ব্যাংক
রূপালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে ওয়াহিদুল ইসলামের যোগদান
রূপালী ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগদান করেছেন কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) তিনি এ পদে যোগদান করেন।
চলতি মাসের ১২ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৩ বছরের জন্য কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামকে রূপালী ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। রূপালী ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সোনালী ব্যাংকে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৮ সালে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির (বিআরসি) মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার হিসেবে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ২৬ বছরের চাকরি জীবনে তিনি ব্যাংকের বিভিন্ন এডি, নন-এডি ও কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধান কার্যালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য ঋণ ও আন্তর্জাতিক বিভাগ, ট্রেজারি, নিরীক্ষা ও পরিদর্শনসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি এমবিএ ডিগ্রিও অর্জন করেন। তিনি দেশে বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম এক কন্যা সন্তানের জনক। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার মাসুমাবাদ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
১০ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ৫৬ হাজার কোটি টাকা
ভালো ও মন্দ ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) রাখতে পারছে না সরকারি ও বেসরকারি খাতের ১০টি ব্যাংক। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এসব ব্যাংকে মোট প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১০টি ব্যাংকের মোট সঞ্চিতি ঘাটতির পরিমাণ ৫৬ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। কয়েকটি ব্যাংক তাদের লক্ষ্যমাত্রার বেশি সঞ্চিতি রেখেছে, যার ফলে ব্যাংক খাতে সার্বিক প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা।
গত জুনে ব্যাংক খাতের প্রভিশন ঘাটতি ছিল ৩১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে ২৪ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এখন ব্যাংকের যে অবস্থা তাতে প্রভিশন ঘাটতি হবে। কারণ দিন দিন খেলাপি ঋণ বাড়ছে।
এর পরও সম্প্রতি খেলাপি ঋণ অনেক বেড়ে গেছে। তাই প্রভিশন ঘাটতি বাড়বে। এখানে শতভাগ প্রভিশন রাখা দরকার। এখানে একটির সঙ্গে আরেকটি জড়িত।
এভাবে প্রভিশন বাড়তে থাকলে ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়ে যাবে। প্রভিশন ঘাটতি কমাতে হলে আগে খেলাপি ঋণ কমাতে হবে। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে দিতে হবে, যাতে টাকাগুলো আবার ফেরত আসে।
নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে পরিচালন মুনাফার ০.৫ থেকে ৫ শতাংশ সাধারণ ক্যাটাগরির ঋণের বিপরীতে প্রভিশন হিসেবে, নিম্নমানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ এবং সন্দেহজনক খেলাপি ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া প্রতিটি ব্যাংকের জন্য মন্দ বা লোকসান ক্যাটাগরির খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশনিং আলাদা করে রাখার বিধান রয়েছে।
প্রভিশন ঘাটতি ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি অশনিসংকেত, কারণ এটি ব্যাংকগুলোর দুর্বল আর্থিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে, যা মূলত উচ্চ খেলাপি ঋণের ফল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ব্যাংকারদের বিদেশযাত্রায় সব ধরনের বাধা তুলে দিল সরকার
ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশযাত্রায় সব ধরনের বাধা উঠিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংকারদের বিদেশে ভ্রমণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো অনুমতির প্রয়োজন হবে না। ব্যাংকের ভ্রমণ নীতিমালা অনুযায়ী কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, কর্মশালা ও শিক্ষাসফরে যেতে পারবেন।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগে ব্যাংকের অর্থায়নে প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণের জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। তবে কিছু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশে ভ্রমণের সুযোগ ছিল। নতুন নির্দেশনায় দাপ্তরিক প্রয়োজনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ব্যাংক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি পরীক্ষা নিয়ে নতুন নির্দেশনা
ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা থেকে তার ওপরের পদে কাজের ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা পাসের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। তাতে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা থেকে তার ওপরের পদে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যাংকাররা ডিপ্লোমা ছাড়াই পদোন্নতি পাবেন। ডিপ্লোমা পাসের জন্য বরাদ্দ করা নম্বর তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেয়ে যাবেন।
এ ছাড়া জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বা সমমানের পদ থেকে শুরু করে তার পরের ধাপের পদগুলোকে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা পরীক্ষার জন্য ১০ শতাংশ নম্বর রাখার বিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো নিজেরা এসব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কর্মীদের যে নম্বর দেয়, সেখানে ডিপ্লোমার জন্য ১০ শতাংশ নম্বর রাখতে হবে। এই ১০ শতাংশ নম্বরের মধ্যে প্রথম পর্বে উত্তীর্ণের জন্য ৫ শতাংশ ও দ্বিতীয় পর্বের জন্য ৫ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ব্যাংকারদের ব্যাংকিং ডিপ্লোমা–সংক্রান্ত নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকে নতুন যোগ দেওয়া কর্মীর পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যাঁরা ব্যাংকে যোগ দেবেন বা পদোন্নতিপ্রাপ্ত হবেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে।
