কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশের সেন্ড মানি সেবার আদ্যোপান্ত

ঢাকার নবাবপুরে একটি হোটেলে প্রায় দুই দশক ধরে পাচকের কাজ করেন সুজন মাহমুদের বাবা আবদুল মোতালেব। ছোটোকালে পিরোজপুরের বাড়িতে সুজন ও তার তিন ভাইবোনের কাছে সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত ছিলো প্রতিমাসের শুরুতে বাবা যখন বাড়িতে আসতেন। কেননা তিনি সবসময়ই কিছু না কিছু সাথে নিয়ে আসতেন। আবার লঞ্চে আসার সময় বেতনের টাকাটা কীভাবে নিরাপদে এনেছেন সেই গল্প শোনাও তাদের কাছে ছিল বেশ রোমাঞ্চের, কেননা সে সময় চোর-ডাকাত, ছিনতাইকারী, প্রতারকের পাল্লায় পড়ে সর্বস্ব খোয়ানোর ঘটনা শোনা যেত প্রায়ই। একারণে টুপির ভাঁজে, জামার চোরা পকেটে, কাপড়ে সেলাই করে, চানাচুর-বিস্কিটের প্যাকেটে লুকিয়ে টাকা আনার গল্প সন্তানদের শোনাতেন মোতালেব সাহেব। সারা মাসের কষ্টের আয় নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে আসতে কতই না বুদ্ধি বের করতে হতো তাকে। তবে দেশে গত দশকে এই চিত্র আমূল বদলে গিয়েছে বিকাশের মতো মোবাইল আর্থিক সেবা আসার মধ্য দিয়ে।
এখন সুজনও বাবার সাথে একই হোটেলে কাজ করেন। বেতন পেয়ে বাড়িতে টাকা বিকাশ করে দেন। টাকা নিরাপদে পৌঁছানো নিয়ে এখন আর কোনো টেনশন নেই পিতা-পুত্রের। সুজনের কাছে এখন টাকা পাঠানো মানেই বিকাশ করা। কেবল তিনিই নন, কোটি বাংলাদেশির কাছে এখন টাকা পাঠানোর সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে ‘বিকাশ করা’।
দেশের যেকোনো স্থানে বিভিন্ন প্রয়োজনে টাকা পাঠানোর জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সেবা বিকাশ-এর সেন্ড মানি। খুব সাধারণ ফিচার ফোনেও *২৪৭# ডায়াল করে টাকা পাঠানোর যে সেবা শুরু হয়েছিল, তা এখন কোটি গ্রাহকের কাছে আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
ধরন: বিকাশ-এ দুই ধরনের সেন্ড মানি সুবিধা রয়েছে – সেন্ড মানি ও গ্রুপ সেন্ড মানি। সেন্ড মানি সেবার মাধ্যমে টাকা পাঠানো যায় একক গ্রাহককে, আর গ্রুপ সেন্ড মানি অপশনের মাধ্যমে একসাথে পাঠানো যায় ৭টি বিকাশ নাম্বারে। একজন গ্রাহককে টাকা পাঠাতে সেন্ড মানিতে গিয়ে নাম্বারটি লিখে বা মোবাইলের কন্টাক্ট লিস্ট থেকে নির্বাচিত করে সহজেই এই সেবা নেয়া যায়। গ্রুপ সেন্ড মানির ক্ষেত্রে যে নাম্বারগুলোতে টাকা পাঠাতে চান সেগুলোকে নির্বাচন করে একটি গ্রুপ তৈরি করে নিতে হবে। এরপর গ্রুপ নির্বাচন করে টাকা পাঠিয়ে দিলে সবগুলো নাম্বারে সমান ভাগে ভাগ হয়ে সেন্ড মানি হয়ে যাবে।
লিমিট: বিকাশের অন্যান্য সেবার মত সেন্ড মানি সেবার জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত সীমা বা লিমিট রয়েছে। গ্রাহক বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিনের উপরে ডান দিকের বিকাশ লোগোতে ট্যাপ করে ড্রপডাউন লিস্ট থেকে দৈনিক ও মাসিক লিমিট দেখে নিতে পারবেন। আবার স্টেটমেন্ট থেকে কতটাকা সেন্ড মানি করেছেন, কতবার করেছেন আর কতবার সুযোগ আছে সে তথ্যও সংযুক্ত থাকে, প্রত্যেক গ্রাহক তার নিজস্ব খরচটা এখানে দেখতে পান অনায়াসে।
সেন্ড মানিতে শুভেচ্ছা কার্ড: কোনো বিশেষ দিবস, ঈদ-পূজা-পার্বণ, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী বা বিশেষ কোনো উপলক্ষ্য উদযাপনে প্রিয়জনকে অনেকেই অর্থ উপহার দিয়ে থাকেন। এরকম বিশেষ মুহূর্তে প্রিয়জনকে বিকাশ থেকে সেন্ড মানি করার সময় সঙ্গে যুক্ত করা যায় পছন্দ অনুযায়ী বার্তা সম্বলিত ডিজিটাল শুভেচ্ছা কার্ড।
কিউআর স্ক্যান করে সেন্ড মানি: প্রত্যেক বিকাশ গ্রাহকের রয়েছে নিজস্ব ইউনিক কিউআর কোড। বিকাশ অ্যাপ-এর উপরে বামদিকে প্রোফাইল অংশ থেকে নিজের কিউআর ডাউনলোড করে নিতে পারেন যেকোনো গ্রাহক। এই কিউআর স্ক্যান করে সহজেই সেন্ড মানি করতে পারেন অন্য বিকাশ গ্রাহকরা। কিউআর স্ক্যান করে সেন্ড মানিতে নাম্বার টাইপ করার ব্যাপার থাকে না বিধায় ভুল হওয়ার সুযোগ নেই এবং কিউআর স্ক্যান করায় সরাসরি সেন্ড মানি ইন্টারফেস চলে আসায় টাকা পাঠাতে সময়ও কম লাগে।
স্ক্রিনশটে বিশেষ সুবিধা: সেন্ড মানি করার পর অনেকেই মানি ট্রান্সফার রিসিট এর বদলে স্ক্রিনশট পাঠিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে স্ক্রিনশট নেয়ার আগে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স যে অংশে দেখা যায় সেখানে ট্যাপ করই বিশেষ চিহ্ন দিয়ে তা ঢেকে ফেলা যায়। ফলে গ্রাহক সহজেই ব্যালেন্স গোপান রেখে স্ক্রিনশট শেয়ার করতে পারেন। আবার সেন্ড মানি সফল হওয়ার পর ট্রানজ্যাকশন স্টেটমেন্ট থেকে ট্রানজ্যাকশন নম্বরও কপি করে প্রয়োজনে যে কাউকে পাঠানোর সুবিধা পান গ্রাহক। এমনকি ঐ স্ক্রিনেই যাকে টাকা পাঠানো হয়েছে তার নাম্বারের পাশে কল করার অপশনও যুক্ত হয়েছে সম্প্রতি।
