জাতীয়
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তিনি সচিবালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
সচিবালয়ের মতো সুরক্ষিত জায়গায় এত বড় আগুন লাগা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের বিষয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনা তো সব জায়গায় হতে পারে। সচিবালয়েও হতে পারে। এ জন্যই তো এখানেও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রাখা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগুন লাগে ষষ্ঠতলায়। আমাদের ফায়ার সার্ভিসে রাত ১টা ৫২ মিনিটে খবর দেওয়া হয়, তারা ১টা ৫৪ মিনিটে কাজ শুরু করে। সকাল আটটা পাঁচ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় আমাদের ফায়ার ফাইটারের একজন শাহাদাত বরণ করেছেন। তিনি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তিনি একটি পাইপ নিয়ে সচিবালয় থেকে বের হয়েছিলেন। এ সময় একটা ট্রাক তাকে ধাক্কা দিয়ে তাকে আহত করেন। পরে তিনি মারা যান। তার সঙ্গে আরো দুই থেকে তিনজন আহত হয়েছেন। তারা সবাই সুস্থ আছেন।
আগুনটা ছয়তলায় লেগেছে। সেটা উপরের দিকে গেছে, নিচে আসেনি। এ ঘটনা তদন্তে আমরা একটি কমিটি গঠন করে দিচ্ছি। কেবিনেট সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে অলরেডি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাই পাওয়ারের একটি তদন্ত কমিটি করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে।
কোনো ষড়যন্ত্র বা নাশকতা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত করার আগে আমরা এটা বলতে পারব না। ইনভেস্টিগেশনের পরে আমরা বলতে পারব।
তদন্ত কমিটি কত সদস্যের হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি যেটা সেটা পাঁচ সদস্য হতে পারে, সাতজন হতে পারে, নয়জন হতে পারে, ১১ জন হতে পারে। এটা এই মুহূর্তে বলা যাবে না। পরে জানানো হবে।
আগুনের উৎস সম্পর্কে তিনি বলেন, তদন্তের পরে এটা বলা যাবে।
এর আগে বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। কয়েক মিনিটের মাথায় আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ৫ ঘণ্টার বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর অব্যাহত গণহত্যা এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সোমবার (৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানায়।
বিবৃতিত বলা হয়, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে ইসরায়েলি সামরিক হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এর ফলে গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছানো বন্ধ হয়ে গেছে, যা মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। স্পষ্টত ইসরায়েল বারবার আন্তর্জাতিক আবেদনের তোয়াক্কা করেনি বরং ক্রমবর্ধমান তীব্র হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূল অভিযান চালানোর জন্য গাজার ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নির্বিচার বিমান বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলকে অবিলম্বে সমস্ত সামরিক অভিযান বন্ধ করতে, সর্বাধিক সংযম প্রদর্শন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অধীনে তার দায়িত্ব পালন করতে দাবি করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষ করে জাতিসংঘের কাছে আবেদন করছে যে তারা নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন এবং বেসামরিক নাগরিকদের জীবন রক্ষা ও অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে তার নৈতিক ও আইনি দায়িত্ব পালন করুক।
ফিলিস্তিনি জনগণের সব ন্যায্য অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমানা অনুসারে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশ সরকার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকার মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির জন্য আলোচনার প্ল্যাটফর্মে ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করছে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর সহিংসতা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে কূটনীতি এবং সংলাপের পথে নিজেদেরকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সোমবার (০৭ এপ্রিল) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন জাহেদা পারভীন। প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাসহ তিনি উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা, বেতন-ভাতাদি ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
এর আগে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে আশিক চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য তাকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আশিক চৌধুরীকে অন্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে জ্যেষ্ঠ সচিব পদমর্যাদায় বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান পদে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে বিনিয়োগ আকৃষ্টে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তার প্রচেষ্টায় ঢাকায় ৪ দিনের বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন শুরু হয়েছে আজ। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৪০টি দেশের শীর্ষস্থানীয় ছয় শতাধিক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা, ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ঘোষিত ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে ঢাকাসহ সারা দেশে।
আজ সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, মোহাম্মদপুর ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের খবর পাওয়া গেছে। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সংহতি জানাচ্ছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচিতে।
এদিন বেলা ১১টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় তিনটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি মিছিল সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শুরু হয়ে বাটা সিগন্যালে গিয়ে শেষ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘স্টপ কিলিং ইন গাজা’সহ নানা স্লোগান দেন। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি চলাকালীন সড়কে যান চলাচলে সাময়িক কিছুটা সমস্যা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণে আছে পরিস্থিতি।
