আন্তর্জাতিক
চলতি বছর হচ্ছে না বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক
বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক চলতি বছর আর হচ্ছে না। এবারের বৈঠকটি ভারতের দিল্লিতে হওয়ার কথা ছিল। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিএসএফের এক কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছেন।
দুই দেশের দুই বাহিনীর প্রধান বছরে দুইবার বৈঠকে মিলিত হন। এতে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, মাদক বিরোধীসহ অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকেন।
যদিও এটি রুটিন বৈঠক। তবে এবারের বৈঠকটি আলাদা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ে আর কোনো আলোচনা হয়নি। গত নভেম্বরে বৈঠকটি হওয়ার কথা থাকলেও বাংলাদেশ এটি পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানায়। এরপর নতুন করে আর তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। যেহেতু এ বছরের মাত্র চারদিন বাকি আছে। তাই ২০২৪ সালে বৈঠক হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিএসএফের কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। তাই এ বছর বৈঠক হচ্ছে না। গত মাসে বৈঠক স্থগিতের পর, ডিসেম্বরে এটি আয়োজন নিয়ে আলোচনা হয়। তবে আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের সদস্যদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু এগুলো ছোট। যেগুলো সমাধান করা যাবে না সেগুলো দুই বাহিনীর প্রধানের বৈঠকে তোলা হবে। তবে এই মুহূর্তে তাদের বৈঠক না হলেও; বিষয়টিকে আমরা বড় করে দেখছি না। কারণ মধ্যমসারির কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আশি বয়সীদের জন্য ‘টেকনো ডান্স’ পার্টি
বেলজিয়ামের এক সংস্থা সম্প্রতি ৮০ এবং তার অধিক বয়সীদের একটি টেকনো উৎসবে নিয়ে গিয়েছিলেন। কেয়ার হোমে বাস করা এই ব্যক্তিদের অনেকে বিষয়টি পছন্দ করেছেন, আর অনেকে বিষয়টি উপভোগ করেননি। বয়স্কদের জীবনে আনন্দ এনে দিতে কাজ করে ঐ সংস্থা।
পার্টিতে যাওয়ার আগে তৈরি হওয়া রিয়া পঁশেলে অঁন্দ্রের জন্য নতুন নয়। তবে কেয়ার হোমের এই বাসিন্দা ৮৮ বছর বয়সে একটি টেকনো উৎসবের আমন্ত্রণ পাবেন, ভাবেননি।
তিনি বলেন, হ্যাঁ আমি পার্টিতে যেতাম। একটি বল-এ আমার স্বামীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল! ঐ যুগে আপনাকে লং ড্রেস পরতে হতো! ব্রাসেলসে চার সন্তানকে বড় করেছেন রিয়া। একটি আর্ট গ্যালারিও চালিয়েছেন। এখন এই বয়সে নতুন অভিজ্ঞতা পাওয়ার সম্ভাবনা কমই থাকে।
কেয়ার হোমের কর্মী সোনিয়া ফ্লোয়মঁ বলেন, আগে তারা আনন্দে জীবন কাটিয়েছেন, কিন্তু এখন কেয়ার হোমে থাকছেন। বাইরে যাওয়ার অভ্যাস তাদের হারিয়ে গেছে৷ অনেকে আর বাইরে যেতে চান না। তবে আজ তারা শহরে যাচ্ছেন। রিয়াসহ অন্যরা ডে ট্রিপের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান পাপি বুম এর আয়োজন করেছে। তারা বয়স্ক মানুষদের আনন্দ দিতে চান। আজকের গন্তব্য ফ্লোবেক শহরের একটি ড্যান্স মিউজিক উৎসব। আগের এমন এক ডে ট্রিপের কথা শুনে উৎসবের আয়োজকেরা রিয়াদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। উৎসবস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর রিয়া ও সঙ্গীরা ড্যান্সফ্লোর মাতানো শুরু করেন। পার্টি বেশ উপভোগ করেছেন রিয়া।
তিনি বলেন, কেয়ার হোমকে আমি লিখে জানাবো, বিষয়টা দারুণ ছিল, সবাই খুব বন্ধুবৎসল ছিলেন। মনে হচ্ছে, বয়স ২০ কমে গেছে! বয়স্করা দ্রুতই তরুণদের মন জয় করে নেন। এক তরুণী বললেন, আমি নিশ্চিত, আমিও তাদের বয়সে এখানে নাচবো।
আরেকজন বললেন, এটি সত্যিই বিভিন্ন প্রজন্মকে একত্রিত করেছে! তবে রিয়ার সব সঙ্গী পার্টি উপভোগ করেননি। যেমন কোকো বলেন, মিউজিক একেবারেই আমার বিষয় নয়৷ অনেক বেশি বুম, বুম, বুম। মাথা ধরে গেছে। ট্রিপ পরিকল্পনাকারীদের সবার নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রাখতে হয়েছে।
ইভেন্টের আগে তারা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত চাহিদা সম্পর্কে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন যেন উৎসব চলাকালীন কোনো সমস্যা হলে সামাল দেওয়া যায় পাপি বুম এর প্রতিষ্ঠাতা ইউসেফ কাডার বলেন, ঝুঁকি যেন অনেক বেশি না হয় সে ব্যাপারে আমারে সতর্ক হতে হবে। আমরা চাই তারা যেন সুস্থ শরীরে কেয়ার হোমে ফিরে যেতে পারেন। সঙ্গে সুন্দর কিছু মুহূর্ত নিয়ে যেতে পারেন। বয়স্করাও আনন্দ করতে পারেন! তারা নতুন কিছুর অভিজ্ঞতা নিতে চান। আমি তাদের সহায়ক হতে চাই।
