ব্যাংক
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পর্ষদ অবরুদ্ধ
অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। তাদের দাবি সরকার পরিবর্তন হলেও অগ্রণী ব্যাংকের পদোন্নতিতে দুর্নীতি করছে নতুন পর্ষদ।
কর্মকর্তারা আরও বলছেন, বিগত সরকারের আমলে ঋণ জালিয়াতিতে সহায়তাকারী ডিএমডি-জিএমরা এখনও স্ব-পদে বহাল। এমনকি তারা ঋণগুলো নবায়ন ও আদায়ের ক্ষেত্রেও অনৈতিক সুবিধা বাগিয়ে নিচ্ছেন ব্যাংক থেকে। বিষয়গুলো অধস্তন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে পর্ষদকে অবহিত করলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে পুরো পর্ষদকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন সাধারণ কর্মকর্তারা।
বিষয়টি জানার জন্য অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবু নাসের বখতিয়ারকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কোনো সারা পাওয়া যায়নি।
কর্মকর্তারা লিখিত বক্তব্যে জানান, গত ৫ আগষ্ট এ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পরে দেশের পুলিশ, সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্বৈরাচারের সরাসরি সহযোগীদের বিদায় হলেও যে ব্যাংক ও আর্থিক সেক্টরের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকার টাকা পাচার করে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। সেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশেষ করে সরকারি ব্যাংক গুলো হতে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান এবং এমডিদের বিদায় দেয়া হয়।
কিন্তু স্বৈরাচারের এইসব চেয়ারম্যান-এমডিদের অনিয়ম, জালিয়াতি এবং অর্থপাচারের সরাসরি সহযোগী ডিএমডি-জিএম এবং কিছু কিছু ডিজিএমরা এখনো বহালতবিয়তে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং কেউ কেউ এই সুযোগে নিজেদের রং বদলাতে যা যা করার প্রয়োজন তাই করে যাচ্ছেন।
অগ্রণী ব্যাংক পিএলসির ব্যতিক্রম নয়। এখানেও স্বৈরাচারের দোসর ডিএমডি-জিএমদের স্ব-পদে রেখেই নতুন চেয়ারম্যান-সিইও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ব্যাংক নিরীক্ষায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশের ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সমন্বিত নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার লক্ষ্যে যোগ্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি বিশেষ বিধান প্রণয়ন করেছে। এই বিধানবলে ব্যাংক কোম্পানি ও ব্যাংকিং নীতিমালার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করবে, যারা নির্দিষ্ট ব্যাংকে গভীর নিরীক্ষা চালাবে।বাংলাদেশ ব্যাংক আইন অনুযায়ী ‘স্পেশাল রেগুলেশনস অব বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪’ শীর্ষক এই বিধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক বৈঠকে প্রণয়ন করা হয়েছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এই বিধান অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এই বিধানে বলা হয়েছে, ব্যাংকের সমন্বিত নিরীক্ষা বা তার অংশ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক যোগ্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করবে। সমন্বিত নিরীক্ষার শর্তাবলি এবং এ কাজের জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে যে সম্মানী দেওয়া হবে এবং যে পদ্ধতিতে তা পরিশোধ করা হবে, তা চুক্তির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সমন্বিত নিরীক্ষা বা তার অংশ তারা যেভাবে সুবিধাজনক মনে করে, সেভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবে। তবে এ–সংক্রান্ত শর্তাবলি নির্ধারণ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে তাদের আলাদা চুক্তি হতে হবে।
সমন্বিত নিরীক্ষা কাজের জন্য তফসিলি ব্যাংকগুলো যাতে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে তাদের গ্রাহকদের বিষয়ে তথ্য জানায়, সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ এই বিধানের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে সাধারণ অনুমতি দিয়েছে।
তফসিলি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সমন্বয় করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি নির্দিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব দেবে। চুক্তি অনুসারে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর গভর্নর পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই প্রতিবেদন পরিচালনা পর্ষদের কাছে পেশ করবেন।
বিশেষ বিধানে সমন্বিত নিরীক্ষার সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে ঝুঁকিভিত্তিক বিস্তারিত নিরীক্ষা করা হবে, যার মধ্যে থাকবে সম্পদের মান পর্যালোচনা, করপোরেট সুশাসন পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং ব্যাংকের নীতি, পদ্ধতি, প্রক্রিয়া এবং আইন ও নিয়ন্ত্রণমূলক বিধিবিধানের পরিপালন বিষয়ে পর্যালোচনা।
