আন্তর্জাতিক
মিয়ানমারের আরেক রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিলো বিদ্রোহীরা

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলের চিন রাজ্যটি দখলে নেয়ার দাবি করেছে দেশটির সামরিক জান্তাবিরোধী বিদ্রোহীরা। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ওই অঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠী চিন ব্রাদারহুড এমন দাবি করেছে।
চিন ব্রাদারহুড জানিয়েছে, গত রোববার মিনদাত ও কানপেটলেট শহর দুটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। এর মাধ্যমে রাজ্যটির ৮০ শতাংশই মিয়ানমারের ক্ষমতাসীস জান্তা সরকারের হাতছাড়া হয়ে গেছে।
চিন পশ্চিম মিয়ানমারের একটি রাজ্য। চিন রাজ্যের পূর্বে সাগাইং অঞ্চল ও ম্যাগওয়ে অঞ্চল। দক্ষিণে রাখাইন রাজ্য, দক্ষিণ-পশ্চিমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ, পশ্চিম ও উত্তরে যথাক্রমে ভারতের মিজোরাম ও মনিপুর রাজ্য অবস্থিত। পর্বত আচ্ছাদিত হওয়ার কারণে রাজ্যটির যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই অনুন্নত। চিন মায়ানমারের সবচেয়ে দরিদ্র রাজ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।
চিন ব্রাদারহুডের মুখপাত্র ইয়াও ম্যাং ইরাবতীকে জানান, সশস্ত্র এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চল জান্তার কাছ থেকে মুক্ত করেছে। এখন বিদ্রোহীরা উত্তরাঞ্চলের ফালাম শহরে জান্তার সর্বশেষ অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছেন।
তিনি জানান, রাজধানী হাক্কা, ফালাম, তেদিম ও থানটালাং শহরে জান্তার চলাচল সীমিত হয়ে গেছে। এর বাইরে পালেতাওয়া, মাতুপি, কানপেটলেট, মিনদাত মুক্ত হয়েছে। কানপেটলেট ও মিনদাত থেকে গত রোববার সকালে ১৩ জন রাজনৈতিক বন্দীকে মুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আঞ্চলিক সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার দাবি করেছিল রাজ্যটির জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

আন্তর্জাতিক
সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় নিহত অন্তত ৭৮

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলে একটি শহরের একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সুদানের দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশের শহরে ওই হামলা চালায় আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ)। তবে গোষ্ঠীটি এখনও নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেনি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, শুক্রবার ভোরে প্রার্থনা চলাকালে ওই হামলা চালানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছরের বেশি সময় ধরে আরএসএফের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনী লড়াইয়ে লিপ্ত রয়েছে। আল-ফাশের শহরের দখলে নিতে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে আরএসএফ। এটি দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি। সেখানকার তিন লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক এই লড়াইয়ের ফাঁদে আটকা পড়েছে।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের (এইচআরএল) বিশ্লেষণ অনুযায়ী স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে, শিবিরটির বড় অংশ এখন আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে।
এদিকে, জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, সংঘাত ক্রমেই জাতিগত রূপ নিচ্ছে এবং প্রতিপক্ষকে সহযোগিতার অভিযোগে দুপক্ষই সাধারণ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে।
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থার নথিতে দেখা গেছে, দখল করা এলাকায় অ-আরব সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে জাতিগত নির্মূলনীতি চালাচ্ছে আরএসএফ।
সম্প্রতি ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানিয়েছে, আল-ফাশেরকে অ-আরব জনগোষ্ঠীমুক্ত করার পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছে গোষ্ঠীটি।
অবশ্য এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে আরএসএফ। তাদের দাবি, কোনো জাতিগত সংঘাতে তারা জড়িত নয়।
আন্তর্জাতিক
৫০ কোটি ডলারের উন্নত মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করলো ইরান