ইউসেফের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে আছে বয়স্কদের জন্য স্পিড ডেটিং ইভেন্ট এবং তাদের নাইট ক্লাব ও কনসার্টে নিয়ে যাওয়া। রিয়া বলছেন, তিনি অবশ্যই পরের ট্রিপগুলোতেও অংশ নেবেন। তিনি বলেন, আমি যখন আমার ছেলেদের এটা সম্পর্কে বলবো, তারা বিশ্বাস করবে না। তারা মনে করবে, আমি পাগল হয়ে গেছি! জীবনে সবসময় আনন্দ দরকার, ফুর্তিতে থাকা দরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ইসকন মন্দিরে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীর বৈঠক
জাতীয় পতাকাকে অবমাননার দায়ে গত মাসে আটক হন হিন্দু ধর্মপণ্ডিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। বর্তমানে তিনি কারাগারে বন্দি আছেন। আগামী ২ জানুয়ারি তার জামিন শুনানি হবে। এতে তার পক্ষে আইনি লড়াই করবেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। তবে বর্তমানে তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে আছেন। সেখানেই ইসকনের মন্দিরে গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন তিনি। মন্দিরটিতে তাকে নিয়ে যান ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মুখপাত্র রাধারামণ দাস। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এই আইনজীবী জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছেন। যদি শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় তাহলে আগামী ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিন শুনানির জন্য আদালতে যাবেন। এই আইনজীবী দাবি করেন, চিন্ময়ের পাশে দাঁড়ানোয় তিনি হুমকি-ধামকির মুখে পড়ছেন।
শুনানিতে অংশ নেওয়ার আগে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রবীন্দ্র ঘোষ।
ইসকনের বাংলাদেশ শাখা জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে কলকাতা শাখা তার হয়ে ব্যাপক দৌঁড়ঝাপ করছে। এসবের মাঝেই কলকাতার ইসকন নেতার আমন্ত্রণে তিনি ইসকন মন্দিরে গেছেন।
এরআগে গত ১৭ ডিসেম্বর স্থানীয় বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করেন চিন্ময় কুমার দাসের আইনজীবী। সাক্ষাতের সময় তার সঙ্গে আরেক বিজেপি নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী এবং কার্তিক মহারাজ নামে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ এক সন্ন্যাসীও সেখানে উপস্থিত ছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অভিশংসনের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু আজ শুক্রবার অভিশংসনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের কাছ থেকে দায়িত্ব নেন। ইউন সুক ইওল ৩ ডিসেম্বর তার দেশে সামরিক আইন জারি করার কারণে সংসদীয় ভোটের পরে অভিশংসনের সম্মুখীন হন।
কিন্তু বিরোধী দলীয় সাংসদরা এখন প্রধানমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হানকেও পদ থেকে অপসারণ করতে চান। তাদের যুক্তি তিনি ইউনের অভিশংসন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার এবং তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবি মানতে অস্বীকার করছেন।
পার্লামেন্টে উত্থাপিত অভিশংসন প্রস্তাবে বিরোধীরা বলেছেন যে হান ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্রোহের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করতে বিশেষ তদন্ত এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং সাংবিধানিক আদালতের তিনজন বিচারকের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে তার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই ধরনের কাজ ‘একজন সরকারি কর্মকর্তার আইন সমুন্নত রাখা এবং জনগণের সেবা করার দায়িত্বের লঙ্ঘন।
বিরোধী দল তাদের চেষ্টায় সফল হলে দক্ষিণ কোরিয়া দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিতীয় অভিশংসন দেখতে পাবে। আর এটি হবে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের অভিশংসন।
হান অপসারিত হলে তার জায়গায় অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মোক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
