ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে জরুরি নির্দেশনা
বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে ২৪ উপাচার্যকে (ভিসি) একটি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি চিঠিতে স্ব স্ব উপাচার্যের (ভিসি) বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) এ চিঠি দেয়া হয়। তবে এর আগে সার্বিক পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দফায় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যকে (ভিসি) চিঠি পাঠিয়েছে। এমনকি শিক্ষা উপদেষ্টা তার অফিসিয়াল প্যাডে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিগুলো তুলে ধরে আধা-সরকারি একটি পত্রও পাঠিয়েছেন। তবুও গুচ্ছে ফিরতে নারাজ ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উদ্দেশে জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সুষ্ঠু উন্নয়ন ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২০ সাল থেকে দেশের সরকারি সাধারণ, কৃষি, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ কমানো, ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় সাশ্রয় করা এবং মেধাভিত্তিক, স্বচ্ছ ও সমন্বিত পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন নিশ্চিত করা।
ফলে উচ্চশিক্ষার উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব একটি কার্যক্রম হিসেবে গুচ্ছ পদ্ধতি ইতোমধ্যে জনমনে আস্থা অর্জন করেছে। এ পদ্ধতিতে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথকভাবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, আবাসন, এবং অন্যান্য খরচ বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে একটি মানসম্মত প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে মেধাভিত্তিক ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অভিভাবকরা একাধিক ভর্তি পরীক্ষার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
এতে আরও বলা, গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্যোগে পৃথকভাবে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের এবং অভিভাবকদের জন্য তা বাড়তি আর্থিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং জনমনে শিক্ষা প্রশাসনের প্রতি নেতিবাচক ধারণা তৈরি করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পুনরায় গুচ্ছ পদ্ধতির সুফল বিবেচনা করে এ পদ্ধতি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে এ সংক্রান্ত একটি সভা করার পাশাপাশি গুচ্ছ পদ্ধতি বহাল রাখার বিষয়ে একটি পত্র জারি করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা উপদেষ্টা স্বাক্ষরিত একটি আধা-সরকারি পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এ অবস্থায় উপাচার্যদের নেতৃত্বে তার বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও খরচ কমাতে চালু করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি। এবার দুটি গুচ্ছ থেকে এ পর্যন্ত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে গেছে। আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তারা এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
তবে গত ১ ডিসেম্বর শিক্ষা উপদেষ্টা একটি চিঠিতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির ব্যবস্থা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানান। এরপর ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে গুচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতির বিষয়ে জরুরি বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বেশি এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এবং তুলনামূলক নতুন প্রতিষ্ঠিত ও জনবল কম থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখার পক্ষে অবস্থান নেন। ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছিল।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হয়। সবশেষ শিক্ষাবর্ষে সাধারণ গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করেছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ৭টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে জগন্নাথ, কুমিল্লা, খুলনা, বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষা নিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এছাড়া, প্রকৌশল গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে, কৃষি গুচ্ছ থেকেও বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। এছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক সমিতি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যেতে প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন। একই দাবিতে সেখানে শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে নেমেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাবি ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার ১৭ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের (৪৭ ব্যাচের) শিক্ষার্থী মুহিবুর রহমান মুহিব এবং সেক্রেটারি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন দর্শন বিভাগের একই সেশনের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, দাওয়াহ সম্পাদক মশিউর রহমান, অফিস ও প্রচার সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান, মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক মো. তৌহিদ হাসান, বিজ্ঞান সম্পাদক মো. তৌফিক হুসাইন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাহদী হাসান জিহাদ।
এ ছাড়া গবেষণা সম্পাদক পদে আরিফুল ইসলাম, প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে মো. সাফায়েত মীর, সমাজসেবা সম্পাদক পদে মো. তরিকুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার সম্পাদক পদে মো. রাকিব হোসেন, সাহিত্য, প্রকাশনা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. মাহাদী হাসান, মানবাধিকার সম্পাদক পদে মো. রায়হান উদ্দীন এবং তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক পদে আলী আহম্মদ দায়িত্ব পেয়েছেন।
এর আগে, গত ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ২০২৫ সেশনের কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম ঘোষণা করা হয়। কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় সভাপতির স্বাক্ষরিত ব্যালট পেপারে সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে কেন্দ্রীয় সভাপতি সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত মুহিবুর রহমান মুহিবের নাম সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন এবং শপথ পাঠ করান। পরে সেক্রেটারি মনোনীত করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে জাকসুর নির্বাচন কমিশন এ ভোটার তালিকা প্রকাশ করে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান এবং সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম, সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক ড. খো. লুৎফুল এলাহী এবং ড. রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যে শিক্ষার্থীরা স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ৬ (৪+২) বছর অথবা স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ২ (১+১) বছর অধ্যয়নরত রয়েছেন শুধুমাত্র তাদের নাম জাকসুর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় স্নাতক (সম্মান) ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০, ২০২০-২১,২০২১-২২, ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ এবং স্নাতকোত্তর ২০২০-২১, ২০২১-২২, ২০২২-২৩, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এম.