এই বিধান জারি করার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রনমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও দেশের বেশ কিছু ব্যাংক বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। বিশেষ করে সম্পদের মান, করপোরেট সুশাসন, নীতিমালা এবং আইন ও বিধিবিধানের পরিপালনের ক্ষেত্রে এই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ফলে ব্যাংকিং ব্যবস্থার ওপর সাধারণভাবে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি পুরো ব্যাংকিং খাতের বিশ্বাসযোগ্যতাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই বিশেষ বিধান সম্পর্কে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, কিছু ব্যাংক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে নিরীক্ষা করা হবে। এ জন্য এই বিধি প্রনয়ণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, অনিয়মের কারণে সংকটে পড়া কয়েকটি ব্যাংককে জানুয়ারি মাসের শুরুতে নিরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে। এর আগে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যাংকগুলোর সম্পদের মান পরীক্ষা করা হবে। শুরুতে ১২টি ব্যাংকে নিরীক্ষা চালানো হবে। ফলে এসব ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র বের হয়ে আসবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বেসরকারি খাতের আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে প্রশাসক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. মজিবুর রহমানকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে ২০০৬ সালেও একবার প্রশাসক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেডের যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত ও আমানতকারীর আস্থা অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাইীর ক্ষমতা প্রয়াগে ও দায়িত্ব সাময়িকভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মা. মজিবুর রহমানকে নিযুক্ত করা হলো। তিনি প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের নিমিত্তে বৃহস্পতিবার কর্মদিবস শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিমুক্ত বলে গণ্য হবেন।
ওরিয়ান গ্রুপের ব্যাপক ঋণ জালিয়াতির কারণে ব্যাংকটি ধুঁকছিল। যে কারণে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেউদ্দীন আহমেদ তৎকালীন গভর্নর থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালেও ব্যাংকটিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকে কোনো পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শফিক বিন আবদুল্লাহকে অবরুদ্ধ করে বহিষ্কৃত ঘোষণা করেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে তাকে কারওয়ান বাজারের প্রধান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন ব্যাংকের ৩৩ শাখার ম্যানেজাররা।
আন্দোলনরত ব্যাংকটির ম্যানেজাররা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে (এমডি শফিক বিন আবদুল্লাহ) পুনর্নিয়োগ না দিলেও তিনি জোর করে অফিস করছিলেন। আমরা তার বহিষ্কার চাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
যে কারণে ন্যাশনাল ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকবে পাঁচ দিন
৩১ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে ন্যাশনাল ব্যাংক। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করার উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক বন্ধ রাখা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানানো হয়, ওই পাঁচ দিন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ, আগামী বছরের শুরুতে পাঁচ দিন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লেনদেনও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। এ সময়ে ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ থেকে কোনো সেবা পাবেন না ব্যাংকটির গ্রাহকরা। তবে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের লেনদেন চালু থাকবে।
বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি বুধবার ব্যাংক হলিডে। ৩ ও ৪ জানুয়ারি শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে মূলত ২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ও ৫ জানুয়ারি রোববার ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকবে। কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার হালনাগাদ করতে ব্যাংক বন্ধ রাখার বিষয়ে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হয়। তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ব্যাংক ডাকাতদের আত্মসমর্পণ, জিম্মিরা অক্ষত
ঢাকার কেরাণীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে হানা দেওয়া ডাকাতরা সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর আত্মসমর্পণ করেছে; জিম্মিদশা থেকে অক্ষত অবস্থায় মুক্ত হয়েছেন গ্রাহক-কর্মীদের সবাই।