ইসরাইলের সঙ্গে ইরানের ১২ দিনের যুদ্ধে প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলার মূল্যের উন্নত ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইরান। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মেহের নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের প্রকাশিত নথি থেকে জানা যায়, ইরানের বিরুদ্ধে ১২ দিনের ইসরাইলি আগ্রাসনের সময় ওয়াশিংটন তেল আবিবকে সহায়তা দিতে গিয়ে প্রায় ৫০ কোটি ডলারের উন্নতমানের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র হারিয়েছে।
ইসরাইলের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সদ্য প্রকাশিত পেন্টাগনের বাজেট নথিতে দেখা গেছে, গত জুন মাসে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের ১২ দিনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে মোট প্রায় ৫০ কোটি ডলার মূল্যের ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ওয়ার জোন’ এবং ‘বিজনেস ইনসাইডার’এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, নথিগুলোর একটিতে ৪৯৮.২৬৫ মিলিয়ন ডলার জরুরি তহবিল চাওয়া হয়েছে, যা দিয়ে থাড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রতিস্থাপন করা হবে।
নথিতে বলা হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরাইলকে সমর্থন দিতে ব্যবহার করা হয়েছিল। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের ওই ১২ দিনের আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র ‘১০০ থেকে ১৫০টি থাড ক্ষেপণাস্ত্র’ নিক্ষেপ করেছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রতিস্থাপনের জন্য আরও বাজেট বরাদ্দ করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।
আন্তর্জাতিক
রাশিয়ায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা

রাশিয়ার কামচাতকা অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পের পরই ওই অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহাতের খবর পাওয়া যায়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা ৫৮ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার (৬.২১ মাইল)। ভূমিকম্পের পর ৫ দশমিক ৮ পর্যন্ত মাত্রার পরপর কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হয়েছে।
তবে রাশিয়ার জরুরি অবস্থা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২।
কামচাতকার গভর্নর ভ্লাদিমির সলোদভ জানিয়েছেন, সব জরুরি পরিসেবাগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং রুশ কর্তৃপক্ষ সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপদ্বীপের উপকূলের বিভিন্ন স্থানে ৩০ থেকে ৬২ সেন্টিমিটার (১ থেকে ২ ফুট) উচ্চতার সুনামির ঢেউ আঘাত হেনেছে।
ভূমিকম্পের পর মার্কিন জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র আলাস্কার কিছু অংশে সুনামির সতর্কতা জারি করে। তবে কিছুক্ষণ পরে সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়।
জাপানসহ অন্যান্য দেশকেও সম্ভাব্য সুনামির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর প্রভাব প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং হাওয়াইয়ের বাসিন্দাদেরও প্রস্তুত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে।
পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতকার জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮১ হাজার। শহরটি কুরিল-কামচাতকা আর্কের ওপর অবস্থিত, যা জাপানের হোক্কাইডো থেকে কুরিল দ্বীপপুঞ্জ এবং কামচাটকা উপদ্বীপের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল বরাবর ২,১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
কুরিল-কামচাটকা আর্ক বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প-সক্রিয় অঞ্চল। এই অঞ্চলে গত সপ্তাহে কমপক্ষে দুটি ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হয়েছে।
আন্তর্জাতিক
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ

ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা আর হাজারো নিরীহ ফিলিস্তিনির করুণ পরিণতি দেখে এবার মুখ খুলছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশ লুক্সেমবার্গ। দেশটি জানিয়েছে, চলতি মাসেই তারা ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুসালেম পোস্ট জানিয়েছে, লুক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী লুক ফ্রিডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেভিয়ার বেত্তেল তাদের দেশের সংসদীয় কমিশনকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, চলতি মাসের শেষ দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে লুক্সেমবার্গ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। একই সময়ে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম সহ আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশও একই পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এরইমধ্যে বিশ্বের প্রায় ৭৫% দেশের (প্রায় ১৪৭টি রাষ্ট্র) ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এবার ধনী ও প্রভাবশালী পশ্চিমা দেশগুলোও সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং বেলজিয়াম—এই দেশগুলোও শর্তসাপেক্ষে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে।
আন্তর্জাতিক
ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা শুরু