এ ছাড়া পদোন্নতিতে ব্যাংকিং ডিপ্লোমার বাধ্যবাধকতা থেকে আরেক দফায় সাময়িক ছাড় পেলেন সিনিয়র বা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। তারা ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় পাস না করলেও পরবর্তী ধাপে পদোন্নতি পাবেন। তবে এক ব্যাংক থেকে একজন কর্মকর্তা অন্য ব্যাংকে যেকোনো পদে যোগদান করতে গেলে সে ক্ষেত্রে ডিপ্লোমা পাসের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারির আগে নিয়োগ পাওয়া বা পদোন্নতিপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা যে পদে কর্মরত ছিলেন, তার পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে দুই পর্বের জন্য বরাদ্দ করা পূর্ণ নম্বর পাবেন।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বা সমমানের পদে যোগদান বা ওই পদে পদোন্নতির ১৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এমন কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলেও ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা বিবেচনায় ওই কর্মকর্তা দুই পর্বের পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ করা পূর্ণ নম্বর পাবেন। তবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি হতে ব্যাংকে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বা সমমানের পদে যোগদান করা কিংবা উক্ত পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের পরবর্তী ধাপের পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রথম পর্ব এবং দ্বিতীয় পদোন্নতির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্ব পরীক্ষায় বাধ্যতামূলকভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানিয়েছে, মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমে সম্পৃক্ত নয় এমন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। তবে এমন বিভাগে বর্তমানে কর্মরত কোনো কর্মকর্তাকে পরবর্তী সময়ে মূল ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্থায়ীভাবে পদায়ন করা হলে এসব নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে।
এ ছাড়া ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণের জন্য ব্যাংকের পক্ষ থেকে আবশ্যিকভাবে আর্থিক প্রণোদনাও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য প্রথম পর্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩৫ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় পর্বের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা প্রণোদনা পাবেন ব্যাংকাররা। এই সিদ্ধান্ত ৯৯তম ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষা থেকে কার্যকর হবে। সম্প্রতি ৯৯তম ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ঋণের অর্থ আদায়ে পিএফআই সিকিউরিটিজের ভবনের সামনে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক কর্মকর্তাদের অবস্থান
পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের নামে বকেয়া ঋণ অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ব্রোকারেজ হাউসটির স্বত্বাধিকারী পরিচালক কাজী ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকরা প্রতিষ্ঠানের নামে এ ঋণ নিয়েছে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) পিএফআই সিকিউরিটিজের ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন ব্যাংকটির দিলকুশা শাখার বিভিন্ন স্থানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এসময় তাঁরা ব্রোকারেজ হাউসটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ সকলকে বকেয়া ঋণ আদায়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
অবস্থান কর্মসূচীতে অংশ নেয়া ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, পিএফআই সিকিউরিটিজের স্বত্বাধিকারী পরিচালক কাজী ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকরা প্রতিষ্ঠানের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের দিলকুশা শাখার থেকে ঋণ গ্রহণ করে। যার বকেয়া বর্তমানে ১৭৩ কোটি ৮৯ লাখ ৬৩ হাজার ৯১৮ টাকা। আমরা দীর্ঘদিন যাবত এ গ্রাহককে বার বার অনুরোধ করার পরেও তিনি ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করছেন না। এতে ব্যাংকের গ্রাহকসহ জনগনের মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক সম্পর্কেও একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে। যার কারণে আমাদের আজকের এই অবস্থান কর্মসূচী।
এসময় ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্রোকারেজ হাউসটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবস্থান কর্মসূচী সম্পর্কে তাদের মালিকদের অভিহিত করতে বলেন। সেই সঙ্গে বকেয়া ঋণ আদায়ে তাদের সহায়তার আহ্বান জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্যাংক-পুঁজিবাজারের জন্য নতুন সুবিধা দিলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বাংলাদেশ থেকে সেবার বিপরীতে অর্থ বিদেশে পাঠানো সহজ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে সেবার অর্থ বিদেশে পাঠাতে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার অনুমোদন লাগবে না। ব্যাংকগুলোকে তাদের নিজস্ব নিয়মিত বৈদেশিক ব্যয় বাবদ অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারবে। সেই সেঙ্গ একই সুবিধা পাবে পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলার অনুযায়ী, সেবা খাতের ব্যয়ের মধ্যে রয়েছে রয়টার্স মনিটর, ব্লুমবার্গ ফি, ব্যাংকার্স আলমনার্ক, ডিউ ডিলিজেন্স রেপোজিটরি ব্যয়, ক্রেডিট রেটিং সার্ভিস ফি, মূল্য যাচাই ফি, প্রভৃতি। এছাড়া ব্যাংকগুলোকে বিদেশ ভ্রমণকারীদের লাউঞ্জ সুবিধার সঙ্গে সম্পর্কিত খরচ পরিশোধের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে বছরে একজন কার্ড হোল্ডার ৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি খরচ করতে পারবে না।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান যেমন ব্রোকারেজ ফার্ম, মার্চেন্টব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ইত্যাদি, আর্থিক ইনফরমেশন এবং কমিউনিকেশন সংক্রান্ত সেবার জন্য বিদেশে ফি প্রেরণের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হবেনা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব ব্যয় পরিশোধ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতির প্রয়োজন নিতে হতো। এই সার্কুলারের ফলে বিদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ হলো।
এসএম