র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, “রূপালী ব্যাংকে ঢুকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করা তিন ডাকাত ৩টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তাদেরকে কেরাণীগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, রাত ৮টায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরবেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে কেরাণীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখায় হানা দেয় একদল সশস্ত্র ডাকাত। তাতে ব্যাংকের গ্রাহক ও কর্মী মিলে ১৬ জন ভেতরে জিম্মি দশায় পড়েন।
বিকাল সাড়ে ৫টায় তিন ডাকাত আত্মসমর্পণ করে জানিয়ে র্যাব কর্মকর্তা তাপস কর্মকার বলেন, “ভেতরে ১৬ জন জিম্মি ছিলেন, যাদের মধ্যে চারজন ব্যাংক কর্মকর্তা, আর বাকি ১২ জন গ্রাহক। প্রত্যেকেই অক্ষত রয়েছেন। বিনা রক্তপাতে তিন ডাকাতকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।”
ডাকাতদের আত্মসমর্পণের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রথমে আমরা তাদের সঙ্গে আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তাব দিই। নেগোসিয়েশনের একপর্যায়ে তারা আমাদের কাছে আত্মসমর্পণের জন্য রাজি হন।
“তবে বিক্ষুব্ধ জনতার কাছ থেকে নিরাপদে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন। সেই অনুযায়ী, তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে কেরাণীগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আমাদের আলোকচিত্র সাংবাদিক মাহামুদ জামান অভি সন্ধ্যা ৬টা জানান, ব্যাংক থেকে তিনজন ডাকাতকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ব্যাপক পাহারার মধ্যে গাড়িটি চলে যায়। সেনা সদস্যরা এখনও ব্যাংক ঘিরে রেখেছেন। যাদের জিম্মি করা হয়েছিল, তারা এখনো ভেতরে আছেন। সেনা কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
কেরাণীগঞ্জ মডেল থানার ওসি সোহরাব আল হোসাইন বলেন, “তিন ডাকাত আমাদের হেফাজতে রয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।”
পুলিশের কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডাকাত পড়ার খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ব্যাংকের গেইটে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে ব্যাংকের ওই শাখার চারপাশে অবস্থান নেয়। তারা আলোচনার মাধ্যমে ডাকাতদের আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা চালান।
ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করে। ব্যাংকের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্যরা তাদের বার বার দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পাশের একটি মসজিদের মাইক থেকে ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানানো হয়। প্রয়োজনে যাতে ব্যাংকের ভেতরে অভিযান চালানো যায়, সেই প্রস্তুতিও নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে তার আর প্রয়োজন হয়নি।
রূপালী ব্যাংকের চিফ সিকিউরিটি অফিসার মেজর শওকত তারেক বলেন, “তিনজন ডাকাতকে আটক করে সোর্পদ করে দেওয়া হয়েছে। তিনজনের কাছে খেলনা পিস্তল ছিল। আর দুটি ছুরি ছিল। সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।
“ভয় ভীতি দেখানোর চেষ্টা করেছিল তারা। ডাকাতরা নিজেদের কাছে টাকা নিয়েছিল। সেগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।”
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
রূপালী ব্যাংকে ঢুকে পড়া তিন ডাকাতের আত্মসমর্পণ
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া পাকাপোল এলাকায় রূপালী ব্যাংকের জিনজিরা শাখা ঢুকে পড়া তিন ডাকাত আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে ডাকাত দল ব্যাংকটিতে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
র্যাব–১০ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানানো হয়, চুনকুটিয়া এলাকায় রূপালী ব্যাংকে ঢুকে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন তিন ডাকাত। সেই তিনজন আগ্নেয়াস্ত্রসহ যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
ঘটনাস্থলে একজন র্যাব কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ভেতরে তিনজন ডাকাত ছিলেন। তাঁরা আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। আলোচনার মাধ্যমে এই নাটকের অবসান ঘটেছে। তিনি বলেন, ভেতরে তিনজন ছিলেন। বাইরেও তাদের লোক ছিল।
এর আগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের ভেতরে দুই থেকে তিনজন ডাকাত অবস্থান করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ডাকাতদল ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে সেখানে থাকা সবাইকে জিম্মি করে ডাকাতি করার চেষ্টা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা দুইটার দিকে ব্যাংকে ডাকাত দলের ঢুকে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। তখন এলাকাবাসী ওই এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে ব্যাংকে ডাকাত দলের প্রবেশের বিষয়টি স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জানানো হয়। এ সময় এলাকাবাসী ব্যাংকটির চারপাশ ঘেরাও করে প্রবেশের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। বিকেল চারটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।