ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সান্ধ্যকালীন আইনের প্রতিবাদে ইবি ছাত্রদলের ক্ষোভ প্রকাশ
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রোভোস্ট কাউন্সিল সভায় ঘোষিত সান্ধ্যকালীন আইনের প্রতিবাদে ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইবি শাখা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি শাখার সদস্য রাফিজ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানানো হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মো. মাসুদ রুমী মিথুন এক যৌথ বিবৃতিতে এই ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে এই নির্দেশনার প্রতিবাদ জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২২ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের ১৪০তম সভায় যে সান্ধ্যকালীন নির্দেশনা ঘোষিত হয়েছে এ বিষয়ে ক্ষোভ, গভীর উদ্বেগ এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।নির্দেশনাতে বলা হয়, ছাত্রদের জন্য রাত ১১ টারমধ্যে হল গেইট বন্ধ এবং ছাত্রীদের জন্য মাগরিবের নামাজের ১৫ (পনের) মিনিটের মধ্যে হল গেইট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাধীনতা ও জীবনযাত্রাকে সীমাবদ্ধ হওয়ার আশংকা তৈরী হবে বলে মনে করছেন।
এ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় ও রক্ষায় কাজ করে আসছে। এ ধরণের নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা ও জীবনযাত্রা বাঁধাগ্রস্থ হবে যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থায় গড়ে উঠতে পারে এবং স্বাধীন চিন্তা, মতপ্রকাশ ও মুক্ত পরিবেশে জীবনযাত্রা পরিচালনা করতে পারে তার সুব্যবস্থা সৃষ্টি করা উচিত। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি এ সান্ধ্যকালীন নির্দেশনা বাস্তবায়িত করে তাহলে উপরোক্ত বিষয়গুলি বাঁধাগ্রস্থ হবে যা কোনো শিক্ষার্থীরই কাম্য নয়।
তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান, এই সান্ধ্যকালীন নির্দেশনা অনতিবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুষ্ঠু ও উন্নত শিক্ষাঙ্গন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষিত এই নির্দেশনা বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের সাথে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সকল ধরণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে জরুরি নির্দেশনা
বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ২৪ উপাচার্যকে (ভিসি) একটি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে স্ব স্ব উপাচার্যের (ভিসি) বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এ চিঠি দেয়া হয়। তবে এর আগে সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দফায় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যকে (ভিসি) চিঠি পাঠিয়েছে। এমনকি শিক্ষা উপদেষ্টা তার অফিসিয়াল প্যাডে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিগুলো তুলে ধরে আধা-সরকারি একটি পত্রও পাঠিয়েছেন। তবুও গুচ্ছে ফিরতে নারাজ ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উদ্দেশে জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সুষ্ঠু উন্নয়ন ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২০ সাল থেকে দেশের সরকারি সাধারণ, কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ কমানো, ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় সাশ্রয় করা এবং মেধাভিত্তিক, স্বচ্ছ ও সমন্বিত পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন নিশ্চিত করা।
ফলে উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কার্যক্রম হিসেবে গুচ্ছ পদ্ধতি ইতোমধ্যে জনমনে আস্থা অর্জন করেছে। এ পদ্ধতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, আবাসন, এবং অন্যান্য খরচ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে একটি মানসম্মত প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকরা একাধিক ভর্তি পরীক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
এতে আরও বলা, গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে পৃথকভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের জন্য তা বাড়তি আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং জনমনে শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পুনরায় গুচ্ছ পদ্ধতির সুফল বিবেচনা করে এ পদ্ধতি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে এ সংক্রান্ত একটি সভা করার পাশাপাশি গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার বিষয়ে একটি পত্র জারি করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত একটি আধা-সরকারি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় উপাচার্যদের নেতৃত্বে তার বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও খরচ কমাতে চালু করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি। এবার দুটি গুচ্ছ থেকে এ পর্যন্ত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে গেছে। আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তারা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
