জাতীয়
বিমানবন্দরে আটক বিজিবির সাবেক ডিজি মইনুল ইসলাম
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পুলিশের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহ ও পিলখানায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এর ৪৮ ঘণ্টার মাথায় বাহিনীটির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পান মইনুল ইসলাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বড়দিনে দেশব্যাপী র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন বুধবার (২৫ ডিসেম্বর)। এ উপলক্ষে সব ধরনের ‘ঝুঁকি’ পর্যালোচনা করে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব স্পেশাল ফোর্স-এর কমান্ডো টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব সদর দপ্তর।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে সারাদেশে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি, গির্জায় র্যাব ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট মোতায়েন, ব্যাটলিয়নসমূহ নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তাদের অধিক্ষেত্রে স্থানীয় গির্জা কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রাখছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকলে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব উদযাপন করে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করছে র্যাব।
খ্রিষ্টান ধর্মের ‘বড়দিন’কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবছরও র্যাব ফোর্সেস কর্তৃক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। ‘বড়দিন’কে কেন্দ্র করে সব ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
ব্যাটলিয়নসমূহ নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তাদের জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে। র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের (কন্ট্রোল রুমের হটলাইন নম্বরঃ ০১৭৭৭৭২০০২৯) মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে। বড়দিনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে কেউ নাশকতার চেষ্টা করছে এমন কোনো তথ্য আপনারা পেলে সে সম্পর্কে র্যাবকে অবহিত করুন।
দেশজুড়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি-
বড়দিন উদযাপন উপলক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।
গির্জায় ডগ স্কোয়াড, সুইপিং মোতায়েন-
র্যাব ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ গির্জা, উপাসনালয়সমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলে প্রয়োজনীয় স্যুইপিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছে। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব স্পেশাল ফোর্সের কমান্ডো টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কন্ট্রোল রুম থেকে স্থানীয় পর্যায়ে সমন্বয়-
ব্যাটালিয়নসমূহ নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তাদের অধিক্ষেত্রে স্থানীয় গির্জা কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় রাখছে। র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে।
যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকল মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে চার্চ ও গির্জাসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সমূহে চেকপোস্ট স্থাপন, পর্যাপ্ত সংখ্যক টহল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সব মেট্রোপলিটন শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরসমূহে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে।
চক্রান্তকারী, উসকানিদাতা, উগ্রবাদী সংগঠন এবং সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহপূর্বক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও যেকোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব।
সাইবার পেট্রলিং, সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি-
ভার্চুয়াল জগতে যেকোনো ধরনের গুজব, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে। যারা সাইবার জগতে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে উসকানি দেওয়ার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করবে তাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সিসিটিভি মনিটরিং-
গুরুত্বপূর্ণ গির্জা, উপাসনালয় ও অনুষ্ঠানস্থলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বড়দিন উদযাপন কমিটি কর্তৃক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও বড়দিন উদযাপন কমিটি কর্তৃক নিয়োগকৃত স্বেচ্ছাসেবক এবং কর্তব্যরত র্যাব সদস্যদের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি ব্যবস্থা করা হবে। কোনো দুষ্কৃতকারী গির্জা ও অনুষ্ঠান এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চার্চ, গির্জার সামনে মোবাইল কোর্ট-
