জাতীয়
ভূমধ্যসাগরে আট মরদেহসহ ৩২ বাংলাদেশি অভিবাসী উদ্ধার
ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীসহ ৮২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে লিবিয়ার নৌবাহিনী। এছাড়াও কমপক্ষে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এই ৮ জনসহ উদ্ধার হওয়া মোট বাংলাদেশির সংখ্যা ৩২ জন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
মুখপাত্র জানান, ১২১ জন অভিবাসী নিয়ে একটি নৌকা গত ১৮ ডিসেম্বর লিবিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। লিবিয়ার নৌবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ৮২ জনকে জীবিত এবং কমপক্ষে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, ঘটনার পর লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা দ্রুত যোগাযোগ করেন এবং স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন স্বেচ্ছাসেবক নিশ্চিত করেন, উদ্ধার ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ জন নিহতসহ মোট ৩২ জন বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছেন। তবে অন্য অভিবাসীরা এখনো নিখোঁজ।
মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, জীবিতদের বর্তমানে ত্রিপোলি থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাওয়াইয়া সিটিতে এবং মরদেহগুলো পাবলিক প্রসিকিউশনের তত্ত্বাবধানে জাওয়াইয়া হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে আরও বাংলাদেশি নাগরিক থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
মুখপাত্র বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তারা লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে জীবিত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
ত্রিপোলির দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি দূতের পরিচয়পত্র পেশ
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে দেশটিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট কাছে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
বাংলাদেশ হাইকমিশন ইসলামাবাদ জানায়, ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্ট বাসভবন ‘আইওয়ান-ই-সদর’ এ ঐতিহ্যবাহী মর্যাদাপূর্ণ কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। হাইকমিশনার রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পৌঁছালে সেখানে পাকিস্তানের চিফ অব প্রটোকল তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে সুসজ্জিত দৃষ্টিনন্দন অশ্ববাহিনী পরিবেষ্টিত ঘোড়ার গাড়িতে করে তাকে অভিবাদন মঞ্চে নিয়ে আসেন। সেখানে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল হাইকমিশনারকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে হাইকমিশনার গার্ড পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে হাইকমিশনার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারীর কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব, চিফ অব প্রটোকল এবং হাইকমিশনারের সহধর্মিণীসহ উপহাইকমিশনার ও প্রেস কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সার্বিক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান জানান এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
হাইকমিশনার প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান এবং দু’দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়সহ বহুমুখী সম্পর্ক উন্নয়নে তার সদিচ্ছা ব্যক্ত করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আন্দোলনে নামলেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা
এক ঘণ্টার ‘কলমবিরতি’র মাধ্যমে প্রকাশ্যে আন্দোলনে নামলেন ২৫টি ক্যাডারদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা ‘আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কলমবিরতির পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করার কর্মসূচিও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) প্রশাসনের সব পদ প্রশাসন ক্যাডারের জন্য রাখার জন্য যৌথ সভা ডেকেছেন জনপ্রশাসনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তারা। গত রোববার সচিবালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বড় জমায়েত হয়।
আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের কলমবিরতি থেকে জানা গেছে, সরকারের উপসচিব পদে কোটাপদ্ধতি বাতিল, নিজ নিজ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ নীতিনির্ধারণী পদে দায়িত্ব দেওয়া এবং সব ক্যাডার কর্মকর্তাদের সমান অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেছে তারা।
পরিষদের সমন্বয়ক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, তারা মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিজ নিজ দপ্তরের সামনে কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ডাক, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য, পরিসংখ্যান, রেলওয়ে, কৃষি, সমবায়সহ বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তারা কার্যালয়ের ভেতর ও বাইরে ব্যানার টানিয়ে কর্মসূচি পালন করেন। দাবি আদায় না হলে আগামী ৪ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গত সেপ্টেম্বর পদোন্নতি, পদায়নসহ বেশ কিছু দাবিতে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ নামে এই জোট গঠিত হয়। এর পর থেকে নিজেদের বিভিন্ন দাবিতে সোচ্চার হয় এই সংগঠন।
জানা গেছে, সরকারের উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ ও অন্যান্য ক্যাডারের জন্য ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে কমিশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডারভুক্ত না রেখে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মতো আলাদা করার সুপারিশ করতে যাচ্ছে।
বিষয়টি সামনে আসার পর থেকে আন্তক্যাডার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। এমন সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে প্রশাসন ক্যাডারের পদোন্নতির কোটা কমে যাবে বলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আজ শুভ বড়দিন
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ ২৫ ডিসেম্বর। এই ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট আজকের এই দিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদ্যাপন করে থাকে। দিনটি উপলক্ষে বুধবার সরকারি ছুটি।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান ধর্মানুসারীরাও এ দিন যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আচারাদি, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ‘শুভ বড়দিন’ উদ্যাপন করছে।
এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা ও তারকা হোটেলে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উপলক্ষে সম্প্রদায়ের নেতাদের জন্য আজ দুপুরে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন। দুপুর ১২টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপ্রধান এ উপলক্ষে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে গণমাধ্যমের মাধ্যমে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে একটি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি একটি কেক কাটবেন এবং পরে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেবেন।
বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। এ ছাড়া দেশের অনেক অঞ্চলে ধর্মীয় গানের আয়োজন করা হয়েছে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বড়দিনকে বেছে নেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গেছেন গ্রামের বাড়িতে।
রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আলোকসজ্জার পাশাপাশি হোটেলের ভেতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও সান্তা ক্লজ। বড়দিনের প্রাক্কালে গতকাল রাতে বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি
বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পুনঃতদন্তে ৭ সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিশনের প্রধান করা হয়েছে বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক এ এল এম ফজলুর রহমানকে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশন নম্বর-১২১৬১/২০২৪-এ একটি জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে পুনঃতদন্তের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে।
সেহেতু সরকার কমিশন অব ইনকুয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এর সেকশন ৩ এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার স্বরূপ উদঘাটন, ঘটনায় রুজুকৃত দুটি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার সহযোগী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী, ঘটনা সংঘটনকারী এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় ও অপরাধীদের চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে একটি ৭ সদস্যের জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
কমিশনের সদস্যরা হলেন :
কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান, এনডিসি, পিএসসি (অব.)। সদস্য মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার (অব.), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, বীর প্রতীক (অব.), মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, এনডিসি, ডিআইজি (অবসরপ্রাপ্ত) ও যুগ্মসচিব (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম. আকবর আলী, বিপিএম, পিপিএম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ সহযোগী অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন।
প্রজ্ঞাপনে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় সংঘটিত ঘটনার প্রকৃতি ও স্বরূপ উদঘাটন করা। ঘটনাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য অপরাধ সংঘটনকারী, সহায়তাকারী, ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী, ইন্ধনদাতা এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয়সহ দেশি-বিদেশি সংশ্লিষ্ট অপরাধী ব্যক্তি/ গোষ্ঠী/ সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/ বিভাগ/সংগঠন ইত্যাদি চিহ্নিতকরণ। উক্ত ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের সময় ও হত্যাকাণ্ডের আগে/পরে সংঘটিত অপরাপর অপরাধের স্বরূপ উদঘাটন, দায়ী ব্যক্তি/গোষ্ঠী/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/বিভাগ/সংগঠন চিহ্নিত করা এবং ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা বা ঘটনা ঘটাইতে সহায়তাকারী অন্যান্য দেশি-বিদেশি ব্যক্তি/ গোষ্ঠী/ সংস্থা/ প্রতিষ্ঠান/বিভাগ/ সংগঠনের সম্পৃক্ততা নিরূপণ এবং দোষীদের চিহ্নিতকরণ।
এছাড়া হত্যাকাণ্ডসহ সংঘটিত অপরাপর অপরাধ প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী ব্যক্তি/গোষ্ঠী/সংস্থা/প্রতিষ্ঠান/বিভাগ/সংগঠন চিহ্নিতকরণ; এবং হত্যাকাণ্ডসহ সংঘটিত অপরাপর অপরাধে ইতোমধ্যে দায়েরকৃত মামলা এবং সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযুক্তগণের দায়/অপরাধ অক্ষুণ্ন রেখে সংশ্লিষ্ট মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এমন প্রকৃত অপরাধীদেরকে তদন্ত প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্তকরণ।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তদন্ত কমিশন বাংলাদেশের যেকোনো স্থান পরিদর্শন এবং সন্দেহভাজন যেকোনো ব্যক্তিকে কমিশনে তলব ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। কমিশন, প্রয়োজনে, উপযুক্ত যেকোনো ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিশন, কমিশন অব ইনকুয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ অনুসারে তদন্তকার্য শেষে এই প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ তদন্ত কমিশনকে সাচিবিক সহায়তাসহ সকল প্রকার সহায়তা প্রদান করিবে ও কমিশনের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করবে এবং কমিশনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যেকোনো ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান করতে পারবে।
এছাড়া কমিশনের প্রধান ও সদস্যরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন/ সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্ত হবেন; তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন প্রধান বা কোনো সদস্য অবৈতনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করিতে চাইলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে না চাইলে উহা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন গ্রহণ করতে পারবে। এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বড়দিনে দেশব্যাপী র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন বুধবার (২৫ ডিসেম্বর)। এ উপলক্ষে সব ধরনের ‘ঝুঁকি’ পর্যালোচনা করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব স্পেশাল ফোর্স-এর কমান্ডো টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব সদর দপ্তর।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে সারাদেশে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি, গির্জায় র্যাব ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েন, ব্যাটলিয়নসমূহ নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তাদের অধিক্ষেত্রে স্থানীয় গির্জা কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রাখছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকলে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব উদযাপন করে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছে র্যাব।
