কর্পোরেট সংবাদ
এক মিনিটেই খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস

দুই সন্তান, স্বামী ও শ্বশুরকে নিয়েই সংসার রাজধানীর আদাবর নিবাসী সৈয়দা আয়শা আখতারের। পরিবারের ভবিষ্যৎ, নিজের কর্তব্যবোধ এবং বাবা-মায়ের কাছ থেকে সঞ্চয়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছেন এই গৃহিণী। তিনি বলেন, ছোট বয়সে বাবাকে হারালেও, তার রেখে যাওয়া সঞ্চয়ের টাকা দিয়েই আমার পড়াশোনা, এমনকি বিয়েও হয়েছিলো। বিয়ের পর আয়-ব্যয়ে সামঞ্জস্য রেখে সঞ্চয়ের গুরুত্বটা স্বামী-স্ত্রী দুজন মিলে প্রায়ই আলোচনা করি। বেশ অনেকদিন ধরেই বিকাশের বিভিন্ন সেবা ব্যবহার করি, তাই বিকাশ অ্যাপে সেভিংসের মতো সেবা দেখার সাথে সাথেই একটি ডিপিএস খুলে ফেলি। বিকাশ অ্যাপ থেকে ব্যাংকে ডিপিএস খুলতে সময় লাগে মাত্র এক মিনিটের মতো।
আয়শার মতো এমন লাখো গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকে চার ব্যাংক ও এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খুলেছেন ৩২ লাখের বেশি সাপ্তাহিক ও মাসিক ডিপিএস। ঘরে বসে কাগজপত্র ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই বিকাশ অ্যাপ থেকে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স-এ এই ডিপিএসগুলো খুলেছেন বিকাশ গ্রাহকরা। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এবং দেশের শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নেয়া যৌথ সেবায় আস্থা রেখেই গত তিন বছরে অর্জিত হয়েছে এই মাইলফলক।
উল্লেখ্য, বিকাশের মাধ্যমে সেভিংস খোলা গ্রাহকদের প্রায় ৩০ শতাংশ নারী। ঘরে বসেই ছোট অঙ্কের সঞ্চয় করতে পারার সুযোগ থাকায় দেশব্যাপী নারীরাও সঞ্চয়ে আগ্রহী হচ্ছেন, যা তাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে টেকসই করতে ভূমিকা রাখছে। এদিকে বিকাশ-এ ডিপিএস খোলা ৪৮ শতাংশ গ্রাহকের বয়স ৩৫-এর নীচে। অর্থাৎ, উদ্ভাবনী প্রযুক্তিভিত্তিক নির্ভরযোগ্য আর্থিক সেবা পেলে তরুণরাও তাদের সীমিত আয় থেকে সঞ্চয় করতে আগ্রহী হন। আবার এরই মধ্যে যে গ্রাহকদের ডিপিএসের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে, তাদের ৯৬ শতাংশই আবার বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস খোলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। গ্রাহকদের সঞ্চয়ের এই মানসিকতা যেমন ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে সুদৃঢ় করছে, তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
বিকাশ অ্যাপে ডিপিএস খোলা যায় যেভাবে গ্রাহকরা এই মুহূর্তে বিকাশ অ্যাপে প্রতিষ্ঠান ও ডিপিএসের ধরনভেদে (সাপ্তাহিক বা মাসিক) ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর মেয়াদে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত জমাতে পারছেন। আবার সাধারণ ডিপিএস-এর পাশাপাশি ইসলামি শরিয়াহ্ মোতাবেক সঞ্চয়ে আগ্রহী গ্রাহকদের জন্য আছে সিটি ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংক-এর ইসলামিক ডিপিএস সেবা।
নতুন ডিপিএস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ক্লিক করতে হবে। সেভিংস-এর ধরন থেকে পছন্দ অনুযায়ী ‘সাধারণ সেভিংস’ অথবা ‘ইসলামিক সেভিংস’ বেছে নিয়ে সেভিংস-এর সময়কাল ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৪ বছর এবং জমার ধরন থেকে ‘মাসিক বা সাপ্তাহিক’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর প্রতিমাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক- নূন্যতম ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা- নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে। এরপর জমার তথ্য ভালোভাবে দেখে নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে।
এরপর ডিপিএস-এর সার-সংক্ষেপ দেখে নিয়ে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিয়ে সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই ডিপিএস-এর আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে। আবেদন সম্পন্ন হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিকাশ ও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাহক তার মোবাইলে নিশ্চিতকরণ ম্যাসেজ পেয়ে যাবেন।