বিক্ষোভে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরাও। এর মধ্যে একটি মিছিলে অংশ নেওয়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টারটেকের এক কর্মী বলেন, দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে একটি মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় আসেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করছে। তাদের এই হত্যাযজ্ঞ দেখে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। তারা চান দ্রুত যেন বিশ্ববাসী এ গণহত্যা বন্ধ করে।
এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। বেলা ১১ টার পর থেকে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে সাধারণ মানুষ। এ সময় তাদের কণ্ঠে শোনা যায় ‘ইসরায়েলের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও-গুড়িয়ে দাও’, ‘সারা বিশ্বের মুসলমান, লড়াই করো-লড়াই করো’ ‘ইসরায়েলের ঠিকানা, এই দুনিয়ায় হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’র সমর্থনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরাও। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধনে অংশ নেন বুয়েটের বেশ কয়েকজন শিক্ষকও।
কর্মসূচি পালনকালে ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ইস্ট টু ওয়েস্ট, নো ফ্লো টু জায়নিস্ট’, ‘মেঘনা টু জেরুজালেম, ইনসাফ ইনসাফ’, ‘শেম শেম জায়নিস্ট, মেক ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ইসরায়েল নিপাত যাক’; ‘ইনকিলাব ইনকিলাব, আল আকসা জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, গাজায় নিরীহ শিশু, নারী এবং সাধারণ মানুষের ওপর যে নৃশংসতা চালানো হচ্ছে তা শুধু একটি রাজনৈতিক সংকট নয়, এটি একটি চরম মানবিক ও নৈতিক সংকট। এমনকি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, মানবিক করিডোরে হামলা এবং জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো ধ্বংসের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সভ্যতার চরম অবক্ষয়। আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান অমানবিক সহিংসতা, নির্বিচারে হত্যা, বোমাবর্ষণ, রাসায়নিক হামলা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মোহাম্মদপুর এলাকার শিক্ষার্থীরাও। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মোহাম্মদপুর থেকে শুরু করে আসাদগেট হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বাড্ডায় মিছিল বের করেছেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ সমর্থনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), রাজশাহী বিদ্যালয় (রাবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাপ্রবি), ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ক্যাম্পাসেও।
শুধু রাজধানী ও বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের বিভিন্ন স্থানেই আজ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে। এর মধ্যে ঝালকাঠিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের পাওয়া গেছে। সকাল ৯টা থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে জড়ো হন হাজারো জনতা।
এসময় এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি সেবা ছাড়া সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। এ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে ঝালকাঠির বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
লক্ষ্মীপুরেও হরতাল ও বিক্ষোভ মিছিলের খবর পাওয়া গেছে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সমর্থনে। ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে গাজাবাসীর জন্য আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে সায়েন্সল্যাবে বিক্ষোভ মিছিল

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে রাজধানীর সাইন্সল্যাব মোড়ে ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সোমবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সায়েন্সল্যাব এলাকায় তিনটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি মিছিল সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে শুরু হয়ে বাটা সিগন্যালে গিয়ে শেষ হয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টার টেকের কর্মীরা এ বিক্ষোভে অংশ নেন। প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মী বলেন, দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস হামলা চালাচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরও বলেন, শিশু, নারী ও নিরীহ মানুষদের ওপর ইসরায়েলি হামলা আজ মানবতাকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। অথচ বিশ্ব আজ নিশ্চুপ। কোথায় গেল সেই মানবতা, কোথায় গেল নৈতিকতা?
বিক্ষোভকারীরা প্ল্যাকার্ড, ব্যানার হাতে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘স্টপ কিলিং ইন গাজা’সহ নানা স্লোগান দেন। শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি চলাকালীন সড়কে যান চলাচলে সাময়িক কিছুটা সমস্যা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল।
অন্যদিকে বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় আসেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের বিক্ষোভ মিছিলটি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব এলাকায় এসেছেন।
তারা বলেন, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করছে। তাদের এই হত্যাযজ্ঞ দেখে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। তারা চান দ্রুত যেন বিশ্ববাসী এ গণহত্যা বন্ধ করে।
উল্লেখ্য, ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

আজ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রসার ও সকলকে সুষ্ঠু স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য এই দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’।
দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সব স্তরের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুরক্ষিত ও আলোচিত জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বে দাঁড় করাতে অঙ্গীকারবদ্ধ।’
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু কমানোর লক্ষ্যে অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার এখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। এ জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব পর্যায় থেকে সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।’
১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন গৃহীত হয়।
১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল এ সংগঠন আইন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়। এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস বলে নির্ধারিত হয়। প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এদিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।