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চড়া হারে শুল্ক বসানোর পর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা মঙ্গলবার আবার শুরু হলো।
ভারত সরকারিভাবে জানিয়েছে, দুই দেশের প্রধান আলোচকরা আবার কথা শুরু করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানোর পর যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমদানি-রপ্তানিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ায় সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চ।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল বলেছেন, আমরা ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের স্পষ্ট ছবি পেতে চাই। তাই এই আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনা শুধু মঙ্গলবারই হওয়ার কথা। এই আলোচনার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ঠিক হবে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক পর্যায়ের আলোচনা কবে শুরু হবে।
রাজেশ আগরওয়াল বলেছেন, মঙ্গলবার দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য আলোচনা হচ্ছে না। আমরা অবশ্যই বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করবো। তবে আমরা দেখবো, ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্ভব কিনা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যে তথ্য দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, জুলাই মাসে ভারতীয় পণ্যের রপ্তানি ৮১০ কোটি ডলার থেকে কমে ৬৮৬ কোটি ডলারে হয়েছে।
ভারতে যিনি এবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত হতে চলেছেন, সেই সার্জিও গোর সেনেটে বলেছেন, ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
রাজেশ আগরওয়াল বলেছেন, এই বিষয়েও কথা হতে পারে। তবে বাণিজ্য ছাড়া অন্য কোনো বিষয় নিয়ে কোনো কথা হবে না।
ভারতে বণিকসভা ফিকি-র সাবেক পরামর্শদাতা অঞ্জন রায় বলেছেন, এখন যা অবস্থা তাতে শুল্ক বসানোর ফলে দুই দেশের কিছুটা অসুবিধা হবে ঠিকই, তবে অর্থনীতিতে খুব বড় ধাক্কা লাগবে না। কারণ, এখন যে শুল্ক বসানো হয়েছে তা পণ্যের উপর। সার্ভিস সেক্টর বা পরিষেবা ক্ষেত্রে কিছু হয়নি। আর এই ক্ষেত্রের উপর যদি আঘাত আসে, তাহলে ভারতের অর্থনীতিতে তার বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। আমেরিকাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অঞ্জন রায় মনে করেন, এখন শুল্কের জন্য বস্ত্র থেকে শুরু করে ভারতের কয়েকটি ক্ষেত্রে ধাক্কা লাগবে। তবে তা সামলে নেওয়ার ক্ষমতা ভারতের আছে।
তার মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হলেন এমন এক ব্যক্তি, যিনি পরমুহূর্তে কী করবেন তা কেউ জানেন না। তিনি আজ এককথা বলছেন, একরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কাল অন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তিনি আনপ্রেডিকটেবল। সেজন্যই এই আলোচনায় কতটা ফল হবে তা আগে থেকে বলা যাচ্ছে না।
অঞ্জন রায় কিছুদিন আগে আমেরিকা থেকে ফিরেছেন। তিনি মনে করেন, সেখানকার সাধারণ মানুষের মধ্যে এই শুল্ক নিয়ে মাথাব্যথা খুব কম। যদি জিনিসের দাম বাড়ে বা পরিষেবা দামী হয়, বেকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে যায়, তখন তারা ক্ষুব্ধ হতে পারে। না হলে বাণিজ্য চুক্তি, শুল্ক নিয়ে তারা মাথায় ঘামায় না।
প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা বলেছেন, যে পরিস্থিতিতে আলোচনা হচ্ছে, তা অনুকূল পরিবেশ নয়। দুই দেশের মধ্যেই একটা সন্দেহের পরিবেশ আছে। ভারত একটা রেডলাইন টেনে দিয়েছে। তারা রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করবে না। তারা কৃষি ও ডেয়ারি ক্ষেত্রকে খুলে দেবে না। তারপরেও আলোচনা সফল হতে পারে, যদি ট্রাম্প চান এবং মোদী কিছু ক্ষেত্রে শুল্কে ছাড় দেন। সেটা পরের কথা। তবে আলোচনা শুরু হয়েছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।