অটো সেন্ড মানি: অনেকেই বেতন পেয়ে মাসের নির্দিষ্ট তারিখে বাড়িতে বাবা বা মাকে টাকা পাঠান, কেউ হয়ত কাউকে সহায়তা করার জন্য প্রতিমাসে টাকা পাঠান। অটো-সেন্ড মানি সেবার মাধ্যমে অ্যাপ থেকে যাকে টাকা পাঠাতে চান তার নম্বর নির্বাচন করে, টাকার পরিমাণ এবং তারিখ উল্লেখ করে রাখলে নির্দিষ্ট সময়ে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স গ্রহীতার কাছে চলে যায়। আলাদা করে গ্রাহককে টাকা পাঠানোর কথা মনেও রাখতে হয়না আর সময় সাশ্রয় তো হয়-ই।
প্রিয় নাম্বারে সেন্ড মানি: ডাটা এবং প্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সেন্ড মানি সেবা সাশ্রয়ী করতে প্রিয় নম্বর পদ্ধতি চালু করেছে বিকাশ। একজন গ্রাহক এক মাসে সর্বোচ্চ পাঁচটি নাম্বার ‘প্রিয় নাম্বার’ হিসেবে যুক্ত করে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কোন খরচ ছাড়াই সেন্ড মানি করতে পারেন। আর মাস শেষ হলে প্রয়োজন অনুযায়ী ‘প্রিয় নাম্বার’ পরিবর্তনও করে নিতে পারেন গ্রাহক।
নন-বিকাশে সেন্ড মানি: বিকাশ অ্যাকাউন্ট নেই এমন নাম্বারেও সেন্ড মানি করার সুবিধা রয়েছে বিকাশ গ্রাহকের। সেক্ষেত্রে টাকা গ্রহণের দুইদিনের মধ্যে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারেন গ্রহীতা। আবার নন-বিকাশ নাস্বারে টাকা পাঠানোর পর প্রেরক প্রয়োজনে সেন্ড মানিতে ঢুকে বাতিল/ক্যান্সেল অপশন ক্লিক করে সাথে সাথেই সে টাকা ফেরত নিয়ে আসতে পারেন। উল্লেখ্য, টাকা পাঠানোর পর গ্রহীতা অ্যাকাউন্ট না খুললে তিন কর্মদিবস পর সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রেরকের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ফেরত চলে যায়।
ভুল নাম্বারে টাকা চলে গেলে করণীয়: ডিজিট ভুল করে বা অন্য কোনো ভাবে ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানোর ঝামেলা থেকে গ্রাহককে সুরক্ষিত রাখতে বিকাশ অ্যাপ-এর সেন্ড মানিতে নতুন একটি অপশন যুক্ত করেছে বিকাশ। টাকা পাঠানোর ঠিক আগের ধাপে যে নাম্বারে সেন্ড মানি করতে চান সে নাম্বারটি সঠিক কি না তা ‘অনুগ্রহ করে আবার চেক করুন’- এমন একটি বার্তা দেখতে পান গ্রাহক। এখানে নাম্বারটি এডিট করার ব্যবস্থাও থাকে। গ্রাহক নাম্বার নিশ্চিত করলেই কেবল পরের ধাপে যাওয়ার সুযোগ পান। আবার ভুল নাম্বারে টাকা পাঠানো এড়াতে টাকা পাঠানোর আগে প্রেরকের সাথে কথা বলে নাম্বারটি নিশ্চিত হয়ে নেয়া যেতে পারে। যে নাম্বারে টাকা পাঠানো হচ্ছে তা সেভ করে নিয়ে টাকা পাঠালেও ভুল হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়।
অর্থসংবাদ/কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতির আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা, মো. ফয়েজ আলম ও মো. আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহ সভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
কমিউনিটি ব্যাংকের উদ্যোগে ‘রিস্ক সামিট’

কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো রিস্ক সামিট। সম্প্রতি কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়।
সামিটে কমিউনিটি ব্যাংকের পোর্টফোলিওর সামগ্রিক পরিস্থিতি বর্ণনা, রিস্কের বর্তমান অবস্থা, রিস্কের আসন্ন হুমকি, প্রভিশন স্ট্যাটাস, ঋণ পোর্টফোলিওর বিভিন্ন ঝুঁকি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সামিটে অংশ নেন কমিউনিটি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারসহ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিট ও সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধানগণ।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত তাঁর মূল্যবান দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সামসুল হক সুফিয়ানী; হেড অব সিআরএম অ্যান্ড হেড অব স্যাম হাসি রানী বেপারী, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং অ্যান্ড হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমানসহ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ ও অন্যান্য উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
শিক্ষার্থীদের জন্য পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ কর্মশালা

বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুঁজিবাজার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার ভিত্তি গড়তে সঞ্চয় ও বিনিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরতে নারায়ণগঞ্জের আর. পি. সাহা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব বিজনেসের আয়োজনে ও লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনায় একটি তথ্যবহুল ও প্রেরণাদায়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সোমবার (২ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিপারপাস হলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মনীন্দ্র কুমার রায়। যিনি প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের কেবল একাডেমিক শিক্ষা নয়, বরং বাস্তব জীবনের আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারদর্শিতা অর্জনও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আজকের ছোট ছোট সঞ্চয় আগামী দিনের বড় বিনিয়োগে রূপ নিতে পারে।”
স্বাগত বক্তব্যে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. শেখ আবদুর রহিম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুধু মুনাফার বিষয় নয়; এটি দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত।”
কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন স্কুল অব বিজনেসের ডিন প্রফেসর ড. গোপাল চন্দ্র সাহা, যিনি তার বক্তব্যে বিনিয়োগ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সরকার হিরেন্দ্র চন্দ্র, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ পিএলসির ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন বিভাগের প্রধান মো. জাহাংগীর হোসেন এবং নারায়ণগঞ্জ শাখার প্রধান মো. মোখলেসুর রহমান মুকুল। তারা পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা, বিনিয়োগ প্রক্রিয়া, ব্রোকারেজ হাউসের ভূমিকা এবং প্রযুক্তিনির্ভর সেবা সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ধারণা প্রদান করেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের এখন থেকেই সঞ্চয় ও বিনিয়োগের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ, বর্তমান প্রজন্মই আগামী দিনের কর্পোরেট ও অর্থনৈতিক নেতৃত্ব দেবে। আর সেই নেতৃত্বের ভিত গড়তে হলে অর্থনৈতিক শিক্ষায় পারদর্শিতা অপরিহার্য।
এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং ব্যক্তিগত আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে সকলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্পোরেট সংবাদ
সাউথইস্ট ব্যাংকের ৭৬৭তম পরিচালনা পর্ষদের সভা

সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ৭৬৭তম পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৯ মে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় গত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসের (কোয়ার্টার ওয়ান) অনিরীক্ষিত ফলাফল পর্যালোচনা ও অনুমোদন করা হয়।
ব্যাংকের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করে পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ব্যাংকের বছরের পুরো মুনাফা দিয়ে শ্রেণীকৃত ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় সংরক্ষণ (প্রভিশন) রাখা হবে, আন্তর্জাতিক মানের ব্যাংকিং নীতি অনুসরণ করে ঋণ শ্রেণীকরণ করা হয়েছে, এজন্য ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি মজবুত করতে ২০২৪ সালের মুনাফার প্রায় পুরোটা প্রভিশন করায় পর্ষদ এ বছর শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেনি। এই সিদ্ধান্ত ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলা এবং ভবিষ্যতের জন্য টেকসই পথ তৈরি করবে বলে বিশ্বাস করে সাউথইস্ট ব্যাংক।
