জাতীয়
সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে করা আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন: আইএসপিআর
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় (অনলাইন) প্রকাশিত “উর্দিতে বাঙালি গণহত্যার রক্তের ছিটে! ৫৩ বছর পর বাংলাদেশে ফিরছে সেই পরাজিত পাক ফৌজ” শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর এবং ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার নীতিতে অটল। নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ছাত্র বিনিময় ও প্রশিক্ষণসহ বিবিধ সহযোগিতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে।
উল্লেখ্য যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কোনো প্রশিক্ষক দল বা প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশের কোনো সেনানিবাসে প্রশিক্ষণের জন্য আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। এই দাবি ভিত্তিহীন এবং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এছাড়াও, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সংগ্রহ করে। সংবেদনশীল প্রতিরক্ষা বিষয়ে অজ্ঞতাপ্রসূত মতামত অনভিপ্রেত, অযাচিত ও আপত্তিকর।
সাংবাদিকতার সঠিক রীতি অনুসরণ করার বিপরীতে, উক্ত সংবাদপত্রটি প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) কোনো মন্তব্য বা ব্যাখ্যা গ্রহণ করেনি। এই উপেক্ষা প্রতিবেদনের নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথ্যের স্বচ্ছতা এবং সঠিক তথ্য প্রচারের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। গণমাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য যাচাই করতে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুই দিনের সফরে ঢাকায় কাতারের নৌবাহিনী প্রধান
কাতার নৌবাহিনী প্রধান স্টাফ মেজর জেনারেল (সি) আব্দুল্লাহ হাসান এম এ আল-সুলাইতি দুই দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, এই সফরের অংশ হিসেবে আজ (সোমবার) বনানীর নৌবাহিনী সদর দপ্তরে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এর আগে কাতার নৌবাহিনী প্রধান নৌবাহিনী সদর দপ্তরে এসে পৌঁছালে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশনস) তাকে স্বাগত জানান। এ সময় নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। তিনি গার্ড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন।
সাক্ষাৎকালে তিনি নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় করেন। এ সময় দুই দেশের মধ্যকার নৌবাহিনীর পেশাগত ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া বাংলাদেশ ও কাতার নৌবাহিনীর মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তখন নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পিএসওগণ, কাতার নৌবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ এবং কাতার অ্যাম্বাসির চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্সসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে কাতার নৌবাহিনী প্রধান শিখা অনির্বাণে পুস্পস্তবক অর্পণ করে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদত বরণকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, বাংলাদেশ সফরকালে তিনি সেনাবাহিনী প্রধান, বিমান বাহিনী প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সফর শেষে কাতার নৌবাহিনী প্রধান সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে প্রচার করতে হবে বেপজাকে: প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষকে (বেপজা) বিদেশে বাংলাদেশের প্রচার ও দেশের শিল্প খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ আনতে নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বেপজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা (২০২৩-২৪ অর্থবছর) বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দিতে এলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বেপজা কর্মকর্তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে অর্থনৈতিক কূটনীতি পরিচালনার জন্য একটি দল তৈরি করে বিদেশে বাংলাদেশের পক্ষে প্রচার করতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিনিয়োগকারীদের ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে তিনি বিদেশে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, বিশেষ করে চীন ও জাপানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে পরামর্শ দেন।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান জানান, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের আন্দোলন এবং বারবার পরিবর্তিত বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পর বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন।
‘গত তিন সপ্তাহে আমরা চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছি। আরও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা চলছে,’ বলে তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে আটটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল চালু রয়েছে, যেখানে ৪৫২টি কারখানা রয়েছে। এছাড়া অঞ্চলগুলোতে ১৩৬টি কারখানা নির্মাণাধীন। চলমান কারখানাগুলোর মধ্যে ১০০টির বেশি স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন, বাকি কারখানাগুলো বেশিরভাগ যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত। এ কারখানাগুলোর মধ্যে ৫২ শতাংশ তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস আনুষঙ্গিক সামগ্রী উৎপাদন করে। বাকি কারখানাগুলো বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করে, যেমন কফিন ও খেলনা।
মেজর জেনারেল জিয়া প্রধান উপদেষ্টাকে বিনিয়োগকারীদের কয়েকটি চাহিদার কথা জানান, যার মধ্যে রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, বেপজা এলাকায় বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা, চট্টগ্রাম-সাংহাই সরাসরি বিমান যোগাযোগ এবং সাংহাই শহরে ভিসা কাউন্সিলর সেবা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস কর্তৃপক্ষকে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাবনা অনুসন্ধান করতে এবং গ্যাস অনুসন্ধান ও বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করতে নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে শক্তি আমদানি করে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিকী যিনি এই সভায় উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্যভিত্তিক অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে শিল্পগুলোকে আরও বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি সমন্বিত বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ করবে সরকার।
বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা উচিত। তিনি বলেন, আমাদের উচিত বেপজা ও বেজাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা এবং সেখানে বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধাগুলো বিশ্বজুড়ে প্রচার করা, যাতে আরও বিনিয়োগ আসে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে বেকার বেড়ে ২৬ লাখ ৬০ হাজার: বিবিএস
