ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খালেদ হাসান চার দিন নিখোঁজ থাকার পর ফিরে এসেছেন। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির কেবিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) তার ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ। হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকা আরবি বিভাগের একই বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, খালিদ গত শুক্রবার নিখোঁজ হন।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, খালেদের খোঁজে আমরা ডিবি পুলিশের সঙ্গে কাজ করছিলাম। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পাই, তিনি হলে ফিরেছেন। সঙ্গে সঙ্গে হলে গিয়ে তাকে বিমর্ষ অবস্থায় দেখতে পাই। তিনি খুব ক্লান্ত ও দুর্বল ছিলেন। তিনি কথা বলতে চাচ্ছিলেন না। এ জন্য আমরা তখন কেউ তার সঙ্গে কোনো কথা বলিনি। রাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আসে এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।
তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন আছে কি না জানতে চাইলে ওই সহপাঠী বলেন, হলে আমরা দেখার চেষ্টা করেছি তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন আছে কি না। তবে সেরকম কোনো চিহ্ন পাইনি।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় খালেদকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। এরপর কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ঢোকেন এবং এর কিছুক্ষণ পর একাই কাউন্টার থেকে বের হন। এরপর আবার তাকে মতিঝিল এলাকায় দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে কোনো ফোন ছিল না। তার ব্যবহৃত ফোনটি হলেই ছিল। ওইদিন কমলাপুর কাউন্টার থেকে তিনি টিকিটও কাটেননি।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ওই সহ-সমন্বয়ককে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাকে কেবিনে ভর্তি রাখেন।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ ও জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. ফারুক শাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে খালেদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তারা খালেদের বাবার সঙ্গে কথা বলেন।
পরে উপাচার্য ডিউটি ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলেন। ডাক্তার জানান, খালেদের শারীরিক অবস্থা মোটামোটি ভালো, তবে কারো সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না।
এরপর উপাচার্য জ্যেষ্ঠ ডাক্তার দিয়ে খালেদের চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেন এবং তার চিকিৎসায় যেন কোন ধরনের উদাসীনতা পরিলক্ষিত না হয়, সে বিষয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
কর্মঘণ্টা বাড়তে পারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মঘণ্টা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করে ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন পরামর্শক কমিটি’। তারা সরকারকে এ বিষয়ে সুপারিশ করবে। সরকার তা বাস্তবায়ন করলে কর্মঘণ্টা বাড়তে পারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে প্রধান করে করা এই কমিটির কাজ শেষের দিকে।
জানা গেছে, শুধু কর্মঘণ্টা নয়, শিক্ষক সংকট নিরসন, শিক্ষকদের যথার্থ প্রশিক্ষণ, বেতনবৈষম্য দূর করাসহ নানা বিষয় নিয়ে কমিটি কাজ করছে। কমিটির সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার অসঙ্গতি দূর করা।
‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন পরামর্শক কমিটি’র সদস্যরা জানান, দেশের ৮০ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় দুই শিফটে চলে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিখন ঘণ্টাও পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় অনেক কম। কর্মঘণ্টা বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করবেন তারা। যদিও প্রাথমিকের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের কর্মঘণ্টা আরো কমানোর দাবি জানিয়ে আসছেন।
পরামর্শক কমিটির প্রধান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীর শেখার ক্ষেত্রে যে বিরাট ঘাটতি থেকে যাচ্ছে, সেটি কিভাবে পূরণ করা যায়, তা আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা ও শেখার ঘাটতি সমন্বিতভাবে উন্নতিতে কমিটি কাজ করছে।
তিনি বলেন, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা দাবদাওয়া আছে। অবকাঠামো, ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা সমস্যাও রয়েছে। আমরা হয়তো সুপারিশ করব। সেখান থেকে কতটুকু বাস্তবায়ন করা হবে, সেটা সরকার জানে। সুপারিশে আমাদের কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষাও থাকবে।
শিক্ষক প্রশিক্ষণের বিষয়ে কমিটির মতামত হলো বিপিএড প্রশিক্ষণ খুব বেশি কাজে আসছে না। সেখানে শিক্ষকরা শুধু মেশিনের মতো ক্লাস করছেন। খুব বেশি মাথায় নিতে পারছেন না। শিক্ষক প্রশিক্ষণের ‘মডেল টিচিং-লার্নিং’ মানা হচ্ছে না। ফলে এ ধরনের প্রশিক্ষণ কাজে আসছে না। প্রশিক্ষণের টিচিং প্রক্রিয়া আরো উন্নত করতে হবে।
অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা যাতে দায়বদ্ধতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সেজন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও শর্ত তৈরি করা দরকার, আমরা সেই সুপারিশ করব। ডিসেম্বরের মধ্যে সুপারিশগুলো চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জানুয়ারিতে হয়তো আমরা সরকারকে এ সুপারিশ দিতে পারব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নতুন সূচি প্রকাশ
৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী-আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরু হবে। প্রথম ধাপে এ পরীক্ষা চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রথমে ১ হাজার ৮৯০ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) দিলাওয়েজ দুরদানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডারের পদসমূহের জন্য সর্বমোট ৫ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৮৯০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে পিএসসির প্রধান কার্যালয়ে এ মৌখিক পরীক্ষা হবে। অবশিষ্ট প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।
এর আগে ৪৪তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে জুলাইয়ে সেই পরীক্ষা স্থগিত করেছিল পিএসসি। সেসময় তিন হাজার ৯৩০ জন প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাদের সেই পরীক্ষা বাতিল করে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।
গত ১৮ নভেম্বর পিএসসির কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ফলে নতুন সময়সূচিতে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোট ১১ হাজার ৭৩২ জনের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। তার মধ্যে সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত ৫ হাজার ৮৬২ জনের মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করলো পিএসসি।
৪৪তম বিসিএসের সময়সূচি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এনসিটিবি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ছুটি বাতিল