ফিল, পিএইচ.ডি, উইকেন্ড ও ইভিনিং প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন ব্যাচের অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তা ছাড়া ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএস-এর শিক্ষার্থীরা বিশেষায়িত মাস্টার্সে অধ্যয়ন করায় তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যেসব শিক্ষার্থী আইবিএ’র নিয়মিত কোর্সে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে অধ্যায়ন না করে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) শ্রেণিতে অধ্যায়নরত তাদেরও এই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রকাশিত চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকায় কোনো অস্পষ্টতা বা অসঙ্গতি দেখা গেলে নির্বাচনি তফসিল অনুসারে লিখিত আবেদন করে বিধি অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে বাস ভাঙচুর, সমন্বয়ক-ভাঙচুরকারীদের হাতাহাতি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের সাথে এসবি পরিবহনের সুপারভাইজারের দুর্ব্যবহারের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বাস আটকিয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এতে এক শিক্ষার্থী আহত হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ভাংচুরে জড়িত শিক্ষার্থীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত দেড়টার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে বাস ছেড়ে দেওয়া হয়। আহত শিক্ষার্থীর নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনাস্থল হতে শিক্ষার্থীরা জানান, এনভায়রনমেন্ট সাইন্স এন্ড জিওগ্রাফী বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া শহরের কাউন্টার থেকে এসবি পরিবহনের বাসে উঠে। একটু পরে তাদের পেছনে বায়োটেকনোলজি বিভাগের ১৫ জনের মতো শিক্ষার্থী বাসে উঠে। এসময় বাসের সুপারভাইজার ওই ১৩ জনের বাইরে সব শিক্ষার্থীকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন। এতে বায়োটেকনোলজির শিক্ষার্থীরা তাদের নামিয়ে দেওয়ার কারণ জানতে চায়। এসময় সুপারভাইজার বলেন, ‘আপনারা বাসের পরিবেশ নষ্ট করেছেন, আপনাদের নেব না’ বলে বাস ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। পরে এ নিয়ে সুপারভাইজার ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাদের সহপাঠীদের খবর দিলে তারা গিয়ে ২টি বাস আটকায়। তবে একটি বাসে রোগী ও বিদেশি যাত্রী থাকায় তাৎক্ষণিক ছেড়ে দেয়। এসময় কিছু শিক্ষার্থী আটককৃত বাসটি ভাঙচুর করে এবং ঘটনাস্থলে এক শিক্ষার্থীর পা কেটে যায়। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘তাদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে।’ পক্ষান্তরে প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, আহত শিক্ষার্থী বাসে লাথি দিলে কাঁচ ভেঙে পা ভিতরে ঢুকে পরে বের করার পর রক্তাক্ত দেখলে ইবি মেডিকেলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা গাড়ি ভাঙচুরে বাধা দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের উপর চড়াও হন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, আটককৃত বাসের পাশে আমরা কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মী দাঁড়িয়ে ছিলাম। হুট করে কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে বাসে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারতে থাকে। অথচ আমরা থামানোর চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। উল্টো কয়েকজন আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। তবে কিছু শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কদের সহযোগিতায় তাদের থামানোর সক্ষম হয়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা জানান, আমরা বাধা দিলে কিছু শিক্ষার্থী চড়াও হয়। এমনকি নিরাপত্তা কর্মীর ওপরও চড়াও হতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করলে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তবে তৃতীয় পক্ষ এসে কে বা কারা বাস ভাংচুর করলো তাদের সনাক্ত করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
আহত শিক্ষার্থীর বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, তেমন কোনো সিরিয়াস ইনজুরি না। সার্প কাটিং হয়েছে। এরকম আঘাত গ্লাস বা ধারালো কিছুতে হয়। আমরা চিকিৎসা দিয়ে রক্তপাত বন্ধ করে কুষ্টিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছি। যেহেতু কাটার মধ্যে গ্লাসের টুকরা থাকতে পারে।
বাস আটকের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, কয়েকদিন আগে একটা আইন করা হয়েছে। ঘটনা ঘটলে প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তা কর্মী, সমন্বয়ক কিংবা বড় ভাইদেরকে অবহিত করা। কিন্তু আইন শিক্ষার্থীদের হাতে নেয়া যাবে না। আমরা দ্রুত সমাধান করবো।
ভাংচুরের ঘটনায় তিনি জানান, ঘটনা জানার পর পরই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। কে বা কারা বাস ভাংচুর করছে এ বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসবি বাস মালিক শিহাব উদ্দিন জানান, বাস মালিক সমিতিকে বিষয়টা মীমাংসা করার জন্য বলে দিয়েছি। যদি শিক্ষার্থীদের দোষ থাকে একভাবে হবে আর যদি স্টাফদের দোষ থাকলে অন্য ভাবে সমাধান হতে পারে।
উল্লেখ্য, ভাঙচুরকৃত বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হতে নিয়ে যাওয়া হয়।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা পেলে আইনি ব্যবস্থা: ইবি প্রশাসন
শান্তি শৃঙ্খলা ও ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রমে গোপনে বা প্রকাশ্যে সহযোগিতার সম্পৃক্ততা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রমে গোপন অথবা প্রকাশ্যে অংশগ্রহণ কিংবা সহযোগিতায় সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, উপাচার্যের নির্দেশ অনুযায়ী সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে, আইন অনুযায়ী সেই সংগঠনকে কেউ সহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৭তম বিসিএসের অনলাইন আবেদনের সময় বাড়ল
৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার অনলাইন আবেদন জমা দেয়ার সময়সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি)। স্নাতক পরীক্ষা চলমান থাকা শিক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনা করে আবেদনের সময় আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) দিলওয়েজ দুরদানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পিএসসি জানায়, ৪৭ বিসিএসে আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে ইউজার আইডিপ্রাপ্ত প্রার্থীরা ওই তারিখের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অর্থাৎ ২ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এসএমএসের মাধ্যমে ফি জমা দিতে পারবেন।
নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের পর কোনো আবেদন গ্রহণ করা হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এর আগে, আবেদনের সময়সীমা ছিল ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
কাফি