীঠগুলোকেও তারা কলুষিত করেছে। এই কথা বলতে হৃদয় ভেঙে যায়, মাথা নত হয়ে আসে। এজন্য এই কথাগুলো, চিৎকারগুলো দিতে পারি না, বলতে পারি না। কেমন অত্যাচার আমাদের মেয়েদের ওপর করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ তো এই দেশেরই মানুষ ছিল।
ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আরেকটি যুদ্ধ তোমাদের করতে হবে। সে যুদ্ধটি হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সবার আগে মেরামত করার যুদ্ধ। শিক্ষা যেহেতু জাতির মেরুদণ্ড, তাই এই জায়াগায় তোমাদের শপথ নিতে হবে। আর কোনো চাপাতি সংগঠনকে ওখানে ঢুকতে দেবে না। হাতে অস্ত্র নিয়ে ওখানে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। গণরুম যারা করে তাদেরও ঢুকতে দেওয়া হবে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুধু শিক্ষা, শিক্ষার চর্চা থাকবে। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তোমরা সেভাবে গড়ে তুলতে পার তাহলে ২৪-এর এই ত্যাগ শতভাগ সফল হবে। আর যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে গড়ে তোলা না যায় এই জাতি বার-বার পথ হারাবে। সেজন্য পথ হারা জাতিকে পথে টেনে তোলা তোমাদের দায়িত্ব। এই যুদ্ধে আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি। যেভাবে ৩৬ জুলাই পর্যন্ত তোমাদের সঙ্গে ছিলাম, আগামীতেও তোমাদের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার আমরা করছি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশে আওয়ামী লীগ আমলে যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার বিচার বাংলার মানুষ দেখতে চায়। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের কথা জাতি কখনো ভুলবে না। ফ্যাসিস্ট নেত্রী লগি-বইঠা নিয়ে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
গত ১৫ বছরে ২৮০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিগত সরকারের আমলে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে, যা ১৫ বছরের হিসাবে প্রায় ২৮০ বিলিয়ন ডলার।
আজ শুক্রবার সকালে দিনাজপুর সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান প্রজন্ম গত তিন টার্মে (মেয়াদে) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এ কেমন গণতন্ত্রের কথা, এ কেমন রাজনীতি, যেখানে পাঁচ বছরে একবারও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি। কিন্তু গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা করি না। ফলে ডেমোক্রেটিক (গণতান্ত্রিক) প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি হয়নি। আমরা রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের বিরোধিতা করি।
তিনি আরও বলেন, সহনশীলতার মাধ্যমে গণতন্ত্র চর্চা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারি, তা চিন্তা করি না। বিগত সরকারের আমলে প্রতি বছর ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে, যা ১৫ বছরের হিসাবে প্রায় ২৮০ বিলিয়ন ডলার। এখন নতুন করে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়া হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আমরা বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু চাই না: জামায়াত আমির
আমরা বিদেশি বন্ধু চাই, প্রভু চাই না। আমরা পিন্ডির হাত থেকে মুক্ত হয়েছি অন্য কারও হাতে যাওয়ার জন্য নয়। কারও লাল চোখ আমরা দেখতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোর জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত আমির বলেন, জামায়াতে ইসলাম বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ গড়তে চায়। আমরা বিভেদ নয়, ঐক্য চাই। এ দেশের হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্ট্রান সবাই গর্বিত নাগরিক।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পরে দফায় দফায় যারা ক্ষমতায় এসেছে তারাই আমানতের খেয়ানত করেছে। কম-বেশি সবাই এ জাতিকে কষ্ট দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে গত ১৫ বছর যারা ছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এতো মানুষ কেন জীবন দিয়েছে? তারা বৈষম্যহীন সমাজ চায়। তারা বলেছে, আমরা চাঁদাবাজি বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জামায়াতের ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন, মোবারক হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশ শনিবার
আগামী শনিবার নাগরিক সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু হবে। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ এর রক্তঝরা জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনে আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে জনগণতান্ত্রিক সংগ্রামের মাধ্যমে জাতীয় সমঝোতা ও ঐক্য তৈরির ক্ষেত্র এগিয়ে নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আরও বলা হয়, জুলাইয়ের বিপ্লবী ছাত্র-জনতার উদ্যোগে গঠিত প্রথম রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ’র অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে নাগরিক সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেবেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বাংলাদেশের সংবিধান জোড়াতালি দেওয়া সংবিধান: ড. হেলাল উদ্দিন