প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে বিকাশ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে নির্ধারিত কিস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিপিএস-এ জমা হয়ে যাবে। নির্ধারিত তারিখের আগেই ম্যাসেজের মাধ্যমে গ্রাহককে কিস্তি জমার তারিখ স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। গ্রাহকরা যেকোনো সময় অ্যাপ থেকে মোট জমার পরিমাণ, সঞ্চয়ের মেয়াদ এবং মুনাফার পরিমাণসহ প্রয়োজনীয় সব তথ্য দেখে নিতে পারবেন।
মেয়াদপূর্তিতে মুনাফাসহ মূল টাকা ফেরত আসবে বিকাশ অ্যাকাউন্টে, যা ক্যাশ আউট করা যায় কোনো খরচ ছাড়াই। আবার ক্যাশ আউট না করে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মতো ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধ, অফলাইন-অনলাইন কেনাকাটার পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন ও ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, বিভিন্ন সরকারি সেবার ফি প্রদান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অনুদান, এনজিওর ঋণের কিস্তি প্রদানসহ অসংখ্য সেবা নিতে পারছেন ঘরে বসেই।

কর্পোরেট সংবাদ
রেমিট্যান্স গ্রাহকদের সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন জেলায় ব্র্যাক ব্যাংকের নানা আয়োজন

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জেলায় রেমিট্যান্স গ্রাহকদের নিয়ে একাধিক গ্রাহক-সম্পৃক্ততা সেশনের আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, চাঁদপুর, সিলেট এবং কুমিল্লার মতো রেমিট্যান্স-নির্ভর জেলাগুলোতে আয়োজিত এই সেশনের লক্ষ্য ছিল, রেমিট্যান্সের ব্যবহার ও বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানো নিয়ে রেমিটেন্স গ্রহীতাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শের পাশাপাশি ব্যাংকটির প্রবাসী ব্যাংকিং সেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো।
‘উঠান বৈঠক’ ও ব্রাঞ্চ লেভেলে আয়োজিত এই সেশনগুলোতে বিদ্যমান ও সম্ভাব্য রেমিট্যান্স গ্রাহকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। সেশনে অংশগ্রহণকারীদের কাছে ব্র্যাক ব্যাংকের ‘প্রবাসী পরিবার’ এবং ‘তারা প্রবাসী পরিবার’ অ্যাকাউন্টের বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হয়। হুন্ডির মতো অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ পথে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয় সেশনগুলোতে।
এই ক্যাম্পেইনে বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের অংশগ্রহণ ও উৎসাহ দেখা গিয়েছে, যার ফলস্বরূপ ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে থাকা গ্রাহকরা কয়েকশ নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্টও খুলেছেন। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল চ্যানেল ও প্রোডাক্ট- যেমন অ্যাস্থা অ্যাপ, এসএমই স্বাবলম্বী ঋণ এবং রেমিট্যান্স-কেন্দ্রিক অন্যান্য সেবার ব্যাপারে নিজেদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ট্রেজারি অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস মো. শাহীন ইকবাল সিএফএ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো, রেমিট্যান্স গ্রাহকদের সর্বোত্তম ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করা। এ লক্ষ্যে আমরা আমাদের ব্যাংকিং সেবাগুলো এমনভাবে সাজিয়েছি, যা একদিকে যেমন দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে, তেমনি অন্যদিকে গ্রাহকদের অবৈধ চ্যানেলের পরিবর্তে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহারে উৎসাহিত করবে।”
এই উদ্যোগ দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার এবং একটি নিরাপদ ও টেকসই রেমিট্যান্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
কর্পোরেট সংবাদ
‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ ক্যাম্পেইন শুরু

