অন্যান্য
মেট্রো স্পিনিংয়ের ২৯তম বার্ষিক সাধারন সভা
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি মেট্রো স্পিনিং মিলস লিমিটেডের ২৯তম বার্ষিক সাধারন সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) হাইব্রিড মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এ সভায় কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় পরিচালক পর্ষদের সদস্যগনসহ বহু শেয়ারহোল্ডার স্বশরীরে ও অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।
সভায় শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকন। সভায় শেয়ারহোল্ডারগন তাদের বক্তব্য ও মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন। শেয়ারহোল্ডারগন কোম্পানীর সার্বিক সফলতা কামনা করেন। কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ শেয়ারহোল্ডারদেরকে তাদের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভায় ২০২৩-২০২৪ ইং অর্থ বছরের পরিচালকমন্ডলীর প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত হিসাব বিবরনীসহ অন্যান্য সকল এজেন্ডা ও বিশেষ এজেন্ডা হিসেবে কোম্পানীর নাম ‘মেট্রো স্পিনিং লিমিটেড’ থেকে ‘মেট্রো স্পিনিং মিলিস পিএলসি’ সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত ও গৃহীত হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
আজ কেন বছরের দীর্ঘতম রাত?
উত্তর গোলার্ধে বছরের সবচেয়ে দীর্ঘতম রাত আজ (২১ ডিসেম্বর)। আজ (শনিবার) বছরের দীর্ঘতম রাত হলেও পূর্ণিমার কারণে আকাশে থাকবে চাঁদের উজ্জ্বল আলো।
সেইসঙ্গে পৃথিবীর এই অর্ধে বছরের সবচেয়ে ছোট দিনও আগামীকাল (২২ ডিসেম্বর)। দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত অবস্থা অবশ্য বিরাজ করবে। বিষুবরেখার দুই পাশে সূর্যের আলো পড়ার কারণে বছরে ৪টি এমন তারিখ আসে। ‘দিবা-রাত্রি’র হিসেবে এগুলোর মধ্যে ২টি তারিখে সমান ও ২টি সময়ের পরিসরে সবচেয়ে ছোট-বড়।
কেন ২১ ডিসেম্বর বছরের দীর্ঘতম রাত তা জানতে হলে সূর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়নের গতিপ্রকৃতি জানতে হবে। ২১ জুনকে বছরের দীর্ঘতম দিন বলা হয়, আর দীর্ঘতম রাত হলো ২১ ডিসেম্বর। এই দীর্ঘতম রাত হয় সূর্যের দক্ষিণায়নের কারণে।
বছরের ৩৬৫ (লিপ ইয়ার ব্যতীত) দিন কখনো সমান থাকে না। কখনো দিন বড় রাত ছোট হয়, আবার কখনো তার উল্টো। বছরে ছয়টি ঋতু। ঋতু বদলের সঙ্গে দিন ও রাতের সময়কালও বদলায়। ঠিক এভাবেই বছরে এমন একটা দিন আসে, যেখানে দিন সবচেয়ে ছোট হয় এবং রাত সবচেয়ে বড়। আবার এর উল্টোটাও হয়।
ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে, উত্তর গোলার্ধ চলে যায় অনেকটা দূরে। এই সময় উত্তরে সূর্যের আলো ক্ষীণভাবে পড়ে, ফলে সেখানে তখন শীতকাল, আর দক্ষিণে গরমকাল। ২১ ডিসেম্বর দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে।
ফলে সেখানে সূর্যের আলো এতটাই কম পড়ে যে, দিন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বলে মনে হয়। রাত হয় দীর্ঘ। একে বলে উইন্টার সলসটিস বা সূর্যের দক্ষিণায়ন। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় আর উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘতম হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বৃহৎ করদাতা ইউনিটের চট্টগ্রাম শাখা বিলুপ্ত
বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) আয়কর এর চট্টগ্রাম শাখার কার্যক্রম স্থগিত বা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে এলটিইউর চট্টগ্রাম শাখায় থাকা কর নথিগুলো (করদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান) চট্টগ্রামের চারটি কর অঞ্চলের অধিক্ষেত্র অনুযায়ী বণ্টন করা হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এলটিইউর চট্টগ্রামের এই শাখা বিলুপ্ত ঘোষণা করে আদেশ জারি করেছে।
সম্প্রতি এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদের সই করা এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। এলটিইউর ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে চট্টগ্রাম শাখার বিলুপ্ত করতে গত ২৮ অক্টোবর এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর এলটিইউর চট্টগ্রাম শাখা বিলুপ্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এলটিইউর চট্টগ্রাম শাখায় প্রায় ১৩৫টি কর নথি রয়েছে (ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান)।