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাপ্তাহিকসহ সব ধরনের ছুটি বাতিল করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) এনসিটিবি সচিব শাহ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য মনিটরিং কার্যক্রম চলছে। এটি একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হওয়ায় বোর্ডে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর (সেসিপ প্রকল্পসহ) নিয়মিত ও সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
প্রতি বছর সরকারের উদ্যোগে ১ জানুয়ারি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়। জুন মাস থেকে বই ছাপানোর কাজ শুরু হলেও এবার রাজনৈতিক কারণে যথাসময়ে বই ছাপার কাজ শুরু হয়নি। এর ফলে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানোর বিষয়ে কিছুটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।
তবে এনসিটিবি জানাচ্ছে, জানুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর জন্য তারা দ্রুত কাজ করছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সান্ধ্যকালীন আইনের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের ক্ষোভ প্রকাশ
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রোভোস্ট কাউন্সিল সভায় ঘোষিত সান্ধ্যকালীন আইনের প্রতিবাদে ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইবি শাখা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি শাখার সদস্য রাফিজ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মো. মাসুদ রুমী মিথুন এক যৌথ বিবৃতিতে এই ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে এই নির্দেশনার প্রতিবাদ জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২২ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের ১৪০তম সভায় যে সান্ধ্যকালীন নির্দেশনা ঘোষিত হয়েছে এ বিষয়ে ক্ষোভ, গভীর উদ্বেগ এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।নির্দেশনাতে বলা হয়, ছাত্রদের জন্য রাত ১১ টারমধ্যে হল গেইট বন্ধ এবং ছাত্রীদের জন্য মাগরিবের নামাজের ১৫ (পনের) মিনিটের মধ্যে হল গেইট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাধীনতা ও জীবনযাত্রাকে সীমাবদ্ধ হওয়ার আশংকা তৈরী হবে বলে মনে করছেন।
এ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় ও রক্ষায় কাজ করে আসছে। এ ধরণের নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা ও জীবনযাত্রা বাঁধাগ্রস্থ হবে যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় গড়ে উঠতে পারে এবং স্বাধীন চিন্তা, মতপ্রকাশ ও মুক্ত পরিবেশে জীবনযাত্রা পরিচালনা করতে পারে তার সুব্যবস্থা সৃষ্টি করা উচিত। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এ সান্ধ্যকালীন নির্দেশনা বাস্তবায়িত করে তাহলে উপরোক্ত বিষয়গুলি বাঁধাগ্রস্থ হবে যা কোনো শিক্ষার্থীরই কাম্য নয়।
তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান, এই সান্ধ্যকালীন নির্দেশনা অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও উন্নত শিক্ষাঙ্গন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষিত এই নির্দেশনা বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের সাথে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সকল ধরণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে জরুরি নির্দেশনা
বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ২৪ উপাচার্যকে (ভিসি) একটি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে স্ব স্ব উপাচার্যের (ভিসি) বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এ চিঠি দেয়া হয়। তবে এর আগে সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দফায় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যকে (ভিসি) চিঠি পাঠিয়েছে। এমনকি শিক্ষা উপদেষ্টা তার অফিসিয়াল প্যাডে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিগুলো তুলে ধরে আধা-সরকারি একটি পত্রও পাঠিয়েছেন। তবুও গুচ্ছে ফিরতে নারাজ ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উদ্দেশে জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সুষ্ঠু উন্নয়ন ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২০ সাল থেকে দেশের সরকারি সাধারণ, কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ কমানো, ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় সাশ্রয় করা এবং মেধাভিত্তিক, স্বচ্ছ ও সমন্বিত পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন নিশ্চিত করা।
ফলে উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কার্যক্রম হিসেবে গুচ্ছ পদ্ধতি ইতোমধ্যে জনমনে আস্থা অর্জন করেছে। এ পদ্ধতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, আবাসন, এবং অন্যান্য খরচ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে একটি মানসম্মত প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকরা একাধিক ভর্তি পরীক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
এতে আরও বলা, গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে পৃথকভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের জন্য তা বাড়তি আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং জনমনে শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পুনরায় গুচ্ছ পদ্ধতির সুফল বিবেচনা করে এ পদ্ধতি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে এ সংক্রান্ত একটি সভা করার পাশাপাশি গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার বিষয়ে একটি পত্র জারি করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত একটি আধা-সরকারি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় উপাচার্যদের নেতৃত্বে তার বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও খরচ কমাতে চালু করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি। এবার দুটি গুচ্ছ থেকে এ পর্যন্ত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে গেছে। আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তারা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
তবে গত ১ ডিসেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা একটি চিঠিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির ব্যবস্থা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানান। এরপর ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতির বিষয়ে জরুরি বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বেশি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং তুলনামূলক নতুন প্রতিষ্ঠিত ও জনবল কম থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছিল।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়। সবশেষ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করেছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে জগন্নাথ, কুমিল্লা, খুলনা, বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এছাড়া, প্রকৌশল গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে, কৃষি গুচ্ছ থেকেও বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যেতে প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন। একই দাবিতে সেখানে শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে নেমেছেন।