আইন-আদালত
দুইদিনের রিমান্ডে সাবেক সচিব ইসমাইল
যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেনের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. তারেক জুবায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে আসেন সাবেক সচিব ইসমাইল হোসেন। পরে তাকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফাতর দেখিয়ে আদালতে হাজির করে এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে বিমানবন্দর থানার পুলিশ। আসামিপক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ইসমাইল হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
সচিব ইসমাইল হোসেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (প্রশাসন) ১১তম ব্যাচের সদস্য। তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি ও সাউথ বাংলার পরিচালকসহ ২৯ জনের নামে মামলা
সাদ মুসা গ্রুপের কর্ণধার ও সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মহসিন এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএফএম শরীফুল ইসলামসহ ২৯ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
নামে বেনামে কোম্পানি খুলে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, জালিয়াতির মাধ্যমে ৫ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ৪৫৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ প্রমাণিত হয়েছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে বা অন্যদের লাভবান করে প্রতারণা, জাল- জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ঋণের অর্থ অন্য কাজে ব্যবহার করে, ঋণ অর্থ জ্ঞাতসারে অবহেলাপূর্বক সঠিকভাবে মনিটরিং না করে অ্যাকমোডেশন বিল বা কাগুজে বিলের মাধ্যমে ঋণের অর্থ ব্যয় দেখিয়ে, বিআরপিডি সার্কুলার অমান্য করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঋণ প্রস্তাব দ্রুততম সময়ে অনুমোদন করে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখার গ্রাহক সাদ মুসা হোমটেক্স অ্যান্ড ক্লথিং লিমিটেডের মালিক মোহাম্মাদ মোহসিন কর্তৃক ৪৫৯ কোটি ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় তাদের ২৯ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৮- ৪৭১/১০৯ তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২এর ৪(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন – মোহাম্মদ মোহসিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাদ মুসা হোমটেক্স এন্ড ক্লথিং লিমিটেড, ২৪৫ হাটহাজারী রোড, বিবিরহাট, চট্টগ্রাম কর্ণধার, সাদ মুসা গ্রুপ ও সাবেক পরিচালক, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড (২) নিজাম আহমেদ, এসইভিপি ও ম্যানেজার ন্যাশনাল ব্যাংক (৩) ইসতিয়াক হাসান, এসভিপি ও ম্যানেজার ন্যাশনাল ব্যাংক (৪) এএসএম হেলাল উদ্দিন, এসএভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার, ন্যাশনাল ব্যাংক (৫) মো. আবু বক্কর রাসেল, প্রিন্সিপাল অফিসার, ন্যাশনাল ব্যাংক (৬) মোহাম্মদ মহসিন চৌধুরী, এসএভিপি ন্যাশনাল ব্যাংক (৭) মো. আখতার হোসেন, এভিপি ও হিসাব ইনচাজ ন্যাশনাল ব্যাংক (৮) মো. আলমগীর হোসেন, এভিপি ও আমদানি ইনচার্জ ন্যাশনাল ব্যাংক (৯) মোহাম্মদ নুরুন্নবী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (১০) হাছিনা সুলতানা, এসএভিপি, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন-১ ন্যাশনাল ব্যাংক (১১) শেখ ফরিদ আহমেদ, প্রিন্সিপাল অফিসার, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন-১ ন্যাশনাল ব্যাংক (১২) মোহাম্মদ আবু রাশেদ নোয়াব, ভিপি, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ডিভিশন-১ ন্যাশনাল ব্যাংক (১৩) অরুণ কুমার হালদার, ইভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক (১৪) ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, এসইভিপি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক (১৫) এএসএম বুলবুল, ডিএমডি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক (১৬) মো: বদিউল আলম, সাবেক এএমডি ও ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক (১৭) চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, এএমডি, ক্রেডিট কমিটির সদস্য ন্যাশনাল ব্যাংক (১৮) এএফএম শরীফুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড (১৯) জাকারিয়া তাহের, পরিচালক (২০) মাবরুর হোসেন, পরিচালক (২১) মো: আনোয়ার হোসেন, পরিচালক (২২) খলিলুর রহমান, পরিচালক (২৩) মো. নাজমুজ্জামান ভূইয়া মুক্তা, পরিচালক (২৪) মোয়াজোশ হোসেন, পরিচালক (২৫) মিসেস মনোয়ারা শিকদার, পরিচালক (২৬) পারভীন হক শিকদার পরিচালক (২৭) রিক হক সিকদার (২৮) রণ হক শিকদার, পরিচালক এবং (২৯) একেএম এনামুল হক শামীম পরিচালক ন্যাশনাল ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
এক বছরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার হবে: তাজুল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধান অভিযুক্তদের সবার বিচার আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করা হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ নিয়ে দুই দিনব্যাপী সংলাপের দ্বিতীয় দিনে ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক প্রথম অধিবেশনে তিনি এ কথা জানান।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত ‘টপ কমান্ডার’ বা শীর্ষ অপরাধীদের বিচার করা হয়। আগামী এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের সবার বিচারই শেষ করা হবে।
তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের ১০ জন প্রসিকিউটর এবং ১৭ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা আছেন। তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গুম, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছে, সেই অপরাধের যারা মাস্টারমাইন্ড (মূল হুতা), যারা একদম সর্বোচ্চ জায়গায় বসে থেকে অপরাধগুলো সংঘটিত করেছিলেন প্রাধান্য দিয়ে তাদের বিচার করা। সেই ক্ষেত্রে এই ট্রাইব্যুনাল হাজার হাজার মানুষের বিচার করতে পারবে না এবং সেই লক্ষ্যে অগ্রসরও হচ্ছেন না তারা।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল। এর সঙ্গে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অধিকাংশ কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা ছিল। দেশব্যাপী সবকিছুর বিচার করতে গেলে এই ট্রাইব্যুনালের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত টপ কমান্ডারদের বিচার করা হয়। জুলাই-আগস্টের গণহত্যার প্রধান নিউক্লিয়াস ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার নিচের দিকে কয়েকজন ছিলেন, তাদের বিচারকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা: আইন উপদেষ্টা
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ৩টি প্রধান কাজ হচ্ছে- গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা।
আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে (কেআইবি) ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস) আয়োজিত গুম-খুন থেকে গণহত্যার বিচার চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
আসিফ নজরুল বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিল না, তদন্ত কর্মকর্তা ছিল না। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রসিকিউশন টিম করা হয়েছে। তড়িঘড়ি করে বিচার করে বিচারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা যাবে না। বিচার নিয়ে কোনো গাফিলতি হবে না, নিশ্চিত করে বলতে চাই। বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো দেরি হচ্ছে না।
আসামিদের হাতকড়া পরানো নিয়েও উপদেষ্টা বলেন, মামলার শুনানির সময় ও আসামিদের হাতকড়া না পরানো নিয়ে এখন সমালোচনা হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় আসামিদের আইনজীবী যিনি ছিলেন, তিনি বলেছেন শুনানির জন্য সে সময় ৩ মাস দেওয়া হয়েছিল। এখন শুধু ১ মাস দেওয়া হয়েছে। তখন আসামিদের কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি, এখনও আসামিদের হাতকড়া পরানো হচ্ছে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্সে নজরুল ইসলাম
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো. নজরুল ইসলামকে ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই পদায়ন করা হয়।
ডিএমপি থেকে সদ্য বদলি হওয়া মো. ইসরাইল হাওলাদারের স্থলাভিষিক্ত হবেন এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ। এই বিভাগের অধীনে ঢাকার ৫০টি থানার সামগ্রিক অপরাধের চিত্রসহ জিডি ও মামলা নজরদারি করা হয়।
এস এন মো. নজরুল ইসলাম ১৯৯৮ সালে ১৭তম বিসিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি গত ২৪ সেপ্টেম্বর ডিআইজি পদে সিআইডিতে যোগদান করেন।
তিনি সিআইডি, এসবি ও জেলা পুলিশসহ পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্সের দায়িত্বে থাকা মো. ইসরাইল হাওলাদারকে শিল্পাঞ্চল পুলিশে বদলি করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আদালতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তার আশপাশের এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এবিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা আলাদা দুটি সার্কুলার জারি করা হয়।
প্রথম সার্কুলারে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লক্ষ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।
‘আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।’
‘এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেল এর কার্যালয়, সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’