এনবিআরের আদেশে বলা হয়েছে, কর ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ২০০৩ সালের নভেম্বর মাসে যুক্তরাজ্য সরকারের ডিএফআইডি (ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট) এর রিরা (রিফর্মস ইন রেভিনিউ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) আওতায় এনবিআরের অধীনে বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) গঠিত হয়। পরে রাজস্ব আহরণের গতি ত্বরান্বিত করতে ট্যাক্টস (ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ক্যাপাসিটি অ্যান্ড ট্যাক্সপেয়ার সার্ভিস) প্রজেক্টের আওতায় ২০১১ সালে বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ), ঢাকার অধীনে চট্টগ্রামে একটি শাখা চালুর মাধ্যমে চট্টগ্রামে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়। যা বৃহৎ করদাতা ইউনিট (চট্টগ্রাম শাখা) নামে পরিচিত। বর্তমানে একজন কর কমিশনারের অধীনে এনবিআরের নির্ধারিত অধিক্ষেত্র অনুযায়ী ঢাকা ও চট্টগ্রামে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
অপরদিকে, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের বিগত বছরগুলোর মোট লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চট্টগ্রাম শাখায় আহরিত রাজস্বের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য নয়। বৃহৎ করদাতা ইউনিটের মোট নথির তুলনায় চট্টগ্রাম শাখার নথির সংখ্যাও নগণ্য। নথি সংখ্যা ও রাজস্ব আহরণের বিবেচনায় বৃহৎ করদাতা ইউনিট চট্টগ্রাম শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করতে অফিস ভবন ভাড়াসহ বিপুল পরিমাণে প্রশাসনিক ব্যয় নির্বাহ করতে হচ্ছে। এছাড়াও বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কর কমিশনার, অতিরিক্ত কর কমিশনার ও যুগ্ম কর কমিশনার ঢাকাস্থ কার্যালয়ে অবস্থান করেন। দূরত্বের কারণে এই শাখার রাজস্ব আহরণ ও উৎসে কর কর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রমের সুষ্ঠু মনিটরিংসহ গুণগতমান নিশ্চিত করা কঠিন।
আর আদেশে বলা হয়, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের চট্টগ্রাম শাখার কার্যক্রম পরিচালনার উপযোগিতার বিষয়টি বিবেচনায় বৃহৎ করদাতা ইউনিটের চট্টগ্রাম শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। বৃহৎ করদাতা ইউনিট, চট্টগ্রামে ন্যস্তকৃত আয়কর নথিসমূহ চট্টগ্রামস্থ চারটি কর অঞ্চলে অধিক্ষেত্র অনুযায়ী বণ্টন করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এনবিআর সূত্রানুসারে, এনবিআরের আয়কর লক্ষ্যমাত্রার সিংহভাগই জোগান দেয় এলটিইউ। উৎসে আয়করের বেশিরভাগ জোগান দেয় এলটিইউ। এলটিইউতে মোট করদাতার সংখ্যা এক হাজার ১৫৯। এর মধ্যে কোম্পানি করদাতা ৪৩৯। কোম্পানি করদাতার মধ্যে ৬২টি ব্যাংক, পাঁচটি মোবাইল কোম্পানি, ৩৯টি লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি, ৪৭টি মার্চেন্ট ব্যাংক, ৪৮টি সাধারণ বিমা, ৩২টি জীবন বিমা, ১২টি ফার্মাসিউটিক্যালস, পাঁচটি টোব্যাকো ম্যানুফ্যাকচারিং, ২৭টি টেক্সটাইলস, ১৪টি গার্মেন্ট, ৯টি মাল্টিপল প্রোডাক্টস, ৭৪টি ম্যানুফ্যাকচারিং, ৬৫টি অন্যান্য কোম্পানি। আর ব্যক্তি করদাতা ৭২০। যার মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির পরিচালক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
সাবেক মন্ত্রীসহ ১৬ জনকে ফের ট্রাইব্যুনালে হাজির
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানাতে আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী, আমলা, বিচারপতি এবং রাজনীতিবিদসহ ১৬ জনকে দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
এর আগে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
১৬ জন অভিযুক্ত হলেন- সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, আব্দুর রাজ্জাক, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও সচিব জাহাংগীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু ও কামরুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ নভেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১৬ জনের মধ্যে ১৩ জনকে বিচার করতে প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির করা হয়েছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ৬ লাখ ছাড়িয়েছে
