পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজার অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের দোষ: অর্থ উপদেষ্টা

পুঁজিবাজারে অস্থিরতার পেছনে প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দোষ আছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ব্যাংকিং অ্যালমানাকের ষষ্ঠ সংস্করণের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিবিএসকে বলা হয়েছে তথ্য যা আছে তাই প্রকাশ যেন হয়। এখানে কারচুপির কোনো ব্যাপার নেই। আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের মতো পুঁজিবাজারের অবস্থাও একই রকমের। আপনারা জেড ক্যাটাগরির শেয়ার কিনছেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অথচ এ শেয়ার মহা আনন্দে কিনছেন। নূন্যতম কোনো মূল্য নেই, এগুলো কয়েক দিন পরই ওয়েস্ট পেপার হিসেবে ব্যবহার হবে। এজন্য একটু কষ্ট করতে হবে। আমি বিনিয়োগকারীদের দায়ী করছি না। পুঁজিবাজারের প্লেয়ার ও রেগুলেটরদের অনেক দোষ আছে। আমি মনে করি এটা প্রচার করা দরকার।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমরা কোনো পাওয়ার দেখাতে আসিনি, একটা দায়িত্ব নিয়ে এসেছি। বিগত ১৫ বছরের তথ্য নিয়ে নানা বিভ্রাট রয়েছে। তথ্য লুকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা এগুলো পরিবর্তন ও সংস্কারের চেষ্টা করছি। কারণ দাতা সংস্থাগুলো আমাদের কাছে নানা প্রশ্ন করেন, তারা বোঝাতে চান আগেই কম ছিল ইত্যাদি। এ নিয়ে আমরা তাদের বোঝাচ্ছি আগের তথ্য লুকানো ছিল, আমরা সঠিকটা উপস্থাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো করার চেষ্টা করছি। যাতে করে ব্যবসায়ীরা এক স্থান থেকে সব তথ্য পায়। তথ্যের জন্য ব্যবসায়ীদের ১০ জায়গায় দৌড়াতে হবে না। আরও সুসংহতভাবে তথ্য যদি ম্যানেজমেন্ট করতে না পারি তাহলে সামনে আরও সমস্যা তৈরি হবে। আমাদের এই মিথ্যা তথ্যের প্রয়োজন নেই, কারণ প্রিয় মিথ্যা যন্ত্রণাদায়ক।
ব্যাংকিং অ্যালমানাকের চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন গ্রন্থটির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ জিয়া উদ্দিন আহমেদ, আব্দার রহমান প্রমুখ।
অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা সেক্টরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর্থিকখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন সহযোগিদের সহযোগিতা চাই। যাতে বিশৃঙ্খলা না হয়। আমরা এরইমধ্যে বিভিন্ন বোর্ডে পরিবর্তন এনেছি।
কাফি

পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১ শতাংশ কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৬১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০.৫০ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০.১১ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ কমেছে।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষে প্রাইম ফাইন্যান্স

বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ সেপ্টেম্বর-১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় প্রাইম ফাইন্যান্স। সপ্তাহজুড়ে প্রাইম ফাইন্যান্সের দর কমেছে ৮০ পয়সা বা ২৭.৫৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ২ টাকা ৯০ পয়সা।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ২৪.০৭ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে ৫০ পয়সা বা ২১.৭৪ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সিএপিএমবিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ডের ২০.১৬ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংকের ১৮.১৮ শতাংশ, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ১৬.৬৭ শতাংশ, বিবিএস ক্যাবলসের ১৫.৪২ শতাংশ, মুন্নু ফেব্রিক্সের ১৪.৪১ শতাংশ, ডমিনেজ স্টিলের ১৪.২৯ শতাংশ এবং ফার্স্ট সিকিউরিটে ইসলামী ব্যাংকের ১৪.২৯ শতাংশ দর কমেছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে এনভয় টেক্সটাইল

বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ সেপ্টেম্বর-১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এনভয় টেক্সটাইলের। সপ্তাহের ব্যবধানে এনভয় টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৯ টাকা ৬০ পয়সা বা ১৮.৬৮ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শ্যামপুর সুগার। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ২৯ টাকা ৫০ পয়সা বা ২০.৮৩ শতাংশ। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৫.৬৩ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে ইউসিবি ব্যাংক।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে টেকনো ড্রাগসের ১৪.৬৫ শতাংশ, ক্রাউন সিমেন্টের ১৪.১০ শতাংশ, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১৩.৬০ শতাংশ, বিডি ফাইন্যান্সের ১২.১৫ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১০.৯৯ শতাংশ, সাপোর্টের ১০.৫৯ শতাংশ এবং মেট্রো স্পিনিংয়ের ১০.০৯ শতাংশ দর বেড়েছে।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে খান ব্রাদার্স

বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ সেপ্টেম্বর-১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকার শীর্ষে উঠেছে খান ব্রাদার্স পিপি ব্যাগ ইন্ডাষ্ট্রিজ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৫০ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার এলিয়েন্স। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ২০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৯১ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে রবি আজিয়াটা। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৫৪ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা, টেকনো ড্রাগসের ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, সোনালী পেপারের ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, লাভেলো আইসক্রীমে ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা,সী পার্ল রিসোর্টের ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং আইএসএনের ১১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
কাফি
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে পতন, লেনদেনের সঙ্গে কমেছে বাজার মূলধন

বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে লেনদেনের সঙ্গে বাজার মূলধন কমেছে ১৪৬ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ২৪ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১৪৬ কোটি টাকা বা ০.০২ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৩.৮৫ পয়েন্ট বা ১.৩৪ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪৩.৯৪ পয়েন্ট বা ২.০৪ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ১৮.১১ পয়েন্ট বা ১.৫১ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৭৪৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ২ হাজার ২৪২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৪৪৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা বা ৩৯.০২ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭০১ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১৪৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৮টি কোম্পানির, কমেছে ৩০৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম