জাতীয়
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই তাকে ফেরানো যাবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে পদক দেয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর থেকে শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে এক ধরনের টানাপোড়েন ও বৈরিতা চলছে।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় ‘নির্বিচারে হত্যাকাণ্ডের’ অভিযোগে আওয়ামী লীগ সভাপতিসহ নেতাদের বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ১৮ অক্টোবর এক আদেশে এক মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে কয়েকজন ট্রাইব্যুনালে তোলা হলেও হাসিনা পলাতক থাকায় তাকে দেশে আনা সম্ভব হয়নি।
আজ পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই তাকে ফেরানো যাবে।
এ সময় সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকারের নীতিগত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন আসেনি বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কোনো অবস্থাতেই প্রবেশ করতে দেব না। যারা অসুস্থ, শুধু তারাই মানবিক দিক বিবেচনায় আশ্রয় পাচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই মাসের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশের যে কথা বলেছেন, সেটা স্লিপ অব টাং। দুই মাসে নয়, গত দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে ৬০ হাজার প্রবেশ করেছে।’
এ সময় কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধা হেনস্তাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করছে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।’
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা এতে সই করেছেন।
এ সময় কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধা হেনস্তাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করছে, তাদের আইনের আওতায় অবশ্যই নিয়ে আসবো।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে আজ
বিপিএল টি-২০ মিউজিক ফেস্ট উপলক্ষে রাজধানীর কয়েকটি সড়কে আজ যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজধানীর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল টি-টোয়েন্টি মিউজিক ফেস্ট সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য সোমবার স্টেডিয়াম ও মিরপুর-১০ গোলচত্বর এলাকায় চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে দুপুর ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচলের জন্য নির্দেশাবলী অনুসরণের জন্য গণবিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নিদর্শনায় বলা হয়, মিরপুর-১ থেকে মিরপুর-১০, ১১, ১২ ও ১৪ অভিমুখে চলাচলকারী যানবাহনসমূহ সনি সিনেমা হলের পাশ দিয়ে চিড়িয়াখানা সড়ক ব্যবহার করে রাইনখোলা ক্রসিং হয়ে প্রশিকা মোড় ক্রসিং সড়ক ব্যবহার করবে। মিরপুর-১২ থেকে মিরপুর-১০ গোলচত্বর সংলগ্ন এলাকা অতিক্রমকারী যানবাহনসমূহ অরিজিনাল-১০ হয়ে ডানে মোড় নিয়ে প্রশিকা মোড় ক্রসিং সড়ক ব্যবহার করবে।
আগারগাঁও হয়ে মিরপুর-১০ গোলচত্ত্বর দিয়ে মিরপুর-১ ও মিরপুর-১২ অভিমুখে চলাচলকারী যানবাহনসমূহ মিরপুর-১০ গোলচত্ত্বর পরিহার করে আগারগাঁও হতে বামে মোড় নিয়ে শ্যামলী শিশু মেলা-টেকনিক্যাল মোড়-সনি সিনেমা হল ক্রসিং হয়ে চিড়িয়াখানা সড়কের রাইনখোলা ক্রসিং ব্যবহার করবে।
অনুষ্ঠান চলাকালে ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে ডিএমপি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক আজ
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি, বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের ইন্তেকালে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এ উপলক্ষে সোমবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
এ ছাড়া মরহুমের রুহের মাগফিরাতের জন্য সোমবার বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে বলেন, মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় হাসান আরিফকে সমাহিত করা হবে। একই সঙ্গে প্রয়াত উপদেষ্টার সম্মানে সোমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।
এর আগে, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
হাসান আরিফের প্রথম নামাজে জানাজা শুক্রবার বাদ এশা ধানমন্ডি সাত নাম্বার বায়তুল আমান মসজিদে সম্পন্ন হয়। শনিবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় জানাজা শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এখন তার মরদেহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হয়েছে। হাসান আরিফের মেয়ে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর সোমবার রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে গত ৮ আগস্ট শপথ নেন হাসান আরিফ। ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন হাসান আরিফ। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন। ১৯৭০ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চিরকুট লিখে মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা
ক্যান্সারের কষ্ট সইতে না পেরে সন্তানদের কাছে আবেগঘন সুইসাইড নোট লিখে নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ সরদার (৬৫)।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার আগে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ২০ নম্বর সড়কের একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে। তিনি ওই বাসায় তার ছেলের সঙ্গে থাকতেন।
ডবলমুরিং থানার এসআই মো. বায়েজিদ মিয়া জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ওই বাসার একটি কক্ষের দরজা ভেঙ্গে আবু সাইদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় মৃত্যুর আগে তার সন্তান ও নাতির উদ্দেশ্যে লেখা কয়েকটি চিঠি উদ্ধার করা হয়। চিঠি দেখে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে। তার ইমন, সাইমন নামের দুই ছেলে ও পায়েল নামের এক মেয়ে সন্তান আছে। তিনি ওই বাসায় ইমনের সঙ্গে থাকতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের কক্ষ থেকে মোট ৬টি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়। যেগুলোতে তিনি সন্তান ও নাতিকে উদ্দেশ্য করে আবেগঘন কথাবার্তা লিখেছেন। একইসঙ্গে কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করছেন, মৃত্যুর পর সন্তানদের কী কী করণীয়, কোথায় দাফন করা হবে- সেসব বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। নোটগুলোতে তিনি সন্তানসহ সবার কাছে ক্ষমা চান।
মেয়ে পায়েলকে লেখা সুইসাইড নোটে তিনি লিখেন, ক্যান্সার মনে হয় ফের ফিরে এসেছে। মুখে ঘা ও মাঝে মাঝে ব্যাথা করে। আসলে এ রোগের কোনো চিকিৎসা আছে বলে মনে হয় না। ইদানীং ক্যান্সারে কষ্ট পাচ্ছি।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আবু সাইদ সরদার তার ছোট ছেলে ইমনের পরিবারের সঙ্গে ওই বাসাতে থাকতেন। তিনি আগে থেকেই হয়তো আত্মহত্যার পরিকল্পনা করছিলেন। রবিবার সন্ধ্যার আগে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। পরে ওনার ছেলে বাসায় গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে পাশের ভবনের জানালা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পিতাকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্লট-ফ্ল্যাট ও নগদ টাকাসহ দুদক চেয়ারম্যানের যত সম্পদ
রাজধানী ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট, স্ত্রীর সঙ্গে একটি প্লট, ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্রসহ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান (দুদক) ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। যোগদান করার মাত্র ১২ দিনের মধ্যে নিজ সম্পদের হিসাব প্রকাশ করেছেন তিনি।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সম্পদের হিসাব দেওয়ার পাশাপাশি সম্পদের উৎস উপস্থাপন করেন তিনি।
আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনে সম্পদের হিসাব দিয়েছেন জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন বলেন, আমরা সবাই সম্পদ বিবরণী দাখিল করব। আমি সাংবাদিকদেরও বলে যাচ্ছি। মৌখিকভাবে বলছি, প্রয়োজনে লিখিতভাবে দিতে পারব। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আপনাদের জানা দরকার। এ চাকরি থেকে চলে যাওয়ার পর আপনারা হিসাব করবেন সম্পদ কতটা বাড়ল বা কমল। তখন আপনারা ধরতে পারবেন, কী পরিমাণ বাড়তি কামাই করেছি বা করিনি।
দুদক চেয়ারম্যানের যত সম্পদ
নিজের সম্পদের তথ্য তুলে ধরে সাবেক সচিব আবদুল মোমেন বলেন, ঢাকার বসিলাতে আমার ১৫০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট আছে। সেখানে আরও ৭০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি। পূর্বাচল আমেরিকান সিটিতে স্ত্রীর সঙ্গে আমার ৫ কাঠার একটি খালি জায়গা (প্লট) আছে।
বিসিএস প্রশাসন সমিতির সদস্য হিসেবে ৮ জন সদস্য মিলে ১০ কাঠার একটি প্লট কিনেছেন জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এ প্লটের মধ্যে আমার ভাগে ১ দশমিক ২৫ কাঠা পড়বে। ২০০৭ সালে টাকা-পয়সা দিয়েছি। এখন পর্যন্ত দখলে নেই, এটা অনিশ্চিত।
এ ছাড়া রাজউকের একটি প্লটের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছিলেন, এখন পর্যন্ত সেটার নিষ্পত্তি হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো কারণে তৎকালীন সরকার আমাকে দেয়নি (রাজউক প্লট)। এটার ব্যাপারে আবার আবেদন করব।
তিনি বলেন, এসব স্থাবর সম্পত্তির বাইরে আমার আর স্থাবর সম্পত্তি নেই। যদি আপনারা কখনও খুঁজে বের করতে পারেন তাহলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে এবং আপনারা যেভাবে ডিসপোজাল করতে চান।
এ ছাড়া অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ২৫ সেলফ ভর্তি দেশি-বিদেশি দামি বইপত্র। বাসায় ৫ লাখ টাকার মতো আসবাবপত্র আছে বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান।
দুটি সঞ্চয়পত্র রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০ লাখ টাকার ৫ বছর মেয়াদি একটি সঞ্চয়পত্র, ২০ লাখ টাকার আরেকটি সঞ্চয়পত্র আছে। আমার জিপিএফের (সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল) টাকা এখনও তুলেনি, সেখানে ১৭ লাখ টাকা আছে। সরকারি চাকরি যারা করেন, তাদের এই ফান্ড থাকে।
টাকার উৎসের ব্যাপারে চাকরি থেকে আয় এবং উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পদের বিক্রয়লব্ধ অর্থ রয়েছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন বলেন, পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালের একটি বড় অংশ আমাদের বাগান বাড়ি ছিল, আমাদের অনেক ভাই-বোন, সবাই মিলে সেটা বিক্রি করে যে টাকা পেয়েছি, তা দিয়ে একটা ফিক্স ডিপোজিট করেছি।
এ ছাড়া শিক্ষকতা, বক্তৃতা এবং লেখালেখি করে সম্মানির কিছু অর্থ পেয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, ঢাকার বেঁড়িবাধের বাইরে সাড়ে ৫ শতক একটি জমি কিনেছিলেন, সেটা বিক্রি করে কিছু টাকা পেয়েছেন। আর হাতে নগদ এবং ব্যাংক মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার মতো রয়েছে।
২০০৯ সালে সরকারি চাকরি থেকে ওএসডি হওয়ার পর চাকরি চলে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, এখন যেহেতু চাকরি ফিরে পেয়েছি সুতরাং পেনশন ও অন্যান্য বেনিফিট সব পাব। হঠাৎ করে দেখা যাবে আমার টাকার অংশ বেড়ে গেছে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতির সমান বেতন-ভাতা পাচ্ছি। মূল বেতন এক লাখ ৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে ৫০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, বিশেষ ভাতা এবং অন্যান্য ভাতা পাই। এর বাইরে অন্য কোনো খাতে উপার্জনের সুযোগ দেখি না।