তবে গত ১ ডিসেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা একটি চিঠিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির ব্যবস্থা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানান। এরপর ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতির বিষয়ে জরুরি বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বেশি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং তুলনামূলক নতুন প্রতিষ্ঠিত ও জনবল কম থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছিল।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়। সবশেষ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করেছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে জগন্নাথ, কুমিল্লা, খুলনা, বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এছাড়া, প্রকৌশল গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে, কৃষি গুচ্ছ থেকেও বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যেতে প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন। একই দাবিতে সেখানে শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে নেমেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
২০২৫ সালে মাধ্যমিক-নিম্ন মাধ্যমিকে ছুটি ৭৬ দিন, তালিকা প্রকাশ
আসছে নতুন বছরে শুক্র ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়াও ৭৬ দিন ছুটি থাকছে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক স্কুলগুলোতে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) নতুন বছরের জন্য এ ছুটি ঘোষণা করে তালিকা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সরকারি মাধ্যমিক অনুবিভাগের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদন নিয়েই সরকারি-বেসরকারি স্কুলের ছুটির তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রকাশিত তালিকায় থাকা দীর্ঘ ছুটিগুলো হলো—পবিত্র রমজানের ছুটি শুরু হবে ২ মার্চ থেকে। ঈদুল ফিতর, জুমাতুল বিদা, স্বাধীনতা দিবসসহ কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে সেসময় টানা ২৮ দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। দীর্ঘ ছুটির পর ৮ এপ্রিল পুনরায় ক্লাস শুরু হবে।
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশেও টানা ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ছুটি থাকবে। এ ছুটি শুরু হবে ১ জুন, চলবে ১৯ জুন পর্যন্ত। দুর্গাপূজায় এবার ৮ দিন ছুটি রাখা হয়েছে। অবশ্য এ ছুটির মধ্যে লক্ষ্মীপূজা, ফাতেহা-ই-ইয়াজ দহমসহ বেশ কয়েকটি ছুটি পড়বে।
অন্যদিকে প্রতিবছরের মতো এবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের হাতে সংরক্ষিত তিনদিন ছুটি রাখা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান যখন প্রয়োজনে এ ছুটিগুলো দিতে পারবেন। এর বাইরে বিভিন্ন জাতীয়, আন্তর্জাতিক দিবস ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে নিয়ম মেনে ছুটি থাকবে।
তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৫ নেতা বহিষ্কার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ ১৫ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। এদের মধ্যে ছয়জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা উপকমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের ৫৩৫তম সভায় এ সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে শুধু বহিষ্কৃতদের সংখ্যা প্রকাশ করে প্রশাসন। আজ রবিবার তাদের নাম-পরিচয়সহ শাস্তির মেয়াদ প্রকাশ করা হয়েছে।
সিট বাণিজ্য, র্যাগিং ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলাসহ নানা সময়ে করা বিভিন্ন অপরাধের দায়ে মোট ১৮ জনকে শাস্তি প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ১৫ জনই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে আছেন বা কর্মী হিসেবে পরিচিত।
জনসংযোগ আফিস থেকে পাওয়া তালিকা অনুযায়ী, ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখার বর্তমান সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-আল-গালিব। এ ছাড়া সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থায়ী বহিষ্কারের তালিকায় আরো নাম আছে মাদারবখশ হলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার রায় ও একই হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো. মিশকাত হাসানের।
এ ক্ষেত্রে কারো ছাত্রত্ব না থাকলে তাদের সনদ বাতিল করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ আছে।
দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে। তারা হলেন নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শামীম রেজা, বঙ্গবন্ধু হল শাখার সাবেক দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী মুজাহিদ আল হাসান ও মো. আব্দুল্লাহ আত তাসরীফ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী। এই তালিকায় আরো আছেন আরবী বিভাগের ২০১৯-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে দল বিবেচনায় তাদের বহিষ্কার করা হয়নি। অপরাধের ধরণ দেখে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলফি শাহরিন আরিয়ানা, ছাত্রলীগকর্মী জারিফা আহনাফ ইলমা, মাদারবখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর পাল ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আহসানুল হককে (মিলন)।