সুসংহত নেতৃত্ব এবং অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে সাউথইস্ট ব্যাংক ধীরে ধীরে দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ও টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে ওঠার পথে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। পর্ষদ মনে করছে, ব্যাংকের আর্থিক ভিত্তি সুদৃঢ় করতে কিছুটা সময় লাগবে। এজন্য একটি পরিকল্পিত ও স্বচ্ছ রূপান্তর প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে, যার দ্বারা শেয়ারহোল্ডারগণ ভবিষ্যতে উপকৃত হবেন।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান এম. এ. কাশেম এই বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ভাইস চেয়ারপারসন মিসেস রেহানা রহমান, ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ- আজিম উদ্দিন আহমেদ, মিসেস জোসনা আরা কাশেম, মিসেস দুলুমা আহমেদ, আলমগীর কবীর, এফসিএ, নাসির উদ্দিন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার বদরুল হাসান, মো. রফিকুল ইসলাম (এশিয়া ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রতিনিধি), মো. নুরুল ইসলাম (সিঙ্গেল ক্লিক আইটি সলিউশন প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিনিধি), স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. মো. মুজিবুর রহমান (পিএইচডি), আবিদুর রহমান চৌধুরী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এবং কোম্পানি সচিব- মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
৯ মাসে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকার আমানত পেল ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি (এফএসআইবি) গত নয় মাসের চ্যালেঞ্জিং সময়ের মধ্যেও ১০ লাখ নতুন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট খুলতে সক্ষম হয়েছে যার মাধ্যমে ৩ হাজার ৯ শত কোটি টাকার নতুন আমানত সংগ্রহ করেছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকটি সাধারণ মানুষ ও গ্রাহকের আস্থা পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করে যাচ্ছে। সমতাভিত্তিক বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নারীর ক্ষমতায়ন, এসএমই বিনিয়োগের মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থরক্ষায় এবং পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে ব্যাংকটি।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, “শরীয়াহর উদ্দেশের আলোকে আমাদের কৌশল হলো কল্যাণমূখী অন্তর্ভূক্তিমূলক ব্যাংকিং, যে এলাকার আমানত সেখানেই বিনিয়োগ, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান এবং উৎপাদনমূখী ক্ষুদ্র ও মাঝারী বিনিয়োগের অগ্রাধিকার”। ইসলামী শরীয়ার অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে সম্পদের ন্যায়ভিত্তিক বন্টন ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা।
এ সম্পর্কে ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরো বলেন, “ক্ষুদ্র আমানতকারী, এসএমই বিনিয়োগ, উদ্দ্যোক্তা তৈরি, কর্মকর্তা কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনকে ভিত্তি করেই ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক খুব দ্রুত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রমে ফিরে আসবে”।
আমানত সংগ্রহের জন্য ব্যাংকটি বড় কর্পোরেট ডিপোজিটরদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র আমানতকারীদের ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে। মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, আমানত নির্ভর না হয়ে ব্যাংকের ব্যবসা-নির্ভর হওয়া উচিত। এ কারণেই আমরা ক্ষুদ্র আমানতকারী, ক্ষুদ্র বিনিয়োগগ্রহীতা এবং বিনিয়োগ বিকেন্দ্রীকরণে মনোনিবেশ করছি যাতে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে স্থিতিশীল করা যায়। দায়িত্ব গ্রহণের পর ব্যাংকের নতুন বোর্ড রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রেমিট্যান্স এজেন্সির সাথে চুক্তি করেছে ব্যাংকটি।
খেলাপী ও মন্দ বিনিয়োগ আদায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ইচ্ছাকৃত খেলাপী বিনিয়োগগ্রহীতাদের থেকে অর্থ উদ্ধার করতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তাদের স্থাপনায় ব্যানার, ফেস্টুন টাঙানোসহ সামাজিক চাপ বৃদ্ধির কৌশলও প্রয়োগ করছে কর্তৃপক্ষ। উন্নত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতোমধ্যে সকল কর্মকর্তার মূল্যায়ন ও অধিকাংশ কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এসএমই উদ্দ্যোক্তাদের সহায়তা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে ব্যাংকটির সকল কার্যক্রম নতুনভাবে ঢেলে সাজানো হয়েছে। ইসলামী শরীয়ার্হ আলোকে সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধনের মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থনীতি বিনির্মাণের প্রত্যয়ে কাজ করছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
কাফি