দেশের কটেজ, মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ (সিএমএসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে কম ইন্টারেস্টে জামানতবিহীন ঋণসুবিধা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বাংলাদেশে এসএমই ব্যাংকিংয়ের অগ্রপথিক হিসেবে সিএমএসএমইদের জন্য এই জামানতবিহীন ঋণসুবিধা এই খাতের উন্নয়নে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।
সম্প্রতি ব্র্যাক ব্যাংক ‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক এসএমই গ্রাহকদের ১৩.৭৫ শতাংশ হারে জামানতবিহীন ঋণসুবিধা দেবে, যা দেশের সিএমএসএমই খাতে বর্তমানে সর্বনিম্ন রেট। এই উদ্যোগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে।
সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়নের সুযোগ আরও সহজ করার লক্ষ্যে ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত এই রেট প্রযোজ্য থাকবে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এটি ব্র্যাক ব্যাংকের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পাশাপাশি দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও উদ্যোক্তা বিকাশে সহায়তা করতে ব্যাংকটি উদ্ভাবনী সিএমএসএমই প্রোডাক্টের উন্নয়নও অব্যাহত রেখেছে।
গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্র্যাক ব্যাংক সেসব সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের সবচেয়ে পছন্দের ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে, যারা ব্যবসা শুরু কিংবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঋণসুবিধা নিতে গিয়ে বেশিরভাগ সময়ই প্রয়োজনীয় জামানত দেখাতে পারেন না।
গত ২৪ বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংক ২০ লাখেরও বেশি এসএমই গ্রাহককে সেবা দিয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনন্য মাইলফলক। উদ্যোক্তাদের স্বপ্নপূরণে এ পর্যন্ত ব্যাংকটি এসএমই খাতে ২ লাখ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে, যার মাধ্যমে ২ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। দেশের এসএমই খাতে এই লক্ষণীয় প্রভাবের কারণেই ব্র্যাক ব্যাংক এখন এসএমই অর্থায়নের সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। ‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ব্যাংকটি সেই প্রতিশ্রুতি আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছে।
প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের বাস্তব চাহিদার কথা বিবেচনা করে ক্যাম্পেইনের আওতায় ব্র্যাক ব্যাংক নতুন দুটি প্রোডাক্ট সল্যুশনও নিয়ে এসেছে। এগুলো হলো, প্রবর্তন এবং বিজপে।
‘প্রবর্তন’ আনসিকিউর্ড লোন ডিজাইন করা হয়েছে দেশের ই-কমার্স এবং এফ-কমার্সের মতো অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য। পর্যাপ্ত আর্থিক সুবিধার বাইরে থাকা এসব উদ্যোক্তাদের ব্যবসার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এই ঋণসুবিধাটি। অন্যদিকে ‘বিজপে’ হলো এসএমই ট্রানজ্যাকশন ব্যাংকিংয়ের এমন একটি প্রযুক্তিনির্ভর প্ল্যাটফর্ম, যা সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের একসঙ্গে অনেকগুলো এবং বড় আকারের লেনদেন করার সুবিধা দেবে। এই প্ল্যাটফর্ম ক্লায়েন্টদের সময় ও খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি ব্রাঞ্চ নির্ভরতাও কমাবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ সম্পর্কে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোকে বিকশিত হতে সহায়তা করা। সিএমএসএমই গ্রাহকদের জামানতবিহীন ঋণে মার্কেটের সর্বনিম্ন রেট অফার করা এবং তাঁদের প্রয়োজনের বিষয়টি বিবেচনা করে উদ্ভাবনী সল্যুশন নিয়ে আসার মাধ্যমে আমরা তাঁদের বিশ্বস্ত আর্থিক অংশীদার হয়ে উঠেছি। ‘এসএমই মানেই ব্র্যাক ব্যাংক’ আমাদের অর্জিত আস্থা এবং দায়িত্বের প্রতিফলন।”
অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দীর্ঘমেয়াদি ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের আরও সহজ, দ্রুত ও সাশ্রয়ী আর্থিক সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের চট্টগ্রাম জোনে টাউন হল মিটিং