স্বাধীনরা ৫৪ বছরেও জনগণের প্রত্যাশা কেন পূরণ হয়নি প্রশ্ন রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, কারণ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংবিধান লেখা হয়নি। বাংলাদেশের সংবিধান জোড়াতালি দেওয়া সংবিধান। স্বাধীন দেশের সংবিধানে বৃটিশদের আইন থাকতে পারে না। প্রচলিত সংবিধানের সিংহভাগ আইন বৃটিশ তৈরি আইন। পরবর্তীতে যারা যখন ক্ষমতায় বসেছে, সুযোগ পেয়েছে তারা তাদের সুবিধামতো সংবিধান লেখে নিয়েছে। যেখানে জনগণের কোন মতামতের মূল্যায়ণ করা হয়নি।
বুধবার (০১ জানুয়ারী) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণশক্তি সভার উদ্যোগে আয়োজিত রাষ্ট্র সংস্কার আকাঙ্ক্ষা ও সংবিধান শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যেই সংবিধান ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, সেই সংবিধান বাংলাদেশের জনগণ মানে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান কেন দিতে হলো?- যদি এই সংবিধান ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারতো তাহলে জাতি ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন করতো না।
এসময় তিনি আরো বলেন, যারা ৭২’র সংবিধান রক্ষা করতে জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তারা মূলত আওয়ামী লীগের মতই ক্ষমতা দখল করে এই সংবিধানের দোহাই দিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা করছে। তারা ছাত্র-জনতার ঐক্যের মধ্যে ফাঁটল ধরাতে চায়। যে কোন অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র রুখেঁ দিতে তিনি ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবন্ধ থাকার আহ্বান।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বহু পরিবারের দায়িত্বভার গ্রহন করেছে। মিষ্টার পিনাকী ভট্টাচার্যও মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দুই শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে একজন দেশপ্রেমিক ও মানবিক নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তার মতো সমাজের বিত্তবানদের উচিত দু’একটা পরিবারের দায়িত্ব গ্রহন কররা। পিনাকী ভট্টাচার্য এই আদর্শ পেয়েছেন বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থেকে।
এদেশে প্রতিটি মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র যতই আমাদের এই সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র করুক না কেন আমরা আমাদের এই সম্প্রীতি অটুট রাখবো।
তিনি আরো বলেন, ১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলাদেশ ভূখন্ড ছিনিয়ে নিয়েছে এই ভূখন্ড ছিল পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক সম্পদের নীলাভূমি। আর শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার সময় এদেশের মানুষের ঘাড়ে ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ২০৬ কোটি টাকার ঋণ রেখে যায়। রিজার্ভ ছিল তলানীতে।
যারা ২০১৪ সালে ভোটার বিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে এবং ২০২৪ সালে ডামি নির্বাচন সম্পন্ন করতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছে তাদের স্বপদে বহাল রেখে একটি সুষ্ঠ নির্বাচন কল্পনাও করা যায় না। এদেরকে প্রশাসন থেকে সরিয়ে সংস্কার করতে হবে। তারপর নির্বাচন দিলে সুষ্ঠ নির্বাচন আশা করা যায়। ফ্যাসিবাদের দোসরদের এক মন্ত্রণালয় থেকে অন্য মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে নিলে হবে না। তাদেরকে বাধ্যতামূলক অব্যাহতি দিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত প্রশাসন গঠন করতে হবে। নতুবা এরা ছাত্র-জনতার বিপ্লব ব্যর্থ করার চেষ্টায় সফল হয়ে যাবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রফেসর ড.সৈয়দ আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে ও গণশক্তি সভার পরিচালক সাদেক রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন, প্রফেসর ডক্টর দেওয়ান সাজ্জাদ, জামায়াত ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, কবি মনির ইউসুফ, বিশিষ্ট গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল, লালন গবেষক এলাহি মাসুদ প্রমূখ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সহযোদ্ধা ছাত্রশিবির: সারজিস
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সহযোদ্ধা ছাত্রশিবির লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। দেশের স্বার্থে আগামীতেও একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, একটি কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, কেউ কোন দিন কোন সত্যকে চাপা দিয়ে রাখতে পারে না। সত্য প্রকাশ শুধু সময়ের ব্যাপার।
তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরে খুনি শেখ হাসিনা যাকেই পটেনশিয়াল থ্রেট মনে করেছিলো নানা উপাধি, তকমা দিয়ে ব্লেইম গেইম খেলায় মেতে উঠেছিলো। অনেক নিরপরাধ মানুষ, আলেম-ওলামাকে শুধু তার পটেনশিয়াল থ্রেট মনে করার কারণে জেলখানা থেকে শুরু করে হামলা, মামলা, নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই অন্যতম সংগঠক বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এমন অনেক সংগঠন ও ব্যক্তি ছিলো যাদের খুনি শেখ হাসিনা স্বাধীন বাংলাদেশে বেঁচে থাকাটা দুঃসাধ্য করে রেখেছিলো। আমরা আমাদের জায়গা থেকে একটা কথায় বলতে চাই, খুনি শেখ হাসিনা আপনাদেরসহ অনেককেই যেভাবে প্রেজেন্টেশন করার চেষ্টা করেছিলো বর্তমান বাংলাদেশে সেটি কেউ বিশ্বাস করে না। বর্তমান প্রজন্মের ততটুকু বিবেকবোধ আছে বলেই ফ্যাসিস্টকে বিতাড়িত করেছে।
কাফি