খ্রিষ্টান ধর্মের ‘বড়দিন’কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবছরও র্যাব ফোর্সেস কর্তৃক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। ‘বড়দিন’কে কেন্দ্র করে সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ব্যাটলিয়নসমূহ নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে। র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের (কন্ট্রোল রুমের হটলাইন নম্বরঃ ০১৭৭৭৭২০০২৯) মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে। বড়দিনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে কেউ নাশকতার চেষ্টা করছে এমন কোনো তথ্য আপনারা পেলে সে সম্পর্কে র্যাবকে অবহিত করুন।
দেশজুড়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি-
বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
গির্জায় ডগ স্কোয়াড, সুইপিং মোতায়েন-
র্যাব ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ গির্জা, উপাসনালয়সমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলে প্রয়োজনীয় স্যুইপিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কন্ট্রোল রুম থেকে স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বয়-
ব্যাটালিয়নসমূহ নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তাদের অধিক্ষেত্রে স্থানীয় গির্জা কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় রাখছে। র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে।
যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে চার্চ ও গির্জাসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সমূহে চেকপোস্ট স্থাপন, পর্যাপ্ত সংখ্যক টহল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সব মেট্রোপলিটন শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরসমূহে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে।
চক্রান্তকারী, উসকানিদাতা, উগ্রবাদী সংগঠন এবং সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহপূর্বক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও যেকোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব।
সাইবার পেট্রলিং, সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি-
ভার্চুয়াল জগতে যেকোনো ধরনের গুজব, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে। যারা সাইবার জগতে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে উসকানি দেওয়ার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করবে তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সিসিটিভি মনিটরিং-
গুরুত্বপূর্ণ গির্জা, উপাসনালয় ও অনুষ্ঠানস্থলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বড়দিন উদযাপন কমিটি কর্তৃক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও বড়দিন উদযাপন কমিটি কর্তৃক নিয়োগকৃত স্বেচ্ছাসেবক এবং কর্তব্যরত র্যাব সদস্যদের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি ব্যবস্থা করা হবে। কোনো দুষ্কৃতকারী গির্জা ও অনুষ্ঠান এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চার্চ, গির্জার সামনে মোবাইল কোর্ট-
গুরুত্বপূর্ণ চার্চ, উপাসনালয় এবং অনুষ্ঠানস্থলসমূহে আগত মহিলাদের উত্ত্যক্ত, ইভটিজিং, যৌন হয়রানি রোধকল্পে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গির্জাসমূহের নিরাপত্তা রক্ষায় সেখানে দায়িত্বরত র্যাব সদস্যদেরকে গির্জা কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাসেবক টিম কর্তৃক সর্বদা সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছে।
পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ গির্জাসমূহে নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য চার্চ কর্তৃপক্ষ যেসব সিসিটিভি স্থাপন করেছে তা যথাযথভাবে মনিটরিং করার জন্য চার্চ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান করছে র্যাব।
বড়দিন এর উৎসবকে কেন্দ্র করে চক্রান্তকারী গোষ্ঠী রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি নিয়ে জনস্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপ নিতে না পারে তার জন্য কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব।
কূটনৈতিক মিশনে নিরাপত্তা বৃদ্ধি-
বড়দিনের উৎসবকে কেন্দ্র করে বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা এবং ভিআইপি কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানস্থলে গমনাগমন করে থাকেন। এছাড়াও, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং ধর্মযাজকগণের নিরাপত্তার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহপূর্বক ঝুঁকি পর্যালোচনা ও অনুষ্ঠানস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহ বিশেষ করে ঢাকার বনানী, গুলশান, উত্তরা, পূর্বাচল, ৩০০ ফিট, হাতিরঝিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের অভিজাত হোটেল ও ক্লাবগুলোতে এবং কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আড়ালে অশ্লীল কর্মকাণ্ড, ইভটিজিং ও মহিলাদের শ্লীলতাহানীর ঘটনা রোধকল্পে বড়দিন উদযাপন কমিটিসমূহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কেপিআইসহ রাষ্ট্রীয় কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার-
বঙ্গভবন, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা, বাংলাদেশ সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার অফিস এবং গণভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআইয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
র্যাবের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন নম্বরসমূহ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ধর্মযাজক, বড়দিন উদযাপন কমিটি এবং অন্যান্য তথ্যদাতার নিকট প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে যে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব দলের নিকট পৌঁছাতে পারে।
বড়দিনের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে পটকা, আতশবাজিসহ আগুন দ্বারা পরিচালিত ফানুস উড়ানো যাবে না। আতশবাজি বা পটকা ফুটানো বা ফানুস ওড়ানো বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।