গুরুত্বপূর্ণ চার্চ, উপাসনালয় এবং অনুষ্ঠানস্থলসমূহে আগত মহিলাদের উত্ত্যক্ত, ইভটিজিং, যৌন হয়রানি রোধকল্পে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গির্জাসমূহের নিরাপত্তা রক্ষায় সেখানে দায়িত্বরত র্যাব সদস্যদেরকে গির্জা কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাসেবক টিম কর্তৃক সর্বদা সহায়তা করার জন্য অনুরোধ করছে।
পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ গির্জাসমূহে নিরাপত্তা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য চার্চ কর্তৃপক্ষ যেসব সিসিটিভি স্থাপন করেছে তা যথাযথভাবে মনিটরিং করার জন্য চার্চ কর্তৃপক্ষকে আহ্বান করছে র্যাব।
বড়দিন এর উৎসবকে কেন্দ্র করে চক্রান্তকারী গোষ্ঠী রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি নিয়ে জনস্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপ নিতে না পারে তার জন্য কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাব।
কূটনৈতিক মিশনে নিরাপত্তা বৃদ্ধি-
বড়দিনের উৎসবকে কেন্দ্র করে বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের কর্মকর্তা এবং ভিআইপি কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানস্থলে গমনাগমন করে থাকেন। এছাড়াও, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং ধর্মযাজকগণের নিরাপত্তার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহপূর্বক ঝুঁকি পর্যালোচনা ও অনুষ্ঠানস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বড়দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহ বিশেষ করে ঢাকার বনানী, গুলশান, উত্তরা, পূর্বাচল, ৩০০ ফিট, হাতিরঝিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের অভিজাত হোটেল ও ক্লাবগুলোতে এবং কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আড়ালে অশ্লীল কর্মকাণ্ড, ইভটিজিং ও মহিলাদের শ্লীলতাহানীর ঘটনা রোধকল্পে বড়দিন উদযাপন কমিটিসমূহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কেপিআইসহ রাষ্ট্রীয় কার্যালয়ে নিরাপত্তা জোরদার-
বঙ্গভবন, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা, বাংলাদেশ সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার অফিস এবং গণভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও কেপিআইয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
র্যাবের সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোন নম্বরসমূহ খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ধর্মযাজক, বড়দিন উদযাপন কমিটি এবং অন্যান্য তথ্যদাতার নিকট প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে যে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে র্যাব দলের নিকট পৌঁছাতে পারে।
বড়দিনের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে পটকা, আতশবাজিসহ আগুন দ্বারা পরিচালিত ফানুস উড়ানো যাবে না। আতশবাজি বা পটকা ফুটানো বা ফানুস ওড়ানো বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। (২৪ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এ সরকার সাইবার স্পেসকে সবার জন্য নিরাপদ করতে চাই। আপনারা জানেন যে সাইবার স্পেসে অনেক ধরনের ক্রাইম হয়। আমাদের মা-বোনরাসহ অনেকেই নানা ধরনের বুলিংয়ের শিকার হন। শিশুদের অনেক ধরনের বুলিংয়ের শিকার হতে হয়। সাইবার স্পেসকে নিরাপদ করা সরকারের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টটি ছিল খুবই বিতর্কিত। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এ আইনটিকে ভিন্নমতের লোকজনের কণ্ঠ রোধে ব্যবহার করেছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বড়দিনে আড়াই কোটি টাকা অনুদান সরকারের
বড়দিন উপলক্ষ্যে খ্রিষ্টান ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে সরকার। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে এই টাকা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ বছর দেশের ৭৪৬টি খ্রিষ্টান ধর্মীয় উপাসনালয় কিংবা প্রতিষ্ঠানকে দুই কোটি টাকা বিতরণ করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে সাতটি ভাগে ভাগ করে অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। অনুদানপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে চার্চ, গির্জা ও তীর্থস্থান। খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে এ অনুদান বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ‘ক’ ক্যাটাগরি ০৫ টি চার্চ বা গির্জাকে ৮০ হাজার টাকা, ‘খ’ ক্যাটাগরির ৫৬ টি চার্চকে ৫০ হাজার টাকা, ‘গ’ ক্যাটাগরির ৮০ টি গির্জা বা চার্চকে ৩৫ হাজার টাকা ‘ঘ’ ১৩৫ টিকে ৩০ হাজার টাকা, ‘ঙ’ ক্যাটাগরির ১৫২টি চার্চকে ২৫ হাজার টাকা, ‘চ’ ক্যাটাগরির ২১৩টি চার্চকে ২০ হাজার এবং ‘ছ’ ক্যাটাগরির ১০৫ টি চার্চকে ১৮ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৫০ লক্ষ টাকা পরে বিতরণ করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভূমধ্যসাগরে আট মরদেহসহ ৩২ বাংলাদেশি অভিবাসী উদ্ধার
ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশি অভিবাসীসহ ৮২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে লিবিয়ার নৌবাহিনী। এছাড়াও কমপক্ষে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এই ৮ জনসহ উদ্ধার হওয়া মোট বাংলাদেশির সংখ্যা ৩২ জন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
মুখপাত্র জানান, ১২১ জন অভিবাসী নিয়ে একটি নৌকা গত ১৮ ডিসেম্বর লিবিয়ার উপকূলে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়। লিবিয়ার নৌবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ৮২ জনকে জীবিত এবং কমপক্ষে ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি জানান, ঘটনার পর লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা দ্রুত যোগাযোগ করেন এবং স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন স্বেচ্ছাসেবক নিশ্চিত করেন, উদ্ধার ব্যক্তিদের মধ্যে ৮ জন নিহতসহ মোট ৩২ জন বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছেন। তবে অন্য অভিবাসীরা এখনো নিখোঁজ।
মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, জীবিতদের বর্তমানে ত্রিপোলি থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে জাওয়াইয়া সিটিতে এবং মরদেহগুলো পাবলিক প্রসিকিউশনের তত্ত্বাবধানে জাওয়াইয়া হাসপাতালে রাখা হয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে আরও বাংলাদেশি নাগরিক থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
মুখপাত্র বলেন, দূতাবাসের কর্মকর্তারা লিবিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে জীবিত ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
ত্রিপোলির দূতাবাসের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ধর্মের শান্তির বাণী মনে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা মানুষ একই। আমাদের মানুষ পরিচয় আগে, তারপর ধর্ম। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে, সেই শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলেই বিভেদ দূর হবে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা তার বাসভবন যমুনায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বড়দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, আজকের দিনে আপনাদের সঙ্গে দেখা হলো, এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আমরা ধর্মীয় সংহতি চাই। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগরিষ্ঠ- এই শব্দগুলো আমরা চাই না। এ দেশে আমরা সবাই এক পরিবার, সবাই মিলে একত্রে থাকবো- এটা আমাদের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সবার এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মানুষ একই। আমাদের মানুষ পরিচয় আগে, তারপর ধর্ম। প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে। সেই শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে। তাহলেই বিভেদ দূর হবে। নিজ নিজ ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মনের মধ্যে স্থাপন করা গেলে অন্য ধর্মের মধ্যেও তা খুঁজে পাবেন। তখন আর অন্য ধর্মের সঙ্গে বিভেদ হবে না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা সুন্দর শৈশব পাবে।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় খ্রিষ্টান ধর্মের নেতাদের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ, দ্য ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশের সভাপতি বিশপ ফিলীপ পি অধিকারী, বাংলাদেশ ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, মহাসচিব ইগ্লাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া এবং বাংলাদেশ খ্রিষ্টান মহাজোটের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নির্মল ডি’কস্তা।
বক্তব্যে তারা প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশে উদারতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সংক্ষেপে যিশু খ্রিষ্টের জীবনী, আদর্শ ও শান্তির বাণী উল্লেখ করে আর্চবিশপ বিজয় এন ডি’ক্রুজ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। প্রফেসর ইউনূস দেশ পরিচালনার কঠিন দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। আপনি জ্ঞানী, সৎ এবং বাংলাদেশে সবার আস্থাভাজন ব্যক্তি। আপনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হয়ে উঠুক, মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, মমত্ববোধ, মানবপ্রেম, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ক্ষমাশীলতা গড়ে উঠুক, বড়দিনে এটাই আমাদের প্রার্থনা। বাংলাদেশ আপনাদের নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায় আপনার পাশে আছে।
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে আড়াই কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান তারা। দেশব্যাপী চার্চগুলোতে এ অনুদান বণ্টন হয়েছে বলে জানান তারা।
এসময় বড়দিন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টাকে একটি বাইবেল উপহার দেন তারা।
শুভেচ্ছা বিনিময় আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উপস্থিত ছিলেন।