২০২৪ সালের শুরুতে দেশে বেকার মানুষ কম থাকলেও বছর শেষে ধারাবাহিকভাবে এ সংখ্যা বেড়েছে। মূলত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের প্রভাবে বছরের শেষ সময়ে বেড়েছে বেকার। বর্তমানে দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬০ হাজার। ২০২৩ সালের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৯০ হাজার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশে বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
যেখানে বলা হয়েছে, দেশের কর্মে নিয়োজিত বা শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় বেকার লোকের সংখ্যা বেড়েছে। সম্প্রতি ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) শ্রমশক্তি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিএস।
জরিপ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কৃষি, সেবা এবং শিল্প—সব খাতেই কমেছে কর্মে নিয়োজিত জনগোষ্ঠী। নারীর চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেশি বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়ম অনুসারে, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারাই—যারা গত সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে একঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পাননি এবং গত এক মাস ধরে কাজ খুঁজেছেন, কিন্তু মজুরির বিনিময়ে কোনো কাজ পাননি। বিবিএস এ নিয়ম অনুসারেই বেকারের হিসাব দিয়ে থাকে।
বিবিএসের হিসাব অনুসারে, গত সেপ্টেম্বর মাস শেষে দেশে পুরুষ বেকারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯০ হাজার, আর নারী বেকার ৮ লাখ ৭০ হাজার।
২০২৩ সালের একই সময়ে পুরুষ বেকার ১৬ লাখ ৪০ হাজার, আর নারী বেকার ছিল ৮ লাখ ৫০ হাজার। সে হিসাবে পুরুষ বেকার বেড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার এবং নারী বেকার বেড়েছে ২০ হাজার।
বিবিএস বলছে, শ্রমশক্তিতে এখন (তৃতীয় প্রান্তিকে) ৫ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। অথচ ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে এ সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা কমেছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার। যেখানে মোট শ্রমশক্তিতে থাকা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার।
এছাড়া, শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে—যারা কর্মে নিয়োজিত নয়, আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৬ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার। তারা মূলত সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক নারী-পুরুষ, কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণী।
শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে যুব শ্রমশক্তি ২ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার। এরমধ্যে পুরুষ ১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার, আর নারী ১ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার।
বছরের ব্যবধানে যুব শ্রমশক্তি জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও কমেছে। জরিপ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে যুব শ্রমশক্তি ছিল ২ কোটি ৬১ লাখ ৯০ হাজার, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে কমে হয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার। সে হিসাবে যুব শ্রমশক্তি কমেছে ২১ লাখ ১৭ হাজার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আওয়ামী লীগের শাসনামলে গত ১৫ বছরে গুমের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে তাদের গ্রেফতারের আবেদন করে প্রসিকিউশন। শুনানি শেষে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ২ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল তাদের গ্রেফতার করে ১২ ফেব্রুয়ারি হাজির করতে বলেছেন।
এই ১১ জনের মধ্যে তিনজন হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ।
এদিন শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের সংস্কৃতি চালু করে আওয়ামী লীগ। যারা গুম করতেন তাদেরকে পুরস্কৃত করা হতো। র্যাব, ডিবি, সিটিটিসি, ডিজিএফআই সবচেয়ে বেশি গুমের সঙ্গে জড়িত ছিল বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ’র নির্দেশনা
মোটরসাইকেল ব্যবহারে সন্তানদের নিরৎসাহিত করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। সংস্থাটি বলছে, দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আশঙ্কাকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গঠনগতভাবে মোটরসাইকেল অপেক্ষাকৃত একটি অনিরাপদ বাহন।
সম্প্রতি বিআরটিএর এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, মোটরসাইকেল সাধারণত যুবক বা উঠতি বয়সীরা বেশি ব্যবহার করে থাকে, যাদের মধ্যে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর প্রবণতা খুব বেশি। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, দেশে এ যাবৎ মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ; পক্ষান্তরে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ। অর্থাৎ বহুসংখ্যক অদক্ষ মোটরসাইকেল চালক ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল চালনা করছে। জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বে গমনের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহারের উদ্দেশ্য থাকলেও বর্তমানে এসব যান মহাসড়ক ও দূরপাল্লায় চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। মোটরসাইকেল চালনাকালে অনেক ক্ষেত্রে হেলমেটসহ নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার করা হচ্ছে না, ফলে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিং, নিয়ম না জানা বা না মানা ইত্যাদিও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
সার্বিক বিবেচনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ’র অন্যান্য আহ্বানগুলো হচ্ছে— শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বে মোটরসাইকেল ব্যবহার করুন। দূরপাল্লা বা মহাসড়কে মোটরসাইকেল ব্যবহার করবেন না। মোটরসাইকেল চালনাকালে একজনের বেশি আরোহী বহন করবেন না; মোটরসাইকেল চালনাকালে ওভারটেকিং করবেন না। মোটরসাইকেলে সর্বদা স্বল্প গতি বজায় রাখুন অর্থাৎ দ্রুত গতিতে বা বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাবেন না; অধিকাংশ ক্ষেত্রে মোড় বা বাঁক ঘোরার সময় মোটরসাইকেল কাত হয়ে পড়ে যায়। এ কারণে যে কোনো মোড়/বাঁক ঘোরার আগে বা রাস্তার বাঁক অতিক্রম করার সময় নিয়ন্ত্রণ উপযোগী অত্যন্ত স্বল্প গতিতে মোটরসাইকেল চালাবেন।
এছাড়া মোটরসাইকেল চালনাকালে মোবাইল ফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করবেন না। ট্রাফিক আইন, ট্রাফিক সাইন মেনে চলুন; চালক ও আরোহী উভয়েই সঠিকভাবে মানসম্মত হেলমেট ও অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি গোড়ালি ঢাকা জুতা বা কেডস সম্পূর্ণ আঙ্গুল ঢাকা গ্লাভস এবং ফুলপ্যান্ট, ফুল শার্ট ব্যবহার করুন এবং হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স-টোকেন ইত্যাদি) ও রেট্রো-রিফ্লেক্টিভ নম্বরপ্লেট ব্যতীত মোটরসাইকেল চালাবেন না।
কাফি