জাতীয়
বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি

বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পুনঃতদন্তে ৭ সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিশনের প্রধান করা হয়েছে বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক এ এল এম ফজলুর রহমানকে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশন নম্বর-১২১৬১/২০২৪-এ একটি জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে পুনঃতদন্তের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
সেহেতু সরকার কমিশন অব ইনকুয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এর সেকশন ৩ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার স্বরূপ উদঘাটন, ঘটনায় রুজুকৃত দুটি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার সহযোগী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী, ঘটনা সংঘটনকারী এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় ও অপরাধীদের চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে একটি ৭ সদস্যের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
কমিশনের সদস্যরা হলেন :
কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান, এনডিসি, পিএসসি (অব.)। সদস্য মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার (অব.), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, বীর প্রতীক (অব.), মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, এনডিসি, ডিআইজি (অবসরপ্রাপ্ত) ও যুগ্মসচিব (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম. আকবর আলী, বিপিএম, পিপিএম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ সহযোগী অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন।
প্রজ্ঞাপনে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় সংঘটিত ঘটনার প্রকৃতি ও স্বরূপ উদঘাটন করা। ঘটনাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধ সংঘটনকারী, সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী, ইন্ধনদাতা এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয়সহ দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট অপরাধী ব্যক্তি/ গোষ্ঠী/ সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/ বিভাগ/সংগঠন ইত্যাদি চিহ্নিতকরণ। উক্ত ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের সময় ও হত্যাকাণ্ডের আগে/পরে সংঘটিত অপরাপর অপরাধের স্বরূপ উদঘাটন, দায়ী ব্যক্তি/গোষ্ঠী/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/বিভাগ/সংগঠন চিহ্নিত করা এবং ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা বা ঘটনা ঘটাইতে সহায়তাকারী অন্যান্য দেশি-বিদেশি ব্যক্তি/ গোষ্ঠী/ সংস্থা/ প্রতিষ্ঠান/বিভাগ/ সংগঠনের সম্পৃক্ততা নিরূপণ এবং দোষীদের চিহ্নিতকরণ।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডসহ সংঘটিত অপরাপর অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী ব্যক্তি/গোষ্ঠী/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/বিভাগ/সংগঠন চিহ্নিতকরণ; এবং হত্যাকাণ্ডসহ সংঘটিত অপরাপর অপরাধে ইতোমধ্যে দায়েরকৃত মামলা এবং সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযুক্তগণের দায়/অপরাধ অক্ষুণ্ন রেখে সংশ্লিষ্ট মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এমন প্রকৃত অপরাধীদেরকে তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তকরণ।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তদন্ত কমিশন বাংলাদেশের যেকোনো স্থান পরিদর্শন এবং সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তিকে কমিশনে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। কমিশন, প্রয়োজনে, উপযুক্ত যেকোনো ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিশন, কমিশন অব ইনকুয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ অনুসারে তদন্তকার্য শেষে এই প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তাসহ সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করিবে ও কমিশনের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করবে এবং কমিশনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যেকোনো ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করতে পারবে।
এছাড়া কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন/ সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হবেন; তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করিতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে উহা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন গ্রহণ করতে পারবে। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির দায়ে দুদকের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের দেওয়া চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালতে দুদকের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরোয়ানা জারি হওয়া অপর আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং শরীফ আহমেদ। শেষের দুজন তদন্তপ্রাপ্ত আসামি।
দুদকের আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘১৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। তারা পলাতক থাকায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ৪ মে গ্রেফতারসংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করা হয়েছে।’
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি

দেশে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি বাংলা ইউএস এলএলসি। আগামি ২০২৬ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের এ হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকায় চারদিনের বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলা ইউএস এলএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মুমতাজুর রহমান দাউদ এই বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল, নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পকারখানা স্থাপন। ড. দাউদ জানান, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্প খাতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। স্বাস্থ্যখাতে ১.৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে একটি আধুনিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স এবং বিশেষায়িত নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নার্সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্সদের যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে, যেখানে দক্ষ নার্সদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো- ট্রাফিক জট এড়াতে রোগী পরিবহণের জন্য হেলিকপ্টার সেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