বর্তমান বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সাংবিধানিক আদালতের গঠন, যা ইউনকে অভিশংসনের সংসদীয় সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে কি না তা নির্ধারণ করবে।
সাংবিধানিক আদালতে বর্তমানে তিনজন বিচারকের অভাব রয়েছে। আদালত বেঞ্চের ছয় সদস্য নিয়েই এগিয়ে যেতে পরবে। তবে এক্ষেত্রে একটি মাত্র ভোট বিপক্ষে পড়লেই তা ইউনকে পুনর্বহালের জন্য যথেষ্ট হবে।
বিরোধীরা চায় হান নয় সদস্যের বেঞ্চ পূরণের জন্য আরও তিনজন মনোনীত ব্যক্তিকে অনুমোদন দিন। কিন্তু তিনি এখনও এটি করতে অস্বীকার করে চলেছেন। মূলত এ নিয়ে উভয় পক্ষই অচলাবস্থায় পড়েছে।
ডেমোর্ক্যাটিক পার্টির আইনপ্রণেতা জো সিউং-লে বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তিন বিচারপতিকে নিয়োগ দিতে হানের অস্বীকৃতিতে ‘তার আসল রং বেরিয়ে পড়েছে’।
জো বলেন, এই প্রত্যাখ্যান ‘সংবিধান ও আইনের প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ’। তার দল ‘সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং রাষ্ট্রীয় বিষয়াদি স্থিতিশীল করতে’ হানকে অভিশংসনের চেষ্টা করবে।
হান বলেছেন যে তার ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) এবং বিরোধী দল মনোনীত প্রার্থীদের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছলেই তিনি বিচারকদের নিয়োগ প্রত্যয়ন করবেন।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান এবং আইনে সুরক্ষিত নীতি হলো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগসহ প্রেসিডেন্টের উল্লেখযোগ্য একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকা।
৭৫ বছর বয়সী সাবেক এই আমলা বলেন, জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় পরিষদে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর একটি ঐক্যমত থাকা চাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আর নেই
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিল্লির একটি হাসপাতালে শেষ নিংশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এরপর সন্ধ্যা ৮টার দিকে তাকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালের (এইমস) জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
ভারতের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের অন্যতম মনমোহন সিং ১৯৯১ সালে রাজ্যসভার সদস্য হন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি বিরোধী দলনেতা ছিলেন। এরপর ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পরপর দুই মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিম পাঞ্জাবের গাহে জন্মগ্রহণ করেন মনমোহন সিং। গাহে এলাকাটি বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তার পরিবার ভারতে চলে আসে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ওমরাহ পালনকারীদের সুখবর দিলো সৌদি আরব
ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সুখবর দিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে ওমরা পালনকারীরা বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণ করতে পারবেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সৌদির দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, গ্র্যান্ড মসজিদের পূর্ব দিকে মক্কা লাইব্রেরির কাছে এবং পশ্চিম দিকে গেট ৬৪-এর কাছে বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, একজন ওমরাহ পালনকারী সর্বোচ্চ চার ঘণ্টার জন্য সাত কেজি ওজনের ব্যাগ রাখতে পারবেন। তবে ব্যাগের বাইরে কিছু রাখা যাবে না। এ ছাড়া মূল্যবান ও নিষিদ্ধ জিনিসপত্র, খাবার ও ওষুধ রাখা যাবে না। ব্যাগ জমা দিয়ে টিকিট নিতে হবে ও টিকিট দেখিয়ে পরে ব্যাগ ফেরত নিতে হবে।
ওমরা পালনকারীরা সৌদি আরব সরকার অনুমোদিত ডিজিটাল হজ সেবা গেটওয়ে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে পারমিট দেখিয়ে এই সুবিধা নিতে পারবেন। মক্কার পবিত্র দুই মসজিদে প্রবেশ করতে হলে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরা পালনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে এই সুবিধা নিতে পারবেন ওমরাহ পালনকারীরা। এ ছাড়া কাবা শরিফের আশপাশের সব এলাকায় এই সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।