চলতি (২০২৪-২০২৫) করবর্ষে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এবার ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কর পরিশোধের সুবিধা ও কর সমন্বয়ের সুবিধা পাচ্ছেন করদাতারা।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন।
তিনি বলেন, গত অর্থবছরের এই সময়ে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৪৭১টি। সেখানে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছয় লাখ অতিক্রম করেছে। একইসঙ্গে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের জন্য রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা ১৩ লাখ অতিক্রম করেছে।
করদাতাসহ ২ হাজার ৪০০ জনকে রিটার্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, যার ফলে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে এবং দ্রুত ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল করতে পারছে। একই সঙ্গে দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তিস্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার কাগজপত্র দাখিল বা আপলোড করতে হয় না। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল প্রক্রিয়া সহজ ও সাবলীল করার জন্য করদাতাদের নিকট হতে যে ফিডব্যাক গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের ফলে অনলাইন রিটার্ন দাখিল প্লাটফর্মটি করদাতাদের নিকট ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এনবিআরে www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে এবং দ্রুত তাদের ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিলপূর্বক দাখিলকৃত রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে পারছেন।
একইসাথে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট(ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে করদাতাগণ কর পরিশোধের সুবিধা ও কর সমন্বয়ের সুবিধা পাচ্ছেন। এই বিষয়ে কল সেন্টার ও ই-মেইলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
এবারে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলগুলোর অধিক্ষেত্রভুক্ত সব সরকারি কর্মচারী, সব তফসিলি ব্যাংক, সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বর্তমান পরিস্থিতির সমাধানে সব দলের সঙ্গে বসবে সরকার
সারাদেশে বিভিন্ন ইস্যুতে যে উত্তেজনা চলছে, এসব নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে বসে সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
মাহফুজ আলম বলেন, বাংলাদেশে এক ধরনের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চলছে। এখানে ইসকন ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেকে এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। দেশের জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশের মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিহতের ঘটনায় জড়িত কেউ যেন ছাড় না পায়, সরকারের পক্ষ থেকে তার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুটি মামলা হয়েছে, আরো মামলা হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে যে ধরনের সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা ছিল, দেশের জনগণ, সব রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় গোষ্ঠী মিলে তা রুখে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এ বাস্তবতায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ গতকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন। বৈঠকে দেশের সামগ্রিক ঐক্য ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা কিভাবে করা যায় এবং উগ্রতা কিভাবে রুখে দেওয়া যায় সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
উপদেষ্টা বলেন, দলগুলো সরকারকে ইতিবাচক প্রস্তাব দিয়েছে এবং সরকারকে সহযোগিতার বিষয়ে তারা তাদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে। পরবর্তীতে যেন কোনো ধরনের উন্মত্ততা না তৈরি হয়, সে জন্য সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করছি। শুধু ইসকন ইস্যু নয়, মাজারে হামলার বিষয়েও আমরা নজর রাখছি।
তিনি আরো বলেন, শিগগিরই আমরা এসব বিষয়ে উদ্যোগ নেব। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে যে উত্তেজনা বা উন্মত্ততা চলছে, সবগুলো দল ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসে আমরা আশা করি সমাধান করতে পারব। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সমর্থন কামনা করছি।