চট্টগ্রামে ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে একটি সার কারখানা নির্মাণের কথাও জানান ড. দাউদ। আমেরিকান বিনিয়োগকারী গ্রুপ ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
বিনিয়োগকারী গ্রুপে রয়েছেন-চেয়ারম্যান মিস্টার ফ্র্যাঙ্ক জাও, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিলিয়নিয়ার উদ্যোক্তা হিসেবে সুপরিচিত। এছাড়াও দলটিতে আছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. স্যাম বেটেটা, যিনি ফিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক গণিত বিভাগীয় প্রধান।
ড. দাউদ সরকারের পূর্ণ সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের এই উদ্যোগে পূর্ণ সহযোগিতা করছে। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে এই প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের আগস্টে ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য বেছে নেওয়ার পেছনে তার ব্যক্তিগত ভূমিকা ছিল।
ড. দাউদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমি বোর্ড সদস্যদের বলেছিলাম, আমার জন্মভূমি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন এবং আমি সাফল্য নিশ্চিত করব’ এরপর তিনি দুই মাস বাংলাদেশে থেকে মাঠপর্যায়ের গবেষণা ও সরকারি পর্যায়ের আলোচনা সম্পন্ন করেন। তার এই অক্লান্ত পরিশ্রম ও দূরদর্শিতার ফলেই বিনিয়োগকারী গ্রুপ বাংলাদেশে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।
২০২৬ সালের মধ্যে হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বছরে ৫,০০০ প্রশিক্ষিত নার্স রপ্তানি এবং চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চলকে আঞ্চলিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ড. দাউদ তার স্বপ্নের কথা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, ‘এটি শুধু একটি বিনিয়োগ নয়, এটি আমার ১৫ বছরের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিল্প খাতে নতুন ইতিহাস লিখতে যাচ্ছি।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আন্টালিয়া কূটনীতিক ফোরামে যোগ দিতে তুরস্ক সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ফোরামের পাশাপাশি তুরস্ক সফরকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তৌহিদ হোসেনের সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ১১-১৩ এপ্রিল তুরস্কের আন্টালিয়া কূটনীতিক ফোরামে চলবে। ওই ফোরামে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল তুর্কি সরকার। তবে প্রধান উপদেষ্টা না যেতে পারায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসেবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আনতালীয়া কূটনীতিক ফোরামে যোগ দেবেন তিনি।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। তিনি ফোরামে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামী ১৪ এপ্রিল ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আন্টালিয়া কূটনীতিক ফোরামে যোগ দিতে তুরস্ক যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ফোরামের উদ্বোধন করবেন। ওই ফোরামে বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি আসবেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ফোরামে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিশ্চিত হয়েছে, যাদের মধ্যে-তুরস্ক, স্লোভাকিয়া, আজারবাইজান ও গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রয়েছেন। এ ছাড়া একটি সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
উল্লেখ্য, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের পৃষ্ঠপোষকতায় চতুর্থ দফায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্টালিয়া কূটনীতিক ফোরামের আয়োজক। ‘খণ্ডিত বিশ্বে কূটনীতির পুনরুদ্ধার’-শীর্ষক থিম নিয়ে তুরস্কের রিসোর্ট শহরখ্যাত আন্টালিয়ায় আগামী ১১-১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে আন্টালিয়া কূটনীতিক ফোরাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডিপি ওয়ার্ল্ডের সিইও’র সাক্ষাৎ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বন্দর পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান ও সিইও সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাদের এই সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎকালে উভয়ের মধ্যে স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সংসদ নির্বাচনের ব্যালট ছাপার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে বসছে ইসি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে তার আগেই ব্যালট ছাপার প্রস্তুতি নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বৈঠক ডেকেছে কমিশন। ব্যালট পেপার ছাপার দায়িত্বে থাকা মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের সঙ্গে এ বৈঠক হবে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ইসির উপসচিব রাশেদুল ইসলামের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্যালট পেপারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী সামগ্রী মুদ্রণের জন্য বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং অন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর (ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত) নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী সামগ্রী মুদ্রণের সার্বিক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে আগামী ১৫ এপ্রিল বেলা ১১টায় সভার আহ্বান করা হয়েছে।
ওই সভায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব সভাপতিত্ব করবেন। সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সভায় নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত কাগজপত্রের ক্রয়, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ; মুদ্রণ কার্যক্রম শুরুর সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ; জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার মুদ্রণের প্রস্তুতি; স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ ব্যতীত) নির্বাচনের ব্যালট পেপার মুদ্রণ পরিকল্পনা এবং সরবরাহ না হওয়া সামগ্রীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।