এনআরবিসি ব্যাংকের চট্টগ্রাম জোনের টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশীদ, চট্টগ্রাম জোনাল হেড মো. সাইফুল আলম চৌধুরীসহ এই জোনের শাখা-উপশাখাগুলোর সকলস্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, ব্যাংকিং কার্যক্রমের সর্বক্ষেত্রে কর্পোরেট সুশাসন এবং কমপ্লায়েন্সকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যমান শ্রেণিকৃত ঋণ হ্রাস করার লক্ষ্যে আদায় কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। এছাড়া বিনা সুদের এবং স্বল্প সুদের আমানত সংগ্রহের মাধ্যমে তহবিলসহ অন্যান্য ব্যয় কমিয়ে মুনাফা বৃদ্ধির অভিপ্রায়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। মানসম্পন্ন ঋণ বৃদ্ধির মাধ্যমে বিদ্যমান এডি রেশিও ৭৮ শতাংশ থেকে কাঙ্খিত মাত্রায় বৃদ্ধি করতে হবে। নতুনভাবে শ্রেণীকরণ রোধ, শ্রেণীবিন্যাসিত ও অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ের মাধ্যমে ব্যাংকের আয় বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে।
স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর বলেন, টেকসই ব্যাংক গড়ে তুলতে গুণগত মানসম্পন্ন ঋণ বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে কোনভাবেই নিয়মের ব্যতয় ঘটানো যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যাংকের সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে পরিপালন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি ।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সিংহভাগই পরিচালিত হয় চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে। তাই বৈদেশিক বাণিজ্যে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে এলসি বিজনেস বাড়াতে হবে। অফশোর ব্যাংকিংয়ে আমানত বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি লিঙ্কেজ শিল্প এবং অন্যান্য ছোটখাট শিল্পখাতগুলোকে অর্থায়নের মাধ্যমে অর্থনীতিকে বিকশিত করার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের নতুন এমডি ওমর ফারুক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে মো. ওমর ফারুক খানকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক চিঠিতে তার নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। ২০২৮ সালের ৩০ জুলাই পর্যন্ত তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাকে অনুষ্ঠিত ভাইভা বোর্ডে অংশগ্রহণ করেন ওমর ফারুক খান। এরপর প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার নিয়োগ চূড়ান্ত করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ওমর ফারুক খান ইসলামী ব্যাংকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে যোগ দেন। তার আগে তিনি এনআরবি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যাংকিং খাতে ৩৭ বছরের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে ওমর ফারুক খানের। তিনি ইসলামী ব্যাংকের অন্যতম বৃহৎ অপারেশনাল ইউনিট—আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং উইং, স্থানীয় কার্যালয়, বিভিন্ন ডিভিশন, জোন অফিস ও শাখায় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে ইসলামী ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন ওমর ফারুক। পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ভারতে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও ক্রেডিট ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরিয়াহভিত্তিক তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংক। নতুন এমডি হিসেবে ওমর ফারুক খানের নিয়োগ ব্যাংকটির পরিচালনায় নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের রংপুর ও বগুড়া জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির রংপুর ও বগুড়া জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) ব্যাংকের রংপুর জোনাল অফিস কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর ফারুক খান সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কে.এম. মুনিরুল আলম আল-মামুন। রংপুর জোনপ্রধান মো. মতিয়ুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বগুড়া জোনপ্রধান শিকদার মো. শিহাবুদ্দীন। সম্মেলনে জোনদ্বয়ের অধীন শাখাসমূহের প্রধান ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কাফি