এ ছাড়া ছাত্রলীগকর্মী আনিকা আলম উষা, মরিয়ম আক্তার শান্তা পেয়েছেন ছয় মাস বহিষ্কারের সাজা। মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর বিশ্বাসকে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই অভিযোগে মো. নাজমুল হোসেন নাবিলকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে বিভিন্ন হল থেকে আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে ১৪ জনের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের। তবে তাদের রাজনৈতিক বিবেচনায় কোনো শাস্তি প্রদান করা হয়নি বরং সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। এ জায়গাটাতে একটি সুস্পষ্ট বার্তা থাকবে যে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধের সাথে কেউ যুক্ত থাকলে তাকে দল-মত-নির্বিশেষে শাস্তি পেতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সহপাঠী নিহতের ঘটনায় সরকারের কাছে বুয়েট শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি
কেরানীগঞ্জে মদ্যপ চালকের প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মুহতাসিম মাসুদের নিহতের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তিসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ঝাঁঝালো স্লোগান-মিছিলে নিজেদের প্রতিবাদ প্রকাশ করেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘আর নয় প্রাণহানি, সড়ক হতে হবে নিরাপদ’।
বিক্ষোভ মিছিলের আগে বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন উপায়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে অভিযোগ করে তারা বলেন, বিষয়টি স্পষ্ট যে, এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। বরং চালক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে আমাদের একজন সহপাঠীকে হত্যা করেছে এবং দুজনকে গুরুতর আহত করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা কোনো ধরনের হুমকি পাইনি, কিন্তু সেটেলমেন্টের চেষ্টা করেছেন তারা। সেটা আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অভিযুক্তদের আইনজীবী গণমাধ্যমে বিভিন্ন রকমের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে কিছু সংবাদমাধ্যমেও এই হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলে অপপ্রচারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং দ্রুত এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
তারা বলেন, সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, দেশের বিচারব্যবস্থাকে একটি গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করুন; অপরাধী যে পরিবারেরই সদস্য হোক না কেন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন, এই ব্যাপারটি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হোক; হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার অবশ্যই বিবাদীপক্ষকে বহন করতে হবে এবং নিহতের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় দিবাগত রাতে বেপরোয়া প্রাইভেটকারের ধাক্কায় নিহত হন বুয়েট শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ। আহত হন আরও দুই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামির ডোপ টেস্টে মাদকাসক্তির প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে সাপের উপদ্রব, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আবাসিক এলাকাসমূহে সাপের উপদ্রব ক্রমে বাড়ছে। এতে আতঙ্কে ভুগছেন আবাসিক এলাকায় অবস্থানরত শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মেঘনা ভবনের নিচতলায় সাপ দেখা গেছে। এর পূর্বেও ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে আরেকটি দেখা গেছে বলে জানা যায়।
এবিষয়ে ওই ভবনে অবস্থানরত এক শিক্ষক বলেন, গত ১৬ ডিসেম্বর আমার বাসায় একটি সাপ পাওয়া যায়। আজ ১৯ ডিসেম্বরেও আরেকটি সাপ পাওয়া গেছে। গত ৩ দিনে ২ বার সাপ পাওয়া গেছে বিধায় বেশ আতংকিত অবস্থায় আছি। এখনো প্রশাসনকে জানায়নি। প্রশাসনকে জানালে আশা করি খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পঙ্কজ বলেন, প্রতিবার হল দীর্ঘদিন বন্ধের পর যখন খুলে তখন সকল ছাত্রছাত্রীদের মাঝে যে জিনিসটা সব থেকে বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি করে তা হলো সাপ। খোলার পরেই দেখা যায় হলের বিভিন্ন স্থানে এমনকি রুমের মধ্যে ও সাপের উপদ্রব দেখা যায়। এর জন্য হল প্রসাশনকে সর্তক থাকতে হবে। বিশেষ করে হলের আশেপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে।
ইবির এস্টেট অফিসের প্রধান মো. আলাউদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু হলের পুকুর সংলগ্ন জায়গা’সহ মফিজ লেকে ইতিমধ্যে অধিকাংশ জায়গা পরিষ্কার করা হয়েছে। কিছু জায়গা বাকি আছে কিছুদিনের মধ্যে এগুলো পরিষ্কার করা হয়ে যাবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম